JanaSoftR
  • সপ্তাহে কতবার যৌনমিলনে আগ্রহী সুন্দরীরা: একটি সমীক্ষা

  • এই নতুন নেশাতেই মজছে স্কুল পড়ুয়ারা, চিন্তায় অভিভাবকরা

  • ট্রেনে একঘন্টায় কলকাতা থেকে দিল্লি!

  • মরুভূমি হয়ে যাবে পাকিস্তান, সিন্ধু অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণ শুরু, প্রবল চাপে পাকিস্তান

Thursday, 28 September 2017

ফের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালাল ভারত, সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত



ফের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালাল ভারত। এবার মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে এলেন সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরা। বুধবার ভোর ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ সীমান্ত পেরিয়ে নাগা জঙ্গি শিবির ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর এমনটাই। তবে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড জানিয়েছে, ভারত-মায়ানমার সীমান্তে জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার তীব্র গুলির লড়াই হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় সেনা সীমান্ত পেরোয়নি।



ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (NSCN) গোষ্ঠীর সদস্যরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। ভারতীয় সেনা সেই চেষ্টা রুখে দিতে গেলে জঙ্গিরা সেনাকে লক্ষ্য করে ভারী গুলিবর্ষণ করে। পালটা গুলি চালাতে শুরু করেন জওয়ানরাও। সেনার পালটা অভিযানে পিছু হটে জঙ্গিরা। মায়ানমার সীমান্তের দিকে পালাতে থাকে তারা। তবে এদিনের অভিযান যে ২০১৫-র মতো নয়, সে কথাও জানিয়েছেন সেনাকর্তারা। সেনা সূত্রে খবর, সেবার স্পেশ্যাল ফোর্স নাগা জঙ্গিদের দুটি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। তবে এবারও এমনটাই হয়েছে বলে যে সংবাদমাধ্যমগুলি খবর করছে, তাদের রিপোর্টকে ভ্রান্ত বলে দাবি করেছে সেনা।



চলতি মাসের শুরুতেও অরুণাচল প্রদেশে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে এনএসসিএন-এর বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেবারও একটি বড় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছিল সেনা। উদ্ধার হয়েছিল জঙ্গিদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে মায়ানমার। দুই দেশের মধ্যে প্রায় ১৬৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। মাঝেমধ্যে জঙ্গিরা পালিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করল কেন্দ্র



বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল আগেই। এবার রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন চারজন রোহিঙ্গা মুসলিম। তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফ। বস্তুত, ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে, এমন ৭৫টি জায়গা বিএসএফ চিহ্নিত করেছে বলেও জানা গিয়েছে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের এখন উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, মায়ানমার থেকে উৎখাত হওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁদের এদেশে আশ্রয় দেওয়া হলে, জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। যদিও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেন্দ্রের নীতির বিরোধিতার সরব হয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এমনকী, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রসংঘও। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১৯ আগস্ট রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্তক। চলতি মাসে ১৫ তারিখ বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য পুলিশ ও বিএসএফকে অনুপ্রবেশে চেষ্টা করলে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয় অসম ও মণিপুর সরকারও।

বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত অসম ও ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১৭ জন রোহিঙ্গা মুসলিম ধরা পড়েছে। তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, ত্রিপুরার বাসিন্দাদের মাতৃভাষা বাংলা। অসমেও বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। আবার মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরাও বাংলাতেই কথা বলেন। সেক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের কিভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব?  বিএসএফের ওই আধিকারিকদের দাবি, রোহিঙ্গাদের বাচনভঙ্গি ভারত বা বাংলাদেশের নাগরিকদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই বাচনভঙ্গি দেখে সহজেই রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা সম্ভব।

প্রসঙ্গত, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের এখন রক্তক্ষয়ী গোষ্ঠীসংঘর্ষ চলছে। তাই প্রাণ বাঁচাতে নানা দিকে ছড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গারা। কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। ভারতেও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

সাক্ষীর আগে, ইনিই কি ছিলেন মাহির জীবন ?



লক্ষ্মী রাই
“বোল্ড” অবতারে তাক লাগিয়েছেন ধোনির প্রাক্তন প্রেমিকা



মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আলোচনার অন্ত নেই। ক্রিকেট মাঠ তো বটেই, মাঠের বাইরেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনার শেষ নেই



শোনা যায়, অভিনেত্রী রাই লক্ষ্মীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল

সেই রাই লক্ষ্মীকে বোল্ড চরিত্রে দেখা যাবে বলিউডের নতুন ছবি “জুলি ২”তে
এই সিনেমার হাত ধরেই বলিউড জগতে পা রাখতে চলেছেন




ছবিতে বেশ কয়েকটি “বোল্ড” দৃশ্যে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যাবে



প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে IPL চলাকালীন ধোনি এবং লক্ষ্মীর ডেটিংয়ের খবরও হাওয়ায় ভাসতে শুরু করেছিল




যদিও ধোনির সঙ্গে সম্পর্কের কথা আর মনে রাখতে চান না লক্ষ্মী

কয়েকবছর আগে মাহির বায়োপিক রিলিজ় করার সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সম্পর্কে লক্ষ্মীর কাছে জানতে চাওয়া হয়



তখন তিনি সাফ বলে দিয়েছিলেন, “এতগুলো বছর কেটে গেছে। কিন্তু, যখনই ধোনির কথা ওঠে, তখনই আমারও নাম ওঠে। গুজব ছড়ানো হয়। এমন গুজব আমার পছন্দ নয়"

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পাসপোর্টে বয়স ৪১, দেখতে ২১ , বিমানবন্দরে আটকানো হল এই মহিলাকে !



