মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে। বাংলায় গেরুয়াকরণের রাজনীতি করছে। যার প্রেক্ষিতে শুক্রবার আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গের প্রান্ত কার্যবাহক জিষ্ণু বসু মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। তাঁর বক্তব্য, সংঘের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনও অসাংবিধানিক বার্তা ছড়ানো হয় না।
আরএসএস একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। সেখানে জাতপাত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রের হিতে কাজ করা হয়। আমি ওনাকে (মুখ্যমন্ত্রী) চ্যালেঞ্জ করে বলছি, উনি উদাহরণ দিয়ে দেখান, কোনও আরএসএস নেতা-কর্মী ওই ধরনের উসকানি দিয়েছেন। অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, রাজ্যে আরএসএস পরিচালিত স্কুলগুলির মধ্যে ৯৬টির অনুমোদন নেই। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। যার জবাবে জিষ্ণুবাবুর পালটা প্রশ্ন, উনি কি জানেন শিমুলিয়ার মাদ্রাসায় কী কাণ্ড হচ্ছে? ওখানে ছেলেমেয়েদের জেহাদি বানানো হচ্ছে।
মেয়েরা পড়তে এসে দেশ বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, আমি জানি ওই সব মাদ্রাসা বন্ধ করার ক্ষমতা বা হিম্মত শিক্ষামন্ত্রীর নেই। তার আগে উনি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের ৩১টি প্রাথমিক স্কুলে হতশ্রী শৌচাগারের দশা দেখে আসুন। সেখানে মিড-ডে মিলের গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখুন। অন্যদিকে, শ্রীজাত বিতর্কে অভিযোগকারী হুমকি দিয়ে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি কবির সেই লেখনী যদি কারও ব্যক্তিগত শালীনতায় আঘাত করে, সেক্ষেত্রেও কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানান জিষ্ণু বসু।
0 comments:
Post a Comment