JanaSoftR

Thursday, 16 March 2017

মোদীকে 'ভয়', বিজেপির জয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন!


একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভারতের অঙ্গরাজ্য উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে বিজেপি। এই জয়ের মানে একটাই। মোদীর পিছনে ভারতের মানুষের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আর তাই এবার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়ে কোনও আপোসের পথে হাঁটবে না ভারত। বরং সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে। ঠিক এভাবেই চিনের দৈনিক গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির জয়ের খবর।

"আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আগে ভারত পারতপক্ষে কখনও বিরোধ-অসন্তোষের পথে হাঁটত না। কিন্তু এখন অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে খোলাখুলি বিতর্কে অংশ নিচ্ছে ভারত। উদ্দেশ্য একটাই, কোনও আপোস নয়। নিজের ন্যায্যটা যতটা বেশি সম্ভব বুঝে নেওয়া।" প্রতিবেদনে স্পষ্ট উঠে এসেছে বিশ্বনেতা হিসেবে মোদীর উত্থানে বেজিংয়ের আশঙ্কার কথা। এই জয়ের পর মোদীর 'দৃঢ় ব্যক্তিত্ব' দেশের ভিতরে ও বাইরে আরও 'দৃঢ়' হবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন ইস্যুতে নিউ দিল্লির সঙ্গে দর কষাকষিতে বেজিংকে বেগ পেতে হবে বলেই মনে করছে গ্লোবাল টাইমস।

চিনের কমিউনিস্ট পার্টির তরফে প্রকাশিত গ্লোবাল টাইমসে মূলত বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত ইস্যুগুলিকেই ফোকাস করা হয়। গ্লোবাল টাইমসে এটাও দাবি করা হয়েছে যে, ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনও জিততে চলেছে বিজেপি। বেজিংয়ের আশঙ্কা পরবর্তী নির্বাচনেও যদি বিজেপি জয় পায় ও মোদী ফের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তাহলে ভারতের অবস্থান আরও একরোখা হবে। নিজের একচুলও ছাড়বে না ভারত।

আরও বলা হয়েছে, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও কূটনৈতিক সম্পর্কে অত্যন্ত বিচক্ষণ মোদী একদিকে যেমন রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে দৃঢ় করেছে। তেমনই সুচারুভাবে আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে সামরিক সমঝোতাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে ওয়াশিংটনের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। তাই ভারতকে ঘাঁটাতে গেলে বেজিংয়েরই বিপদ বাড়তে পারে। মনে করছেন সেদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
JanaSoftR
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp




0 comments:

Post a Comment