বাংলার রাজনৈতিক ‘ক্রিজে’ হাত খুলে ব্যাট চালানো শুরু করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ পরিবর্তনের বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পুলিশকে যে তৃণমূলের ‘ক্যাডারে’ পরিণত করেছে আক্ষরিক অর্থে তাই জানিয়ে দিলেন তিনি৷ হাওড়ার উলবেড়িয়ায় দলীয় জনসভা থেকে বোমা ফাটালেন, ‘‘জেলায় জেলায় পুলিশ সুপাররা তৃণমূলের জেলা সভাপতি! ওসি-রা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি!’’ একই সঙ্গে তীব্র শ্লেষের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল কোনও দল নয়, ওটা একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি!’’ যা শুনে হাততালিতে ফেটে পড়ল সমাবেশস্থল৷
২ বছর আগেই যে তিনি বিজেপিতে আসতে চেয়েছিলেন, এদিন তাও স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলের একদা চাণক্য৷ রীতিমতো কৈফিয়তের সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমিও ওই সংস্থার কর্মী ছিলাম৷ আপনারা প্রশ্ন তুলতে পারেন- আগে বলেননি কেন?’’ জবাবও দিয়েছেন নিজেই, ‘‘১৫সালেই আসতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু তখন সুযোগ পাইনি৷’’
এদিন বেলাতেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিশ্ব বাংলা, জাগো বাংলা ইস্যুতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন মুকুল রায়৷ রীতিমতো তথ্য সহকারে জানিয়ে দেন, ‘‘ক্ষমতা থাকলে এই তথ্যর বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে দেখাক তৃণমূল৷’’ সাংবাদিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘অপেক্ষা করুন৷ আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে৷ ধীরে ধীরে সবই সামনে আনব৷’’ এরপরই এদিন দুপুরে হাওড়ার উলবেড়িয়ার জনসভায় যোগ দেন তিনি৷
সভায় মুকুলবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘বিরুদ্ধে বললেই পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ পঞ্চায়েতে বিরোধীরা যাতে ভোট দিতে না পারে, শাসকদলের তরফে সেই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে৷’’ পরিবর্তনের বাংলায় কোনও শিল্পের বিস্তার তো ঘটেইনি বরং রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রেও দলতন্ত্র কায়েম করেছে তৃণমূল৷ তৃণমূলের এক সময়ের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ মুকুল রায় বলেন, ‘‘যে লক্ষ্যে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, তা পূরণ হয়নি৷ বাংলায় বেকারত্ব বাড়ছে৷ যুব সমাজ বাইরে চলে যাচ্ছেন৷’’ এরপরই নাম না করে মমতাকে কটাক্ষ করে মুকুলের হুঁশিয়ারি, ‘‘বাংলায় উনি নাকি তেল ভাজা শিল্প করবেন! কি অদ্ভূত অবস্থা চলছে!’’
0 comments:
Post a Comment