ইউক্রেন:  ৪১ বছর বয়সি ইউক্রেনের এই মহিলাকে আটক করা হয় বিমানবন্দরের পাসপোর্ট কন্ট্রোল বিভাগে। তাঁর অপরাধ কি জানেন? না তাঁর কাছে সমস্ত বৈধ কাগজপত্র ছিল। তাঁর ব্যাগেজেও কোনও নাশকতার সঙ্গে যুক্ত তেমন কিছুই উদ্ধার হয়নি। তাঁর দোষ তিনি তাঁর আসল বয়সের তুলনায় দেখতে অনেক তরুণ। সেইজন্যে পাসপোর্ট দফতরের আধিকারিকরা বিশ্বাসই করতে পারেননি, যে মহিলা তাঁর নিজের পাসপোর্টই ব্যবহার করছেন। তাঁরা ভেবেই নিয়েছিলেন ন্যাটালি জেনকিভ নামের ওই মহিলা তাঁর থেকে অন্তত কুড়ি বছরের বড় কোনও মহিলার ছবি পাসপোর্টে ব্যবহার করেছেন।



সেই জন্যে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে বিমানবন্দরের অন্য ব্যক্তিরা তাঁকে চিহ্নিত করে এগিয়ে এসে অটোগ্রাফ নিতে চাইলে আধিকারিকদের ভুল ভাঙে।

A post shared by Lama (@nataliadzenkiv) on 


ন্যাটালি পেশায় একজন ব্যান্ড গায়িকা। লামা নামের একটি ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তুরস্কে ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এই সুন্দরী। সেই সময়ই বিমানবন্দরে তাঁকে আটকানো হয়।

A post shared by Lama (@nataliadzenkiv) on 


তবে পরে যখন তাঁকে বিমানবন্দরে আটকে রাখার আসল কারণ মহিলা জানতে পারেন, তিনি কার্যত হাসি আর চেপে রাখতে পারেন না। ন্যাটালি জানিয়েছেন, তিনি বয়সের তুলনায় যেহেতু অনেক কমবয়সি দেখতে, তার জন্যে বিভিন্ন লোকের থেকে নানা সময় প্রশংসা পেয়েছেন। কিন্তু সেই জন্যে কখনও তাঁকে বিমানবন্দরে আটকে রাখা হতে পারে, সেটা তিনি ভাবতেই পারেননি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

লঙ্কার রাজার রাবণের পুতুল পোড়ানোয় তীব্র বিরোধিতা করে 'নিষেধাজ্ঞা'র আর্জি



দশেরায় লঙ্কার রাজার কুশপুতুল পুড়িয়ে যেভাবে ভারতের সর্বত্র উল্লাস করা হয়, তার তীব্র বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হলেন উত্তরপ্রদেশের মথুরার জনৈক এক আইনজীবী।

একই আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও শরণাপন্ন হয়েছেন। চিঠি দিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং তিনি যে রাজ্যের বাসিন্দা, সেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও।

আর্জি-চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ''রাময়ণে যিনি লঙ্কার রাজা, সেই রাবণ আদতে ছিলেন এক সারস্বত ব্রাহ্মণ। দশেরায় রাবণের কুশপুতুল পোড়ানোর অর্থ, গোটা সারস্বত ব্রাহ্মণ সমাজকে 'অপমান' করা। একইসঙ্গে যাঁরা পরম নিষ্ঠায় রাবণের পুজো করেন, দশেরার এই রেওয়াজ তাঁদেরও অপমানিত করে।

নিজেকে সারস্বত সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করে ওমবীর সারস্বত নামে ওই আইনজীবী বলেন, আমরাও তো দেশেরই নাগরিক। সংবিধান দেশের সকলকে তাঁদের ধর্মীয় রীতি-রেওয়াজ পালনের অধিকার দিয়েছে। তা হলে, একটা সমাজের বিশ্বাসে আঘাত করা হবে কেন? রাজধানী নয়াদিল্লির অদূরেই গ্রেটার নয়ডায় রাবণের মন্দিরে কত মানুষ রোজ পুজো দেন, তারও উল্লেখ রয়েছে ওই চিঠিতে।

রামের কাছে লঙ্কেশ্বর রাবণের পরাজয়ের দিনটিকে স্মরণ করে ভারতের সর্বত্র, বিশেষত উত্তর ভারতে দশেরা পালিত হয়। এবার ৩০ সেপ্টেম্বর দশেরা রয়েছে।

ওমবীর সারস্বত জানালেন, সারস্বত সমাজের আর্জিতে সাড়া দিয়ে এখনও অবধি কারও কাছ থেকে চিঠির জবাব আসেনি। অধীর আগ্রহে ইতিবাচক সাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। যদি না সাড়া পান? জানালেন, আইনই শেষ আশ্রয়। অগত্যা আদালতেই দশেরায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল করবেন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ অভিযানে ঝাঁটা হাতে, প্রশ্ন তৃণমূলে



প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সব রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল স্বচ্ছতার অভিযানে অংশ নিতে। পত্রপাঠ না বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সপ্তমীর দিনে কলকাতা বিমানবন্দরে ঝাঁটা হাতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের শাসক শিবিরে বিতর্কের বোধন করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়!
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ অভিযানের আনুষ্ঠানিক সূচনায় স্থানীয় সাংসদ হিসাবে হাজির ছিলেন সৌগতবাবু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া, সিআইএসএফ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। স্থানীয় কিছু শিল্পীকে এনে এবং বাউল গানে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও ছিল।

দমদমের সাংসদ সৌগতবাবু অবশ্য ওই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের প্রকল্পের বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। বরং তিনি টেনে আনেন মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর প্রসঙ্গ। সৌগতবাবু বলেন, ‘‘মহাত্মা গাঁধী দেশকে শিখিয়েছেন, কী করে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। যখন চারিদিকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সময় স্বচ্ছ পরিবেশ মানুষকে যেমন সুস্থ ও সবল রাখবে। কোনও শহরের বিমানবন্দর সেই শহরের আয়না। তাই তাকে পরিচ্ছন্ন রাখতেই হবে।’’ বক্তব্য নিরীহ হলেও রাজ্য সরকারের প্রত্যাখ্যান করা একটি প্রকল্প বা অভিযানে শাসক দলের সাংসদ কেন গেলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে।
শাসক দলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, নির্মল বাংলা-সহ আমাদের নিজস্ব অনেক কর্মসূচি আছে। স্বচ্ছতায় বাংলা পথ দেখাতে পারে। রাজ্য সরকার কোনও স্তরেই ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ পালন করছে না। এ সব জেনেও সৌগতদা’র মতো প্রবীণ সাংসদ কী ভাবে ওই অনুষ্ঠানে চলে গেলেন!’’ আনুষ্ঠানিক ভাবে দলের তরফে কেউ অবশ্য মুখ খোলেননি।
দলের মধ্যে ‘বিক্ষুব্ধ’দের নিয়ে ইদানীং তোলপা়ড় চলছে তৃণমূলে। সদ্যই তৃণমূলের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে মুকুল রায়ের। সেই ঘটনার রেশ সামলে ওঠার আগেই সৌগতবাবুর এ দিনের কাজ নয়া বিতর্কের আমদানি করেছে তৃণমূলে। সাম্প্রতিক কালে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বেশ কয়েকটি ঘটনায় সৌগতবাবুর সুর দলের সঙ্গে মেলেনি। তাই তাঁর এ বারের ঝাঁটা সঞ্চালন আরও জল্পনার কারণ হচ্ছে!
পরে প্রশ্ন করা হলে সৌগতবাবু অবশ্য পরিষ্কার বলেছেন, বিমানবন্দরের অনুষ্ঠানে যাওয়ার মধ্যে তিনি দল বা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও বিরোধ দেখছেন না। তাঁর যুক্তি, ‘‘আমি কেন্দ্রের প্রকল্পকে তুলে ধরতে যাইনি। স্থানীয় সাংসদ হিসাবে বিমানবন্দরের পরিচ্ছন্নতার কথা বলেছি। রাজ্য সরকার যে স্বচ্ছতার বিষয়ে প্রচুর কাজ করছে, সে কথাও তো বলেছি।’’
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 24 September 2017

