JanaSoftR

Sunday, 17 December 2017

নোট বাতিলের পদক্ষেপ অত্যন্ত বলিষ্ঠ, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে ভারতে, ভূয়সী প্রশংসা IMF এর



নোট বাতিল নিয়ে দেশে কম বিতর্ক হয়নি। তা সত্ত্বেও মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের পাশেই আবারও দাঁড়াল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ)। তাদের বিশ্বাস, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে ভারতে। ভারতের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপরেই দাড়িয়ে রয়েছে। আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দা নোট বাতিল ও জিএসটি-র ভূয়সী প্রশংসা আগেই করেন। দুই পদক্ষেপ অত্যন্ত বলিষ্ঠ বলেও উল্লেখ করে আইএমএফ। নোট বাতিল ও জিএসটি-র ফলে অর্থনীতি যে সাময়িক শ্লথ হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না বলে এবার উল্লেখ করলেন আইএমএফ-এর অন্যতম কর্তা উইলিয়াম মারে। তাঁর দাবি, “কয়েকমাস আগে ভারত সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার প্রভাব ধীরে ধীরে বাজারে পড়তে বাধ্য।” বাজারে নোট বাতিলের প্রভাব সাময়িকভাবে পড়লেও তা কেটে যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী সুর শোনা গিয়েছে মারের গলায়। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আইএমএফের তরফে মারে স্বীকার করে নেন, “তথ্যে ভুল নেই।” তিনি বলেন, “মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে ভারতের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে।”

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্ট প্রকাশ করে আইএমএফ জানায়, ভারতে বৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়েছে। আর এ জন্য ভারত সরকারের নোট বাতিল ও জিএসটি চালু করাকেই দায়ী করে আইএমএফ। আগের অবস্থান থেকে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার আগেই জানায়, ভারতের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপরই দাড়িয়ে রয়েছে। ফের সেই বক্তব্যেই সিলমোহর দিল আইএমএফ। অন্যদিকে, দেশের জনপ্রিয়তম নেতা এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনপ্রিয়তায় তাঁর আশেপাশে কেউ দাঁড়াতেই পারবে না, এমনটাই বলছে একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা। ২০১৯ লোকসভা ভোটে মোদিকে দেখে পদ্মফুলে ভোট দেবেন দেশের ৭৯% নাগরিক, জানাচ্ছে ওই সমীক্ষা। নোট বাতিল থেকে শুরু, তারপর আধারকে বাধ্যতামূলক করা, বিনা পরিকাঠামোয় জিএসটি চালু- প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের একাংশের মানুষ প্রতিবাদে সরব হন। বিরোধীরাও শোরগোল জুড়ে দেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। দেশজুড়ে ধর্মীয় সংকীর্ণতার জিগির উঠিয়ে আসন্ন লোকসভা ভোটে ফায়দা লুটতে চাইছে বিজেপি, অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। কিন্তু এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এখনও নোট বাতিল বা সচিত্র পরিচয়পত্র হিসাবে আধারকে বাধ্যতামূলক করার পদক্ষেপকে সদর্থক হিসাবেই দেখছেন অধিকাংশ দেশবাসী। অবিলম্বে ভোট হলে দেশের চারভাগের মধ্যে তিনভাগেরও বেশি মানুষ মোদিকে ভোট দেবেন বলে ওই সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে।
JanaSoftR
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp




0 comments:

Post a Comment