গোটা মুখে অত্যাচারের যে নৃশংস ক্ষত নিয়ে একটা নিরীহ, অবলা জীব মৃত্যুর অপেক্ষায় বসে, তা চোখে দেখা যায় না। এতটাই বীভত্স, গা শিউরে, অসুস্থ বোধ করতে পারেন। গোটা মুখে ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত। রীতিমতো ফালাফালা করে কাটা হয়েছে।
ঘটনাটি যদিও এখানকার নয়। মালয়েশিয়ার পেনাংয়ের। তার পরেও ছবিটি দেখানোর কারণ, এমন 'ঘাতক' এখানেও যে রয়েছে। যারা আর সবার আড়ালে রাস্তার নিরীহ কুকুর পিটিয়ে, কুকুর মেরে, আনন্দ মায়। নিজেদের ক্ষমতা জাহির করে। এ ভাবে নিরীহর উপর অত্যাচারে, কী উল্লাস যে হয়, জানা নেই। তবে, মানুষ হিসেবে এটা আমাদের কাছেও লজ্জার। হ্যাঁ, লজ্জারই।
ব্যক্তিগত ভাবে কারও কুকুরে অ্যালার্জি থাকতেই পারে। অপছন্দও করতে পারেন। সবার যে সবকিছু ভালো লাগতেই হবে, এমন মাথার দিব্যি কেউ দেয়নি। কিন্তু, অপছন্দ মানেই তার উপর অত্যাচার করতে হবে, এটাই বা কেন?
সম্প্রতি পেনাংয়ের রাস্তা থেকে অশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে নিরীহ এই কুকুরটি। উদ্ধারকারী পশুপ্রেমীরা ভালোবেসে যার নাম দিয়েছেন মিল্ক। ক'দিন ধরে পশু হাসপাতালে তার চিকিত্সাও চলছে, তবে এখনও বিপন্মুক্ত নয় মালয়েশিয়ার এই পথকুকুরটি। নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, মারাত্মক জখম এই কুকুরটির তাপমাত্রা এখন স্বাভাবিক হলেও, এখনও সে কিছু খাওয়ার অবস্থায় নেই। সম্পূর্ণ সেরে উঠতে আরও অনেক সময় লাগবে। তবে, যদি বেঁচেও যায়, সারাজীবন মিল্কের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে যাবে। লোকজন দেখলে ভয় পাবে।
প্রতিবাদী হওয়ার জন্য সবাইকে পশুপ্রেমী হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু, একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হিসেবে এমন নৃশংসতার বিরুদ্ধে কি ভবিষ্যতে রুখে দাঁড়ানো যায় না?
আমরা চাই, ঘটনার তদন্তে পুলিশের উপর চাপ তৈরি হোক। যাতে পুলিশ তদন্ত শুরু করতে বাধ্য হয়। মিল্কের হামলাকারীরা এই জঘন্য কাজের পরেও পার পেয়ে যাবে, এটা কাম্য নয় কখনোই।
0 comments:
Post a Comment