সংঘের স্কুল বন্ধ করতে গিয়ে আদালতে বিপাকে পড়ল রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশ ছাড়া সংঘ পরিচালিত স্কুলগুলি রাজ্য বন্ধ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।
পরিকাঠামোর অভাব এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অনুমোদন ছাড়াই চলছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ কর্তৃক পরিচালিত স্কুলগুলি। অবিলম্বে সেগুলি বন্ধ হওয়া উচিত। এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর। সেই নির্দেশ মতো বন্ধ হয়ে যায় ওই জেলায় সংঘ পরিচালিত ১০টি স্কুল।
রাজ্যে সংঘের প্রসার ঠেকাতে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার স্কুলগুলি বন্ধ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংঘ পরিচালিত স্কুলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরেই উত্তর দিনাজপুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আদালতে এমনই অভিযোগ করেছেন স্কুল কমিটির আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়।
সংঘের সংস্থা উত্তরবঙ্গ সারদা ট্রাস্টের অধীনে উত্তর দিনাজপুর জেলায় মোট ১০টি স্কুল চলে। যার মধ্যে রয়েছে সারদা শিশুতীর্থ স্কুল। চলতি বছরের মার্চ মাসের চার তারিখে ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর স্কুল বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সেই নির্দেশ কার্যকর হওয়ার পর সেই দশটি স্কুলে একত্রিত হয়ে মামলা করে কলকাতা হাই কোর্টে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিগত ১০ বছর ধরে স্কুলগুলি চলছে।
১২ মে ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টরের জারি করা বিজ্ঞপ্তির উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের মামলা করে রাজ্য সরকার। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্য্যের বেঞ্চে ওঠে সেই মামলা। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিন আদালতে কেন্দ্রের আইনজীবী অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ্র বলেন, “শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার, তাই এটা কেউ খর্ব করতে পারে না।” উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এদিন রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন যে যতদিন না পর্যন্ত রায়দান হচ্ছে ততদিন স্কুল বন্ধ করতে পারবে না রাজ্য।
0 comments:
Post a Comment