উংসবের মুখে হু হু করে কমতে শুরু করেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম’



উংসবের মুখে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমতে শুরু করেছে৷ এমনটাই দাবী পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস দফতরের মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের৷ তিনি বলেন, আগামী দিনগুলিতে তেলের দাম কমার প্রবণতা থাকবে৷ দাম কমলে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি পাবে আম জনতা৷

মন্ত্রীর এই দাবীর সঙ্গে অবশ্য বাস্তবের কোন মিল খুজে পাচ্ছেন না আম জনতা৷ এমনটাই অভি়যোগ তাদের৷ পেট্রোল ও ডিজেলের উর্ধ্বমুখী দামের জেরে নাভিশ্বাস হওয়ার যোগাড় তাদের৷ এদিনই মুম্বইতে পেট্রোলের দাম বেড়ে যাওয়া ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মুল্যবৃদ্ধির জেরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে শিবসেনা৷ এদিকে নিজের দাবীতে অটল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘গত দু’দিনে পেট্রোলের দাম কয়েক পয়সা কমেছে৷ ২১শে সেপ্টেম্বর থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর অবধি ১০ পয়সা পেট্রোলের দাম কমেছে৷’’

পেট্রোলের দাম কমার কারণ হিসাবে মন্ত্রী বলেন, আমেরিকাতে একের পর এক হারিকেনের জেরে পেট্রোল ও ডিজেলের দামের উপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ যার ফলে ভারতে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে৷ এই দাম আগামীদিনে আরও কমতে পারে৷

পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং ও অ্যানালিসিস সেলের রিপোর্টও একই কথা বলছে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২১শে সেপ্টেম্বর থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ পয়সা তেলের দাম কমেছে৷ তেলের দামের ওঠা-পড়া ব্যবস্থা নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর ২১শে সেপ্টেম্বর তেলের দাম ছিল সর্বোচ্চ৷ আজ ২৩শে সেপ্টেম্বর দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ও কলকাতায় পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৭০.৪৮, ৭৯.৫৩, ৭৩ এবং ৭৩.১৬ টাকা৷ ২১শে সেপ্টেম্বর তেলের দাম আরও ১০ পয়সা করে বেশি ছিল৷

এদিন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গুজরাত আসেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী৷ সেখানে পণ্য পরিষেবা করের আওতায় পেট্রোল ও ডিজেলের অর্ন্তভুক্তির পক্ষে সওয়াল করেন তিনি৷ বিভিন্ন মহল থেকে পেট্রোল ও ডিজেলকে পণ্য পরিষেবা করের আওতায় নিয়ে আসার দাবী তোলা হয়েছে৷ সেই দাবীর সঙ্গে একমত সরকারও৷ মন্ত্রী বলেন, সরকারও এই সিদ্ধান্তের পক্ষে৷ জিএসটি কাউন্সিলকে পেট্রোল জাতীয় প্রোডাক্টগুলিতে পণ্য পরিষেবা করের আওতায় আনা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

বাংলাদেশ: প্রকৃতিগত ভাবে পূজার যে সৌন্দর্য্য, বেচারি ঈদের তা নাই ! – ইশরাত জাহান ঊর্মি:



“আচ্ছা আপনারা নিজেদের সেক্যুলার বলে দাবি করেন, তাহলে বাতাসে পূজো পূজো গন্ধ কেন পান? কীভাবে পান? বাতাসে পূজো পূজো গন্ধ যদি পান, ঈদ নিয়া আপনাদের এতো ইচিং হয় কেন? আপনাদের সেক্যুলারিজম সব হিন্দু বা অন্য ধর্ম নিয়া। মুসলমান ধর্ম নিয়া আপনাদের এতো জ্বলে ক্যান?”
-অনেকের মনের মধ্যে এই প্রশ্ন। এবং এইটা হলো প্রশ্ন করার সবচেয়ে সভ্য ভাষা। অসভ্যগুলো প্রশ্নকর্তারাই বলবেন।

এখন কথা হলো, বাতাসে আসলেই পূজার গন্ধ পাওয়া যায়, তার আমি কী করবো? শরৎকালে কাশফুল এবং শিউলি ফুল ফোটে, জলে পম্পা মানে পদ্ম, শরতকালে আকাশে সাদা-নীল মেঘ ভাসে, শরৎকালে রোদের তেজ ক্রমশ মরে আসে, শরৎকালে গ্রামে ভোরবেলা হিম হিম একটা আমেজ পাওয়া যায় এবং শরৎকালেই পূজা হয়। পূজার সময় ঢাক বাজে, পূজার সময় মাইকে পুরাতনি গান বাজে-সব মিলায়ে একটা আবহ তৈরি হয়, ঈদে তা হয় না, তার আমি কী করবো?

