JanaSoftR
  • সপ্তাহে কতবার যৌনমিলনে আগ্রহী সুন্দরীরা: একটি সমীক্ষা

  • এই নতুন নেশাতেই মজছে স্কুল পড়ুয়ারা, চিন্তায় অভিভাবকরা

  • ট্রেনে একঘন্টায় কলকাতা থেকে দিল্লি!

  • মরুভূমি হয়ে যাবে পাকিস্তান, সিন্ধু অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণ শুরু, প্রবল চাপে পাকিস্তান

Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts

Sunday, 26 November 2017

বাংলাদেশের জামালপুরে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ!



বাংলাদেশে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে মেলান্দহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ রোববার মোজাম্মেল হক (৩৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা ।

আসামি মোজাম্মেল হক পেশায় ব্যবসায়ী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় উপজেলার নয়ানগর এলাকার মোড় থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে মোজাম্মেল হক তাঁকে অপহরণ করেন। গাড়িটিতে তোলার পর মোজাম্মেল অচেতন করার রাসায়নিক মিশ্রিত একটি রুমাল ওই ছাত্রীর নাকে চেপে ধরে অজ্ঞান করে ফেলেন। এরপর কোনো একটি ঘরে তিন দিন আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল শনিবার বিকেলে দুরমুঠ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ওই ছাত্রীকে ফেলে যান মোজাম্মেল। স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেলান্দহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি দরিদ্র মানুষ। মেয়েকে খুব কষ্টে লেখাপড়া করাই। বুধবার দুপুরে বিকেলে সে প্রাইভেট পড়তে যায়। এরপর থেকে মেয়ের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। শনিবার বিকেলে দুরমুঠ এলাকার লোকজনের কাছে খবর পাই, অসুস্থ অবস্থায় সেখানে আমার মেয়েকে কেউ ফেলে গেছে। নেশা দ্রব্য কিছু একটা মেয়েকে খাওয়ানো হয়েছিল। আমার মেয়েকে যারা-এমন অবস্থা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম বলেন, ‘পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। স্কুলছাত্রীর বাবা অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Tuesday, 31 October 2017

ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে, তিব্বত থেকে ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলাচ্ছে চিন



এবার ভারতের বিরুদ্ধে প্রকৃতিকে হাতিয়ার করতে চলেছে চিন। তিব্বত থেকে ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলে ফেলার ভয়ানক ছক কষছে ওই দেশ। এই কাজের জন্য প্রায় ১ হাজার কিলোমিটারের একটি টানেল তৈরি করতে চলেছে বেজিং। ওই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে তিব্বত থেকেই ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলে ওই নদকে জিনজিয়াং প্রদেশের দিকে প্রবাহিত করবে লাল চিন।

চিনে ব্রহ্মপুত্রের নাম সাংপো। ওই নদের উৎস তিব্বতে। সেখান থেকে নিম্নমুখী হয়ে ভারত ও বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র। ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য বিশেষ করে অসমের জীবনরেখা ওই নদ। এর জন্যই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কৃষিকার্য সম্ভব হয়। তবে মাঝে মাঝে অত্যাধিক বৃষ্টির জন্য দুকূল ছাপিয়ে জনজীবন বিধ্বস্ত করে ব্রহ্মপুত্র। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিন ওই টানেল বানালে প্রবল বিপাকে পড়বে ভারত ও বাংলাদেশ। তিব্বত থেকে শুষ্ক জিনজিয়াং প্রদেশে জল প্রবাহিত করলে কমে যাবে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর। ফেল বিঘ্নিত হবে প্রবাহ। যার জেরে ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। জল কমে যাওয়ায় কৃষিকার্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, সুড়ঙ্গ থেকে জল ছাড়লে প্লাবিত হতে পারে নিচু জায়গাগুলি। একই অবস্থা হবে বাংলাদশেও। ফলে চিনের এই চালে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দিল্লির দরবারে।

চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের খবর, তিব্বতের সাংরি অঞ্চল থেকে জিনজিয়াং প্রদশের তাকলামাকান মরুভূমি পর্যন্ত বানানো হবে ওই সুড়ঙ্গ। এর মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের জল চাষবাসের জন্য পৌঁছে দেওয়া হবে মরুভূমিতে। ২০১৮-এর মার্চ মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। এই কাজে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। বেশ কয়েকবছর থেকেই ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলানোর হুমকি দিচ্ছিল চিন। তবে দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়ার পর ২০১০ সালে বেজিং জানায় এমন কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডোকলামে মান খুইয়ে ফুঁসছে লাল চিন। তাই এবার প্রকৃতিকে হাতিয়ার করেই ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে কমিউনিস্টশাসিত দেশটি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 29 October 2017

রোহিঙ্গাদের জনবিস্ফোরণ রুখতে, পুরুষদের পুরুষত্বহীন করার পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের



রকেটগতিতে রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি আটকাতে নাসবন্দি করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সরকার। অগাস্টে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মায়ানমার সেনা। তারপর থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা। কিন্তু যেভাবে রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে চিন্তিত বাংলাদেশ সরকার। একেই খাদ্যসামগ্রী বাড়ন্ত। এর উপরে অতিরিক্ত বোঝা চাপবে।

কক্সবাজার জেলার পরিবার পরিকল্পনা দফতরের প্রধান  পিন্টুকান্তি ভট্টচার্য জানিয়েছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সচেতনার অভাব রয়েছে। সবারই বড় পরিবার। এক একজনের তো ১৯টি সন্তান রয়েছে। একের বেশি স্ত্রীও রয়েছে রোহিঙ্গা পুরুষদের। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে বিনামূল্যে কন্ডোম বিতরণ শুরু করেছিল প্রশাসন। তবে তাতে তেমন সাড়া মেলেনি। মাত্র ৫৪৯টি কন্ডোম বিলি করা গিয়েছে।

ওদিকে রোহিঙ্গাদের বংশবৃদ্ধির হার দেখে উদ্বিগ্ন চট্টগ্রামের পরিবার পরিকল্পনা দফতর। সরকারের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের নসবন্দি করানোর অনুমতি চেয়েছে তারা। তবে পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পে সামিল হতে ইতিমধ্যে অস্বীকার করেছে রোহিঙ্গারা। সংবাদমাধ্যমে রোহিঙ্গারা দাবি করেছে, বড় পরিবারই তারা চায়। এমনকি জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইসলাম বিরোধী বলেও মত রোহিঙ্গাদের।

স্বেচ্ছাসেবী ফারহা সুলতানার কথায়, অনেক মহিলার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মধ্যে সাতটি বাচ্চার মা সাবুরা জানিয়েছেন, তিনি স্বামীর সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলেছিলেন। তবে তাঁর স্বামী আপত্তি জানিয়েছেন। এমনকি কন্ডোমও ব্যবহার করেননি। তাঁর স্বামী উলটে জানিয়েছেন, খাবারের কোনও অভাব হবে না।   

অগাস্টের পর থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ৬ লক্ষ রোহিঙ্গার মধ্যে ২০ হাজার মহিলা গর্ভবতী। তাদের মধ্যে ৬০০ জন ইতিমধ্যে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বাংলাদেশের পরিবার কল্যাণ দফতর মনে করছে, পুরুষদের নসবন্দি করানো  ছাড়া রোহিঙ্গা জনবিস্ফোরণ রোখার অন্য কোনও পথ খোলা নেই তাদের কাছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Monday, 16 October 2017

