JanaSoftR
  • সপ্তাহে কতবার যৌনমিলনে আগ্রহী সুন্দরীরা: একটি সমীক্ষা

  • এই নতুন নেশাতেই মজছে স্কুল পড়ুয়ারা, চিন্তায় অভিভাবকরা

  • ট্রেনে একঘন্টায় কলকাতা থেকে দিল্লি!

  • মরুভূমি হয়ে যাবে পাকিস্তান, সিন্ধু অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণ শুরু, প্রবল চাপে পাকিস্তান

Thursday, 21 December 2017

বিল গেটসকে অনুপ্রাণিত করল অক্ষয় কুমারের হিন্দি ছবি ‘টয়লেট: আ লাভ স্টোরি’



এবার বলিউডে মজলেন বিল গেটস। মাইক্রোসফ্টের সহ প্রতিষ্ঠাতা মঙ্গলবার নিজমুখে স্বীকার করলেন হিন্দি ছবি ‘টয়লেট: আ লাভ স্টোরি’ তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে।

তিনি নিজেই বিশ্বের বহু মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর কাজের জন্যে উপকৃত হাজার হাজার মানুষ। সেই বিল গেটসই মঙ্গলবার নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে সাতটি ট্যুইট শেয়ার করলেন তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে।

তাঁর পছন্দের তালিকায় একদিকে যেমন রয়েছে এডওয়ার্ডো সানশেজের স্নাতক হওয়ার গল্প তেমনই রয়েছে ভূটান ও মালদ্বীপের নানা কাহিনী। সেই তালিকাতেই দু’নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবিটি। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘এই তালিকার ঘটনাগুলি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে, এবং আগামীদিনে জন্যে আশাবাদী করে তুলেছে।’ ‘টয়লেট: আ লাভ স্টোরি’ সম্পর্কে বিল গেটস বলেছেন, ‘ভারতের স্যানিটেশন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে দর্শকদের শিক্ষিত করেছে।’

আর ঠিক কোন কোন ঘটনা ২০১৭ সালে বিল গেটসকে অনুপ্রাণিত করল, রইল তারই এক ঝলক...
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 20 December 2017

বহুতল থেকে রহস্যজনক ভাবে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার তরুণীর মৃতদেহ



বহুতল থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক তরুণীর৷ ঘটনাস্থল মুম্বইয়ের জনবহুল এলাকা মালওয়ানি থেকে উদ্ধার হয়েছে এই দেহ৷ রহস্যজনক ভাবে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তরুণীর মৃতদেহ৷ আত্মহত্যার প্ররোচনা না কি খুন সেটির তদন্ত করছে পুলিশ৷

জানা গিয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে একটি বন্ধুর বাড়িতে পার্টি করছিলেন ওই তরুণী৷ সারারাত ধরে পার্টি করার পর সেই বাড়িতেই বন্ধুদের সঙ্গে থেকে যান ওই তরুণী৷ পরদিন সকালবেলা বেশ কিছুটা সময় কেটে গেলে পর তাকে খুঁজে না পেয়ে তার বন্ধুরাই এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন৷ এরপর ওই আবাসনের দোতলা থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করে তার বন্ধুরাই৷ মৃত ওই তরুণীর নাম অর্পিতা তেওয়ারি৷

পুলিশ সূত্রে খবর, সেই পার্টিতে তার চার বন্ধুবান্ধব ছাড়াও উপস্থিত ছিল তরুণীর প্রেমিকও৷ পুলিশ তাদের প্রত্যেককেই আটক করেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য৷ এই ঘটনাটি আত্মহত্যা না কি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

'এই ব্রহ্মাণ্ডে আমরা একা নই' !!!



‘এই ব্রহ্মাণ্ডে আমরা একা নই। এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি।’ সোমবার রাতে এমনটাই জানালেন পেন্টাগনের গোপন ইউএফও প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা এক প্রাক্তন অফিসার লুই এলিজোন্ডো। সম্প্রতি, পেন্টাগনের গোপন প্রজেক্টের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। পাঁচ বছর ধরে সরকারি ভাবে ওই অভিযান চালিয়েছিল আমেরিকা।

ওই প্রজেক্টের গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন এলিজোন্ডো। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের হয়ে তিনি কথা বলতে পারেন না, তবে ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করে যে প্রমাণ হাতে এসেছে তাতে এলিয়েন এয়ারক্রাফটের পৃথিবীতে আগমনের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি জানান, এমন এয়ারক্রাফটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যা আমেরিকার কাছে নেই, এমনকি অন্য কোনও দেশের কাছেও থাকার কথা নয়। ওই প্রজেক্টে গবেষকদের কাজ ছিল, যে সন্দেহজনক এয়ারক্রাফট দেখা গিয়েছে তা আসলে কি, সেটা খুঁজে বের করা। ওই ধরনের যান পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকারক কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল।

পেন্টাগনের প্রাক্তন ওই অফিসার জানান, একাধিক অস্বাভাবিক এয়ারক্রাফটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এগুলি ‘এরোডায়নামিক্স’-এর নিয়মকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ঢুকে পড়েছিল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। তাঁর দাবি, এগুলিতে কোনও ‘প্রপালসান’ ছিল না। আর এর পিছনে কোনও প্রাণীর চালিত শক্তি ছিল বলেও অনুমান তাঁর।

নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পেন্টাগনের ওই প্রজেক্টে এমন দুটি ভিডিও দেখা গিয়েছে, যেখানে এক মার্কিন পাইলট কোনও সন্দেহনজক বস্তু দেখতে পেয়েছিলেন।

কোটি কোটি ডলার খরচ করে এই গবেষণা চালানো হয়েছে বলে দিন দুয়েক আগে স্বীকার করেছে পেন্টাগন। ২০০৭ সালে এটি শুরু হয় এবং ২০১২ সালে বন্ধ হয়। হাতে গোনা কয়েকজন বাদ দিলে কেউ জানতেন না এই কর্মসূচীর কথা। ওই অভিযান প্রকল্পের নথিতে অদ্ভুত দ্রুত গতিসম্পন্ন আকাশযান ও শূন্যে ভাসতে থাকা বস্তুর কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’। ‘দ্য অ্যাডভানস এরোস্পেস থিয়েটার আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রাম’ নামের ওই কর্মসূচি নিয়ে এক কোটি ৩০ লক্ষ পাতার গোপন নথি প্রকাশ করেছে সিআইএ।

কর্মসূচিটি অবসরে যাওয়া ডেমোক্রেট সিনেটর হ্যারি রিডের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে জানা গিয়েছে। ওই কর্মসূচি শুরুর সময় রিড যুক্তরাষ্ট্র সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা ছিলেন। মহাকাশ গবেষণায় তাঁর বিশেষ উৎসাহ ছিল। বাজেটের ব্যবস্থাও হয়েছিল তাঁর দৌলতেই।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

আশ্রমে নাবালিকা ভক্তদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, কাঠগড়ায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু



গুরমিত রাম রহিমের পর আরও এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর সন্ধান মিলল। ধর্মের বর্ম সামনে রেখেই যার আশ্রমে চলত অবাধে যৌনাচার। জোর করে আটকে রাখা হত নাবালিকাদের। তারপর খুশিমতো যৌনসঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করা হত তাদের। দিল্লির রোহিনি আশ্রমে অভিযান চালিয়ে রীতিমতো সেক্স ব়্যাকেটের সন্ধান পেল পুলিশ।

রোহিনি আশ্রমের সর্বময় কর্তা বীরেন্দ্র দেব দিক্ষীত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বছর পঁচাত্তরের এই ব্যক্তি ধর্মের নামে নিজের যৌন লালসা চরিতার্থ করে চলেছে দীর্ঘদিন। দেখেশুনে এত বয়স্ক বলে মনে হত না তাকে। রীতিমতো সুস্বাস্থ্যের অধিকারী সে। গোড়ার দিকে তার মতলব কেউ বুঝতে পারত না। নিজেকে ধর্মগুরু বলেই পরিচয় দিত সে। আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে আশ্রম খুলে সাধারণ মানুষকে আশ্রমের দিকে টেনে আনত সে। বহু অভিভাবকই তাঁদের কন্যাদের এই আশ্রমে রেখে আসতেন। ছুটির সময় ধর্মশিক্ষা পাবে মেয়েরা, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল অভিভাবকদের। কিন্তু সেই ফাঁদ পেতেই নাবালিকাদের ভোগ করত ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। অভিযোগ, স্ট্যাম্প পেপারে সে লিখিয়ে নিত যে নাবালিকারা স্বেচ্ছায় আশ্রমে এসেছে। কেউ তাদের কোনওরকম জোর করেনি। এরপরই কুকর্মে লাগানো হত তাদের। অনুগামীদের মেয়েদের আশ্রমে যোগ দেওয়ার ব্যাপারেও জোর খাটাত ওই বাবা। তারপর চলত অবাধে যৌনাচার। এক ভক্ত জানাচ্ছেন, নগ্ন হয়ে শুয়ে পড়ত বাবা। তারপর নাবালিকাদের তার শরীরে তেল মালিশ করার নির্দেশ দেওয়া হত।

অভিযান চালিয়ে পুলিশ দেখে, যেভাবে আশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে তাতে নাবালিকাদের পালানোর কোনও উপায় থাকত না। ছোটছোট ঘর, গোপন কামরা, ঘোরানো সিঁড়িতে রীতিমতো গোলোকধাঁধা করে রাখা হযেছে। তার মধ্যেই ছিল গর্ভ মহল। যেখানেই কুকর্মে লিপ্ত হত বাবা। নাবালিকাদের মধ্যে কে কবে ঋতুমতী হচ্ছে তার খোঁজ রাখত বাবা। খবর মিললেই সেই কিশোরীকে তুলে আনা হত। তারপর তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হত ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। ঋতুমতী হলেই মেয়েদের একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করানো হত। সেখানে লেখা থাকত স্বেচ্ছায় আশ্রমে থাকতে চায় তারা। সেই চুক্তিপত্রের কপি অভিভাবক ও স্থানীয় থানাতেও পাঠিয়ে দেওয়া হত। আইনের চোখে ধুলো দিয়ে এভাবেই চলত যৌনাচার। মেয়েদের দেশের বিভিন্ন শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হত। প্রায় অসহায় অবস্থাতেই তাদের যৌন হেনস্তার শিকার হতে হত। যদিও বাবার কুকীর্তি ফাঁস করেন অভিভাবকরাই। অভিযোগ এনে তাঁরা দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তার ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে আরও এই স্বঘোষিত বাবার কীর্তি জানতে পারে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা ভক্তদের গোলাপি শাড়ি আর সাদা ব্লাউজ ছিল পোশাক। বাবা তাদের নাম দিয়েছিল গোপিনী বা গোপিয়া। কৃষ্ণের যেরকম ষোলো হাজার গোপিনী ছিল, তারও পাশে সেই সংখ্যাক নারী থাকুক। এরকমটাই চাইত স্বঘোষিত ধর্মগুরু। সে কারণেই নাবালিকাদের জোর করে আশ্রমে রেখে দিত। চলত লীলা তথা যৌনাচার। বাবার ডেরায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর ওষুধ ও ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ মিলেছে। অনুমান, সেগুলি অবৈধ গর্ভপাতের কাজে লাগানো হত। দ্বাররক্ষী-সহ এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও এখনও বাবার টিকির নাগাল মেলেনি।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

দেশের সেনা জওয়ানদের লড়াইকে সম্মান দিতে, জওয়ানদের ভাতা দ্বিগুণ করল মোদী সরকার



সেনা জওয়ানদের জীবন সহজ নয়। কখনও শত্রুপক্ষের গুলি তো কখনও বরফের কামড়। প্রত্যেক মুহূর্তে বাঁচার লড়াই। আর দেশের সেনা জওয়ানদের সেই লড়াইকে সম্মান দিতে এবার জওয়ানদের ভাতা দ্বিগুণ করল কেন্দ্র। এতে দেশের বীরযোদ্ধাদের উৎসাহ বাড়বে বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

বর্তমানে সিয়াচেনের সেনা অফিসারদের ভাতা প্রতি মাসে ২১০০০ টাকা আর জুনিয়র অফিসারদের ১৪০০০ টাকা দেওয়া হয়। এবার অফিসারদের ভাতা বাড়িয়ে ৪২০০০ টাকা ও জুনিয়র অফিসারদের ভাতা ৩০০০০ টাকা করা হবে। এছাড়া নৌসেনা অফিসারদের সাবমেরিন ভাতা ছিল সর্বোচ্চ ২১০০০ টাকা প্রতি মাসে। সর্বনিম্ন ১৩,৫০০ টাকা। র‍্যাংকের উপর ভিত্তি করে এই ভাতা নির্ধারিত হয়। এবার সাবমেরিনের সব অফিসারদের মাসে ২৫০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। নাবিকদের ভাতা হবে ১৭,৫০০ টাকা।

বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেনে পোস্টিং হওয়াটা জওয়ানদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এবার পার্বত্য অঞ্চলে থাকা সেনা অফিসারদের ভাতা ১৬,৮০০ থেকে বাড়িয়ে ২৫,০০০ টাকা করা হয় আর জুনিয়র অফিসারদের ক্ষেত্রে এই ভাতা ১১,২০০ টাকা থেকে ১৭,৩০০ টাকা করা হবে।

কমান্ডো এবং স্পেশাল ফোর্সের জওয়ানদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়। এরা নিজের জীবন দিয়ে লড়াই করতে পিছপা হয় না। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকেও এরাই অংশ নিয়েছিল। এবার থেকে স্পেশাল ফোর্সের সব অফিসারদের মাসে ২৫০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। ১৩,০০০ থেকে একধাক্কায় এতটা বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় থাকলে ‘রাম’-এর জন্য মাসে ২৪০ টাকা ভাতা দেওয়া হয়। সেই ভাতা বাড়িয়ে ৩৬০ টাকা করা হচ্ছে। এছাড়া অফিসারেরা পাবেন পোশাক ভাতা ২০০০০ টাকা। শহিদ হলে পরিবারকে শেষকৃত্যের জন্য ৬,০০০ টাকা দেওয়া হত, এবার সেটা বাড়িয়ে ৯,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Tuesday, 19 December 2017

শিখদের জোর জবরদস্তি করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে



পাকিস্তানে নিরাপদ নন শিখরা? সেদেশের বাসিন্দা এক শিখ নেতার অভিযোগ কিন্তু সেই ইঙ্গিতই করছে৷ পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের হাঙ্গু জেলার বাসিন্দা ওই নেতার অভিযোগ এক পুলিশকর্তা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ইসলাম ধর্মাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে জবরদস্তিও করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে৷

খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি শিখ সংগঠনের নেতা ফরিদ চাঁদ সিং এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ এই বিষয়ে তাদের পাশে স্থানীয় প্রশাসনও নেই বলে অভিযোগ তাঁর৷ তাল তেহশিলের পুলিশ কর্তা ইয়াকুব খানের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ এনেছেন তিনি৷ ফরিদ জানাচ্ছেন, সংখ্যালঘুদের সমস্যা মেটাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন ইয়াকুব৷ জেলা কমিশনারের কাছে এই মর্মে একটি লিকিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ফরিদ৷ জোর করে ধর্মান্তরিত করার ইস্যুতে আইনী লড়াইয়ে নামতে হলেও তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ওই শিখ নেতা৷ তাঁকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদপত্র এই প্রতিবেদটি প্রকাশ করেছে৷

ফরিদের অভিযোগ, ১৯০১ সাল থেকে হাঙ্গুতে বাস করছে পশতু ভাষাভাষি শিখরা৷ ধর্মীয় বা অন্য কোনও কারমে মুসলিমদের সঙ্গে কোনও সংঘাতে জড়াননি তাঁরা৷ তবে কেন ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য তাদের জোর করা হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা৷

তাঁর আরও বক্তব্য দেশের সংবিধান যেখানে নিজ নিজ ধর্মীয় আচরণ স্বাধীনভাবে যাপন করার অধিকার দিয়েছে৷ সেখানে প্রশাসনের অধিকার নেই তাদের সেই ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার বলে মত তাঁর৷  তবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেনি স্থানীয় প্রশাসন৷ তাদের মতে এরকম কোনও ঘটনা বা এরকম কোনও অভিযোগ এখনও জমা পড়েনি৷ জমা পড়লে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

শরিয়তে নাক গলাচ্ছেন 'মুসলিমদের বিদ্বেষী মোদি', তিন তালাক নিয়ে ক্ষুব্ধ মুসলিম মৌলবিরা



সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও পাশ হয়েছে তিন তালাক বিল। এবার তা নিয়েই ঘোর অনাস্থা প্রকাশ করলেন মৌলবিরা। তাঁদের দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার অর্থ ইসলামিক আইনেই মোদি সরকারের নাক গলানো।

তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালাত। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সুবিচার পেয়েছিল মুসলিম মহিলা সমাজ। তারপর এই প্রথা নিষিদ্ধ করতে বিল প্রণয়ন করা হয়। সম্প্রতি সংসদের উভয় কক্ষেই সেই বিল পেশ করা হয়েছে। একাধিক রাজ্য তাতে সমর্থনও জানিয়েছে। কিন্তু মৌলবিদের বক্তব্য, মুসলাম ধর্মগুরুদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই বিল পেশ করার অর্থ, ইসলামিক আইনকেই ক্ষুণ্ণ করা। এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন আগ্রার মৌলবি মুফতি মহম্মদ মুদাসির খান কাদেরি। আগ্রার এক ইসলামিক ধর্ম সংগঠনের সম্পাদক তিনি। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, “মোদি সরকার আসলে শরিয়তে হস্তক্ষেপ করছে। যদি বিল আনতেই হয়, তাহলে আগে মুসলিম ধর্মগুরুদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।” তাঁর মত, এই বিল যদি সরকার আইনে পরিণত করে তবে তা মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপ হিসেবেই পরিগণিত হবে। কেননা মুসলিমদের স্বার্থে যে বিল তৈরি করা হয়েছে, সেখানে মুসলিম ধর্মগুরুদেরই ডাকা হয়নি। তাঁর দাবি, মোদি সরকার যে মুসলিমদের বিদ্বেষী এ ঘটনা তারই প্রমাণ দিচ্ছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তিন তালাক বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই নানা চাপানউতোর চলছে। ভারতীয় মুসলিম বিকাশ পরিষদের তরফে এই বিলকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়টিকে মোদি সরকার যেন রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যবহার না করে। তাঁদের দাবি, এখনও পর্যন্ত যা অগ্রগতি তাতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। মুসলিমদের জনজীবন উন্নত করার থেকেই হিন্দুদের সন্তুষ্ট করে ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য বলে ধরা দিচ্ছে। অভিযোগ এমনটাই। এই অভিযোগেই সোচ্চার সমাজকর্মী আইনজীবী মহম্মদ আরিফ। তাঁর দাবি, ২০১৯ নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিন তালাক বিলকে একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখছে বিজেপি। এই পদক্ষেপই যদি কংগ্রেস নিত তবে তা তোষণ বলে হইচই পড়ে যেত। বেশিরভাগ মহলই বিল নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। সকলেরই দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি এই আইন তৈরি হতে চলেছে। মুসলিম জনজাতির মান উন্নয়নের থেকেও ‘পলিটিক্যাল স্টান্ট’ হিসেবেই এই পদক্ষেপকে দেখছে মুসলিম সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 17 December 2017