পূজাটা হয় বাংলার ঋতু পঞ্জিকার সাথে মিলিয়ে। আর ঈদ হয় আরেক দেশের ক্যালেন্ডারের চাঁদের সাথে মিলিয়ে, ফলে ঈদ শীতে হতে পারে, ঝাঁ ঝাঁ গ্রীষ্মকালে হতে পারে, ঝুম বর্ষায় হতে পারে, শরতে বা হেমন্তেও হতে পারে। প্রকৃতিগত ভাবে পূজার যে সৌন্দর্য্য-অত্যন্ত ব্যথিতভাবে জানাচ্ছি যে, বেচারি ঈদের তা নাই।

নারী হিসেবেও আমি পূজা উৎসবরে ভালোবাসি। বলাই হয়, সর্বজনীন উৎসব। অন্তত: আমাদের দেশে কোনো পূজা মণ্ডপে আমি নারী বলে ঢুকতে প্রতিবন্ধকতা পাই নাই। শুধু নারী বলে নয়, মুসলমান বলেও কেউ বাধা দ্যায় নাই। পাতপেড়ে প্রসাদ খেতে পারছি। কেউ বলে নাই, ওই যবন তুমি, প্রসাদ তোমার না। বরং বনানী পূজামণ্ডপে মনে পড়ে, দশাসই চেহারার এক দিদি ধমকায়ে প্রসাদ খাইয়েছে।
“এ্যাই মেয়ে, ছাতু মাখাইছি চিনি দিয়া, সকাল সকাল আসছো ডিউটিতে (আমি হয়তো টেলিভিশনের চাকরির ডিউটি করতে, মানে পূজা কাভার করতে গিয়েছি), খাও, ভালো লাগবে।” তারপর আছে নারী-পুরুষ হাতে হাত মিলিয়ে ঢাকের তালে নাচ, আছে সিঁদুরখেলার মতো রং মাখামাখি-আমাদের ধর্মে মানে মুসলমান ধর্মে এরকম সার্বজনিনতা কল্পনা করা যায়?
পুরুষেরা বুকে বুক মিলায় ঈদে, ভ্রাতৃত্ববোধ প্রকাশ করে, কিন্তু নারীদের জন্য সিস্টারহুড (ইংরেজিতে ব্রাদারহুড এর বিপরীত শব্দ সিস্টারহুড, কিন্তু ভ্রাতৃত্ব’র বিপরীত স্ত্রীবাচক বাংলা শব্দ কী?) প্রকাশের তেমন কোনো ছবি তো আমরা কোথাও পাই না! একটা উৎসব যদি নারী-পুরুষ সবার জন্য না হয়, সর্বজনীন না হয়, তাহলে সেই উৎসব নিয়ে আমার ইচিং হবেই-সাফ কথা।

আমি ঠিক জানি না দেশীয় সংস্কৃতির সাথে কোন কোন জায়গায় পূজার মাখামাখি আর ঈদ উৎসবের দূরত্ব, শুধু এইটুকু বুঝতে পারি যে, পহেলা বৈশাখে কেনা লাল-সাদা বা কমলা-সাদা শাড়িটা পূজায় বেশ পরে ফেলা যায়, কিন্তু ঈদে কেনা পাকিস্তানী লম্বা ঝালরের জামাটা পহেলা বৈশাখে বেমানান। জোর করে ঈদরে বাঙালী করা যায় না।

বাঙালী সহ্য করতে না পারা দেশে হিন্দু নিধন চলতেছে। নাসিরনগরের ঘটনার সময় আমার মনে আছে, আমি একদিন নিউজ পড়ছিলাম। এক রিপোর্টারের স্টোরির মধ্যে কাঁসার থালা হাতে লালপেড়ে শাড়ি পরা এক নারী নদী থেকে থালাবাসন ধুয়ে উঠে আসার একটা ছবি দেখে হঠাৎই পুরো দৃশ্যটা আমার কাছে অচেনা লাগলো। মনে হলো এই কাঁসার থালা, এই লালপাড় শাড়ি কোন ছোটবেলায় শুকলা আন্টিদের পুকুরঘাটে দেখতাম, এখন কই? গ্রামে গেলেও এসব চোখে পড়ে না তো!

আমাদের প্রধানমন্ত্রী গতবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে বলেছিলেন, এদেশ আপনাদেরও, আত্মবিশ্বাসের সাথে বসবাস করুন।” শুনেই আমার মনে হলো, নিজের দেশে আলাদা করে ইমফেসিস দিয়ে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে কেন? আমাদের মনস্তত্ত্বে তবে কি আমরা ইতিমধ্যেই ঢুকিয়ে ফেলেছি যে, হিন্দুরা ঠিক এদেশের নয়! বিপন্ন! সংখ্যালঘু শব্দটার মধ্যে কেমন যেন একটা লজ্জা আছে, সেই লজ্জা আমরা ধীরে ধীরে আত্মিকরণ করে ফেলতেছি। আজকাল আর ঢাকের শব্দ না, প্রতিমা ভাঙার ছবিতে বা খবরে বুঝতে পারি যে, পূজা আসন্ন।

তো, শেষকথা হলো যে, উৎসব সর্বজনীন না, যে উৎসব নারীর জন্য এমবার্গো দিয়ে রাখে, সেই উৎসব নিয়ে ভুরু কুঁচকালে উল্টোদিকে যে উৎসব আমারে হাতে হাত ধরার স্বাধীনতা দ্যায়, সেই উৎসব নিয়ে আমি গদগদ হলে আপনাদের ভুরু কুঁচকানোরে আমি কেয়ার করি না।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

দেবী দুর্গাকে ‘পতিতা’ বলে অপমান করলেন দিল্লির অধ্যাপক কেদার কুমার মণ্ডল



শুরু হয়ে গিয়েছে দেবীপক্ষ। যে উৎসবের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে বিশ্বের আপামোর বাঙালি। সেই দেবীপক্ষেই দেবী দুর্গাকে ‘পতিতা’ বলে অপমান করলেন দিল্লির অধ্যাপক কেদার কুমার মণ্ডল।



চলতি মাসের ২২ তারিখে অর্থাৎ দ্বিতীয়ার দিনে নিজের ফেসবুক ওয়ালে কেদার কুমার মণ্ডল লেখেন, “পুরাণ অনুসারে দুর্গা সব থেকে সেক্সি পতিতা”। একজন অধ্যাপকের ফেসবুক ওয়ালে এই ধরণের পোস্ট থেকে ছড়িয়েছে বিতর্ক।



কেদার কুমার মণ্ডল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ দয়াল সিং কলেজের অধ্যাপক। তাঁর এই ফেসবুক পোস্টের কারণে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের। দেবী দুর্গাকে ‘পতিতা’ বলার অপরাধে এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত। অন্যদিকে গেরুয়া ছাত্র সংগঠন এবিভিপি অধ্যাপক কেদার কুমার মণ্ডলের করা এই পোস্টের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। একই পথে হেঁটেছে ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া বা এনএসইউআই। উভয় সংগঠনই কেদার কুমারের অধ্যাপকের পদ কেড়ে নেওয়ার দাবি তুলেছে।



দুর্গা পুজোর সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই সময়ে মেতে উঠছেন নবরাত্রির অনুষ্ঠানে। সেই সময়েই এই ধরণের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। অধ্যাপক কেদার কুমার মণ্ডলের ওই ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে শুরু হয়ে যায় তাঁর সমালোচনা। বিতর্ক শুরু হতেই তিনি মুছে দিয়েছেন সেই ফেসবুক পোস্ট।