ভারত থেকে ৫০০ কোটি ঋণ, MIG-35 যুদ্ধবিমান কিনবে বাংলাদেশ



 বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ভারত থেকে ৫০০ কোটি ঋণ পাওয়ার কথা। আর সেই অর্থ দিয়েই নাকি বাংলাদেশ কিনবে MiG-35 এয়ারক্রাফট। এছাড়া MiG-29S ফাইটার জেটের কিছু অংশও কেনা হবে ওই টাকায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ান বিমান কেনার জন্য ভারতের অর্থ সাহায্য আদতে ঢাকা, নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বার্তা দিচ্ছে।

চারদিনের সফরে শুক্রবারই ভারতে এসেছেন শেখ হাসিনা। ‘ইন্ডিয়ান ডিফেন্স নিউজ’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করতে আগ্রহী নন হাসিনা। কারণ বিরোধীরা তাঁকে সবসময় ‘ভারতের হাতের পুতুল’ বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। ঠিক যেমন ভারত ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে আফগানিস্তানের সঙ্গে। তেমনই চুক্তির অফার দেওয়া হয়েছিল ভারতের পক্ষ থেকে।

মার্চ মাসেই Analysis of World Arms Trade (CAWAT)-এর তরফ থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে এয়ার ফোর্সের জন্য আটটি MiG-35 মাল্টি-রোল ফাইটার জেট কেনা হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের ডিফেন্স বাজেট ২৮০ কোটি ডলার। তাই সেদেশের পক্ষে এতগুলি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান কেনা সম্ভব নয়। বাংলাদেশকে মূলত অস্ত্র রফতানি করে চিন। তবে রাশিয়ান অস্ত্রের উপর এদেশের ব্যাপক বিশ্বাস রয়েছে। বাংলাদেশ রাশিয়ার তৈরি BTR ট্যাংক, MiG যুদ্ধবিমান ও Mi-17 হেলিকপ্টার ব্যবহার করে।

উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও দেশকে এত টাকার ঋণ দিচ্ছে ভারত। হাসিনার এবারের সফরে ৩০টিরও বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ২০১০ ও ২০১৫ সালে ভারত দু’টি লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে ৩০০ কোটি ডলার দিয়েছিল। আগের দু’টি লাইন অব ক্রেডিটে প্রথমে টাকার অঙ্ক নির্দিষ্ট করে পরে প্রকল্প নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এবারে প্রাথমিক ২৭টি প্রকল্পের মধ্যে ১৮টি প্রকল্প বাছাই করে মোট অঙ্ক যোগ করে লাইন অব ক্রেডিট নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই ঋণে সুদের হার ১ শতাংশ। ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য। প্রথম পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ড থাকবে। প্রকল্পে ব্যবহৃত ৭৫ শতাংশ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করতে হবে এবং প্রকল্পভেদে প্রয়োজন পড়লে এ’টি কমতে পারে। ভারতের এক্সিম ব্যাংক এই অর্থ যোগান দেবে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে রূপপুর নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা বন্দরে টার্মিনাল নির্মাণ, বুড়িগঙ্গা নদী সংরক্ষণ, রেল রাইনে সহায়তা, বিদ্যুৎ খাতে সহায়তা, চট্টগ্রাম ড্রাই ডকে সহায়তা, সড়ক খাতে সহায়তা ইত্যাদি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Thursday, 12 October 2017

ছি ! এখানে পশু কারা ??



ফসল খেয়েছে বলে এই ভাবে আঘাত করাটা কি কোনো মানুষের কাজ হতে পাড়ে ?

ঘটোনা টি বাংলাদেশের।

পশুটির খুব খিদে পেয়েছিল তাই নিজের লোভ না সামলাতে পেরে ঢুকে পরে ছিল চাষের জমিতে।

আর এটাই তার কাল হল জমির চাষী কোপ দিল কুরুল দিয়ে তার পিঠে, সেখানেই লুটিয়ে পরল সে।

এমন কাজ  যারা করেছে সত্যিকার এর অর্থে তারা কি নিযেরাই বড় পশু নয়?
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 24 September 2017

বাংলাদেশ: প্রকৃতিগত ভাবে পূজার যে সৌন্দর্য্য, বেচারি ঈদের তা নাই ! – ইশরাত জাহান ঊর্মি:



“আচ্ছা আপনারা নিজেদের সেক্যুলার বলে দাবি করেন, তাহলে বাতাসে পূজো পূজো গন্ধ কেন পান? কীভাবে পান? বাতাসে পূজো পূজো গন্ধ যদি পান, ঈদ নিয়া আপনাদের এতো ইচিং হয় কেন? আপনাদের সেক্যুলারিজম সব হিন্দু বা অন্য ধর্ম নিয়া। মুসলমান ধর্ম নিয়া আপনাদের এতো জ্বলে ক্যান?”
-অনেকের মনের মধ্যে এই প্রশ্ন। এবং এইটা হলো প্রশ্ন করার সবচেয়ে সভ্য ভাষা। অসভ্যগুলো প্রশ্নকর্তারাই বলবেন।

এখন কথা হলো, বাতাসে আসলেই পূজার গন্ধ পাওয়া যায়, তার আমি কী করবো? শরৎকালে কাশফুল এবং শিউলি ফুল ফোটে, জলে পম্পা মানে পদ্ম, শরতকালে আকাশে সাদা-নীল মেঘ ভাসে, শরৎকালে রোদের তেজ ক্রমশ মরে আসে, শরৎকালে গ্রামে ভোরবেলা হিম হিম একটা আমেজ পাওয়া যায় এবং শরৎকালেই পূজা হয়। পূজার সময় ঢাক বাজে, পূজার সময় মাইকে পুরাতনি গান বাজে-সব মিলায়ে একটা আবহ তৈরি হয়, ঈদে তা হয় না, তার আমি কী করবো?

পূজাটা হয় বাংলার ঋতু পঞ্জিকার সাথে মিলিয়ে। আর ঈদ হয় আরেক দেশের ক্যালেন্ডারের চাঁদের সাথে মিলিয়ে, ফলে ঈদ শীতে হতে পারে, ঝাঁ ঝাঁ গ্রীষ্মকালে হতে পারে, ঝুম বর্ষায় হতে পারে, শরতে বা হেমন্তেও হতে পারে। প্রকৃতিগত ভাবে পূজার যে সৌন্দর্য্য-অত্যন্ত ব্যথিতভাবে জানাচ্ছি যে, বেচারি ঈদের তা নাই।

নারী হিসেবেও আমি পূজা উৎসবরে ভালোবাসি। বলাই হয়, সর্বজনীন উৎসব। অন্তত: আমাদের দেশে কোনো পূজা মণ্ডপে আমি নারী বলে ঢুকতে প্রতিবন্ধকতা পাই নাই। শুধু নারী বলে নয়, মুসলমান বলেও কেউ বাধা দ্যায় নাই। পাতপেড়ে প্রসাদ খেতে পারছি। কেউ বলে নাই, ওই যবন তুমি, প্রসাদ তোমার না। বরং বনানী পূজামণ্ডপে মনে পড়ে, দশাসই চেহারার এক দিদি ধমকায়ে প্রসাদ খাইয়েছে।
“এ্যাই মেয়ে, ছাতু মাখাইছি চিনি দিয়া, সকাল সকাল আসছো ডিউটিতে (আমি হয়তো টেলিভিশনের চাকরির ডিউটি করতে, মানে পূজা কাভার করতে গিয়েছি), খাও, ভালো লাগবে।” তারপর আছে নারী-পুরুষ হাতে হাত মিলিয়ে ঢাকের তালে নাচ, আছে সিঁদুরখেলার মতো রং মাখামাখি-আমাদের ধর্মে মানে মুসলমান ধর্মে এরকম সার্বজনিনতা কল্পনা করা যায়?
পুরুষেরা বুকে বুক মিলায় ঈদে, ভ্রাতৃত্ববোধ প্রকাশ করে, কিন্তু নারীদের জন্য সিস্টারহুড (ইংরেজিতে ব্রাদারহুড এর বিপরীত শব্দ সিস্টারহুড, কিন্তু ভ্রাতৃত্ব’র বিপরীত স্ত্রীবাচক বাংলা শব্দ কী?) প্রকাশের তেমন কোনো ছবি তো আমরা কোথাও পাই না! একটা উৎসব যদি নারী-পুরুষ সবার জন্য না হয়, সর্বজনীন না হয়, তাহলে সেই উৎসব নিয়ে আমার ইচিং হবেই-সাফ কথা।

আমি ঠিক জানি না দেশীয় সংস্কৃতির সাথে কোন কোন জায়গায় পূজার মাখামাখি আর ঈদ উৎসবের দূরত্ব, শুধু এইটুকু বুঝতে পারি যে, পহেলা বৈশাখে কেনা লাল-সাদা বা কমলা-সাদা শাড়িটা পূজায় বেশ পরে ফেলা যায়, কিন্তু ঈদে কেনা পাকিস্তানী লম্বা ঝালরের জামাটা পহেলা বৈশাখে বেমানান। জোর করে ঈদরে বাঙালী করা যায় না।

বাঙালী সহ্য করতে না পারা দেশে হিন্দু নিধন চলতেছে। নাসিরনগরের ঘটনার সময় আমার মনে আছে, আমি একদিন নিউজ পড়ছিলাম। এক রিপোর্টারের স্টোরির মধ্যে কাঁসার থালা হাতে লালপেড়ে শাড়ি পরা এক নারী নদী থেকে থালাবাসন ধুয়ে উঠে আসার একটা ছবি দেখে হঠাৎই পুরো দৃশ্যটা আমার কাছে অচেনা লাগলো। মনে হলো এই কাঁসার থালা, এই লালপাড় শাড়ি কোন ছোটবেলায় শুকলা আন্টিদের পুকুরঘাটে দেখতাম, এখন কই? গ্রামে গেলেও এসব চোখে পড়ে না তো!

আমাদের প্রধানমন্ত্রী গতবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে বলেছিলেন, এদেশ আপনাদেরও, আত্মবিশ্বাসের সাথে বসবাস করুন।” শুনেই আমার মনে হলো, নিজের দেশে আলাদা করে ইমফেসিস দিয়ে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে কেন? আমাদের মনস্তত্ত্বে তবে কি আমরা ইতিমধ্যেই ঢুকিয়ে ফেলেছি যে, হিন্দুরা ঠিক এদেশের নয়! বিপন্ন! সংখ্যালঘু শব্দটার মধ্যে কেমন যেন একটা লজ্জা আছে, সেই লজ্জা আমরা ধীরে ধীরে আত্মিকরণ করে ফেলতেছি। আজকাল আর ঢাকের শব্দ না, প্রতিমা ভাঙার ছবিতে বা খবরে বুঝতে পারি যে, পূজা আসন্ন।

তো, শেষকথা হলো যে, উৎসব সর্বজনীন না, যে উৎসব নারীর জন্য এমবার্গো দিয়ে রাখে, সেই উৎসব নিয়ে ভুরু কুঁচকালে উল্টোদিকে যে উৎসব আমারে হাতে হাত ধরার স্বাধীনতা দ্যায়, সেই উৎসব নিয়ে আমি গদগদ হলে আপনাদের ভুরু কুঁচকানোরে আমি কেয়ার করি না।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Tuesday, 15 August 2017

দেশে থাকা অবৈধ রোহিঙ্গা মুসলিমদের দেশছাড়া করবে কেন্দ্র



অবৈধভাবে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমরা দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। তাই ভারত থেকে অবৈধ মুসলিমদের বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে বলে জানা গিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে প্রবেশ করা মুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকদের অসুবিধা তৈরি করছেন তো বটেই, পাশাপাশি, দেশের নিরাপত্তার জন্যও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। আরও বলা হয়েছে যে, গত কয়েক দশকে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা যেভাবে বেড়েছে তাতে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুপ্রবেশকারীদে জঙ্গিদলে যোগ দিতে দেখা যায়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে অনেক সময়েই প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে দেখা যায়। এদের সঙ্গে ভারতীয়দের সাংস্কৃতিক মিল থাকায় সেটা সবসময় চোখে পড়ে না। তাই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে টাস্ক ফোর্স গঠন করতে বলেছে কেন্দ্র।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কাশ্মীরে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিচ্ছে এই রোহিঙ্গা মুসলিমরা। ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন, লস্ক-ই-তইবার সদস্য হিসেবে কাজ করে এরা।

জানা গিয়েছে, ৫,৫০০-৫,৭০০ রোহিঙ্গা শুধু জম্মুতেই রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আশঙ্কা, ঠিকমত গণনা হলে এই সংখ্যা ১০,০০০ থেকে ১১,০০০ দাঁড়াবে। গোটা ভারতের প্রেক্ষিতে জম্মুতে জড় হওয়া এই রোহিঙ্গাদের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেশি বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিছুদিন আগে তাদের বস্তিতে তল্লাশি চালিয়ে আধার কার্ড সহ বেশ কিছু পরিচয়পত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Saturday, 15 April 2017

বাংলাদেশে ঢাকার চারুকলার হিন্দু ছাত্রদের গরুর মাংস খাওয়ানো হল , তদন্তের নির্দেশ



ঢাকার চারুকলা ইন্সটিটিউটের ক্যান্টিনে 'না জানিয়ে হিন্দু ছাত্রদের গরুর মাংস খাওয়ানোর' এক অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের ঘটনার পর এর তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।

বাংলাদেশে নববর্ষের প্রথম দিনটিতে চারুকলা ইন্সটিটিউটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হতে তখনো ১০/১৫ মিনিট সময় বাকি। চারুকলার বৈশাখ উদযাপন কমিটির সদস্যরা এবং অন্যান্য কর্মীরা 'চারুকলার পুকুরপাড়' নামে পরিচিত জায়গাটিতে অবস্থিত ক্যান্টিন থেকে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে শোরগোল শুরু হয়।

অভিযোগ তোলা হয় "তেহারিতে গরুর মাংস দেয়া হয়েছে এবং না জেনে হিন্দু শিক্ষার্থীরা তা খেয়েছে"। এরপর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেখানে ভাংচুরও করেন, এমনটাই জানান শুক্রবারের ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ওই ক্যান্টিনটিতে বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষার্থীরা খাবার খেয়ে থাকে বলে ঐতিহ্যগতভাবে গরুর মাংস রান্না করা হয় না বলে জানাচ্ছেন ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

চারুকলায় প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপনে কমিটি গঠন করা হয়। এবছরের কমিটির সমন্বয়ক সাগর হোসেন সোহাগ বলেন, "২৫/২৬ দিন ধরে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতির কাজ চলছিল। শোভাযাত্রার জন্য কখনও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়না। তাই এমনি নাশতা করি আমরা। ডিন স্যারও ছিলেন।"

"যেহেতু অর্ডার ছিলনা তাই যা রান্না করা ছিল সেটাই খাওয়া হল। এরপর একদল বলে উঠলো: আমাদের গরুর মাংস খাওয়ানো হল" - বলেন সাগর হোসেন সোহাগ।

