দশেরায় লঙ্কার রাজার কুশপুতুল পুড়িয়ে যেভাবে ভারতের সর্বত্র উল্লাস করা হয়, তার তীব্র বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হলেন উত্তরপ্রদেশের মথুরার জনৈক এক আইনজীবী।
একই আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও শরণাপন্ন হয়েছেন। চিঠি দিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং তিনি যে রাজ্যের বাসিন্দা, সেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও।
আর্জি-চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ''রাময়ণে যিনি লঙ্কার রাজা, সেই রাবণ আদতে ছিলেন এক সারস্বত ব্রাহ্মণ। দশেরায় রাবণের কুশপুতুল পোড়ানোর অর্থ, গোটা সারস্বত ব্রাহ্মণ সমাজকে 'অপমান' করা। একইসঙ্গে যাঁরা পরম নিষ্ঠায় রাবণের পুজো করেন, দশেরার এই রেওয়াজ তাঁদেরও অপমানিত করে।
নিজেকে সারস্বত সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করে ওমবীর সারস্বত নামে ওই আইনজীবী বলেন, আমরাও তো দেশেরই নাগরিক। সংবিধান দেশের সকলকে তাঁদের ধর্মীয় রীতি-রেওয়াজ পালনের অধিকার দিয়েছে। তা হলে, একটা সমাজের বিশ্বাসে আঘাত করা হবে কেন? রাজধানী নয়াদিল্লির অদূরেই গ্রেটার নয়ডায় রাবণের মন্দিরে কত মানুষ রোজ পুজো দেন, তারও উল্লেখ রয়েছে ওই চিঠিতে।
রামের কাছে লঙ্কেশ্বর রাবণের পরাজয়ের দিনটিকে স্মরণ করে ভারতের সর্বত্র, বিশেষত উত্তর ভারতে দশেরা পালিত হয়। এবার ৩০ সেপ্টেম্বর দশেরা রয়েছে।
ওমবীর সারস্বত জানালেন, সারস্বত সমাজের আর্জিতে সাড়া দিয়ে এখনও অবধি কারও কাছ থেকে চিঠির জবাব আসেনি। অধীর আগ্রহে ইতিবাচক সাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। যদি না সাড়া পান? জানালেন, আইনই শেষ আশ্রয়। অগত্যা আদালতেই দশেরায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল করবেন।
0 comments:
Post a Comment