উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করার পর অনেকেই BJP বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। গেল গেল রব তুলেছেন অনেকে। কেউ কেউ বলে ফেলছেন, এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট যে BJP সাম্যের পথে নয়, হিন্দুত্ববাদের রাস্তায় হাঁটবে। এর ফলে রাজ্যে হিংসার পরিবেশ তৈরি হতে পারে। যদিও, এর উলটো পথে হেঁটে মসনদে বসেই প্রথম দিন যোগী ঘোষণা করেন, “আলাদা কোনও সম্প্রদায়কে খাটো করে দেখা নয়, আমাদের আমলে সবকা সাথ সবকা বিকাশ হবে।” নয়া মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নকে বাস্তব করতে এগিয়ে আসছেন সেরাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনও। যোগী আদিত্যনাথের অযথা বিরোধিতা না করে, তাঁরা পাশে দাঁড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকী, যোগীর বিরুদ্ধে ওঠা মুসলিম বিরোধিতার অভিযোগকেও এককথায় উড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা।
গতকাল BJP-এর একটি সভায় যোগ দেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। তাঁদের মধ্যে একজন মৌলানা শোয়েব কাসমি। তিনি ইন্দোরের বাসিন্দা। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। কাসমি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গত তিন বছর ধরে জাতপাত, ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করছেন। এজন্য দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ BJP-তে যোগদান করছেন। এখন দেশের অবস্থা বদলাচ্ছে। এরপর থেকে ধর্মের রাজনীতি হবে না, জাতপাতের রাজনীতি হবে না। শুধু উন্নয়নের রাজনীতি হবে। প্রধানমন্ত্রী সব মানুষের উন্নয়ন করছেন। তাই, উত্তরপ্রদেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ BJP-কে ভোট দিয়েছে। ধীরে ধীরে, মুলায়ম, মায়াবতী, কংগ্রেসের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। ওরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে।”
যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মুসলিম বিরোধিতার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মোদিজির নামে যেরকম মিথ্যা কথা রটানো হত, যোগীজির নামেও হয়। উনি মুসলিমবিরোধী নন। উনি আতঙ্কবাদের বিরোধী। জঙ্গিদের বিরোধী। আমরাও বিরোধী। মুসলিমদের দেশে থাকতে হলে দেশের কথা ভাবতে হবে। যারা দেশ ভাঙার চেষ্টা করে তাদের বিরোধিতা করেন যোগীজি। একজন সত্যিকারের মুসলমান আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে থাকতে পারে না। উনি ঠিক করেন। দেশে থাকতে হলে দেশের কথা ভাবতে হবে।”
0 comments:
Post a Comment