নারদকাণ্ড নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা দাবি করলেন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল ঘোষ। IPS অফিসার এস এম এইচ মির্জ়াকে সরকার কেন গেপ্তার করেনি, সেই প্রশ্নও তুললেন তিনি।
আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে সারদা মামলায় হাজিরা দিতে এসে কুণাল ঘোষ নারদকাণ্ড নিয়ে রীতিমতো তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “একজন IPS অফিসার টাকা নিচ্ছেন। এরপরও রাজ্য সরকার তদন্ত করে না। বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় না। এটা তো সরকারের লজ্জা। মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর লজ্জা থাকলে ইস্তফা দেওয়া উচিত।”
নারদকাণ্ডে CBI তদন্তের নির্দেশ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “হাইকোর্টের রায় আমি সবে শুনলাম। এর যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। IPS মির্জ়াকে রাজ্য পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারত। এবার হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে গ্রপ্তার করতে হবে। এটা কি সরকারের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন হল?”
তাঁর প্রশ্ন , “আমাকে শুধু প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তদন্তের নামে যদি দীর্ঘদিন বন্দি রাখা হয়ে থাকে, তাহলে প্রকাশ্যে টাকা নেওয়ার মামলায় প্রভাবশালী অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তদন্ত হবে না কেন?”
পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, “আমি চাই শুধুমাত্র নারদের ছবি দেখে যেন তদন্ত না হয়। CBI-কে অনুরোধ করব, ভিডিওর সংলাপ শুনে তদন্ত করা হোক। মুখ্যমন্ত্রী ও মির্জ়ার কী সম্পর্ক সেটা CBI-এর দেখা দরকার।”
শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা দাবি করেই ক্ষান্ত থাকেননি কুণাল। আজ সোশাল সাইটে নারদকাণ্ডের ভিডিওয় যে মন্ত্রীদের দেখা গিয়েছিল তাঁদেরও ইস্তফা দাবি করেছেন। তিনি লিখেছেন, “তদন্ত মানেই কেউ দোষী নন, এটা ঠিক। কিন্তু প্রকাশ্যে ক্যামেরার সামনে এই ঘটনার তদন্তের সময়ে অভিযুক্তরা সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিন। উল্লেখ্য, ভোটের আগে মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন তিনি নাকি আগে জানলে এদের প্রার্থী করতেন না। কিন্তু পরে বড় পদ দিয়েছিলেন। নৈতিকতার প্রশ্নে এখন ইস্তফা দিন এঁরা।”
একইসঙ্গে নারদ নিউজ়ের কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের ভূমিকারও তদন্ত চেয়েছেন কুণাল। তাঁর বক্তব্য, “সঠিক তদন্ত ও পদক্ষেপ না দেখতে পাওয়া পর্যন্ত উপসংহার টানা কঠিন।”
0 comments:
Post a Comment