উত্তর-পূর্ব ভারতে সড়ক, বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন, বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, ৯০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর



মিজোরাম ও মেঘালয় সফরে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করলেন।

৬০ মেগাওয়াট টিউরিয়াল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন হওয়ার ফলে সিকিম ও ত্রিপুরার পর উত্তর-পূর্ব ভারতের তৃতীয় রাজ্য হিসেবে মিজোরামে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত হল। এই প্রকল্পে বছরে ২৫১ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯ বছর পরে আজ সেটার উদ্বোধন হল। মিজোরামে এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হল।

এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধের সাহায্যে প্রত্যন্ত গ্রামগুলির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা, মাছ চাষ, পরিবেশ-বান্ধব পর্যটন উন্নত করা যাবে এবং একইসঙ্গে এই অঞ্চলের জলের সমস্যাও মিটবে।

পশ্চিম মেঘালয়ের তুরা থেকে রাজধানী শিলঙ পর্যন্ত দু-লেনবিশিষ্ট ২৭১ কিমি রাস্তারও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাস্তাঘাটের উন্নতির জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।

মিজোরামের রাজধানী আইজলে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির সুফল হিসেবে মিজোরাম শীঘ্রই কম্বোডিয়া, মায়ানমার, ভিয়েতনামের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে। কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রোজেক্টের মাধ্যমে আইজলের সঙ্গে মায়ানমারের সিটবি বন্দরকে যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি উপকৃত হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। গত তিন বছরে ৩,৮০০ কিমি জাতীয় সড়কের জন্য ৩২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ১,২০০ কিমি রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাঁশকে গাছের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের কৃষকদের উপকার হবে।

শিলংয়ে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেঘালয়ের গ্রামগুলির সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা এবং ১০০টি জনবসিতর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য গত সাড়ে তিন বছরে কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় ৪৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইউপিএ সরকারের আমলে ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি অর্থ দেওয়া হয়েছে এনডিএ আমলে। শিলঙ বিমানবন্দর সম্প্রসারণের ফলে শীঘ্রই এখানে বোয়িং ৭৩৭ ও এয়ারবাস ৩২০ বিমান নামবে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

সন্তান প্রসবের পর পায়ুছিদ্র সেলাই!!! চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় জীবন সংশয়ে পরে যায় প্রসূতির



সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির পায়ুছিদ্র সেলাই! চিকিৎসকের মারাত্মক ভূলে প্রাণ যায় যায় অবস্থা প্রসূতির। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে। পরে সুপারের আশ্বাসে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির পায়ুছিদ্র সেলাই করে ফেলে হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। ফলে পেট ফুলতে থাকে রোগিনীর। চিকিৎসকের এই ভুল চিকিৎসায় জীবন সংশয়ে পরে যায় প্রসূতি। তাঁকে ঘিরে বুধবার উত্তেজনা ছড়ায় রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে। হাসপাতাল সুপার সুবোধ মণ্ডলের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

মুরারই থানার ধৃতরা গ্রামের পারভিন বিবি প্রসবযন্ত্রনা নিয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে ভরতি হন। বছর খানেক আগে নলহাটির নামুপাড়ায় লালাচাঁদ শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। গত পনেরো দিন আগে পেটের ব্যথা নিয়ে বাপের বাড়ির কাছে মুরারই গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

পরদিন তাকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য  জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফরসেফ করে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন পারভীন। অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক অজয় মণ্ডল প্রসূতির ফরসেফ করার পর ভুলবশত পায়ুনালী ও মুত্রনালী এক সঙ্গে সেলাই করে ফেলেন। এরপরেই ওই প্রসূতি বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পেট ফুলে যায়। পুনরায় তাকে মুরারই গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভুল চিকিৎসার ফলে মহিলার অবস্থা ভাল নয়। সেখান থেকে প্রসূতিকে রামপুরহাটে পাঠানো হয়। এরপর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসক অমিতাভ বড়াল ভুল চিকিৎসার কথা জানিয়ে দেন পরিবারকে। সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পেটে সংক্রমণ হয়েছে। সেটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তা না শোকানো পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করা যাবে না। ততদিন বাড়িতে রেখে চিকিৎসা চালাতে হবে। সেই মর্মে গত শুক্রবার বাড়ি নিয়ে আসা হয় পারভিনকে। বাড়িতে ফিরেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন পারভিন।

বুধবার তাকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি না নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বাইরে ফেলে রাখেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল সুপার ওই প্রসূতিকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে পাঠানোর আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

লালচাঁদ বলেন, “চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রীর অবস্থা এখন সংকটজনক। নিজের দোষ ঢাকতে চিকিৎসক অজয় মণ্ডল আমাদের বিভ্রান্ত করেছেন”। হাসপাতাল সুপার সুবোধ মণ্ডল বলেন, “চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছুটা ভুল হয়েছে। আমরা তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করব। দুদিন রামপুরহাটে রেখে শুক্রবার কলকাতার পিজিতে
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করতে , এমডিআর চার্চ দিতে লাগবেনা আর


দু’হাজার টাকা পর্যন্ত ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেটস বা এমডিআর  ব্যাংকগুলিকে মিটিয়ে দেবে খোদ কেন্দ্রই। নোটবন্দীর এক বছর পেরিয়ে আসার পরও ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যবসায়ী অথবা ব্যাংকের উপর কোনও বোঝা থাকবে না। পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) যন্ত্রে কার্ড ঘষে কেনাকাটার জন্য দোকানগুলিকে এইজন্য  টাকা ব্যাংকের কাছে জমা দিতে হয়। যাতে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা আও বেশি করে এভাবে লেনদেন করে তাই আপাতত কেন্দ্রের এই খরচ বহন করবে৷
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি থেকে দু’বছরের জন্য এই সুবিধা মিলবে। এটি  প্রযোজ্য হবে যে কোনও ডেবিট কার্ড, ভীম ইউপিআই অ্যাপ এবং আধারের মাধ্যমে করা লেনদেনগুলির ক্ষেত্রে। এ জন্য কেন্দ্রের ভাড়ার  থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা যাবে।
মন্ত্রী জানান, ডেবিট কার্ড থাকলেও, বহু ক্ষেত্রে কম অঙ্কের লেনদেনে মানুষ নগদে টাকা মেটাতেই চান৷  অথচ দেখা যায় এইরকম ছোট লেনদেনগুলি মিলে মোট লেনদেনের অনেকটা জুড়ে রয়েছে। তাই সেই সব মানুষকে ডিজিটাল পরিষেবার আওতায় আনতেই এমন উদ্যোগ৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

টাকা ধার নিয়ে সময়মতো দিতে পারেনি, যুবতির গোপনাঙ্গে হাত দিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী



টাকা ধার নিয়ে সময়মতো দিতে পারেনি। এটাই নাকি অপরাধ। আর তাই দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে পরিবারের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। বাবার সামনেই দুই মেয়ের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। বড় মেয়ের গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে কটূক্তিও করা হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পরিবার। দ্বারস্থ হয়েছে আদালতের। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার সোহাই-শ্বেতপুরের মির্জাপুর গ্রামের।

কিছুদিন আগে প্রতিবেশী বৃহস্পতি মণ্ডলের কাছ থেকে তিরিশ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন সুমনা মণ্ডল (নাম পরিবর্তিত)। সুদে নেওয়া টাকা শোধ করতে দেরি হয়। তাও ১০ হাজার টাকা মিটিয়ে দিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, দিতে পারেননি। ডাকা হয় সালিশিসভা। সভায় সুমনার পরিবারের কেউ যায়নি। টাকাও মেটাতে পারেনি। অভিযোগ, সোমবার রাতে (১১ ডিসেম্বর) তাদের বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের নিয়ে চড়াও হয় বৃহস্পতি। সে সময় সুমনা বাড়ি ছিলেন না। তিনি টাকা জোগাড় করতে বেরিয়েছিলেন। বাড়ি ছিলেন তাঁর স্বামী ও দুই মেয়ে।

সুমনার অভিযোগ, “বৃহস্পতি ও অন্য দুষ্কৃতীরা বাড়ি ঢুকেই অকথ্য গালিগালাজ শুরু করে। টাকা মেটানোর জন্য হুমকি দেয়। আমি টাকা আনতেই গিয়েছিলাম। মেয়ে ফোন করে। বলে, মা তাড়াতাড়ি এসো। ওরা মেরে ফেলবে। আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মাথাও ফাটিয়ে দেয়। সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয়। বড় মেয়ে আটকাতে যায়। ওরা মেয়েকে বলে,  তোর মা অসভ্য। তুই অসভ্য। কলেজে পড়িস না। ..... করিস। তোর মা এখানে থাকলে ওখানে বিচুটি পাতা ঘষে দিতাম। এরপর আমার মেয়ের গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে বলে, তোর এটা...। ছোটো মেয়েরও শ্লীলতাহানি হয়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা আসে। তখন পালিয়ে যায় ওরা।”

দেগঙ্গা থানায় দুষ্কৃতী জলধর মণ্ডল, বৃহস্পতি সহ ন’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় মণ্ডল পরিবার। কিন্তু, সুমনার অভিযোগ, “দুষ্কৃতীরা শাসকদলের মদতপুষ্ট হওয়ায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” এরপর বৃহস্পতিবার ওই পরিবার বারাসত আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালতের নির্দেশে সেদিনই নির্যাতিতা যুবতির গোপন জবানবন্দী নেওয়া হয়। এদিকে, আতঙ্ক ও লজ্জায় গতকাল আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই যুবতি। স্থানীয়রাই তাকে উদ্ধার করে। বিচারের আশায় গতকালই সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয় সুমনার পরিবার। সুমনার প্রশ্ন, “প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ? আমি যখন থানায় গিয়েছিলাম, তখন বড়বাবু বলেন, টাকা তছরূপ করছেন। আমি জানি এটা। তাহলে ওনাকে কি কেউ আগে থেকে এবিষয়ে জানিয়ে রেখেছে ?" এবিষয়ে দেগঙ্গা থানার তরফে কিছু বলা হয়নি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

