বেঙ্গালুরু টেস্ট ও তাঁর পরবর্তী সময়ে তিনিই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে বাইশ গজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য নয়। ডিআরএস-এর সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে তিনি যে কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, তা নিয়েই চর্চা ছিল তুঙ্গে। সেই স্টিভ স্মিথ রাঁচি টেস্টের প্রথম দিন সব নিন্দা আর কটাক্ষের জবাব দিলেন ব্যাট হাতে। তাঁর সেঞ্চুরির সামনে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল বিরাট কোহলির আগ্রাসন। দিনের শেষে ১১৭ রানে অপরাজিত রইলেন অজি অধিনায়ক। সেই সঙ্গে দ্রুততম ৫০০০ হাজার টেস্ট রানের তালিকায় তিন নম্বরে জায়গা করে নিলেন তিনি।
প্রথম দুই টেস্টে টস একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছিল। যে দল টস জিতেছিল, সে-ই বাজিমাত করেছিল। রাঁচিতে তাই স্মিথ টসে জিততেই মুখ ভার হয়ে গিয়েছিল গ্যালারির। আর তারপর যা যা হল, তাতেও দর্শকরা বিশেষ আনন্দ পেলেন না। লাঞ্চের কিছু পরই কাঁধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন ভারত নেতা বিরাট কোহলি। তারপরই বাইশ গজে জাঁকিয়ে বসলেন স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েল। চোটের কারণে অজিবাহিনী থেকে বাদ পড়েছেন মিচেল স্টার্ক ও মিচেল মার্শ। পরিবর্ত হিসেবে তিন বছর পর টেস্ট দলে ঢোকার শিকে ছিঁড়েছে ম্যাক্সওয়েলের। আর এসেই বাজিমাত। ঠান্ডা মাথায় অধিনায়ককে সঙ্গ দিয়ে ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে রীতিমতো চাপে ফেলে দিলেন ভারতীয় বোলারদের। ৮২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে স্বস্তিজনক জায়গায় পৌঁছে দিয়ে এদিন মাঠ ছাড়লেন ম্যাক্সওয়েল।
ওয়ার্নার, রেনশদের তাড়াতাড়ি প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুতে ভালই লড়াই দিচ্ছিলেন উমেশ যাদব, জাদেজারা। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল-স্মিথকে কোনওভাবেই আটকানো গেল না। আর তাতেই বেশ চাপে টিম ইন্ডিয়া। প্রথম দিনই ৩০০ রানের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। তাই দ্বিতীয় দিন দ্রুত উইকেট না ফেলতে পারলে বিরাটদের চাপ যে বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
0 comments:
Post a Comment