আগামী ১ এপ্রিল থেকে স্টেট ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের জন্য চালু হতে চলেছে মান্থলি অ্যাভারেজ ব্যালেন্স ব্যবস্থা। বড় শহরের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কে ৫ হাজার, ছোটো শহরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ও গ্রামীণ এলাকায় ১ হাজার টাকা করে রাখতে হবে। কিন্তু, কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে এই ব্যবস্থার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ওই সংবাদমাধ্যমগুলিতে বলা হয়েছে, অ্যাকাউন্টে নাকি ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা রাখতে হবে। তা না হলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সেই গ্রাহকের কাছ থেকে মাশুল আদায় করবে। আজ মালদায় এসে এই মন্তব্য করেন স্টেট ব্যাঙ্কের চিফ জেনেরাল ম্যানেজার পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত।
পুরাতন মালদার আইহো গ্রামে স্টেট ব্যাঙ্কের নতুন শাখার উদ্বোধন করতে এসে পার্থবাবু বলেন, “১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলা এই ব্যবস্থায় কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে যদি মাসের প্রথম ৭ দিন ১০ হাজার, পরের ৭ দিন ২ হাজার টাকা থাকে তবে তাঁকে কোনও চার্জ দিতে হবে না। কিন্তু, মাসিক অ্যাভারেজ ব্যালেন্স ৫ হাজার টাকা থাকতে হবে। এই ব্যবস্থা চালু করার মূল উদ্দেশ্য হল, ঘরে টাকা না রাখা।” পার্থবাবু আরও বলেন, “নোট বাতিলের পর জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা সার্কেলে ১৮ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়েছে। কিন্তু, এই টাকার বেশিরভাগ আর ব্যাঙ্কে ফিরে আসছে না। আমরা চাই, গ্রাহকরা ব্যাঙ্কমুখী হন। তবে বিভিন্ন প্রকল্পে যে গ্রাহকরা SBI-এ অ্যাকাউন্ট খুলেছে, সেসব অ্যাকাউন্ট এই ব্যবস্থার বাইরে থাকবে। অর্থাৎ, জনধন যোজনা, স্যালারি অ্যাকাউন্ট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট খোলা হলে সেই গ্রাহকরা এই চার্জের বাইরে থাকবেন।”
নোটবাতিলের পর থেকে দেশের বিভিন্ন অংশে ATM কাউন্টারগুলিতে টাকা না থাকার অভিযোগ উঠছে। ATM পরিষেবা মার্চ মাসেও স্বাভাবিক হয়নি বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। মালদা জেলায় SBI-এর ৯২টি ATM-এও রয়েছে সেই অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে চিফ জেনেরাল ম্যানেজার বলেন, “অন্য ব্যাঙ্কের তুলনায় আমাদের ATM পরিষেবা অনেকটাই স্বাভাবিক। তবুও কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। নোটবাতিলের পর ATM সংস্কার এর মূল কারণ। কিছু ক্ষেত্রে যান্ত্রিক গোলাযোগ দেখা দিচ্ছে। তার উপর রয়েছে অবস্থানগত দূরত্ব। যে সংস্থা ATM-এ যান্ত্রিক গোলযোগ সারাচ্ছে, দূরবর্তী জেলাগুলিতে সেই কাজ করতে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়াও কানেকটিভিটি সমস্যাতেও পড়তে হচ্ছে। দূরবর্তী স্থানগুলিতে অনেক ATM-এ কানেকটিভিটি সমস্যা রয়েছে। তাই সেগুলি কাজ করছে না। ATM পরিষেবা ঠিক করতে নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতদিন আউটসোর্সিং সংস্থার মাধ্যমে ATM-এ টাকা ভরা হত। আগামী ১ এপ্রিল থেকে শাখা সংলগ্ন ATM-গুলিতে সংশ্লিষ্ট শাখাই টাকা ভরবে। এতে সমস্যা অনেকটা কমবে। যে ATM-এর কানেকটিভিটি সমস্যা রয়েছে, সেই কাউন্টারগুলিকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হবে।”
এদিকে জালনোট নিয়ে উদ্বিগ্ন নন বলে মন্তব্য করেন পার্থবাবু। বলেন, আগে জালনোট কারবারীরা নোট বানানোর যন্ত্র বসিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু, নতুন নোট ছাপাতে তারা আর যন্ত্র বসাতে পারেনি। তাছাড়া নতুন নোট যে কাগজে তৈরি করা হচ্ছে, তা নকল করা প্রায় অসাধ্য।
Aachcha 1 April er por net banking porisheba use korley extra charge ditey Hobey ki
ReplyDeleteAar ekta important information tomar jonno seta holo Adsense er ads gulo ek dom e show hoccheyna tomar blog e
ReplyDelete