২০২২ সালের মধ্যে ভারতকে সম্পূর্ণ উন্নত দেশে পরিণত করার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল কে কে পল ও মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেদারনাথের এই পূণ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে আমি ভোলে বাবার আশীর্বাদ চাইছি এবং শপথ নিচ্ছি, ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে ভারতকে একটি সম্পূর্ণ উন্নত দেশে পরিণত করার স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি নিজেকে উৎসর্গ করব।’’
জনসভা থেকে আগের সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড অভিযোগ আনেন তিনি। বলেন, ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডে বন্যার পর সকলে দুঃখ পেয়েছিলেন। পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন UPA সরকার তাঁর সহায়তা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। তিনি বলেন, “আমি তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী নই, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গতদের জন্য যতটুক পারি তা করতে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু সেই সময় সরকার বলেছিল, কেদারনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণের জন্য গুজরাতের সাহায্যের প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমি মনে করি, প্রভু আমার দ্বারা এই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটনস্থান হিসাবে গড়ে তোলার কথাও মোদি বক্তব্য রাখতে জানান। তাঁর আহ্বান, “দেশের পার্বত্য রাজ্যগুলি পরস্পরের সঙ্গে উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় সামিল হোক। পরিবেশের ক্ষতি না করে কোন রাজ্য কত দ্রুত পরিকাঠামো এবং পর্যটনের উন্নতি ঘটাতে পারে, তার প্রতিযোগিতা শুরু হোক।”
২০১৩ সালে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটেছিল। কেদারনাথ মন্দিরের কোনও ক্ষতি না হলেও বিধ্বস্ত হয়েছিল আশপাশের এলাকা। আজ নরেন্দ্র মোদি বেশকিছু কাজের শিলান্যাস করেন। কেদারনাথে পর্যটন পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। পরম্পরার সঙ্গে খাপ খাইয়ে এবং পরিবেশ বাঁচিয়েই এই আধুনিকীকরণ হবে বলে আরও জানান তিনি। দেশের চারধামকে যুক্ত করতে রাস্তা তৈরির কাজ সরকার কাজ শুরু করেছে বলেও জানান মোদি। আজ উত্তরাখণ্ড সরকারকে পরিবেশের বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০২২ সালের মধ্যে উত্তরাখণ্ডকে জৈব রাজ্য হিসাবে গড়ে তুলতে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের কাছে আবেদন জানা মোদি। বলেন, “উত্তরাখণ্ডে অর্গানিক চাষের সুযোগ রয়েছে।”
0 comments:
Post a Comment