সাগর হোসেন সোহাগ বলেন, "ইচ্ছে করে হিন্দু ছাত্রদের গো-মাংস খাওয়ানোর অভিযোগ ভুল।"
"এটা একান্তই ক্যান্টিন মালিকের ব্যাপার। আমাদের এ ধরনের কোনও অর্ডার-ই ছিলনা। শোভাযাত্রার ঢাকী এবং শ্রমিকদের জন্য খিচুড়ির অর্ডার দিয়েছিলাম আমরা" - বলেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডিন নিসার হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এম আমজাদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন ডিন। তবে আমি তাদের সাথে (শিক্ষার্থী ও শিক্ষক) বসেছিলাম সমাধানের জন্য। আলোচনা করে মনে হয়েছে, সেখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।"
"চারুকলার ক্যান্টিনে সাধারণত গরুর মাংস পাক করা হয়না। আর তেহারি গরু দিয়ে করা হয়না, করা হয় মুরগি দিয়ে" - বলেন তিনি।

প্রক্টর মি. আলী বলেন "এটা কেন করা হল এবং কারা দায়ী সে বিষয়ে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দরকার বলে আমি ডিনকেও বলেছি"।

এর কারণ কি হতে পারে - জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এটা বিভিন্নভাবে চিন্তা করা যায়। এটা ক্যান্টিন মালিকের ইচ্ছাকৃত নাকি মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে যাদের আপত্তি রয়েছে তারাই করেছে" সেগুলো খতিয়ে দেখতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আর এ ঘটনার পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয় লেখা-লেখি ও বিষোদগার। অনেকের বক্তব্য, জোর করে হিন্দু ছাত্রদের গরুর মাংস খাওয়ানো হয়েছে।

বাকি বিল্লাহ তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, "বৈশাখের বিশেষ উপলক্ষে চারুকলার ক্যান্টিনে তেহারী রান্না হলে সেটা মোটেও অন্যায় নয়, অন্যায় করেছে তারা যারা নিজেদের হীন স্বার্থে তেহারী হিন্দু কাউকে খাইয়েছে। আবার সারা বছর চারুকলার ক্যান্টিনে গরুর মাংস রান্না না হওয়াও মোটেও অন্যায় কিছু না। সাধারণত এগুলো পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ীই করা হয়। কিন্তু সাম্প্রদায়িক কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত প্রাণীগুলোকে আপনি এর কোনোটিই বোঝাতে পারবেন না। ওরা শুধু চান্স খুঁজবে। কোনো একটা ছুতো পেলেই ওরা তাদের পচা গলা শরীর মন উগরে দেবে"।

দীপক সুমন রিখেছেন, "ঢাবি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) চারুকলার ক্যান্টিনের ঘটনা পরিকল্পিত?"
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন কর্মীদের ক্যান্টিনে টাকা বাকি আছে আর সেজন্যই এ কান্ড কী? এমন কমেন্টও রয়েছে ফেসবুকে।

সামাজিক মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিভিন্ন গ্রুপ থেকেও নানা মন্তব্য আসছে।
এ ঘটনায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা ইন্ধন দিচ্ছে কি- সেটাও একটি বড় প্রশ্ন বলে মন্তব্য করেন অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী। ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকরা দোষ দিচ্ছেন বাম দলের এবং ছাত্রদলের কর্মীদের। আবার ছাত্রলীগের কর্মীদের দোষারোপ করছেন কেউ কেউ।

চারুকলার সাবেক ছাত্র চঞ্চল কর্মকার ১৪১৮ সালের বৈশাখ উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক ছিলেন। তিনিও জানান, "যেহেতু হিন্দু ধর্মের অনুসারী অনেকেই থাকেন, ট্রাডিশনালি ওই ক্যান্টিনে গরুর-মাংস রান্না করা হয়না"।

তিনি বলেন, তারা যখন উৎসবে কাজ করতেন তখন শিক্ষকদের একধরনের তত্ত্বাবধান ছিল। এবারের উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে সেটা দেখা যায়নি। সেটা থাকা দরকার ছিল"।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, কেউ কেউ ক্যান্টিনে বাকিতে খাওয়া-দাওয়া করেন। পাওনা নিয়ে ক্যান্টিন মালিকের সাথে তাদের বিরোধেও এটা ঘটানো হতে পারে।

আবার মঙ্গল শোভাযাত্রা আন্তর্জাতিক র্স্বীকৃতি পাওয়ায় তা নিয়ে বাণিজ্য করার চেষ্টায় আছে অনেকে। তা নিয়েও বিরোধের জের হতে পারে এটি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 5 April 2017

তালাক হওয়ার পর আবার বিয়ে বাঁচাতে অচেনা লোকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ?



কোন কারণে বা কেবল রাগের মাথায় শুধুমাত্র তিনবার তালাক শব্দ উচ্চারণ করে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ঘটনা মুসলিমদের মধ্যে প্রায়শই শোনা যায়।  আর তালাক হয়ে যাওয়ার পর আবার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে হলে মহিলাকে অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার যে বিতর্কিত বিধানের কথা উল্লেখ করা হয়, আরবিতে তার নাম ‘হালালা’ বিয়ে।  তবে বাংলাদেশের এই অঞ্চলে যেটি ‘হিল্লা বিয়ে’ নামে পরিচিত।  অধিকাংশ মুসলিম দেশই এই বিতর্কিত হালালা বা হিল্লা বিয়েকে নিষিদ্ধ করেছে।  পূর্ব লন্ডনের ইসলামিক শরিয়া কাউন্সিলও এটি হারাম এবং নিষিদ্ধ উল্লেখ করে এই ধরনের বিয়ের তীব্র বিরোধিতা করছে।  কিন্তু তারপরও ব্রিটেনে এই ধরণের বিয়ের আয়োজনে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু অনলাইন সার্ভিস।  বিবিসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে এই ধরনের সার্ভিসের বিনিময়ে মহিলাকে দিতে হয় কয়েক হাজার পাউন্ড।

হালালার ক্ষেত্রে মহিলাকে অচেনা একজনকে বিয়ে করতে হয়, তার সাথে যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে হয় এবং তারপর তাকে তালাক দিতে হয়।  আর এরপরই সে ফিরে পেতে পারে তার প্রথম স্বামীকে।  বিবিসির কাছে তেমনি একটি ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন ফারাহ।

ফারাহ’র (ছদ্মনাম) স্বামীর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০ বছর বয়সে পারিবারিক এক বন্ধুর মাধ্যমে।  এরপর বিয়ে এবং পরে সন্তান হওয়ার পর থেকেই তার ওপর নির্যাতন শুরু হয় বলে জানান ফারাহ।  বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ককে ফারাহ বলেন, “প্রথমে নির্যাতন করতো টাকার জন্য।  আমার চুল ধরে টেনে দু’রুমের মধ্য দিয়ে ঘরের বাইরে ফেলে দিতে চাইতো”।  এরপরেও ফারাহ আশাবাদী ছিলেন যে অবস্থার পরিবর্তন হবেই এবং তার স্বামীর আচরণ বদলাবে।  কিন্তু তা না হয়ে উল্টো মেসেজ পাঠিয়ে স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দিল।

