সাতটি কালীমূর্তির মাথা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। কাঁথি থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ কাঁথি আদালতে তোলা হলে তার ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে কী কারণে সে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
গোপীনাথপুরের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ মাইতি গতকাল দোকানে বসে ওই সাতটি মূর্তি বানাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার পুজো। আর তাই শেষ বেলার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সন্ধের দিকে তাঁর দোকানে চড়াও হয়ে ওই সাতটি প্রতিমার মাথা ভেঙে দেয় অভিযুক্ত যুবক। ঘটনাটি দেখতে পেয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আজ কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক অনির্বাণ চৌধুরি ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। তবে কী কারণে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও জানতে পারা যায়নি।
সরকারী আইনজীবী অরুণ সাউ বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২৯৫/এ ধারায় ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় সে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে সর্বাধিক তিন বছরের জেল এবং জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।”
ইন্দ্রজিতবাবু বলেন, “কালীপুজো আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তাই প্রতিমা তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছিল। এখন সময়ের মধ্যে কাজ কীভাবে শেষ করব তাই ভেবে উঠতে পারছি না। এটা এখন আমার কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
0 comments:
Post a Comment