এর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি দাবি করেছিলেন যে দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা মহিষাসুর শহিদ দিবস পালন করে। এবং সেই অনুষ্ঠানের প্রচারপত্রে দেবী দুর্গাকে ‘পতিতা’ বলে উল্লেখ করা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর সংসদে আর মুখ খুলতে পারেননি কোনও বিরোধী সাংসদ। অনেকে সংসদ কক্ষও ত্যাগ করেছিলেন। সেই সময়টা ছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। কানহাইয়া কুমার এবং জহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে তখন উত্তাল হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। বছর দেড়েক পরে একইরকমভাবে ফিরে এল দেবী দুর্গার ‘পতিতা’ স্মৃতি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে অধ্যাপক কেদার কুমার মণ্ডল একসময় জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিলেন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ফাঁদে ফেলে হিন্দু থেকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ, ভুল শোধরাতে ফের হিন্দু ধর্মেই প্রত্যাবর্তন



তাঁকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। ফাঁদে ফেলে হিন্দু থেকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করানো হয়েছিল। তবে নিজের ‘ভুল’ বুঝতে পেরেছেন তিনি। তাই সেই ভুল শোধরাতে ফের হিন্দু ধর্মেই ফিরে এসেছেন।

রীতিমতো সাংবাদিক ডেকে মুসলিম থেকে হিন্দু হওয়ার গল্প শোনালেন কেরালার আথিরা। তেইশ বছরের আথিরা বলেন ভুল পথে চালনা করা হয়েছিল তাঁকে। ভুল বোঝানো হয়েছিল হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে। ওম নমঃ শিবায় বলে শুরু করা তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনের পুরোটাই ছিল মুসলিম ধর্ম বিরোধী মন্তব্যে ভরা। হিজাব পরা এই মহিলার মাথায় এদিন ছিল টিপ, কুমকুমের সমারোহ। হিন্দু ধর্মে ফিরে তাঁর মন্তব্য এই ধর্ম সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি করা হয়েছিল তাঁর মনে। আর সেই সন্দেহ ঢুকিয়েছিল তাঁর কিছু বন্ধু। তাঁকে বলা হয়েছিল একটা পাথরের মূর্তিতে ভগবান থাকতে পারে না। একই ধর্মে এত দেবদেবীর অস্তিত্ব কেন?  তাঁকে বলা হয়েছিল ভগবান এক ও অদ্বৈত। তাই ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম।

সেই ধারণাই সঠিক বলে মনে করতে শুরু করেন আথিরা। পাশাপাশি, ইসলামের ওপর লেখা কিছু বই পড়তে দেওয়া হয় তাঁকে। শোনানো হয় জাকির নায়েকের বক্তৃতা। এসবের মিশেলেই ধর্ম পরিবর্তন করে নেন তিনি। ধর্ম পরিবর্তন করে অবশ্য নিজের বাবা মায়ের সঙ্গে থাকেননি তিনি। ১৫ পাতার একটি চিঠিতে আথিরা, আয়েশা হওয়ার পথের উল্লেখ করেন। এমনকী তাঁর বাবা মা কেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন না, সেই সময় এই নিয়েও দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।

চিঠি পেয়ে তাঁর বাবা মা প্রথমেই পুলিশে অভিযোগ জানান। জুলাই মাসের ২৭ তারিখ কান্নুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন আথিরা ওরফে আয়েশা। তবে ইসলাম ধর্মেই তিনি থাকবেন এই শর্তে তিনি বাবা মায়ের কাছে পুলিশের সাহায্যে ফিরে আসেন।

পরের গল্পটা অবশ্য হিন্দুধর্মে ফিরে আসার। বাবা মা আয়েশাকে নিয়ে যান আর্য বিদ্যা সমাজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে। যেখানে আবার তাঁকে হিন্দু ধর্মের পাঠ পড়ানো হয়। আবারও হিন্দু ধর্মে ফিরে আসতে চান তিনি। ফিরেও আসেন আথিরা হয়ে। প্রসঙ্গত, এর আগে আরেকটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন নিজের ইচ্ছাতেই মুসলিম হয়েছিলেন তিনি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

বোরখা পরেই ‘কালা চশমা’ নাচছেন কে এই মহিলা, এমন ধরনের নাচ ‘ইসলাম বিরোধী’ মন্তব্য অনেকের



বোরখায় ঢাকা মুখ। ‘কালা চশমা’র তালে পা মেলাচ্ছেন এক মুসলিম মহিলা। আর এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই অনেকের চোখ কপালে। এমন ধরনের নাচ ‘ইসলাম বিরোধী’ বলে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন অনেকে।

একাধিক মুসলিম সংগঠনের তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা সমাজে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কোনও এক শপিং মলের প্রোমোশনাল প্রোগ্রামে নাচছেন ওই মহিলা। আর উপস্থিত দর্শকেরা ভিডিওটি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন। যদিও এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

সাউথ কানাড়া সালাফি মুভমেন্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইসমাইল সাফি বলেন, ‘বোরখা ইসলামের এক পবিত্র প্রতীক। আর সেটা পরে প্রকাশ্যে নাচা অবশ্যই ইসলাম-বিরোধী। এতে ধর্মকে ছোট করা হয়। ‘ তিনি আরও বলেন, বোরখা খুলে ফেলার স্বাধীনতা রয়েছে ওনার। ইসলামে মহিলা সহ প্রত্যেকের স্বাধীনতা রয়েছে। ওনার বাবা-মা’কে এর জন্য দায়ী করা উচিৎ। শফি চান ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ধর্মের আসল অর্থ বোঝাতে।



Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Saturday, 23 September 2017

রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তিনজন, অনেকেই পাশ কাটিয়ে চলে গেল, প্রাণে বাঁচালেন BJP বিধায়ক


আগরা, ২৪ সেপ্টেম্বর : রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তিনজন। অনেকেই পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। অন্যদের মতো তিনিও চলে যেতে পারতেন। কিন্তু, যাননি। আর যাননি বলেই হয়তো প্রাণে বেঁচে গেলেন তিনজন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে নিজের কর্তব্য পালন করে দৃষ্টান্ত গড়লেন BJP বিধায়ক মেজর সুনীল দত্ত দ্বিবেদী।


ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায়। দুটি মোটরবাইক ও একটি সাইকেল দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। একে অপরকে ধাক্কা মারে তারা। তিনটি গাড়ির তিন সওয়ারি গুরুতর জখম হন। ফারুখাবাদ-ফতেগড়় রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তাঁরা। সেসময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন সুনীল। সদরের বিধায়ক সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামাতে বলেন। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার করেন। গাড়িতে তুলে নেন তিনজনকে। এরপর নিয়ে যান লোহিয়া হাসপাতালে।



দ্বিবেদীর অনুগামীরা দু’জনকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কাছাকাছি আর স্ট্রেচার ছিল না। কোনও উপায় না দেখে এক ব্যক্তিকে কাঁধে তুলে নেন বিধায়ক। সোজা হাঁটা দেন এমারজেন্সির দিকে।

পরে একটি সংবাদমাধ্যমকে সুনীল বলেন, “অন্য রোগীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল স্ট্রেচারে। আমার কাছে কোনও উপায় ছিল না। মানুষটাকে প্রাণে বাঁচানো জরুরি। ও ব্যথায় কাতরাচ্ছিল। তাই, কাঁধে করে নিয়ে যাই।”

দুর্ঘটনাগ্রস্তদের চিহ্নিত করা গেছে। তাঁরা হলেন অরবিন্দ সিং চৌহান। বাড়ি নাগলা প্রিতম গ্রাম। ঋষভ, বাড়ি নাগলা দিন। রামেশ্বর সিং। রামেশ্বরের বাড়ি আবাস বিকাশ কলোনি। জানা গেছে, প্রথমে ঋষভের বাইক স্কিড করে অরবিন্দের সাইকেলে ধাক্কা মারে। পরে রামেশ্বর অন্য একটি বাইক নিয়ে আসছিলেন। তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঋষভকে ধাক্কা মারেন। তিনজনই রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ মাটিতে পড়েছিলেন।

আপাতত তিনজনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। তিনজনের মধ্যে অরবিন্দকে নিজের কাঁধে চড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন বিধায়ক। বিধায়কের এহেন কাজে খুশি অরবিন্দ। বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ। উনি আমাদের তিনজনকেই বাঁচালেন।”

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Thursday, 7 September 2017

কলম্বোয় টি-২০ ম্যাচ : ভারত নয় টসে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা, ভারত কি সব ফরম্যাটে জিততে পারত ?



ভারত কি আদৌ শ্রীলঙ্কাকে সব ফরম্যাটে হারিয়ে ৯-০-এ সিরিজ জিততে পারত? বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া কি কলম্বোয় টি-২০ ম্যাচ ৭ উইকেটে জিততে পারত? তিনটি ফরম্যাটে কোনও হোম টিমকে হারিয়ে প্রথম টিম হিসেবে হোয়াইটওয়াশ করার তকমা কি আদৌ জুটত ভারতের? প্রশ্নগুলো অবাস্তব লাগছে? আদপেই তা নয়। ম্যাচসংক্রান্ত এমন একটা ভুল ধরা পড়েছে যা উল্টেপাল্টে দিতে পারত এই সব হিসেব।

ম্যাচের ভিডিয়ো একেবারে শুরু থেকে খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে মারাত্মক এক ভুল যা সবার অগোচরেই থেকে গিয়েছে, তা পাল্টে দিতে পারত ম্যাচের ফলাফল। বুধবার টসের সময় নিয়ম মতো দুই দলের অধিনায়ক, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট ও টসের প্রতিনিধি গৌতমের সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেন প্রেজেন্টার মুরলী কার্তিক। এরপর উপুল থরাঙ্গা কয়েনটি টস করেন এবং বিরাট কোহলি হেড নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

একটু দূরে গড়িয়ে গিয়ে পড়ে কয়েনটি। ম্যাচ রেফারি এগিয়ে গিয়ে কয়েনটি দেখে সবাইকে জানান টেইল পড়েছে। কিন্তু বলেন ভারত। কার্তিক শুধু ভারত কথাটি শোনেন। আর তারপরই তিনি সবাইকে জানিয়ে দেন, হেড পড়েছে। কোহলিকে ডেকে নিয়ে ব্যাটিং না ফিল্ডিং নেবেন, তা নিয়ে কথাবার্তাও শুরু করে দেন তিনি।

বিরাট আগে ফিল্ডিং-এর সিদ্ধান্ত নেন। শ্রীলঙ্কা ভালো ব্যাট করে ৭ উইটেকে ১৭০ তুলে একটা লড়াইয়ের মতো স্কোর খাঁড়া করলেও, রান তাড়া করায় 'ওস্তাদ' কোহলির ভারত ১৯.২ ওভারে সাত উইকেট হাতে থাকতেই প্রয়োজনীয় লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।


এতটা জানার পর সবার মনেই ঘোরাফেরা করছে অনেকগুলো প্রশ্ন? কার্তিক ম্যাচ রেফারির কথা ভুল শুনেছিলেন? যদি সত্যিই তাই হয়, তাহলে পাইক্রফ্ট তখনই কেন কার্তিকের ভুল ভাঙিয়ে দিলেন না? এই ব্লান্ডারটা যদি এড়ানো যেত, তাহলে এই ম্যাচের ফল কী হত? যদি শ্রীলঙ্কাকে আগে জিজ্ঞেস করা হত তাঁরা ব্যাটিং না ফিল্ডিং নেবে, তাহলে? ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে হলে ফল কী অন্য কিছু হত?


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 3 September 2017

প্রধানমন্ত্রী মোদীর নতুন বড়সড় চমক !, নজির গড়ে প্রতিরক্ষার দায়িত্ব দিলেন মহিলা মন্ত্রীর হাতে



জল্পনা চলছিল গত কয়েকমাস ধরেই। মনোহর পারিক্কর গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাওয়ার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি কাউকে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এই মন্ত্রক সামলাচ্ছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এই নিয়ে বিরোধীরাও সরব হয়েছিলেন একাধিকবার। জল্পনা ছিল এই পদে আসতে পারেন অমিত শাহ, আবার অনেকেই ভেবেছিলেন সুরেশ প্রভুকে দেওয়া হবে এই দায়িত্ব। সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে প্রকাশ জাভড়েকরেরও নামও আলোচিত হয়েছিল ৷ তবে সব জল্পনা উড়িয়ে এই মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হল, নির্মলা সীতারামনকে। এর আগে মহিলা হিসেবে কেবলমাত্র ইন্দিরা গান্ধীই এই ওদের দায়িত্ব সামলেছেন। তবে এই প্রথম কেবলমাত্র প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন কোনও মহিলা।

নির্মলা সীতারামনকে এই দায়িত্ব দেওয়া একটা বড়সড় চমক বলাই যায়। এর আগে শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সেখান থেকে একলাফে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা মন্ত্রক তাঁকে দেওয়ার নিশ্চয় কোনও কারণ আছে। এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে নির্মলা সীতারামনকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৷ তখনও তিনি কোন দফতরের দায়িত্ব পেতে চলেছেন তা স্পষ্ট হয়নি৷

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর নির্মলা সীতারামন ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। তিনি বলেন, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। মোদী সবসময় মহিলা ক্ষমতায়নের পক্ষে। ‘ উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর তালিকায় এতদিন একমাত্র মহিলা ছিলেন সুষমা স্বরাজ। এবার সেই পাঁচ মন্ত্রী তালিকায় নির্মলা সীতারামনকে দিয়ে দু’জন মহিলা এলেন। সামনেই ভারতের সঙ্গে একাধিক দেশের প্রতিরক্ষা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০০৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন নির্মলা। ২০১৪ তে মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই মন্ত্রিসভায় যুক্ত হন তিনি। এর আগে বিজেপির মুখপাত্রের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। মুখপাত্র হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমেও প্রায়শই দেখা যেত তাঁকে। তামিলনাড়ুর মেয়ে নির্মলা তিরুচিরাপল্লীর সীতালক্ষী রামস্বামী কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন, এরপর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান, তাঁর বিষয় ছিল অর্থনীতি। পরে ইন্দো-ইউরোপিয়ান টেক্সটাইল ট্রেড নিয়ে পিএইচডি করেন। একসময় ‘প্রাইসওয়াটার হাউস কুপার্স’-এর সিনিয়র ম্যানেজার ছিলেন তিনি। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসেও কাজ করেন তিনি। একসময় জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যও ছিলেন তিনি।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

তবে কি জেলে আছে নকল রাম রহিম? ছবি দেখে হইওচই সোশ্যাল মিডিয়ায়




জেলে বন্দি ‘বাবা’ আসল, নাকি নকল!

এই নিয়ে মেতে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। হাতিয়ার গুরমিত রাম রহিমের ‘সাম্প্রতিক’ দু’টি ছবি। যা দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, জেলেবন্দি গুরমিতই কি আসল ‘বাবা’! নাকি তার ড্যামি। এই খবর দিচ্ছে উত্তর ভারত কেন্দ্রিক সংবাদ মাধ্যম ডেলি ভাস্কর।

কেন এই আসল-নকল বিতর্ক।

জল্পনার সূত্রপাত একটা ছবি ঘিরে। গত ১৬ অগস্ট হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী রামবিলাস শর্মা’র সঙ্গে নাকি এক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল গুরমিতকে। তার পর ‘সে দিনের’ অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাবাজির চুল-দাড়ি বেশ ছোট করে ছাঁটা।



এর পরই ২৫ অগস্ট সেই বহু চর্চিত দিন। আদালত দোষী সাব্যস্ত করল গুরমিতকে। সে দিন আদালতের ভিতর রাম রহিমের বেশ কয়েকটা ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে ছবিতে দেখা গিয়েছে, সাদা পোশাকে থাকা গুরমিতের চুল-দাড়ি বেশ বড়। মাত্র দিন দশেকের মধ্যে এতটা বড় হওয়া কী করে সম্ভব, প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

উঠে আসছে নানা রকম মত। অনেকে বলছেন, প্রথম ছবিটা যদি ঠিক হয়, তবে দ্বিতীয় ছবিটা কিছুতেই আসল রাম রহিমের হতে পারে না। কারও মতে ১৬ অগস্টে তোলা ছবি বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা পোস্ট পোস্ট করা হয়েছে, সেটা আদৌ সে দিনের তোলা নয়। অন্য কোনও সময়ের ছবি। কেউ আবার আর এক কদম এগিয়ে মন্তব্য করেছেন, ১৬ অগস্ট নকল চুল, দাড়ি পড়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাম রহিম।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ার এই ছবি বিতর্ককে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় হরিয়ানা প্রশাসন। হরিয়ানার পুলিশ সুপার ডেলি ভাস্করকে জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই তাঁরা গুরমিত রাম রহিমকে জেলে পু়ড়েছেন।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

কিমের হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ,প্রবল ভূমিকম্প, কাপল চিনও!



আমেরিকার চোখ রাঙানি। আর্থিক নিষেধাজ্ঞা। ‘বন্ধু’ চিনের চাপ। এসব কিছু হেলায় উড়িয়ে ষষ্ঠ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটাল উত্তর কোরিয়া। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ সামরিক আধিকারিকরা।

‘ইউএসজিএস’ নামের ভূকম্পন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়েছে। যার ফলে  প্রচণ্ড ‘শক ওয়েভ’ তৈরি হয়েছে। ‘রিখটার স্কেলে’ ওই কম্পনের মাত্র ৬.৩ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। দক্ষিণ কোরীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১২.৩৬ নাগাদ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎস উত্তর কোরিয়ার হামগ্যং প্রদেশ। ওই ভূমিকম্পটি প্রাকৃতিক কারণে ঘটেনি। কোনও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ও বিস্ফোরণই ওই ভূমিকম্পের জন্য দায়ী। ভূমিকম্পের ফলে দক্ষিণ কোরিয়ায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। অনেকেই ‘বম্ব শেল্টারে’ আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইতিমধ্যে ‘হাইড্রোজেন বোমা’ বানানোর দাবি করেছেন কিম জং উন। তারপরই এমন ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ও ভূমিকম্পে তাঁর কথা সত্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কোরীয় উপসাগরীয় অঞ্চল একটি ‘টাইম বম্ব’ বলেই সতর্কবার্তা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশঙ্কা, যেকোনও মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। আর তা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা একপ্রকার বেজে উঠবে। এবার ফের পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক করে তুলেছেন কিম। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে মার্কিন ও উত্তর কোরীয় সামরিক কর্তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে জরুরি বৈঠক। কীভাবে পিয়ংইয়ংকে বাগে আনা যায় তাই নিয়ে চলছে আলোচনা।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে কিমের সেনা। জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায় উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ওই মিসাইলটি। জাপানি  ব়্যাডারে ক্ষেপণাস্ত্রটি ধরা পড়তেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। তবে কোনও ক্ষতি না করে অবশ্য মাঝ সমুদ্রে আছড়ে পড়েছিল ওই মিসাইলটি। তারপরই কমিউনিস্ট দেশটিকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তবে কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা যুদ্ধবাজ কিমকে। তাঁর পদক্ষেপ প্রতি মুহূর্তে উসকে দিচ্ছে যুদ্ধের সম্ভাবনা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

তবে কি নতুন করে লিখতে হবে মানুষের বিবর্তন-এর ইতিহাস? গ্রিসে পাওয়া গেল ৫৭ লক্ষ বছর পুরনো মানব পায়ের ছাপ



মানুষের বিবর্তন শুরু হয় কবে থেকে? উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, আদিম মানুষের বাসভূমি ছিল মূলত আফ্রিকা মহাদেশেই। কয়েক লক্ষ বছর সেখানে কাটানোর পর তারা ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এই থিয়োরি মেনেই এত দিন সমস্ত গবেষণা চলছিল।

 কিন্তু সম্প্রতি প্রায় ৫৭ লক্ষ বছর আগেকার আদিম মানুষের পায়ের ছাপ খুঁজে পাওয়া গেল গ্রিসের ট্রাকিলোস-এ। ক্রেট দ্বীপে ভূ-মধ্যসাগরের তীরে এই ছাপ আবিষ্কৃত হয়।

এই ছাপের সঙ্গে আধুনিক মানুষের পায়ের ছাপের বহু সাদৃশ্য রয়েছে।



জেরার জিয়েলিনস্কি এবং গ্রেগর নিয়েদউইদস্কি — এই দুই পোলিশ পালিওন্টোলজিস্ট এই ছাপ খুঁজে পান। প্রথমে অবশ্য জেরার ক্রেট আইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে এসে ২০০২ সালে এই ছাপ দেখেন।

পরে ২০১০ সালে গ্রেগরকে সঙ্গে নিয়ে ফের একবার ক্রেটে এসে এই ছাপ নিয়ে গবেষণা করেন।

গ্রেগর এখন উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন। সেখানেই এই ছাপ নিয়ে তাঁরা গবেষণা করে দেখেন ছাপটি প্রায় ৫৭ লক্ষ বছর আগেকার। এর আগে প্রায় ৪৪ লক্ষ বছর আগেকার আদিম মানুষের একটি পায়ের ছাপ ইথিওপিয়ায় পাওয়া গিয়েছিল। সেটাই এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে পুরনো পায়ের ছাপ ছিল।

মানুষের পায়ের বিছু বিশেষ বৈশিষ্ট রয়েছে।

পায়ের পাতা, বুড়ো আঙুল, গোড়ালি ইত্যাদির গঠন দেখে ছাপটি কত পুরনো তা গবেষণা করা হত।

সেই মতো, ইথিওপিয়ায় মেলা পায়ের ছাপটি অপেক্ষাকৃত আদিমতর মানুষের ছাপ বলেই মেনে নিয়েছেন গবেষকরা। পরে তানজানিয়ায় প্রায় ৩৭ লক্ষ বছর আগেকার একটি আদিম মানুষের পায়ের ছাপে অনেকটা আধুনিক মানুষের মতো সাদৃশ্য মেলে।

 তখন সিদ্ধান্তে আসা হয় যে, আফ্রিকা মহাদেশেই আদিম মানুষের বিবর্তন হয়।

 কিন্তু নতুন করে মেলা এই পায়ের ছাপ সেই সব থিয়োরিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মোদির মন্ত্রিসভায় রদবদল, পদোন্নতি হল কার কার ? আর কারা হলেন নতুন মুখ?



২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল। সবমিলিয়ে নরেন্দ্র মোদির টিমে ৯ জন মন্ত্রী শপথ নিলেন। পদোন্নতি হল চার মন্ত্রীর। নতুন মুখ পাঁচজন। রদবদলে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পারফরম্যান্স, অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যকে। নতুন মন্ত্রীদের অনেকেরই প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিল শিব সেনা, অকালি দল এবং জেডিইউ।

গুরুত্ব বেড়েছে চার মন্ত্রীর। ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন পীযূষ গোয়েল, ধর্মেন্দ্র প্রধান, নির্মলা সীতরমন, মুখতার আব্বাস নাকভি। এরা আগে স্বাধীন দায়িত্ব পেলেও রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এবার পূর্ণমন্ত্রী হলেন । মন্ত্রিসভার বদলে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন পীযূষ গোয়েল। সুরেশ প্রভুর জায়গায় রেলমন্ত্রী হলেন মহারাষ্ট্রের এই সাংসদ। আগে কয়লা ও শক্তি দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন পীযূষ গোয়েল। সূত্রের খবর, তাঁর কাজে খুশি ছিলেন মোদি। তারই পুরস্কার হিসাবে পীযূষ গোয়েল রেলমন্ত্রী হলেন। রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন পাঁচজন। তাঁদের অন্যতম বিহারের আড়ার সাংসদ রাজ কুমার সিং। ইউপিএ সরকারের সময় স্বরাষ্ট্রসচিবের দায়িত্বে ছিলেন আর কে সিং। প্রাক্তন আইএফএস অফিসার হরদীপ সিং পুরীও শপথ নেন। হরদীপ সিং একসময় রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন। নতুন মন্ত্রী হয়েছেন যোধপুরের সাংসদ গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। শপথ নেন  বিহারের সাংসদ অশ্বিনী কুমার চৌবে। শপথ নিয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস তথা বাগপতের সাংসদ সত্যপাল সিং।

কয়েক বছর আগে তিনি মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার ছিলেন। মন্ত্রিসভায় অন্যতম নতুন মুখ শিবপ্রতাপ শুক্লা। শিবপ্রতাপ উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। আর এক নতুন মন্ত্রী বীরেন্দ্র কুমার মধ্যপ্রদেশে থেকে ৬ বার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। কর্নাটকের সাংসদ অনন্ত কুমার হেগড়ে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। ২৮ বছরে তিনি প্রথমবার সাংসদ হয়েছিলেন। নতুন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন আলফোন্স কান্নানথানম। দিল্লিতে জবরদখল উচ্ছেদ করে ‘ডেমলিশন ম্যান’  হিসাবে তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন।

তবে এদিন এনডিএর এই শপথ অনুষ্ঠানে শরিকদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। শিব সেনার পাশপাশি শপথ এড়ায় জেডিইউ। সূত্রের খবর, মন্ত্রিত্ব নিয়ে মতান্তর হওয়ায় নীতীশ কুমারের দল শপথে যায়নি। জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী জানান তাঁদের এই অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি। এমনকী সরকারে থাকেলও অকালি দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এনসিপি এবং এডিএমকেরও এই যাত্রায় মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না।


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp