মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলল কাঁকড়াবিছে। আর সেই খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল দুই শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে জামুড়িয়ার ২ নম্বর ব্লকের তালতোড় ১০৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র। ওই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের নাম শিশু মন্দির। সেখানেই প্রত্যেকদিন পড়ুয়াদের প্রতিদিন মিড ডে মিলও দেওয়া হয়।
গ্রামের শিশুরা অনেকেই সেখানে খাবার খাওয়ার পাশপাশি বাড়িতে খাবার নিয়েও আসে। সেই মতো গ্রামের বাসিন্দা তিন বছরের দুই শিশু অনীক রুইদাস ও টুম্পা বাউরি বাড়িতে মিড ডে মিলের খিচুড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে সেই খাবার খেয়েই নিস্তেজ হয়ে পড়ে ওই দুই শিশু।
এরপর শিশু কন্যা টুম্পা বাউরির মা দেখেন খিচুড়ির মধ্যে পড়ে আছে একটি মরা কাঁকড়া বিছে। এই দৃশ্য দেখার পরেই পরিবারের লোকেরা আতঙ্কিত হয়ে শিশুদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পরে শিশু দু’টি বিপন্মুক্ত হয়।
এই ঘটনার পর অভিভাবকরা তালা লাগিয়ে দেন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। তাঁদের অভিযোগ প্রায়ই খাবারের মধ্যে নানা রকম পোকা মাকড় পাওয়া যায়। ছেঁড়া বস্তার টুকরো, পেরেক, সুতলি এইসব খিচুড়ির মধ্যে আগেও পাওয়া গিয়েছে। এবার খাবারের মধ্যে কাঁকড়া বিছে পাওয়া গেল। মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্বে থাকা সুতপা দাস দোষ স্বীকার করে নিয়ে জানান, খোলা আকাশের নীচে রান্না করতে হয়, আলাদা স্টোর রুমও নেই। তাই খাদ্য সামগ্রীর সঙ্গে ঘুঁটে কয়লা এক সঙ্গে রাখতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকি থেকেই যায়। এমনিতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চারপাশে জঙ্গল রয়েছে। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি রান্নাঘর না করে দিলে তারা অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে ছেলেমেয়েদের আর পাঠাবেন না।
0 comments:
Post a Comment