JanaSoftR

Saturday, 4 March 2017

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তের অর্ধেকের বেশিরভাগটাই ‘সিল’ করে দিল ভারত



 প্রতিবেশী বাংলাদেশে ক্রমশ মাথা চাড়া দিচ্ছে জঙ্গি কার্যকলাপ।  এমনকি সে দেশে অপরাধ করে সীমান্তের সব জায়গায় কাঁটাতার না থাকার কল্যাণে ভারতে এসে গা ঢাকা দেয় অপরাধীরা।  সেদিকে তাকিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সর্বত্র কাঁটাতার দিয়ে মুড়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।  সেই মতো বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় অর্ধেক কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলল ভারত।  আগামী কয়েকবছরের মধ্যে পুরোপুরিভাবে দুই দেশের সীমান্তকে একেবারে কাঁটাতার দিয়ে মুড়ে ফেলা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা।

হিন্দু সংবাদমাধ্যম হিন্দুতে প্রকাশিত খবর মোতাবেক,  ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে মোট সীমান্ত রয়েছে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার।  যার মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ২ হাজার ২১৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার, আসামের সঙ্গে ২৬৩ কিলোমিটার, মেঘালয়ের সঙ্গে ৪৪৩ কিলোমিটার, ত্রিপুরার সঙ্গে ৮৫৬ কিলোমিটার এবং মিজোরামের সঙ্গে ৩১৮ কেলোমিটার সীমান্ত।  এই সমস্ত সীমান্তের মধ্যে এরই মধ্যে ভারত প্রায় অর্ধেক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শেষ করেছে। বলে দাবি।  তবে বাকি সীমান্তে ২০১৯ সালের মধ্যে বেড়া নির্মাণ করতে জমি অধিগ্রহণই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, যে মূলত বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং ভারত থেকে গরু ও জাল মুদ্রা চোরাচালান  বন্ধ করতেই দ্রুত দুই দেশের সীমান্তকে মুড়ে ফেলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।  বিএসএফের অন্যতম আধিকারিক (পূর্ব) আর পি সিং দ্য হিন্দুকে জানিয়েছেন, ‘সীমান্তের যে জায়গায় বেড়া নির্মাণ করা হবে তার প্রতি ইঞ্চি জমি আমরা সমীক্ষা করেছি।  অধিগ্রহণ করার জন্য জমি চিহ্নিত করে আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছি।’ তবে জমি অধিগ্রহণ একটি আইনি প্রক্রিয়া।  তাই কেন্দ্রীয় সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেলেই বাকি অংশে বেড়া নির্মাণ শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।

অন্যদিকে, ভূমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে কিনা- প্রশ্নের জবাবে আর পি সিং বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে।  এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের একটি বড় অংশ নদীবেষ্টিত। কোথাও কোথাও এসব নদীই দুই দেশের সীমান্ত ধরা হয়।  যেমন দক্ষীণ বাংলা সীমান্তে ৭০ কিলোমিটার (দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে মালদহ) পর্যন্ত নদীবেষ্টিত সীমান্ত।  এসব জায়গায় বেড়া নির্মাণ সম্ভব নয়।  তবে এসব এলাকায় আমরা ক্যামেরা ও লেজার প্রযুক্তি দিয়ে সমস্যা সমাধানের কথা ভাবছি।’

মালদহে দিনের পর দিন উদ্ধার হওয়া জাল নোটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মালদহ ও চুরিয়ানটপুরে জাল টাকার কারবারিরা বাস করেন।  ফলে, এলাকার মানুষের গোপন আঁতাতের জন্যেও অনেক সময়ে দেশে জাল নোট ঢুকছে।  তবে তা ঠেকাতে বিএসএফ প্রতি নিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বলেই জানিয়েছেন আর পি সিং।
JanaSoftR
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp




0 comments:

Post a Comment