“সবাইকে দিয়ে টাকা তোলা এই সরকারের দায়িত্ব। এই কাজ তারা করাচ্ছে পুলিশকে দিয়ে। পার্টি ফান্ডের জন্য কয়লা খনি থেকে টাকা তুলে, গোরু পাচার করে পার্টি ফান্ড ভরাচ্ছে তৃণমূল। সেই টাকা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা নিচ্ছে।” গাইঘাটায় এক কর্মীসভায় তৃণমূলকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, “ছয়মাস হয়ে গেল ডেঙ্গি আটকানো যায়নি। গ্রামেগঞ্জে লোক মরছে। ডেঙ্গির ভয়াবহতা যাতে মানুষ বুঝতে না পারে সেজন্য তৃণমূলের লোকরা গিয়ে ডাক্তারদের ধমকি দিচ্ছে। প্যাথলজ়িক্যাল ল্যাবগুলিতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যাতে রিপোর্টে ডেঙ্গি না লেখে। রাজ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। জেলায় জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর শাড়ির রঙে নীল সাদা রং করা হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হয়ে সেখানে ঢুকলে আর জীবিত ফিরছে না। কেন্দ্রের টাকায় হাসপাতাল খুলে সেটাকে রাজ্যের নামে চালানো হচ্ছে।”
এছাড়াও তিনি আজকের সভায় নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার একটি বিল এনে ইতিহাস বইয়ে জায়গা করে নিল। নন্দীগ্রামের ইতিহাস। মুখ্যমন্ত্রী একটা কারখানা বন্ধ করে ইতিহাস বইতে উঠে গেল। বামফ্রন্ট সরকার তো ১৫ হাজার কারখানা বন্ধ করেছিল তাহলে তাদের নাম কোন বইতে উঠবে? নেতাজির অধ্যায় বাদ দিয়ে নন্দীগ্রামের ইতিহাস সেখানে ঢোকানো হল।”
পাশাপাশি তিনি মুখ খোলেন মুকুল রায়কে নিয়ে। বলেন, “উনি BJP-তে আসতে চেয়ে আবেদন করেননি। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। উনি দলে আসলে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। দুই একদিনের মধ্যেই কেন্দ্র থেকে নেতারা আসবে তারপর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”
এই সভায় তৃণমূল ও CPI(M) থেকে প্রায় ৫০০ কর্মী BJP-তে যোগ দেন। তাদের হাতে পতাকা তুলে দেন দিলীপ ঘোষ।
0 comments:
Post a Comment