বাল্যবিবাহে বিশ্বের সবার আগে বাংলাদেশের নাম। এই পরিস্থিতিতে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। তা না নিয়ে, মেয়েদের বিয়ের বয়স আরও কমিয়ে দিল বাংলাদেশ। আর নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে বিয়ের বয়স শূন্যতে নামিয়ে দিয়েছে ভারতের প্রতিবেশী এই দেশ।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিবাহের বয়স সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়েছে বাংলাদেশে। যেখানে বলা হয়েছে, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচেও বিয়ে দেওয়া যাবে মেয়েদের। কিন্তু সেখানে ১৫ বা ১৬- এমন কোনও নির্দিষ্ট বয়সের কথা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে, বয়সের নিম্নসীমা বলে আর কিছুই নেই। সদ্যজাত থেকে ষোড়শী। এখন থেকে আইনত বিয়ে দেওয়া যাবে যে কোনও বয়সের মেয়েকেই। এখানেই শেষ নয়। আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৮ বছরের থেকে কমবয়সী এই মেয়েদেরকে তাদের থেকে দ্বিগুণ বয়সী ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া যাবে, যদি বাবা-মা রাজি থাকে।
এর ফলে শুধু বাল্যবিবাহ বেড়ে যাবে, তাই নয়, বাড়বে বৈবাহিক ধর্ষণ কিংবা অপরিণত বয়সে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনাও। তাই বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বহু সংগঠন, যারা মেয়েদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। এতে দেশের নারী অধিকার খর্ব হচ্ছে এবং দেশ সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে বলেও উল্লেখ করছেন অনেকে।
পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। ১৮ শতাংশের বিয়ে হয়ে যায় ১৫ বছরের আগে। পরিবারের চাপেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অল্প বয়সে বিয়ে করতে বাধ্য হয় মেয়েরা। এই পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment