বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল আগেই। এবার রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন চারজন রোহিঙ্গা মুসলিম। তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফ। বস্তুত, ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে, এমন ৭৫টি জায়গা বিএসএফ চিহ্নিত করেছে বলেও জানা গিয়েছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের এখন উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, মায়ানমার থেকে উৎখাত হওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁদের এদেশে আশ্রয় দেওয়া হলে, জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। যদিও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেন্দ্রের নীতির বিরোধিতার সরব হয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এমনকী, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রসংঘও। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১৯ আগস্ট রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্তক। চলতি মাসে ১৫ তারিখ বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য পুলিশ ও বিএসএফকে অনুপ্রবেশে চেষ্টা করলে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয় অসম ও মণিপুর সরকারও।
বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত অসম ও ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১৭ জন রোহিঙ্গা মুসলিম ধরা পড়েছে। তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, ত্রিপুরার বাসিন্দাদের মাতৃভাষা বাংলা। অসমেও বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। আবার মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরাও বাংলাতেই কথা বলেন। সেক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের কিভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব? বিএসএফের ওই আধিকারিকদের দাবি, রোহিঙ্গাদের বাচনভঙ্গি ভারত বা বাংলাদেশের নাগরিকদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই বাচনভঙ্গি দেখে সহজেই রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের এখন রক্তক্ষয়ী গোষ্ঠীসংঘর্ষ চলছে। তাই প্রাণ বাঁচাতে নানা দিকে ছড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গারা। কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। ভারতেও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
0 comments:
Post a Comment