লভ জিহাদে রাশ টানতে, নয়া নির্দেশিকা রাজস্থান হাইকোর্টের



ভিন্‌ ধর্মে বিয়ে করতে গেলে নিতে হবে জেলাশাসকের অনুমতি। লভ জিহাদে ‘রাশ টানতে’ নয়া নির্দেশিকা রাজস্থান হাইকোর্টের।

শুক্রবার লভ জিহাদ নিয়ে এক মামলার শুনানিতে এই নির্দেশিকা ঘোষণা করেন রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি জিকে ব্যাস।

চিরাগ সিঙ্গভি নামে এক ব্যক্তি রাজস্থান হাইকোর্টে মামলা করেন, তাঁর বোন পায়েলকে মগজধোলাই করে ধর্মান্তরণ করিয়ে এক মুসলিম যুবক বিয়ে করেছেন। তাঁর বোন পায়েলের নতুন নামকরণ হয়েছে আরিফা। এর পর গত ২৮ নভেম্বর রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি জিকে ব্যাস এবং বিনীত মাথুর এক নিরপেক্ষ অফিসারকে রাজ্যে ধর্মান্তরণ করিয়ে বিয়ে সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন।

ওই অফিসারের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পরেই রাজ্যে ধর্মান্তরণের পর বিয়ের জন্য একটি ১০ পয়েন্টের গাইডলাইন দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট।

তাতে বলা রয়েছে, যে বা যাঁরা ধর্মান্তকরণ করাতে ইচ্ছুক তাঁদের কমপক্ষে ৩০ দিন আগে জেলাশাসককে জানাতে হবে। জেলাশাসকের নির্দেশ মতো সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে হবে। সব কিছু খতিয়ে দেখবেন জেলাশাসক। যদি দেখা যায়, বলপূর্বক বা মগজধোলাই করা হয়নি এবং ওই মহিলা বা পুরুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন— তবেই একমাত্র জেলাশাসক ধর্মান্তরণের অনুমতি দেবেন। আর আইনত ধর্মান্তরণের এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে বিয়েটা সেরে ফেলতে হবে।

কেউ যদি হাইকোর্টের এই গাইডলাইন না মেনে ধর্মান্তরণ করান এবং বিয়ে করেন, তা হলে তার বিয়ে আইনত স্বীকৃতি পাবে না। গাইডলাইন না মানার শাস্তি পাবেন ওই ব্যক্তি এবং কোনও সংস্থা এর জন্য দায়ী থাকলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ব্যাস।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

নোট বাতিলের পদক্ষেপ অত্যন্ত বলিষ্ঠ, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে ভারতে, ভূয়সী প্রশংসা IMF এর



নোট বাতিল নিয়ে দেশে কম বিতর্ক হয়নি। তা সত্ত্বেও মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের পাশেই আবারও দাঁড়াল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ)। তাদের বিশ্বাস, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে ভারতে। ভারতের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপরেই দাড়িয়ে রয়েছে। আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দা নোট বাতিল ও জিএসটি-র ভূয়সী প্রশংসা আগেই করেন। দুই পদক্ষেপ অত্যন্ত বলিষ্ঠ বলেও উল্লেখ করে আইএমএফ। নোট বাতিল ও জিএসটি-র ফলে অর্থনীতি যে সাময়িক শ্লথ হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না বলে এবার উল্লেখ করলেন আইএমএফ-এর অন্যতম কর্তা উইলিয়াম মারে। তাঁর দাবি, “কয়েকমাস আগে ভারত সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার প্রভাব ধীরে ধীরে বাজারে পড়তে বাধ্য।” বাজারে নোট বাতিলের প্রভাব সাময়িকভাবে পড়লেও তা কেটে যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী সুর শোনা গিয়েছে মারের গলায়। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আইএমএফের তরফে মারে স্বীকার করে নেন, “তথ্যে ভুল নেই।” তিনি বলেন, “মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে ভারতের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে।”

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্ট প্রকাশ করে আইএমএফ জানায়, ভারতে বৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়েছে। আর এ জন্য ভারত সরকারের নোট বাতিল ও জিএসটি চালু করাকেই দায়ী করে আইএমএফ। আগের অবস্থান থেকে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার আগেই জানায়, ভারতের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপরই দাড়িয়ে রয়েছে। ফের সেই বক্তব্যেই সিলমোহর দিল আইএমএফ। অন্যদিকে, দেশের জনপ্রিয়তম নেতা এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনপ্রিয়তায় তাঁর আশেপাশে কেউ দাঁড়াতেই পারবে না, এমনটাই বলছে একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা। ২০১৯ লোকসভা ভোটে মোদিকে দেখে পদ্মফুলে ভোট দেবেন দেশের ৭৯% নাগরিক, জানাচ্ছে ওই সমীক্ষা। নোট বাতিল থেকে শুরু, তারপর আধারকে বাধ্যতামূলক করা, বিনা পরিকাঠামোয় জিএসটি চালু- প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের একাংশের মানুষ প্রতিবাদে সরব হন। বিরোধীরাও শোরগোল জুড়ে দেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। দেশজুড়ে ধর্মীয় সংকীর্ণতার জিগির উঠিয়ে আসন্ন লোকসভা ভোটে ফায়দা লুটতে চাইছে বিজেপি, অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। কিন্তু এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এখনও নোট বাতিল বা সচিত্র পরিচয়পত্র হিসাবে আধারকে বাধ্যতামূলক করার পদক্ষেপকে সদর্থক হিসাবেই দেখছেন অধিকাংশ দেশবাসী। অবিলম্বে ভোট হলে দেশের চারভাগের মধ্যে তিনভাগেরও বেশি মানুষ মোদিকে ভোট দেবেন বলে ওই সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

২০১৯ লোকসভা ভোটে মোদিকেই ভোট দেবেন ৭৯% দেশবাসী, এমনটাই বলছে একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা



দেশের জনপ্রিয়তম নেতা এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনপ্রিয়তায় তাঁর আশেপাশে কেউ দাঁড়াতেই পারবে না, এমনটাই বলছে একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা। ২০১৯ লোকসভা ভোটে মোদিকে দেখে পদ্মফুলে ভোট দেবেন দেশের ৭৯% নাগরিক, জানাচ্ছে ওই সমীক্ষা।

নোট বাতিল থেকে শুরু, তারপর আধারকে বাধ্যতামূলক করা, বিনা পরিকাঠামোয় জিএসটি চালু- প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের একাংশের মানুষ প্রতিবাদে সরব হন। বিরোধীরাও শোরগোল জুড়ে দেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। দেশজুড়ে ধর্মীয় সংকীর্ণতার জিগির উঠিয়ে আসন্ন লোকসভা ভোটে ফায়দা লুটতে চাইছে বিজেপি, অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। কিন্তু এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এখনও নোট বাতিল বা সচিত্র পরিচয়পত্র হিসাবে আধারকে বাধ্যতামূলক করার পদক্ষেপকে সদর্থক হিসাবেই দেখছেন অধিকাংশ দেশবাসী। অবিলম্বে ভোট হলে দেশের চারভাগের মধ্যে তিনভাগেরও বেশি মানুষ মোদিকে ভোট দেবেন বলে ওই সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম নয়টি ভাষায় অনলাইনে এই সমীক্ষা চালায় ১২-১৫ ডিসেম্বর। ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই সমীক্ষায় নিজেদের মতামত জানান। মাত্র ২০% মানুষ বলছেন, তাঁরা কংগ্রেসের নয়া প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে ভোট দেবেন। শনিবার সভাপতি পদে অভিষেকের আগে রাহুলের প্রতি এই বার্তা যথেষ্ট হতাশাব্যঞ্জক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কংগ্রেসের জন্য আরও খারাপ খবর হল, ৭৩% মানুষই বিজেপির বিকল্প হিসাবে কংগ্রেসকে দেখতে চান না। তাঁরা মনেই করেন না যে কংগ্রেস দেশ চালাতে পারে। ৩৭% মানুষ জানিয়েছেন, গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি পদে বসালে তাঁরা কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা ভাববেন।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Saturday, 16 December 2017

প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ট মা, দেখে ফেলায় মায়ের হাতে খুন ছয় বছরের মেয়ে



প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ট অবস্থায় দেখে ফেলেছিল ছয় বছরের মেয়েটি। বাবাকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার কথা সে জানিয়েছিল তার মাকে। শেষে সেই 'অপরাধেই' মায়ের হাতে খুন হতে হল সেই একরত্তি শিশুটিকে। বুধবার রাতে এমনই এক ঘটনা ঘটে পূর্ব দিল্লির গাজিপুরে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি যাতে জানাজানি না হয়, তাই প্রেমিককে নিয়ে মেয়ে খুন করে ওই মহিলা। গলার নলি কেটে খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মা ও তার প্রেমিক সুধীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ২৯ বছরের ওই মহিলার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্বামী ঠেলাগাড়ি চালান। অনেক দিন ধরেই সুধীরের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। ওই এলাকাতেই থাকত সে। দিনমজুরের কাজ করে সে। প্রতিনিয়তই মহিলার বাড়িতে তাকে দেখা যেত।

