গত ফেব্রুয়ারিতে সারা দেশে একেরপর এক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আইএসআইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি জড়িত বা এদের অনুগামী সন্দেহে বহু যুবককে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকেরা।
ভারতবর্ষের মাটিতে আইএস মডিউলকে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়াই ছিল এই তল্লাশির মূল লক্ষ্য। এমনটাই জানিয়েছেন এনআইএ-র আধিকারিকেরা। তদন্তে যেসমস্ত তথ্য উঠে এসেছে সেটাও উঠে এসেছে সামনে।
জানা গিয়েছে, আইএস হুমকি পাকিস্তান থেকে আসছে বলে যে সন্দেহ করা হয়েছিল, আদতে বাস্তবের সঙ্গে তার ফারাক রয়েছে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, পাকিস্তানের আই জঙ্গিরা নয়, মূলত বাংলাদেশে গড়ে ওঠা ভয়ঙ্কর আইএস মডিউলই ভারতের আশঙ্কার প্রধান কারণ।
এনএসএ প্রধান অজিত ডোভাল এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। এব্যাপারে সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে বলেও খবর।
বস্তুত, ভারতে আইএস জঙ্গিরা সরাসরি কাজ করতে পারছে না। বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন (জেএমবি) গোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে এরা কাজ করছে। এই জেএমবি জঙ্গিরা বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া নানা বিস্ফোরণেও এই জেএমবি গোষ্ঠীকেই দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেশ বেশ সক্রিয় এই জেএমবি। এদের হাত ধরেই আইএস এদেশে হাত পাকানোর চেষ্টায় রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময়ে এই জেএমবির উৎস সন্ধান করেছেন গোয়েন্দারা। বাংলা ছাড়াও অসম ও ঝাড়খণ্ডেও এর প্রভাব রয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
0 comments:
Post a Comment