এবার ভারতের বিরুদ্ধে প্রকৃতিকে হাতিয়ার করতে চলেছে চিন। তিব্বত থেকে ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলে ফেলার ভয়ানক ছক কষছে ওই দেশ। এই কাজের জন্য প্রায় ১ হাজার কিলোমিটারের একটি টানেল তৈরি করতে চলেছে বেজিং। ওই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে তিব্বত থেকেই ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলে ওই নদকে জিনজিয়াং প্রদেশের দিকে প্রবাহিত করবে লাল চিন।
চিনে ব্রহ্মপুত্রের নাম সাংপো। ওই নদের উৎস তিব্বতে। সেখান থেকে নিম্নমুখী হয়ে ভারত ও বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র। ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য বিশেষ করে অসমের জীবনরেখা ওই নদ। এর জন্যই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কৃষিকার্য সম্ভব হয়। তবে মাঝে মাঝে অত্যাধিক বৃষ্টির জন্য দুকূল ছাপিয়ে জনজীবন বিধ্বস্ত করে ব্রহ্মপুত্র। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিন ওই টানেল বানালে প্রবল বিপাকে পড়বে ভারত ও বাংলাদেশ। তিব্বত থেকে শুষ্ক জিনজিয়াং প্রদেশে জল প্রবাহিত করলে কমে যাবে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর। ফেল বিঘ্নিত হবে প্রবাহ। যার জেরে ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। জল কমে যাওয়ায় কৃষিকার্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, সুড়ঙ্গ থেকে জল ছাড়লে প্লাবিত হতে পারে নিচু জায়গাগুলি। একই অবস্থা হবে বাংলাদশেও। ফলে চিনের এই চালে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দিল্লির দরবারে।
চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের খবর, তিব্বতের সাংরি অঞ্চল থেকে জিনজিয়াং প্রদশের তাকলামাকান মরুভূমি পর্যন্ত বানানো হবে ওই সুড়ঙ্গ। এর মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের জল চাষবাসের জন্য পৌঁছে দেওয়া হবে মরুভূমিতে। ২০১৮-এর মার্চ মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। এই কাজে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। বেশ কয়েকবছর থেকেই ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলানোর হুমকি দিচ্ছিল চিন। তবে দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়ার পর ২০১০ সালে বেজিং জানায় এমন কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডোকলামে মান খুইয়ে ফুঁসছে লাল চিন। তাই এবার প্রকৃতিকে হাতিয়ার করেই ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে কমিউনিস্টশাসিত দেশটি।
0 comments:
Post a Comment