JanaSoftR

Sunday, 17 December 2017

সন্তান প্রসবের পর পায়ুছিদ্র সেলাই!!! চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় জীবন সংশয়ে পরে যায় প্রসূতির



সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির পায়ুছিদ্র সেলাই! চিকিৎসকের মারাত্মক ভূলে প্রাণ যায় যায় অবস্থা প্রসূতির। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে। পরে সুপারের আশ্বাসে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির পায়ুছিদ্র সেলাই করে ফেলে হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। ফলে পেট ফুলতে থাকে রোগিনীর। চিকিৎসকের এই ভুল চিকিৎসায় জীবন সংশয়ে পরে যায় প্রসূতি। তাঁকে ঘিরে বুধবার উত্তেজনা ছড়ায় রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে। হাসপাতাল সুপার সুবোধ মণ্ডলের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

মুরারই থানার ধৃতরা গ্রামের পারভিন বিবি প্রসবযন্ত্রনা নিয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে ভরতি হন। বছর খানেক আগে নলহাটির নামুপাড়ায় লালাচাঁদ শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। গত পনেরো দিন আগে পেটের ব্যথা নিয়ে বাপের বাড়ির কাছে মুরারই গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

পরদিন তাকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য  জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফরসেফ করে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন পারভীন। অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক অজয় মণ্ডল প্রসূতির ফরসেফ করার পর ভুলবশত পায়ুনালী ও মুত্রনালী এক সঙ্গে সেলাই করে ফেলেন। এরপরেই ওই প্রসূতি বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পেট ফুলে যায়। পুনরায় তাকে মুরারই গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভুল চিকিৎসার ফলে মহিলার অবস্থা ভাল নয়। সেখান থেকে প্রসূতিকে রামপুরহাটে পাঠানো হয়। এরপর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসক অমিতাভ বড়াল ভুল চিকিৎসার কথা জানিয়ে দেন পরিবারকে। সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পেটে সংক্রমণ হয়েছে। সেটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তা না শোকানো পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করা যাবে না। ততদিন বাড়িতে রেখে চিকিৎসা চালাতে হবে। সেই মর্মে গত শুক্রবার বাড়ি নিয়ে আসা হয় পারভিনকে। বাড়িতে ফিরেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন পারভিন।

বুধবার তাকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি না নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বাইরে ফেলে রাখেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল সুপার ওই প্রসূতিকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে পাঠানোর আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

লালচাঁদ বলেন, “চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রীর অবস্থা এখন সংকটজনক। নিজের দোষ ঢাকতে চিকিৎসক অজয় মণ্ডল আমাদের বিভ্রান্ত করেছেন”। হাসপাতাল সুপার সুবোধ মণ্ডল বলেন, “চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছুটা ভুল হয়েছে। আমরা তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করব। দুদিন রামপুরহাটে রেখে শুক্রবার কলকাতার পিজিতে
JanaSoftR
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp




0 comments:

Post a Comment