গত বৃহস্পতিবার ১৩ জন পাকিস্তানি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ভারত। ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছেন তাঁরা। বন্দিদের মধ্যে ছিলেন দুই মহিলা ও এক কিশোরী। ভারতের জেলেই জন্ম হয়েছে ওই কিশোরীর। তাঁদের ফিরে যাওয়ায় কার্যত পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে উৎসবের মেজাজ।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জেলে বন্দি ছিলেন তাঁরা। ২০০৮-এ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রশিদা নামে এক বন্দির। বাকিরা এতদিন লড়াই করে অবশেষে ফিরতে পেরেছেন দেশে। আর হিনা নামে ওই কিশোরী জন্মের পর প্রথম পা রেখেছেন পাকিস্তানে।
পাকিস্তানে গিয়ে ভারতের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছেন তাঁরা। এখানে তাঁদের সঙ্গে খারাপ কিছু হয়নি, সেকথাও বলেছেন তাঁরা। ২০০৬-এ গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। তাদের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম ড্রাগ পাওয়া গিয়েছিল। গর্ভবতী ফতিমা সহ বাকি ভয়ে পেয়ে গিয়েছিলেন যে তাঁদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হবে।
প্রথম কয়েকদিন তাঁরা ভয়ে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ফতিমা সুস্থভাবেই সন্তানের জন্ম দেয়। তার জন্য জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ বলেও জানিয়েছেন। সন্তানের জন্ম দেওয়ার এক মাস আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এক সপ্তাহ পরে ছাড়া হয়। তাঁর কোনও কষ্টই হয়নি। এমনকি হিনা স্কুলে পড়াশোনার সুযোগও পেয়েছে ভারতে।
সেইসঙ্গে তাঁদের আইনজীবী নভজোত কাউর ছাব্বার প্রশংসাও করেছেন তিনি। যিনি এক টাকাও না নিয়ে মামলাটি লড়েছেন। তিনি একবারও ভাবেননি এরা পাকিস্তানি।
0 comments:
Post a Comment