“আমি বাচ্চাদের সাথে বাসায় ছিলাম, আর সে গিয়েছিলো কাজে।  ফোনে তীব্র তর্কের এক পর্যায়ে সে মেসেজ পাঠালো – তালাক তালাক তালাক”।  আর মুসলিম বিবাহ পদ্ধতি অনুযায়ী এক সঙ্গে তিনবার তালাক উচ্চারণ করলে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।  বেশিরভাগ মুসলিম দেশেরই এটা নিষিদ্ধ কিন্তু তারপরেও এমন ঘটনা হচ্ছে।  আর ব্রিটেনে এটা খুঁজে বের করা মুশকিল যে কত নারী এভাবে তালাক পাচ্ছে।

স্বামীর কাছ থেকে মেসেজ পাওয়ার পর ফারাহ যোগাযোগ করেন পরিবারের সঙ্গে – “আমি বাবাকে পাঠাই ওটা।  তিনি বললেন তোমার বিয়ে শেষ এবং তুমি আর তার (স্বামী) কাছে ফিরে যেতে পারোনা”।  ফারাহ বলেন এই ঘটনায় তিনি খুবই হতাশ হয়ে পড়েন।  কিন্তু তারপরেও তিনি প্রাক্তন স্বামীর কাছে ফেরত যেতে চান, কারণ তিনি তার জীবনের ভালোবাসা।  আর প্রাক্তন স্বামীও দুঃখ প্রকাশ করছিলেন।

আর এটিই ফারাহকে নিয়ে যায় বিতর্কিত হিল্লা বিয়ে পদ্ধতির দিকে।  যা এখন খুব কম সংখ্যক মুসলিমের কাছেই গ্রহণযোগ্য।  যারা এটি বিশ্বাস করেন বা তিন তালাক পদ্ধতি বিশ্বাস করেন, তাদের বিশ্বাস যে আগের স্বামীর কাছে যেতে হলে তাকে অন্য কাউকে বিয়ে করে তালাক দিয়ে এরপর ফিরে যেতে হবে।  কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই হালালা বা হিল্লা বিয়ের সার্ভিস নিতে হয় আর্থিক প্রতারণা কিংবা এমনকি অনেকক্ষেত্রে অনেকে যৌন হয়রানির শিকার হন।  তবে মুসলমানদের বড় অংশই এখন এ ধরনের বিয়ের বিপক্ষে।  এবং বলা হয় যে এটার জন্য দায়ী তালাক সম্পর্কিত ইসলামী আইন নিয়ে ভুল ধারণা।

কিন্তু বিবিসির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে এই ধরনের অনেক অনলাইন সার্ভিস আছে যারা অর্থের বিনিময়ে হালালা বা হিল্লা বিয়েতে সহযোগিতা করে।  এমনকি এই ধরনের অস্থায়ী বিয়ের জন্য অনেক মহিলার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে হাজার হাজার পাউন্ড।  ফেসবুকে হালালা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন করেন এমন একজনের সাথে বিবিসি রিপোর্টার তালাকপ্রাপ্তা মুসলিম মহিলা পরিচয়ে কথা বলার পর সেই ব্যক্তি অস্থায়ী বিয়ের জন্য ২৫০০ পাউন্ড দিতে হবে বলে জানান।  এবং বলেন যে বিয়ের প্রক্রিয়া শেষ করতে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে রাজী হতে হবে। তিনি জানান, তার সঙ্গে ধরনের কাজ করছে আরও কয়েকজন পুরুষ।

পরে যখন বিবিসির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়, তখন তিনি বিষয়টি বেমালুম অস্বীকার করেন এবং বলেন যে তিনি এ ধরনের কাজে সম্পৃক্ত নন।  বরং তার দাবি তিনি ফান করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন।  কিন্তু স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে ফারাহ এমন একজন পুরুষকে খুঁজতে শুরু করেন যিনি স্বেচ্ছায় হালালা বিয়েতে রাজী আছেন।  ফারাহ জানান তিনি কিছু মেয়েকে চেনেন যারা পরিবারের সমর্থন ছাড়াই গেছেন এবং কয়েক মাস ধরে ব্যবহৃত হয়েছেন।

“তারা মসজিদে গেছে এবং সেখানে সুনির্দিষ্ট কক্ষে এটি সম্পন্ন হয়েছে। এরপর ইমাম বা যারা এ সার্ভিস অফার করেছে, তাদের সাথে বিছানায় যেতে হয়েছে।  এবং পরে অন্য পুরুষকেও তার সাথে থাকার অনুমতি দিতে হয়েছে”। কিন্তু পূর্ব লন্ডনের ইসলামিক শরিয়া কাউন্সিল, যারা তালাক নিয়ে নারীদের পরামর্শ দিয়ে থাকে, তাদের একজন কর্মকর্তা খোলা হাসান বলছেন, “হালালা বিয়ে একটি ভুয়া বিয়ে। এটি শুধু অর্থ নেওয়া আর ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের হয়রানির একটি মাধ্যম”।  তিনি বলেন, “এটা নিষিদ্ধ।  আমরা কাউকে হালালা বিয়েতে অনুমোদন দিই না। যা-ই ঘটুক হালালার দরকার নেই”।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 2 April 2017

শিশুদের মাঝে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটালো জঙ্গিরা



মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে জঙ্গিরা শিশুদের মাঝখানে বসিয়ে তাদের পাশে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হলে শিশুদের মৃত্যু হয় বলে বলছে পুলিশ।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় শিশুদের মাঝখানে রেখে তিন পাশে তিনজন সুইসাইডাল ভেস্ট বেঁধে বিস্ফোরণ ঘটায়।
তিনি জানান, এতে শিশুদেরও মৃত্যু হয়।

নাসিরপুরের ওই বাড়িতে মোট চারটি শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এদের বয়স কয়েক মাস থেকে ১০ বছর পর্যন্ত।
এছাড়াও এই অভিযানে একজন পুরুষ ও দু'জন নারী নিহত হয়েছে।

বড়হাটে অপারেশন শেষে শনিবার দুপুরে মি. ইসলাম বলেছেন, যারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে নিহত তিনজনের কারোরই পেট ও কোমরের অংশ নেই। তাদের শরীরে তার জড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, "তারা ইসলামবিরোধী, দেশবিরোধী, মানবতাবিরোধী। কারণ এরা নিজেদের শিশুদেরকেও রেহাই দেয়নি।"
"এরা এতোটাই জঘন্য। এরা আসলে দৈত্য। দানব শ্রেণির। এরা মানুষ নয়,' বলেন তিনি।

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত বুধবার ভোর থেকে বাড়িটি ঘিরে রেখে অভিযান চালানোর পর গত বৃহস্পতিবার সাতটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, বুধবার রাতেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা নিহত হয় বলে তারা ধারণা করছেন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Monday, 27 March 2017

৪৫ ফুট উঁচু তালগাছে উপর কি করছে কিশোরী ?



‘তালগাছই আমার বাড়ি, তালগাছই আমার ঘর’—এ কথা বলে প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু একটি তালগাছে উঠে বসে হাবিবা খাতুন (১৫) নামের এক কিশোরী। এলাকাবাসী তাকে নামাতে ব্যর্থ হওয়ায় ছয় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এলাকাবাসীর সহায়তায় তালগাছ থেকে নামায় ওই কিশোরীকে।

গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতি ইউনিয়নের কুমারকান্দা গ্রামে। হাবিবা ওই গ্রামের সাহেদ আলীর মেয়ে। সে স্থানীয় কৃষ্ণদিয়া বাকু মৃধা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

এলাকাবাসী জানায়, শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই কিশোরীকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। অবশেষে তাকে স্থানীয় একটি তালগাছের মাথায় খুঁজে পান। স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে নেমে আসার জন্য অনুরোধ করলে সে নামতে রাজি হয়নি। সে বলতে থাকে, ‘আমি এই তালগাছেই থাকব, তালগাছই আমার বাড়ি, তালগাছই আমার ঘর।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই কিশোরীকে ডেকে নামাতে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় চার ব্যক্তি তালগাছে উঠে তাকে নামাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বিষয়টি ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এলাকাবাসীর সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওই কিশোরীকে নামিয়ে আনেন। তিনি বলেন, গাছে থাকা অবস্থায় কিশোরী কয়েকবার সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। কিশোরীকে নামিয়ে আনার পর স্থানীয় লোকজন ‘অপশক্তির প্রভাবে এ ঘটনা ঘটেছে’ মনে করে ঝাড়ফুঁক দেয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এলাকাবাসী ওই কিশোরীকে তালগাছ থেকে নামাতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। উদ্ধারের পর কিশোরী সুস্থ আছে, বাড়িতেই আছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 26 March 2017

দিল্লিকে কেন সতর্ক করল ঢাকা ?



 জঙ্গিদের ভারতে যাওয়ার প্রবণতা ‘তিন গুণ বেড়েছে’ বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দিল্লিকে সতর্ক করেছে ঢাকা। মঙ্গলবার পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন খবর প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম (হুজি) ও জামাআতুল মুজাহিদিনি বাংলাদেশের (জেএমবি) মত জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় প্রবেশের প্রবণতা তিনগুণ বেড়েছে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

২০১৪ সালের অক্টোবরে বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় জেএমবির সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা- এনআইএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করছেন। বর্ধমান বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি নিহত হয়। এ মামলার অভিযোগপত্রেও জেএমবি সদস্যদের জড়িত থাকার কথা বলেছেন তদন্তকারীরা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই সময়ে ভারতের তিনটি রাজ্যে হুজি ও জেএমবির আনুমানিক ২০১০ জন সদস্য প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে ৭২০ জন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ঢুকেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ৮০০ এবং পরের বছর ৬৫৯ জন জঙ্গি ভারতে প্রেবেশ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, আমরা তথ্য সংগ্রহ করে বিষয়টি যাচাই করে দেখার চেষ্টা করছি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা ইফতাদুর রহমান’ গত ১২ জানুয়ারি ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশের পর আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে তার সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে গোয়েন্দাদের বিশ্বাস।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ভালো নেই বাংলাদেশ এর হিন্দুরা !!! ফের হিন্দু মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর


বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় প্রশাসনের সমালোচনার মধ‌্যেই ঠাকুরগাঁও সদরে একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে নারগুন ইউনিয়নের পোকাতি পশ্চিমপাড়া গ্রামে সার্বজনীন বিষ্ণু মন্দিরে এই হামলা হয় বলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মশিউর রহমান জানান।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিএনপি নেতা নারগুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে বলে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ জানান।

দেওয়ান লালন বলেন, দুপুরে অভিযান চালিয়ে শহর থেকে চেয়ারম্যান পয়গাম আলীকে আটক করা হয়। মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনি জড়িত রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

পয়গম আলী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে জানিয়েছেন ওই কমিটির আহ্বায়ক তৈমুর রহমান।

সার্বজনীন বিষ্ণু মন্দিরের সভাপতি চক্র মোহন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভক্তরা রাত ১২টার দিকে বাড়ি ফেরার পর দুর্বৃত্তরা দুর্গা মন্দিরের ভেতরে ঢুকে গীতায় আগুন দেয় এবং কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে।

পশ্চিমপাড়ার সুরেন রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা মন্দিরে ভাঙা প্রতিমা ও পোড়া জিনিসপত্র দেখতে পাই।”

শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ বলেন, জড়িতদের ধরতে ইতোমধ‌্যে ‘অভিযান শুরু করেছে’ পুলিশ।
স্থানীয়রা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের যেসব হামলার ঘটনা ঘটছে, তারই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁওয়ের এ ঘটনা।

স্থানীয় জোছনা রানী বলেন, “এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।”

ঠাকুরগাঁও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারাও দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

গত ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দুদের শতাধিক বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পর স্থানীয় প্রশানের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার ভোরে একই এলাকায় হিন্দুদের কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

গত কয়েক দিনে যশোর, বরিশাল, ফরিদপুর, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Friday, 17 March 2017

ঢাকায় র‍্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে বিস্ফোরণ, বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে ISIS



বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় র‍্যাবের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠি।

গোষ্ঠির সংবাদ মাধ্যম আমাক-এ জানানো হয়েছে ঢাকায় র‍্যাব বাহিনীর একটি সামরিক ক্যাম্প লক্ষ্য করে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আক্রমণ চালিয়েছে।

বাংলাদেশে পুলিশের বিশেষ বাহিনী র‍্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে একটি বোমা বিস্ফারণ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে এক যুবক র‍্যাবের সে ক্যাম্পে ঢুকে পড়ে। র‍্যাব সদস্যরা তাকে আটক করতে চাইলে সে যুবক তার সাথে বহন করা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
তবে সে ব্যক্তির পরিচয় এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিক তথ্যে তাকে ২০-২৫ বছরের যুবক বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যে ব্যক্তি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে তাকে জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করছে র‍্যাব। তবে সে কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য সেটি এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি র‍্যাব।

যে জায়গায় এ বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি ঢাকার শাহজালাল বিমান বন্দরের উল্টোদিকে আশকোনা এলাকায় হজ ক্যাম্পের পাশে। এ জায়গাটি র‍্যাবের সদর দপ্তরের জন্য প্রস্তাবিত।

গতকাল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় একটি বাড়িতে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে একজন শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়। এর পরদিনই ঢাকায় র‍্যাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণ হলো ।

র‍্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, আনুমানিক দুপুর একটার দিকে এক ব্যক্তি র‍্যাব ক্যাম্পের সীমানা প্রাচীরের নিচে ফাঁকা অংশ দিয়ে ক্যাম্পের ভেতরে প্রবেশ করে। তখন তাকে কয়েকজন র‍্যাব সদস্য চ্যালেঞ্জ করে। তখন সে ব্যক্তি যখন পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে তখন একটি বিস্ফোরণ হয়।

মুফতি মাহমুদ খান বলেন, " তার সঙ্গে যে বোমা ছিল সেটির বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।" বিস্ফোরণে সে ব্যক্তির দেহ ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

যে দু'জন র‍্যাব সদস্য এ ঘটনায় আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাদের আঘাত গুরুতর নয় বলে জানা গেছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 8 March 2017

সদ্যজাত কন্যাসন্তানকেও এবার একপ্রকার ‘আইনত’ রেপ করার অনুমতি দিল বাংলাদেশ!



