JanaSoftR

Monday, 16 October 2017

ভারত থেকে ৫০০ কোটি ঋণ, MIG-35 যুদ্ধবিমান কিনবে বাংলাদেশ



 বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ভারত থেকে ৫০০ কোটি ঋণ পাওয়ার কথা। আর সেই অর্থ দিয়েই নাকি বাংলাদেশ কিনবে MiG-35 এয়ারক্রাফট। এছাড়া MiG-29S ফাইটার জেটের কিছু অংশও কেনা হবে ওই টাকায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ান বিমান কেনার জন্য ভারতের অর্থ সাহায্য আদতে ঢাকা, নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বার্তা দিচ্ছে।

চারদিনের সফরে শুক্রবারই ভারতে এসেছেন শেখ হাসিনা। ‘ইন্ডিয়ান ডিফেন্স নিউজ’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করতে আগ্রহী নন হাসিনা। কারণ বিরোধীরা তাঁকে সবসময় ‘ভারতের হাতের পুতুল’ বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। ঠিক যেমন ভারত ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে আফগানিস্তানের সঙ্গে। তেমনই চুক্তির অফার দেওয়া হয়েছিল ভারতের পক্ষ থেকে।

মার্চ মাসেই Analysis of World Arms Trade (CAWAT)-এর তরফ থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে এয়ার ফোর্সের জন্য আটটি MiG-35 মাল্টি-রোল ফাইটার জেট কেনা হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের ডিফেন্স বাজেট ২৮০ কোটি ডলার। তাই সেদেশের পক্ষে এতগুলি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান কেনা সম্ভব নয়। বাংলাদেশকে মূলত অস্ত্র রফতানি করে চিন। তবে রাশিয়ান অস্ত্রের উপর এদেশের ব্যাপক বিশ্বাস রয়েছে। বাংলাদেশ রাশিয়ার তৈরি BTR ট্যাংক, MiG যুদ্ধবিমান ও Mi-17 হেলিকপ্টার ব্যবহার করে।

উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও দেশকে এত টাকার ঋণ দিচ্ছে ভারত। হাসিনার এবারের সফরে ৩০টিরও বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ২০১০ ও ২০১৫ সালে ভারত দু’টি লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে ৩০০ কোটি ডলার দিয়েছিল। আগের দু’টি লাইন অব ক্রেডিটে প্রথমে টাকার অঙ্ক নির্দিষ্ট করে পরে প্রকল্প নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এবারে প্রাথমিক ২৭টি প্রকল্পের মধ্যে ১৮টি প্রকল্প বাছাই করে মোট অঙ্ক যোগ করে লাইন অব ক্রেডিট নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই ঋণে সুদের হার ১ শতাংশ। ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য। প্রথম পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ড থাকবে। প্রকল্পে ব্যবহৃত ৭৫ শতাংশ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করতে হবে এবং প্রকল্পভেদে প্রয়োজন পড়লে এ’টি কমতে পারে। ভারতের এক্সিম ব্যাংক এই অর্থ যোগান দেবে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে রূপপুর নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা বন্দরে টার্মিনাল নির্মাণ, বুড়িগঙ্গা নদী সংরক্ষণ, রেল রাইনে সহায়তা, বিদ্যুৎ খাতে সহায়তা, চট্টগ্রাম ড্রাই ডকে সহায়তা, সড়ক খাতে সহায়তা ইত্যাদি।
JanaSoftR
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp




0 comments:

Post a Comment