পুলিশ সূত্রে, বুধবার রাতে মহিলার স্বামী মদ্যপান করতে কাছে কোথাও গিয়েছিলেন। বাড়িতে দুই ছেলে টিভি দেখছিল। সেই সময় বাড়িতে আসে সুধীর। তাঁদের দু’জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পায় তার মেয়ে। পরে তার বাবাকে জানিয়ে দেবে বলে জানায় ওই মেয়েটি।

এর পরই সুখেনের সঙ্গে ছক কষে খুন করা হয় মেয়েটিকে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সুধীর। মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে দাবি করে পড়শিদের কাছে বিষয়টি জানান মহিলা। শেষে জানানো হয় পুলিশকে। এরপর পাশের বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় মেয়েটির রক্তাক্ত দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘তদন্তের প্রথম দিকে অভিযুক্ত মহিলা চুপ করে থাকলেও অবশেষে জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে।’
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে, কোনও ব্যবস্থা নিল না থানা



কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তর নাম রাজা সর্দার। এর আগেও এলাকার দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, মগরাহাট থানায় অভিযোগ জানালেও তারা এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার। ওইদিন কিশোরীর বাবা ও মা বাড়িতে ছিলেন না। রাস্তার কল থেকে স্নান করে ফিরছিল বছর ১৪-র ওই কিশোরী। সেই সময় অভিযুক্ত রাজা সর্দার তার রাস্তা আটকায়। গামছা দিয়ে হাত বেঁধে, মুখ চেপে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই কিশোরীকে ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মগরাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার।

কিশোরীর মা বলেন, “রাজা যখন মেয়েকে ধর্ষণ করছিল তখন অনেকেই দেখেছিল। কিন্তু, কেউ বাধা দেয়নি। উলটে ধর্ষণের পর রাজার মা তাকে নিয়ে বাড়ি চলে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হতে অভিযুক্তর মা বাড়ি এসে তা চেপে যেতে বলে।” কিন্তু তাদের কথা না শুনে থানায় অভিযোগ জানানোয় কিশোরীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন কিশোরীর মা। বলেন, “অভিযোগ জানানোর পর থেকে পুলিশ এখনও পর্যন্ত আমার মেয়ের শারীরিক পরীক্ষা করায়নি। অভিযুক্ত এখনও এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন, “রাজা এর আগেও এলাকার দুটি মেয়েকে ধর্ষণ করে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে তখন কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। তার রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় অভিযোগ জানায়নি কেউ।”

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের, সংঘের স্কুল বন্ধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ল রাজ্য সরকার



সংঘের স্কুল বন্ধ করতে গিয়ে আদালতে বিপাকে পড়ল রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশ ছাড়া সংঘ পরিচালিত স্কুলগুলি রাজ্য বন্ধ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।

পরিকাঠামোর অভাব এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অনুমোদন ছাড়াই চলছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ কর্তৃক পরিচালিত স্কুলগুলি। অবিলম্বে সেগুলি বন্ধ হওয়া উচিত। এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর। সেই নির্দেশ মতো বন্ধ হয়ে যায় ওই জেলায় সংঘ পরিচালিত ১০টি স্কুল।

রাজ্যে সংঘের প্রসার ঠেকাতে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার স্কুলগুলি বন্ধ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংঘ পরিচালিত স্কুলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরেই উত্তর দিনাজপুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আদালতে এমনই অভিযোগ করেছেন স্কুল কমিটির আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়।

সংঘের সংস্থা উত্তরবঙ্গ সারদা ট্রাস্টের অধীনে উত্তর দিনাজপুর জেলায় মোট ১০টি স্কুল চলে। যার মধ্যে রয়েছে সারদা শিশুতীর্থ স্কুল। চলতি বছরের মার্চ মাসের চার তারিখে ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর স্কুল বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সেই নির্দেশ কার্যকর হওয়ার পর সেই দশটি স্কুলে একত্রিত হয়ে মামলা করে কলকাতা হাই কোর্টে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিগত ১০ বছর ধরে স্কুলগুলি চলছে।

১২ মে ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টরের জারি করা বিজ্ঞপ্তির উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের মামলা করে রাজ্য সরকার। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্য্যের বেঞ্চে ওঠে সেই মামলা। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিন আদালতে কেন্দ্রের আইনজীবী অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ্র বলেন, “শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার, তাই এটা কেউ খর্ব করতে পারে না।” উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এদিন রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন যে যতদিন না পর্যন্ত রায়দান হচ্ছে ততদিন স্কুল বন্ধ করতে পারবে না রাজ্য।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Friday, 15 December 2017

বৌদি’র সঙ্গে জোর করে বিয়ে, আত্মহত্যা কিশোরের



বিধবাকে বৌদি’র সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর। বয়সে ১০ বছরের বড় স্ত্রী’কে মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যা করল ১৫ বছরের এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গয়া জেলায়।

বাল্য বিবাহের যে ঘটনাগুলি এদেশে সাধারণত শোনা যায়। এটি তা নয়। তাই এক কিশোরকে জোর করে বৌদি’র সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। গত সোমবার ঘটনাটি ঘটে গয়ার বিনোবা নগরে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম মহাদেব দাস। জেলার এক সরকারি স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়াশোনা করত সে। জানা গেছে, দাদা সন্তোষের মৃত্যুর পর বৌদি রুবির সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় মহাদেবের। সন্তোষ ও রুবির দুই সন্তান রয়েছে। গ্রামের এক মন্দিরে পরিবার ও আত্মীয়দের উপস্থিতিতে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের সাক্ষী হিসেবে ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আত্মহত্যা করে মহাদেব। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Tuesday, 12 December 2017

কি বলছেন শম্ভুলাল, কেন করেছিলেন এমন জঘন্য কাজ !!!



পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা আফরাজুল খানকে হত্যার মামলায় আপাতত শম্ভুলাল রেগরকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তাকে জেরা করে গোটা ঘটনা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

কি বলছেন শম্ভুলাল, কেন করেছিলেন এমন জঘন্য কাজ ?






Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ত্রিপুরায় কালী মন্দিরে ভাঙচুর, কালী ও শিবমূর্তির চুল ছিঁড়ে মাটিতে



ত্রিপুরায় কালী মন্দিরে ভাঙচুর চালাল দুষ্কৃতীরা। 11 Dec রাতে গোমতী জেলার জামজুরি এলাকার একটি কালী মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। কালী ও শিবমূর্তির চুল ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পুজোর সামগ্রী ভেঙে দেয়। সকালে স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখতে পায়।

ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী উদয়পুর-সোনামুড়া সড়ক অবরোধ করে। প্রায় দু’ঘণ্টা চলে অবরোধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে কাঁকড়াবন থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলা হয়। দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া মহকুমার গাবুরছাড়া মগপাড়ায় 11 Dec রাতে কালী মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানেও কালীমূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকাবাসীরা বলছেন, এটা শাসকদলের চাল। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা বাধানোর চেষ্টা করছে। রাজ্যে BJP বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের ঠেকাতে এসব পরিকল্পনা নিচ্ছে CPI(M)। 
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

চীন গত দুই মাসে ডকলামে নতুন সড়ক তৈরি করেছে, উপগ্রহ থেকে ছবি প্রকাশ



যদিও ডকলামে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ এখনও শান্ত, তবে চীন সকলের চোখ থেকে এটি লুকিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে। চীন গত দুই মাসে ডকলমে গোপনে নতুন রাস্তা তৈরি করেছে। সীমান্তের সংলগ্ন এলাকার উপগ্রহের নতুন ছবি দেখাচ্ছে যে চীনের রোড ওয়ার্কাররা বিদ্যমান সড়ককে প্রসারিত করেছেন, বিতর্কিত এলাকায় অনেকটা অংশ নিয়ে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এখান থেকে প্রায় একটু দূরে যেখানে 70 দিন ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও চীনা সৈন্যরা সংঘর্ষের মধ্যে অবস্থান করেছিল।

স্যাটেলাইটের ছবি থেকে এটি স্পষ্ট হয় যে চীন ডকলামে নতুন সড়ক নির্মাণ করেছে। যদি উপগ্রহের ছবিগুলি বিশ্বাস করা হয়, তবে রাস্তাটির নতুনতম সীমাটি প্রায় এক কিলোমিটারে ছড়িয়ে আছে এবং এটি বিতর্কিত সাইটের 4.5 কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।

সীমান্তের সংলগ্ন রাস্তাটির দ্বিতীয় নতুন সম্প্রসারণ বিতর্কিত সাইটটির প্রায় 7.3 কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এবং এটা উত্তর দিকের প্রায় 1.2 কিলোমিটারে ছড়িয়ে আছে।

গত 13 মাসে, এই এলাকায় চীনা সড়ক নির্মাণ কার্যক্রমের পুরোনো স্যাটেলাইট ইমেজের তুলনায় এটা স্পষ্ট যে, ফেব্রুয়ারি 19-এর পর নতুন অংশ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু অন্তত দুটি অংশ সম্প্রতি 17 অক্টোবর এবং 8 ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে।

জুনের মাঝামাঝি সময়ে, ভারতীয় সৈন্যরা সিক্কিম সীমান্ত অতিক্রম করে "চিকেন নেক" এর কাছাকাছি চীনা সড়ক নির্মাণ বন্ধ করে দেয় এবং ভারত এর সংকীর্ণ চিকেন নেক এলাকার কাছে একটি কৌশলগত রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করে দেয়।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 10 December 2017

বিমানে ‘শ্লীলতাহানি’ করা হল দঙ্গল-এর অভিনেত্রী কে, চোখে জল অভিনেত্রীর

 


দঙ্গল-এর দৌলতে গোটা দেশে তিনি পরিচিত মুখ। তাঁর অভিনয় দক্ষতা কুর্নিশ আদায় করেছে প্রায় সকলেরই। হেনস্তার হাত থেকে তবু মুক্তি পেলেন না তিনি। বিমানের মধ্যেই তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হল। এমনই অভিযোগ অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিমের।



অভিজাত বিমানসংস্থা ভিস্তারার যাত্রী ছিলেন জায়রা। সেখানেই অশালীন আচরণের মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওয় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। তিনি জানাচ্ছেন, কোন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল। যে সিটে জায়রা বাসেছিলেন, ঠিক তার পিছনের সিটেই যাত্রী ছিলেন এক প্রৌঢ়। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রথমে তার পা জায়রার সিটে তুলে দেয়। প্রতিবাদ করেন জায়রা। তাতে হিতে বিপরীত হয়। পা নামাতে অস্বীকার করে ওই ব্যক্তি। উলটে নানাভাবে হেনস্তা করতে থাকে তরুণী অভিনেত্রীকে। পুরো ঘটনায় চোখে জল জায়রার। তিনি জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তি পা দিয়েই এরপর তাঁকে খোঁচাতে থাকে। শরীরের আপত্তিকর জায়গায় স্পর্শ করেন। বিমানের মধ্যে আধো অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই কুকর্ম চালাতে থাকে ব্যক্তিটি। আলো এত কম ছিল যে, পুরো ঘটনার ঠিকঠাক ভিডিও করতে পারেননি অভিনেত্রী। তবে তাঁর অপর ভিডিওয় স্পষ্ট যে, ঘটনায় কতটা আহত হয়েছেন এই কাশ্মীরি কন্যা।




নারী নির্যাতন দেশে যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে। তা শুধু প্রত্যন্ত এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। জায়রার ঘটনা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, নির্যাতনকারীর মানসিকতায় কোনও ফারাক নেই। সে অভিজাত কোনও বিমানের অভ্যন্তরে হোক বা অন্য কোথাও। প্রায় প্রতিটি জায়গায় নারী নিজেকে সুরক্ষিত মনে করতে পারে না। কাঁদতে কাঁদতে জায়রার তাই প্রশ্ন, “এভাবে কেউ কারও সঙ্গে কী করে ব্যবহার করতে পারে? কেউ মহিলাদের সাহায্য করে না। যদি আমরাই আমাদের সাহায্য না করি, তাহলে কেউ এগিয়ে আসবে না।”



জায়রার অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে ভিস্তারা কর্তৃপক্ষ। জায়রার মতো তরুণী যদি এরকম অভিজাত সংস্থায় শ্লীলতাহানির শিকার হয়, তবে সংস্থার জন্যও তা ভাল বিজ্ঞাপন নয়। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে জায়রারা ঘটনা গোটা দেশকেই এক বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল। নারী সুরক্ষা নিয়ে দেশ জুড়ে কম কথা হয় না। সেইসঙ্গে প্রায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারী নির্যাতনও। এর শেষ কোথায়? জায়রার ভিডিও যেন সে প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

টাকা তুলতে ATM পিন দিয়েছেন, টাকা কাটার SMS এসে গিয়েছে অথচ টাকা বেরোয়নি : কি করবেন আপনি ?



সময় যত এগোচ্ছে, পাল্লা দিয়ে আসছে নিত্যনতুন প্রযুক্তি। কিছু প্রযুক্তির সুফল সত্যি পাচ্ছেন মানুষ। কিছু আবার মানুষকে করে তুলছে আরও বিব্রত। একটা কথা সকলেই প্রায় একবাক্যে স্বীকার করবেন, যে এটিএম এসে যাওয়ায় ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা তোলার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও সত্যি যে, সেই এটিএম বিগরোলে একজন সাধারণ মানুষ যতটা বিপদে পড়েন, ততটা বিপদ হয়তো ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা তুললে পড়তেন না।

নোট বাতিলের পর দেশের বহু এটিএম মেশিনই একাধিকবার গ্রাহকদের বিপদে ফেলেছে। যেখানে ‘রি-ক্যালিব্রেশন’ করে এটিএমকে আরও আধুনিক করার কথা, সেখানে বরং হয়েছে উলটোটাই। মানুষ এটিএমে গিয়ে বহুবার বিপদে পড়েছেন। টাকা তুলতে চেয়ে পিন দিয়েছেন, অথচ টাকা বেরোয়নি। কিন্তু এসএমএস এসে গিয়েছে যে টাকা আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চোখে অন্ধকার দেখেন সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে ছুটতে হয় ব্যাঙ্কে। নোট বাতিলের পর সেখানেও অতিরিক্ত কাজের চাপ নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের অল্প কিছু টাকা সংক্রান্ত অভিযোগ নিতে বেশ কিছু ব্যাঙ্কই টালবাহানা করে। কিন্তু এ কথা কি জানেন যে এটিএম থেকে টাকা না বেরলে আপনি ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, এটিএম থেকে টাকা না বেরলে প্রতিদিন আক্রান্ত গ্রাহককে ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে।

কী বলছে RBI?

১. সাতদিনের মধ্যে গ্রাহকের অভিযোগের সুরাহা করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে।

২.  সাতদিনের মধ্যে গ্রাহকের অভিযোগের সুরাহা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আক্রান্ত গ্রাহককে। অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক টাকা দিতে অস্বীকার করলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন।

৩. তবে এর জন্য গ্রাহককে ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কাছে হাতে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ নথিভুক্ত করতে হবে। ৩০ দিন পর অভিযোগ করলে বাড়তি ক্ষতিপূরণ না মিললেও গ্রাহকের পুরো টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে যেটি এটিএম থেকে তোলার সময় কাটা হয়েছিল, অথচ গ্রাহক হাতে পাননি।

২০১১-র পয়লা জুলাই থেকেই এই নিয়ম চালু রয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মেয়েকে গরম গরম কড়াইয়ের উপর বসিয়ে দেয় মা, পুড়ে যায় শিশুটির শরীরের একাধিক জায়গা



সামনে এল আরেক রাজ্যের চার বছরের এক শিশুকন্যার করুণ কাহিনি। না হায়দরাবাদের এস আর নগরের একরত্তি শিশুকন্যাটির উপর যৌন হেনস্তা নয়, তবে তার উপর নিত্য চলেছে শারীরিক অত্যাচার। আর সেই অভিযোগ উঠেছে খোদ শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে নিজের মেয়েকে গরম কড়াইয়ের উপর বসাতেও দ্বিধাবোধ করেনি অভিযুক্ত মহিলা।

জানা গিয়েছে, গত রবিবার সকালে নমপল্লির একটি সেন্টারে যায় ললিতা নামে অভিযুক্ত মহিলা এবং এক ব্যক্তি। সঙ্গে ছিল চার বছরের মেয়েটিও। সেন্টারে উপস্থিত আধিকারিকদের তারা জানায়, শিশুটিকে রেলস্টেশন থেকে কুড়িয়ে পেয়েছেন। তারা তাকে নিজেদের কাছে রাখতে চাইলেও শিশুটি থাকতে চাইছে না। কিন্তু আধিকারিকরা পাতানো এই গল্পে বিশ্বাস করেননি। এরপর ওই দু’জনকে একটু চাপ দিতেই বেরিয়ে আসে সারসত্য। ওই মহিলা জানায়, মেয়েটি আসলে তারই। কিন্তু তাকে তিনি নিজের কাছে রাখতে চান না, তাই এভাবে শিশুটিকে দূরে সরাতে চান। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হলে, পুলিশ এসে ওই দু’জনকে আটক করে। পরে জানা যায়, ওই মহিলা আসলে বিবাহিত। আগে শ্রীকাকুলামে থাকতেন। তার মোট তিনজন কন্যাসন্তান রয়েছে। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বসবাস না করে নিজের প্রেমিকের সঙ্গে এস আর নগরে চলে আসে ললিতা। সেখানেই দু’জন একটি জায়গায় কাজে যোগ দেয় এবং একসঙ্গে থাকতেও শুরু করে। কিন্তু বারংবার তার প্রেমিক ওই চার বছরের শিশুটিকে নিজেদের কাছে রাখার জন্য আপত্তি জানাতে থাকে। এমনকী ললিতার উপর নানাভাবে চাপও সৃষ্টি করতে থাকে।

এরপরই জেরায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারেন পুলিশের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, চারদিন আগে গরম কড়াইয়ের উপর মেয়েকে বসিয়ে দেয় ওই মহিলা। এমনকী তাকে মারধরও করে। এর ফলে শরীরের একাধিক জায়গায় পুড়ে যায় শিশুটির। যদিও ওই মহিলা জানিয়েছে, সে ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ঘৃণ্য কাজটি করেনি। হাত থেকে ল্যাপটপ ফেলে দেওয়ার জন্য ললিতা মেয়েকে চড় মারে আর তারপরই সে গরম কড়াইয়ের উপর পড়ে যায়। ইতিমধ্যে পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা গোটা ঘটনাটির তদন্ত করছে। তারপরই তাঁরা শিশুটির ভবিষ্যতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করার অপরাধে এক হিন্দু যুবকের শিরচ্ছেদ করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদে, কিন্তু প্রতিবাদ করেনি কেউ

   
প্রতীকী ছবি


রাজস্থানে মুসলিম ব্যক্তিকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় আশানুরুপ ভাবেই সেকুলার, বামপন্থী এবং বুদ্ধিজীবীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সুবাই মিলে একযোগে rss, bjp তথা হিন্দু সমাজকে খুনি সন্ত্রাসী বলছে যারা অনান্য সব ঘটনায় হয় চুপ থাকে বা বলে বেড়ায় সন্ত্রাসের কোন ধর্ম হয়না। যদিও শত চেষ্টার পরেও rss বা বিজেপির কোন যোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

একটু কৌতূহল বশত পুরনো ঘটনা খুঁজতে গিয়ে জানাগেল ২০০৮ সালে মুর্শিদাবাদের মাটিতে ঘটে যাওয়া এক নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা যেখানে মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করার অপরাধে স্থানীয় ধর্মীয় মোড়লদের বিচারে এক হিন্দু যুবকের শিরচ্ছেদ করা হয়েছিল। তখন সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। তাই খবরটা স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই মিডিয়া চেপে গিয়েছিল। যদি সেটা ভিডিও করা হতো তাহলে সেটা রাজস্থানের ঘটনার থেকে অনেক বেশী বীভৎস হতো।


৩০ বছর বয়সী বিহারের মূল নিবাসী শৈলেন্দ্র মুম্বাইয়ে নির্মান্ন কর্মীর কাজ করতো। তার স্ত্রী মুর্শিদাবাদের মানেরাও পরিবারের আর্থিক সমস্যার জন্য মুম্বাইয়ে পরিচারিকার কাজে যোগ দিয়েছিল। সেখানেই তাদের প্রেম হয় এবং পরে ২০০৬ সালে তারা কোর্ট ম্যারেজ করে। কিন্তু মানেরার বাড়ির লোক ধর্মান্ধ হওয়ায় তারা শৈলেন্দ্রর ধর্মের কথাটা ভয়ে বাড়িতে জানায়নি। এর পর ২০০৮ সালের ১৪ই জুলাই ১০ মাসের ছেলেকে নিয়ে তারা মানেরার বাড়িতে আসে।

পুলিশের মতে- রাস্তা দিয়ে একটি জানাজা যাওয়ার সময় তার মুখ দিয়ে কিছু শব্দ বেরোয় যা হিন্দুরা মারা গেলে বলা হয়। এই কথাগুলো তার শ্বশুর শুনতে পেয়ে গ্রামের মাতব্বরদের জানায়। এরপর তার ধর্ম জানার জন্য গ্রামে পঞ্চায়েত ডাকা হয়। সেখানে শৈলেন্দ্রকেও ডাকা হয়। সেখানেই তার মুন্ডচ্ছেদ করার ফতোয়া দেওয়া হয়। সেই মতো তাকে প্রথমে প্রচন্ড মারধোর করা হয় এবং পরে তাকে গলা কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। এর পর মৃতদেহ পাট ক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়।

গ্রামের সবাই শৈলেন্দ্রের এই পরিণতির কথা জানলেও তার স্ত্রীকে জানানো হয়নি। ১৭ নভেম্বর পুলিশ এক বেওয়ারিশ দেহ পাওয়ার খবর পায়। তখনও তার পরিচয় জানা যায়নি।

এরপর তার স্ত্রী মৃতদেহ পাওয়ার খবর শুনে থানায় গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ পরে খুনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তবে এরপর তাদের কোন শাস্তি হয়েছিল কিনা সেই ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

অবাক ব্যাপার হলো সেই সময় রাজ্য রাজনীতি রিজওয়ানুরের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হচ্ছিল, যেখানে বিরোধী নেতৃ মমতা ব্যানার্জী একটা আত্মহত্যাকে হিন্দু দ্বারা এক নিরীহ মুসলিম যুবকের হত্যা করা হয়েছে বলে আকাশ পাতাল তোলপাড় করছিলেন যা পরে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তাই স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই শৈলেন্দ্রের মৃত্যু তাকে নাড়া দেয়নি কারণ এটা তার ধর্মের রাজনীতির সাথে খাপ খাই না।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Tuesday, 5 December 2017

চকোলেটের অন্ধকার সফরের কাহিনি



ঠিক এই মুহুর্তে কলকাতার এক শপিং মলের বাইরে দাঁড়িয়ে অভিমানী প্রেমিকার হাতে চকোলেটের গিফট প্যাক তুলে দিচ্ছে দেরি করে আসা প্রেমিক... ঠিক এই মুহুর্তে দিল্লীর এক বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে সিঙ্গেল মল্টের সাথে ডার্ক চকোলেট আর তন্দুরি চিকেন সহযোগে পার্টি চলছে... ঠিক এই মুহুর্তে আপনার কন্যাটির মুখে হাসি ফুটেছে সারাদিন পরে... মুখে লেগে আছে কোকোর গন্ধ.... ঠিক এই মুহুর্তে অ্যালি পালাচ্ছে.....চকোলেট ছেড়ে... চকোলেটের গন্ধে বমি পায় তার!

এই পর্যন্ত পড়ে যারা ভাবছেন আমি একটা থ্রিলার লিখছি, অপেক্ষা করছেন একটা চেজ অ্যান্ড রান সাস্পেন্স এর, তারা বরং টিভি খুলে ক্যাডবেরির অ্যাডে মন দিন.... । বাকিরা আমার সাথে চলুন সাত সমুন্দর পেড়িয়ে এক অন্ধকার সফরে। যার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে ডার্ক চকোলেট... অন্ধকার। এতটাই যেখানে নিশ্বাস নেওয়াও বারণ...

না, অ্যালি পালাতে পারবে না। যেমন পারবে না ১.৮ মিলিয়ন আফ্রিকান শিশু যারা তাদের শৈশব র‍্যাপিং পেপারে মুড়ে ঢেলে দিচ্ছে আমার আপনার সন্তানের মুখে। আইভরি কোস্ট আর ঘানা। পশ্চিম আফ্রিকার এই দুটো দেশে পৃথিবীর মোট কোকোর ৭০% চাষ করা হয়। কালো মানুষ, কালো মাটি, কালো চকোলেট। কিন্তু অ্যালি কে? কোথা থেকে পালাচ্ছে সে? আসুন, ওর সাথে পরিচয় করা যাক।




অ্যালির বাড়ি মালিতে। পৃথিবীর সবথেকে পিছিয়ে পরা দশটি দেশের মধ্যে একটি। এক মাথা কোঁকড়া কোঁকড়া চুল, মায়াবী চোখ। রাত্রে আগুনের পাশে বসে বুড়োবাবা মানে অ্যালির ঠাকুর্দা গল্প বলত। এক দৈত্যের গল্প। যে উত্তরের জঙ্গলে থাকে। বাচ্চা দেখলে তার রক্ত চুষে পুতুল বানিয়ে দেয়। ছোট্ট অ্যালি ভয় পেত। একদিন সেই দৈত্য ওকে ধরে নিয়ে গেল সামান্য ৮০ ডলারের বিনিময়ে। তখন ওর বয়স ৫। চমকে যাবেন না বন্ধুরা। শুধু একবার তাকিয়ে দেখুন আপনার শিশুটির দিকে।



যাইহোক,  প্রতিদিন হাজার হাজার বাচ্চা পাচার হয়ে যায় মালি, বুরকিনা ফাসো এইসব প্রতিবেশী দেশ থেকে ঘানা, আইভরির কোকো ফার্মগুলোতে। স্কুল, কাজ, ডলারের লোভ দেখিয়ে বা রাস্তা থেকে তুলে আনা হয় বাচ্চাদের। সকাল ছটা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত অমানুষিক পরিশ্রম করানো হয়। খাদ্য বলতে সস্তার ভুট্টা সেদ্ধ আর কলা। রাত্রে জানোয়ারের মত জানলা দরজা হীন কাঠের আস্তাবলে ফেলে রাখা হয়। কখনো শিকল দিয়ে বেঁধে। তার মধ্যে যারা পালানোর চেষ্টা করে তাদের ভাগ্যে থাকে বেধরক মার। মার খেয়ে বা ধর্ষণে মরে গেলে নদীতে বা কুকুরের মুখে ছুঁড়ে দেওয়া হয় শরীর।



ভয় লাগছে? ঘেন্না লাগছে? আপনার শিশুটির মুখে লেগে থাকা চকোলেটের খয়েরী দাগের দিকে তাকাচ্ছেন? তাহলে আর পড়বেন না। কারণ ইন্টারন্যাশনাল লেবার ল এখানে অকেজো। মায়া, ভালোবাসা নেই এখানে। আছে নৃশংসতা, আছে রক্ত। যা শুকিয়ে কালো হয়ে আছে আপনার ফ্রিজে রাখা চকোলেটে...



বিশ্ববিখ্যাত চকোলেট কোম্পানিগুলো যেমন নেসলে, হার্সেস, মার্স এখান থেকে কোকো কেনে। প্রতিযোগিতার বাজারে কোকোর দাম কম রাখার জন্যই শিশু শ্রমিক দরকার। কারণ ৫-১২ বছর বয়সীরা মজুরী পায় না। তার ওপরে তারা কোকো ফিল্ডের দুর্গম জায়গায় যেতে পারে, যেখানে একটু বড়রা ঢুকতে পারবে না। হ্যা, পোকা, সাপ আর বিছের কামড়ে বেশ কিছু বাচ্চা মারা যায়, কিন্তু তাতে মালিকদের কিছু যায় আসে না। দারিদ্র‍্য থাকবে, বাচ্চার যোগানও থাকবে। বড় কোম্পানিগুলো চুপ করে থাকবে সস্তায় কোকো পাওয়ার জন্য। আমরাও মজে থাকবো বিদেশী চকোলেটের স্বাদে.... চিয়ার্স!




কোকো ফার্মের শিশু শ্রমিকদের ৪০% মেয়ে। তাদের বয়সন্ধি আসে, যৌবন আসে এই কোকো বাগানেই। এদের অধিকাংশই সারা জীবনে তাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে পারে না। কারণ এখানে আসা সোজা, বেরোনো কঠিন না, অসম্ভব। মালিক, ঠিকাদার, সুপারভাইজার, পুলিশ এমনকি মজুরদের যৌনতৃপ্তি মেটায় মেয়েরা। ১১ বছরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পাল্লা দিয়ে বাড়ে যৌনরোগ। পচে, গলে যায় শৈশব। স্বপ্নে পোকা আসে, বিষাক্ত ভয়ংকর সব পোকা। খুবলে খায় হৃদয়... চকোলেটি হৃদয়!