বাল্যবিবাহে বিশ্বের সবার আগে বাংলাদেশের নাম। এই পরিস্থিতিতে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। তা না নিয়ে, মেয়েদের বিয়ের বয়স আরও কমিয়ে দিল বাংলাদেশ। আর নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে বিয়ের বয়স শূন্যতে নামিয়ে দিয়েছে ভারতের প্রতিবেশী এই দেশ।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিবাহের বয়স সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়েছে বাংলাদেশে। যেখানে বলা হয়েছে, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচেও বিয়ে দেওয়া যাবে মেয়েদের। কিন্তু সেখানে ১৫ বা ১৬- এমন কোনও নির্দিষ্ট বয়সের কথা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে, বয়সের নিম্নসীমা বলে আর কিছুই নেই। সদ্যজাত থেকে ষোড়শী। এখন থেকে আইনত বিয়ে দেওয়া যাবে যে কোনও বয়সের মেয়েকেই। এখানেই শেষ নয়। আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৮ বছরের থেকে কমবয়সী এই মেয়েদেরকে তাদের থেকে দ্বিগুণ বয়সী ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া যাবে, যদি বাবা-মা রাজি থাকে।



এর ফলে শুধু বাল্যবিবাহ বেড়ে যাবে, তাই নয়, বাড়বে বৈবাহিক ধর্ষণ কিংবা অপরিণত বয়সে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনাও। তাই বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বহু সংগঠন, যারা মেয়েদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। এতে দেশের নারী অধিকার খর্ব হচ্ছে এবং দেশ সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে বলেও উল্লেখ করছেন অনেকে।

পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। ১৮ শতাংশের বিয়ে হয়ে যায় ১৫ বছরের আগে। পরিবারের চাপেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অল্প বয়সে বিয়ে করতে বাধ্য হয় মেয়েরা। এই পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Saturday, 4 March 2017

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তের অর্ধেকের বেশিরভাগটাই ‘সিল’ করে দিল ভারত



 প্রতিবেশী বাংলাদেশে ক্রমশ মাথা চাড়া দিচ্ছে জঙ্গি কার্যকলাপ।  এমনকি সে দেশে অপরাধ করে সীমান্তের সব জায়গায় কাঁটাতার না থাকার কল্যাণে ভারতে এসে গা ঢাকা দেয় অপরাধীরা।  সেদিকে তাকিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সর্বত্র কাঁটাতার দিয়ে মুড়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।  সেই মতো বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় অর্ধেক কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলল ভারত।  আগামী কয়েকবছরের মধ্যে পুরোপুরিভাবে দুই দেশের সীমান্তকে একেবারে কাঁটাতার দিয়ে মুড়ে ফেলা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা।

হিন্দু সংবাদমাধ্যম হিন্দুতে প্রকাশিত খবর মোতাবেক,  ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে মোট সীমান্ত রয়েছে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার।  যার মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ২ হাজার ২১৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার, আসামের সঙ্গে ২৬৩ কিলোমিটার, মেঘালয়ের সঙ্গে ৪৪৩ কিলোমিটার, ত্রিপুরার সঙ্গে ৮৫৬ কিলোমিটার এবং মিজোরামের সঙ্গে ৩১৮ কেলোমিটার সীমান্ত।  এই সমস্ত সীমান্তের মধ্যে এরই মধ্যে ভারত প্রায় অর্ধেক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শেষ করেছে। বলে দাবি।  তবে বাকি সীমান্তে ২০১৯ সালের মধ্যে বেড়া নির্মাণ করতে জমি অধিগ্রহণই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, যে মূলত বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং ভারত থেকে গরু ও জাল মুদ্রা চোরাচালান  বন্ধ করতেই দ্রুত দুই দেশের সীমান্তকে মুড়ে ফেলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।  বিএসএফের অন্যতম আধিকারিক (পূর্ব) আর পি সিং দ্য হিন্দুকে জানিয়েছেন, ‘সীমান্তের যে জায়গায় বেড়া নির্মাণ করা হবে তার প্রতি ইঞ্চি জমি আমরা সমীক্ষা করেছি।  অধিগ্রহণ করার জন্য জমি চিহ্নিত করে আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছি।’ তবে জমি অধিগ্রহণ একটি আইনি প্রক্রিয়া।  তাই কেন্দ্রীয় সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেলেই বাকি অংশে বেড়া নির্মাণ শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।

অন্যদিকে, ভূমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে কিনা- প্রশ্নের জবাবে আর পি সিং বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে।  এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের একটি বড় অংশ নদীবেষ্টিত। কোথাও কোথাও এসব নদীই দুই দেশের সীমান্ত ধরা হয়।  যেমন দক্ষীণ বাংলা সীমান্তে ৭০ কিলোমিটার (দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে মালদহ) পর্যন্ত নদীবেষ্টিত সীমান্ত।  এসব জায়গায় বেড়া নির্মাণ সম্ভব নয়।  তবে এসব এলাকায় আমরা ক্যামেরা ও লেজার প্রযুক্তি দিয়ে সমস্যা সমাধানের কথা ভাবছি।’

মালদহে দিনের পর দিন উদ্ধার হওয়া জাল নোটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মালদহ ও চুরিয়ানটপুরে জাল টাকার কারবারিরা বাস করেন।  ফলে, এলাকার মানুষের গোপন আঁতাতের জন্যেও অনেক সময়ে দেশে জাল নোট ঢুকছে।  তবে তা ঠেকাতে বিএসএফ প্রতি নিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বলেই জানিয়েছেন আর পি সিং।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Monday, 23 January 2017

‘মাত্র দুসপ্তাহের মধ্যে গোটা বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারবে ভারত’


“ভারত বাংলাদেশে সামরিক অভিযান চালালে পুরো বাংলাদেশ সরকার, প্রশাসন এবং সব শহরাঞ্চলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সময় লাগবে মাত্র দু সপ্তাহ। বা হয়তো এর চেয়েও কম। আর বাংলাদেশে সামরিক সামরিক হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাত্র তিন দিনের মধ্যেই ভারত ব্যাপক এবং পূর্ণাঙ্গ সামরিক অভিযান চালানোর ক্ষমতা রাখে।”

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের এক অস্থির রাজনৈতিক সময়ে তৈরি করা এক গোপন দলিলে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ এভাবেই ভারতের সামরিক সক্ষমতার পর্যালোচনা করেছে। সম্প্রতি সিআইএ যেসব গোপন দলিল অর্থাৎ নথি সর্ব-সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সংক্রান্ত এই সমস্ত নথিও। এই দলিলটি তৈরি করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের নভেম্বরের ২৬ তারিখ। এর শিরোনাম ছিল “ইন্ডিয়ান মিলিটারি ক্যাপাবিলিটিজ ফর ইন্টারভেনশন ইন বাংলাদেশ” বা বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের জন্য ভারতের সামরিক সক্ষমতা”। ঠিক ওই ২৬শে নভেম্বর সকালেই ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার সমর সেনকে অপহরণের চেষ্টা করে জাসদের গণবাহিনীর একদল সশস্ত্র সদস্য।





ভারত আসলেই বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপের কথা ভাবছিল কিনা, অথবা সেসময় বাংলাদেশে যারা ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন, তাদের মধ্যে এরকম কোন আশংকা ছিল কিনা, সিআইএ’র এই দলিলে এ সম্পর্কে কিছু নেই। এর শুরুতেই একটি নোটে বলা হয়েছে “এটি একটি সামরিক সক্ষমতার সমীক্ষা মাত্র। এতে ভারতীয় সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বা এই ধরণের হস্তক্ষেপ কি রাজনৈতিক বিবেচনায় করা হতে পারে সে সম্পর্কে কোন কিছু অনুমানের চেষ্টা করা হয়নি।” তবে এর আগে ৮ই নভেম্বরের অন্য একটি নথিতে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে ভারতীয় হস্তক্ষেপের আশংকা বাড়ছে।
সিআইএর পরিচালকের দফতর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছে পাঠানো ওই রিপোর্টে বলা হয়, “বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরের অবস্থার অবনতি ঘটছে। যদি দ্রুত সামাল দেওয়া না যায় এটা গৃহযুদ্ধে পর্যন্ত রূপ নিতে পারে। এবং সীমান্তের ওপারে ভারতের দিকে শরণার্থীর ঢল নামতে পারে। এবং এর ফলে ভারত খোলাখুলি সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে।”

বাংলাদেশে তখন একের পর এক ঘটনা ঘটছিল, যাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবেশী ভারত ছিল উদ্বিগ্ন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট এক সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য। নভেম্বরের ৩ তারিখ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে একের পর এক অভ্যুত্থান আর পাল্টা অভ্যুত্থান চলছিল। এর মধ্যেই ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগের চারজন শীর্ষ নেতাকে। ৭ই নভেম্বর আরেকটি পাল্টা অভ্যুত্থানে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেন জেনারেল জিয়াউর রহমান।
সিআইএ তাদের ৮ তারিখের রিপোর্টে বলেছে, “ভারত বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপের কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ নিয়ে আমাদের সংশয় আছে। কারণ আদালতে জয়ী হওয়ার পর ইন্দিরা গান্ধী এখন স্বদেশে বেশ শক্ত অবস্থানে আছেন । দেশে নিজের মর্যাদা বাড়ানোর জন্য তার বিদেশে কোন জয়ের দরকার নেই। সুতরাং ইন্দিরা গান্ধী দেশের ভেতরে রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ইচ্ছেকৃতভাবে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করবেন, এটা আমরা মনে করি না।”
ভারতের সামরিক শক্তি:
সিআইএ দলিলে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করতে চাইলে ভারতের সেই ক্ষমতা কতটা আছে তার খুবই বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এতে বলা হয়েছেঃ
•বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার তিন দিনের মধ্যেই ভারত পূর্ণ মাত্রার সামরিক অভিযান চালানোর ক্ষমতা রাখে।
•ভারত তাৎক্ষণিক-ভাবে দেড় লাখ স্থল সেনা মোতায়েন করতে পারে। পাকিস্তান এবং চিনের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরক্ষায় কোন গুরুতর দুর্বলতা তৈরি ছাড়াই তারা এটা করতে পারবে। এর বিপরীতে বাংলাদেশের মোট স্থল সেনার সংখ্যা মাত্র ৮৭ হাজার, যাদের মনোবল তখন বেশ দুর্বল।
•নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর ক্ষেত্রে ভারতের শ্রেষ্ঠত্ব আরও অনেক বেশি।
•মাত্র দু সপ্তাহের মধ্যে ভারত বাংলাদেশ সরকার, প্রশাসন এবং এর সব শহরাঞ্চলে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এমনকি এর চেয়েও কম সময়ের মধ্যে। তবে ভারতের বিরুদ্ধে কিছু গেরিলা তৎপরতা হয়তো কিছুদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এর বিপরীতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দুর্বলতাও তুলে ধরা হয় সিআইএর পর্যালোচনায়।
বাংলাদেশের সেই সময়ের সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল ৪৭ হাজার। এর পাশাপাশি ছিল বিশ হাজার সদস্যের রক্ষী বাহিনী, যাদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সিআইএ’র পর্যালোচনায় বলা হয়, দুর্বল মনোবলের কারণে এরা কতটা ভারতীয় অভিযান রুখতে পারবে তা প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীও একবারেই দুর্বল। সিআইএ তাদের রিপোর্টে আরও বলেছে, ভারত বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে। তারা দ্রুত এই কাজটি শেষ করতে চাইবে যাতে করে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কোন বাধা হতে না পারে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

BIG NEWS: বঙ্গবন্ধুর বাংলায় পাঠ্যবইয়ে রবীন্দ্রনাথকে ছেঁটে ফেললেন হাসিনা


বিশেষ প্রতিবেদন: কবি লিখেছিলেন- ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে…’৷ রবীন্দ্রনাথের এই গান ও কবিতাটি আর পাঠ্যবইয়ে রাখতে নারাজ শেখ হাসিনা সরকার৷ ফলে বাংলাদেশের ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবই ‘আনন্দপাঠ’ (দ্রুত পঠন) থেকে নাম কাটা গেল রবীন্দ্রনাথের৷  তাঁর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা…’ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত৷


ফলে ষষ্ঠ শ্রেণীর পাঠ্য বইতে রবীন্দ্রনাথের কবিতা বাদ দেওয়ায় তীব্র আলোড়িত বাংলাদেশের সুশীল সমাজ৷ তাঁদের একাংশের আশঙ্কা ভবিষ্যতে হয়তো জাতীয় সঙ্গীতের উপরেও কোপ পড়তে পারে৷ একইসঙ্গে অভিযোগ, ইসলামি ভাবধারা প্রয়োগ করতে চাইছে সরকার৷ সেই কারণে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে জোর করে অমুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে৷  বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ মাধ্যম  ‘বাংলা ট্রিবিউন’ জানাচ্ছে এই খবর৷
বাদের তালিকায় শরৎচন্দ্র থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
শুধু রবীন্দ্রনাথ নন, ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা বই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘লালু’ সত্যেন সেনের ‘লাল গরুটা’৷
অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্রুতপঠন আনন্দপাঠ থেকে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘রামায়ণ-কাহিনি’ বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সপ্তম শ্রেণির বাংলা বই ‘সপ্তবর্ণা’তে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘লাল ঘোড়া’
নবম শ্রেণির বাংলা বই ‘মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য’ থেকে সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পালামৌ’ ও জ্ঞানদাসের ‘সুখের লাগিয়া’, ভারতচন্দ্রের ‘আমার সন্তান’, লালন শাহের ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বাধীনতা’ ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সাঁকোটা দুলছে’ বাদ দেওয়া হয়েছে৷
পাঠ্যসূচিতে ইসলামিকরণের চেষ্টা
প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের বাংলা পাঠ্যসূচিতে যুক্ত করা হয়েছে এমন সব রচনা যাতে ধর্মীয় চিন্তাধারা ছড়িয়ে পড়ে৷ যেমন শাহ মোহাম্মদ সগীরের ‘বন্দনা’, আলাওলের ‘হামদ’, আব্দুল হাকিমের ‘বঙ্গবাণী’, গোলাম মোস্তফার ‘জীবন বিনিময়’ ও কাজী নজরুল ইসলামের ‘উমর-ফারুক’, হবীবুল্লাহ বাহারের ‘মরু ভাস্কর’।
গত বছর হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোট  নামে ধর্মীয় সংগঠন  প্রধানমন্ত্রীর দফতরে  স্মারকলিপি জমা দিয়ে পাঠ্যবই সংশোধনের দাবি জানিয়েছিলো। অবিলম্বে পাঠ্যবই সংশোধন না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলো কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড। বাংলাদেশি সুশীল সমাজের ধারণা, এই কারণেই পাঠ্যবইয়ে এত ব্যাপক পরিবর্তন এনে অমুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়েছে।
প্রতিবাদে সরব বুদ্ধিজীবীরা
পাঠ্যবই থেকে অমুসলিম  কবি সাহিত্যিকদের নাম ছেঁটে ফেলায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ  দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা৷
‘বাংলা ট্রিবিউন’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক চিন্তা থেকেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, মাইকেল মধুসূদন দত্তসহ অনেকের লেখা বাদ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাদের অবদান মানুষ ভুলে যায়। এটা খুব বেদনাদায়ক। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবো। তিনি আরও বলেন, এই  ধরনের অপচেষ্টা পাকিস্তান আমলেও হয়েছিল।
দেশের অপর গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ড. সফিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আমাদের শেকড় থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp