লখনউয়ে এনকাউন্টারে খতম সন্দেহভাজন ISIS জঙ্গি সইফুল্লার দেহ নিতে অস্বীকার করলেন তার বাবা। নিজের ছেলেকে দেশদ্রোহী বলে সরতাজ জানালেন, “সইফুল্লার দেহ নেওয়ার সঙ্গে দেশের কোনও স্বার্থ জড়িত নেই। আমরা একজন দেশদ্রোহীর মৃতদেহ চাই না।”
প্রসঙ্গত, টানা ১২ ঘণ্টা গুলির লড়াইয়ের পর আজ ভোরে সইফুল্লাকে খতম করে ATS। মৃতদেহের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র-সস্ত্র, টাকা, রিভলভার, ছুরি ও অন্য অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। নিহতের পেটে একটা তার জড়ানো অবস্থায় ছিল। সেটি বিস্ফোরক হতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন গোয়েন্দারা।
সন্দেহভাজন জঙ্গির বাবা সরতাজ জানিয়েছেন, সইফুল্লা কাজ করত না। সেকারণে তাকে তিনি মারধর করেছিলেন। রাগে সে বাড়ি ছাড়ে। তা প্রায় মাস আড়াই আগের ঘটনা। গত সোমবার সইফুল্লা ফোন করে বাড়িতে। জানায়, ও সৌদি যাচ্ছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল মধ্যপ্রদেশের সাজাপুরে জাবদি স্টেশনের কাছে ভোপাল-উজ্জৈন ট্রেনে বিস্ফোরণের পর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। বিস্ফোরণের জেরে ১০ জন জখম হয়। ট্রেন বিস্ফোরণে ISIS-এর হাত রয়েছে, জানতে পারে পুলিশ। তারপর তল্লাশি চালিয়ে ছয় সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। লখনউতে এনকাউন্টারে নিকেষ করা হয় সইফুল্লাকে।
জঙ্গি নিধনের পর ATS-IG অসীম অরুণ জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন জঙ্গি সইফুল্লাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। তবে সে তাতে কর্ণপাত করেনি। বাধ্য হয়ে লুকিয়ে থাকা বাড়িটিতে হানা দেয় ATS। কিন্তু, কমান্ডোদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় সইফুল্লাহ। পালটা গুলি চালায় কমান্ডোরা। তারপর ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সইফুল্লার মৃতদেহ।
0 comments:
Post a Comment