কাজের নমুনা? দুর্বল হৃদয়রা পড়বেন না। স্কিপ করে যান। মেছেটে হল এমন একটি ছুরি যা চালালে একটা শিশুকে কিমা বানিয়ে দেওয়া যায় কয়েক মিনিটে। বাচ্চাদের কে মেছেটে ধরিয়ে দেওয়া হয় কোকো বিন পেড়ে সেটাকে বস্তায় পুড়ে ঝাড়াই বাছাই করার জন্য। কারোর আঙুল কাটা যায়, কারোর গায়ে গভীর ক্ষত। ১০ বছরের বাচ্চাকে পিঠে ১০০ কেজির বস্তা নিয়ে চলতে হয়। একটু বিশ্রামের জন্য চাবুকের বাড়ি পড়ে





কি ভাবছেন? মধ্যযুগ? না স্যার। এই ফেসবুকের যুগেই এই ক্রীতদাস প্রথা চলছে এবং এই অন্ধকার থেকেই বেরোচ্ছে আমার আপনার প্রিয় ডার্ক চকোলেট...

আমি জানিনা এখনো অ্যালি পালাতে পেরেছিল কিনা! কিন্তু বিশ্বাস রাখি, অ্যালি একদিন পালাতে পারবে। পালিয়ে যাবে অনেক দূর। এবেদি পেলের মত ফুটবলার হবে। শুধু ও না, শেকল খুলে যাবে ওর মত লাখ লাখ বন্দী প্রজাপতির...



হ্যা, একটা কথা বলা হয়নি। অ্যালি চকোলেট খায়নি কোনোদিন। স্বাদ জানে না। সান্তা আসেনা কখনো ওর কাছে। ও এটাও জানে না ওর রক্ত খুব সুস্বাদু...

(সুত্র : দ্য ডার্ক সাইড অফ চকোলেট (২০১০), পরিচালক: ড্যানিশ সাংবাদিক মিকি মিস্ত্রাতি)
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 3 December 2017

জি ডি বিড়লার ছায়া, ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ-সিগারেটের ছেঁকা



জি ডি বিড়লায় একরত্তির উপর অত্যাচারে শিউরে উঠেছে গোটা বাংলা। শিক্ষকের এমন আচরণে সর্বত্র ক্ষোভের বিস্ফোরণ। মহানগর থেকে কিছুটা দূরে এমনই এক শিক্ষকরূপী ‘রাক্ষসের’ পাল্লায় পড়েছিল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। মেয়েটি খানিকটা ভারসাম্যহীন। এই সুযোগে দিনের পর দিন চলতে থাকে যৌন হেনস্তা। ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার নদিয়ার হাঁসখালি।



নির্যাতিতার বাড়ি হাঁসখালি থানার গাঁড়াপোতা এলাকায়। অভিযুক্ত প্রণয় রায় ছাত্রীর এক আত্মীয়কে পড়াত। সেই সুযোগে প্রণয় তাকে টিফিনের সময়ে স্কুলের পাশে এক নির্মীয়মান বাড়িতে রোজ নিয়ে যেত। একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে চলত কুকর্ম। যৌন লালসা মিটিয়েও সে শান্ত হত না। মেয়েটির গায়ে সিগারেটের ছেঁকা দিত। তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা কিছুদিন আগে খেয়াল করে টিফিনের সময় সে থাকে না। গত বৃহস্পতিবার সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে গিয়ে ছাত্রীটির সহপাঠীরা ওই শিক্ষককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তারপর মেয়েটির বাড়িতে তার বন্ধুরা গোটা ঘটনা জানায়। প্রথমে ছাত্রীর ওই অবস্থা বাড়ির লোকজন না বুঝলেও বন্ধুদের অভিযোগে তাদের চোখ খুলে যায়। শুক্রবার নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। মেডিক্যাল রিপোর্টে যৌন হেনস্থার প্রমাণ মেলে। এরপর হাঁসখালি থানায় প্রণয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু তার আগে প্রণয় ও তার পরিবার বেপাত্তা হয়ে যায়।

শনিবার এ খবর জানাজানি হতে প্রতিবেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযুক্তর বাড়িতে চলে ভাঙচুর। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বগুলা-নোনাগঞ্জ রাজ্য সড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করা হয়। নির্যাতিতার ঠাকুমার বক্তব্য তার মেজ ছেলে শারীরিকভাবে সক্ষম নন। ওই ছেলের তিন মেয়েরও শারীরিক সমস্যা রয়েছে। ঠিক মতো কথা বলতে বা বোঝাতে পারে না। এর সুযোগ প্রণয় এই কুকর্ম দিনের পর দিন চালিয়ে যায়। গায়ে ছ্যাঁকা দিয়েও সে থামেনি। আঁচড়ানোও হয়।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

২০১৯ এর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মাথা তুলতে চলেছে ‘কলকাতা আই’



আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সপ্নের কলকাতা আই৷ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে জায়ান্ট হুইল৷ বৃহস্পতিবার নির্মাণকারী সংস্থা কনসরটিয়াম অফ সান কনসালটিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানালেন পুর ও নগরোন্নায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ তিনি জানিয়েছেন, নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করতে সংস্থাকে ১৮ মাস সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷

কী এই কলকাতা আই?

কলকাতা আই হল লন্ডন আইয়ের ধাঁচে তৈরি শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত নাগরদোলা৷ পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কে প্রায় দু একর জমিতে  কলকাতা আই তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই নাগরদোলা থেকে গঙ্গা সহ গোটা কলকাতা শহরকে দেখা যাবে৷ ১২০ মিটার(৩৯০ ফুট) উচ্চতার এই জায়ান্ট হুইলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে পর্যটন কেন্দ্র৷ এর ব্যাস ১৮০ মিটার(৫৯০ ফুট)৷ গোটা নাগরদোলার মধ্যে প্রায় ৫০০জনকে বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন ৩০টি প্যাসেঞ্জার ক্যাপসুল থাকবে৷ পুরোটা ঘুরতে সময় লাগবে প্রায় ৩০মিনিট৷ জানা গিয়েছে, প্রকল্পের খরচ ৩৭৯ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে রাজ্য সরকার দেবে ৮১ কোটি টাকা৷

কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে কনসরটিয়াম অফ সান কনসালটিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড নামে একটি ব্রিটিশ সংস্থা এই জায়ান্ট হুইল নির্মাণের বরাত পায়৷ কিন্তু কাজ শুরুর আগেই পরিবেশ আদালতের নির্দেশে আটকে যায় সেই প্রকল্প৷ ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পরিবেশ আদালতের জট প্রায় খোলার মুখে৷

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

দম্পতির লাগেজের মধ্যে কিলবিল করছে ২০০টি জ্যান্ত আরশোলা, তাজ্জব বিমানবন্দরের কর্মীরা



লাগেজের মধ্যে কিলবিল করছে শ’দুয়েক জ্যান্ত আরশোলা। আবিষ্কার করে তাজ্জব বিমানবন্দরের কর্মীরা। নাহ, আকস্মিকভাবে পতঙ্গরা ব্যাগের মধ্যে ঢুকে পড়েনি। কোনও অঘটনও ঘটেনি। জেনেবুঝেই সেগুলিকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক দম্পতি।

বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঘটনা। চিনা ওই দম্পতির লাগেজ যখন এক্স রে স্ক্যানারের মধ্যে দিয়ে পাঠানো হচ্ছিল, তখনই জীবন্ত বস্তুর উপস্থিতি নজরে আসে নিরাপত্তাকর্মীদের। বুঝতে পারেন ব্যাগের মধ্যে কোনও প্রাণী আছে। কর্মীদের প্রাথমিক ধারণা ছিল, কোনও পোষ্যকে বোধহয় বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দম্পতি। কিন্তু ব্যাগ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। দেখা যায়, আর কিছু নয়, একটা থলের মধ্যে কিলবিল করছে শ-দুয়েক আরশোলা। কী করে এত আরশোলা ব্যাগে এল। এ কি আকস্মিক কোনও ঘটনা। নাকি দম্পতি এ বিষয়ে অবহিত। ব্যাগ খুলতেই বেশ কয়েকটি আরশোলা বাইরে বেরিয়ে আসে। নিরাপত্তারক্ষীরা অবাক হন, যখন ব্যাগ খোলামাত্র কেঁদে ফেলন ওই মহিলা। বোঝাই যায়, আরশোলারা তাঁর বড় আদরের ধন। এরপরই কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। তাতে আরও একদফা অবাক হওয়ার পালা। জানা যায়, সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারেই এ কাজ করেছেন দম্পতি। এবং আরশোলাগুলি কাজে লাগে মহিলারই।

কী কাজ। নিরাপত্তাকর্মীরা জানতে পারেন, ত্বকের পরিচর্যার জন্যই সেগুলিকে কাজে লাগানো হয়। কবুল করেন মহিলার স্বামী। ত্বকের যত্নের এ বেশ পুরনো এক প্রচলিত পদ্ধতি। যেখানে নানারকম ক্রিমের সঙ্গে আরশোলা মিশিয়ে প্রলেপ লাগানো হয়। বিশ্বাস এতে নাকি চর্মরোগ সেরেও যায়। সে কারণেই এতগুলো আরশোলা নিয়েই উড়ানে উঠতে চলেছিলেন ওই দম্পতি।

তবে যত মায়াই থাক না কেন, নিরাপত্তাকর্মীরা নিরূপায়। তাঁরা আরশোলাগুলিকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেননি। ফলে মায়া ত্যাগ করেই বিমান ধরতে হয় ওই দম্পতিকে। সাধের আরশোলাগুলির তাহলে কী হল। সে ইতিহাস গোপন থাকাই ভাল।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp