সময় যত এগোচ্ছে, পাল্লা দিয়ে আসছে নিত্যনতুন প্রযুক্তি। কিছু প্রযুক্তির সুফল সত্যি পাচ্ছেন মানুষ। কিছু আবার মানুষকে করে তুলছে আরও বিব্রত। একটা কথা সকলেই প্রায় একবাক্যে স্বীকার করবেন, যে এটিএম এসে যাওয়ায় ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা তোলার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও সত্যি যে, সেই এটিএম বিগরোলে একজন সাধারণ মানুষ যতটা বিপদে পড়েন, ততটা বিপদ হয়তো ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা তুললে পড়তেন না।
নোট বাতিলের পর দেশের বহু এটিএম মেশিনই একাধিকবার গ্রাহকদের বিপদে ফেলেছে। যেখানে ‘রি-ক্যালিব্রেশন’ করে এটিএমকে আরও আধুনিক করার কথা, সেখানে বরং হয়েছে উলটোটাই। মানুষ এটিএমে গিয়ে বহুবার বিপদে পড়েছেন। টাকা তুলতে চেয়ে পিন দিয়েছেন, অথচ টাকা বেরোয়নি। কিন্তু এসএমএস এসে গিয়েছে যে টাকা আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চোখে অন্ধকার দেখেন সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে ছুটতে হয় ব্যাঙ্কে। নোট বাতিলের পর সেখানেও অতিরিক্ত কাজের চাপ নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের অল্প কিছু টাকা সংক্রান্ত অভিযোগ নিতে বেশ কিছু ব্যাঙ্কই টালবাহানা করে। কিন্তু এ কথা কি জানেন যে এটিএম থেকে টাকা না বেরলে আপনি ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, এটিএম থেকে টাকা না বেরলে প্রতিদিন আক্রান্ত গ্রাহককে ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে।
কী বলছে RBI?
১. সাতদিনের মধ্যে গ্রাহকের অভিযোগের সুরাহা করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে।২. সাতদিনের মধ্যে গ্রাহকের অভিযোগের সুরাহা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আক্রান্ত গ্রাহককে। অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক টাকা দিতে অস্বীকার করলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন।
৩. তবে এর জন্য গ্রাহককে ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কাছে হাতে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ নথিভুক্ত করতে হবে। ৩০ দিন পর অভিযোগ করলে বাড়তি ক্ষতিপূরণ না মিললেও গ্রাহকের পুরো টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে যেটি এটিএম থেকে তোলার সময় কাটা হয়েছিল, অথচ গ্রাহক হাতে পাননি।
২০১১-র পয়লা জুলাই থেকেই এই নিয়ম চালু রয়েছে।
0 comments:
Post a Comment