JanaSoftR
  • সপ্তাহে কতবার যৌনমিলনে আগ্রহী সুন্দরীরা: একটি সমীক্ষা

  • এই নতুন নেশাতেই মজছে স্কুল পড়ুয়ারা, চিন্তায় অভিভাবকরা

  • ট্রেনে একঘন্টায় কলকাতা থেকে দিল্লি!

  • মরুভূমি হয়ে যাবে পাকিস্তান, সিন্ধু অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণ শুরু, প্রবল চাপে পাকিস্তান

Wednesday, 29 November 2017

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পথ এবার তাহলে চিনও অনুসরণ করল!!



ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পথ এবার তাহলে চিনও অনুসরণ করল? ভারতের স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মতোই এবার চিন টয়লেট রেভলিউশন বা শৌচাগার বিপ্লব শুরু করেছে৷ এই বিপ্লবের বিষয়ে স্বয়ং চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং জানিয়েছেন, সভ্য সমাজের জন্য এবং স্বচ্ছতার জন্য শৌচালয়ের উন্নতি প্রয়োজনীয়৷ শহর এবং গ্রাম উভয়ক্ষেত্রের উন্নতির ওপরেই জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জিংপিং৷ তিনি আরও জানান, শৌচালয়ের সমস্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়৷

প্রসঙ্গত, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী সমগ্র দেশে শৌচালয় স্থানের ওপর জোর দেন৷ এবং তা ব্যবহারের বিষয়ে জনসচেতনতার বৃদ্ধির দিকে নজর দেন৷ একটি সভ্য সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ উদ্বুদ্ধ করে অনেককেই৷

এদিকে চিন টয়লেট রেভলিউশন যোজনার জন্য তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অরগানাইজেশন-এর মতে, প্রথম চার শীর্ষ দেশের মধ্যে চিন রয়েছে, যেখানে গত বছরে সবথেকে বেশি বিদেশী পর্যটকেরা এসেছে৷ ২০১৬ সালে ৫কোটি ৯৩লক্ষ পর্যটক গিয়েছিল৷ মনে করা হচ্ছে, এই কারণেই চিনের ন্যাশনাল ট্যুরিজম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুযায়ী, ২০২০সাল পর্যন্ত ৬৪,০০০ শৌচালয় তৈরি এবং তার উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Tuesday, 28 November 2017

এস দুর্গার ছবি দেখানো নিয়ে ধোঁয়াশা, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন পরিচালক



ভারতীয় প্যানোরামার সিংহভাগ সদস্য তাঁর ছবি এস দুর্গা দেখানোর পক্ষে। তবুও গোয়ার পানাজিতে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন পরিচালক সানাল কুমার শশীধরণ। আজ উৎসবের শেষ দিনেও এস দুর্গা দেখানো না হলে তিনি আদালতে যেতে পারেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হতে চলা ছবির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বিতর্কিত ছবি এস দুর্গা বাদ দেয়। কিন্তু উৎসব শুরুর একদিন পর, ২১ তারিখ কেরল হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ছবিটি ওখানে দেখাতে হবে। নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিল মন্ত্রক, সেই দাবি আদালতে খারিজ হয়ে যায়।

এরপর জুরি সদস্যরা গতকাল রাতে এস দুর্গার কাটছাঁট হওয়ার পরের ভার্সন দেখেন। শশীধরণের দাবি, ১১ জনের মধ্যে ৭ জনই তাঁর ছবি দেখানোর পক্ষে কিন্তু বেঁকে বসেছেন বাকি ৪ জন।

এই ৪ জুরি সদস্যের মধ্যে ৩ জন নতুন। এস দুর্গা ও ন্যুড চলচ্চিত্র উৎসব থেকে বাদ পড়ায় প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন জুরি চেয়ারম্যান সুজয় ঘোষ ও ২ সদস্য অপূর্ব আসরানি আর জ্ঞান কোরিয়া। তাঁদের জায়গায় আসা ৩ সদস্য সুধীর চৌধুরী, সতীশ কৌশিক ও বিবেক অগ্নিহোত্রী বলেন, এস দুর্গা প্রদর্শিত হোক, তা তাঁরা চান না। এই ৩ জনের সঙ্গে যোগ দেন পুরনো এক সদস্য। ফলে ছবিটি আজ উৎসবের শেষ দিনেও দেখানো হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

শশীধরণ জানিয়েছেন, তাঁর ছবি দেখানো না হলে আজ বিকেলে উৎসব চত্বরে বিক্ষোভ দেখাবেন তিনি।

এছাড়া এর অগে ছবির নামের সামনে থেকে উড়িয়ে দিতে হয়েছিল​ ‘সেক্সি’ শব্দটি। এছাড়া এর ভেতর ২১টি স্থানে অপ্রকাশযোগ্য শব্দ ছিল। সেখানে ‌’বিপ’ দিতে হয়েছে।



সেক্সি দুর্গা (Sexy Durga) নাম পাল্টে ওই মালয়ালম ছবির নামকরণ করা হয়েছিল এস দুর্গা (S Durga). 
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Monday, 27 November 2017

বিয়ে দুজন মানুষের বন্ধন, একজনের বেশি অধিকার থাকতে পারে না, তিন তালাকের বিরুদ্ধে বিশ্বসুন্দরী মানুষী ছিল্লার



মুম্বই: বিয়ে দুজন মানুষের বন্ধন। কোনও একজনের তার ওপর বেশি অধিকার থাকতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টে নিষিদ্ধ হওয়া তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধে এভাবেই সরব হলেন বিশ্বসুন্দরী মানুষী ছিল্লার।

তিন তালাক থেকে যৌন নিগ্রহ- এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা সামাজিক ব্যাধি নিয়ে মুখ খুলেছেন মানুষী। তাঁর কথায়, বিয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে অত্যন্ত বিশেষ একটি বন্ধুত্বের বন্ধন। এর ওপর কোনও একজনের অধিকার অন্যজনের থেকে বেশি হতে পারে না। নাবালিকাদের ওপর যৌন নিগ্রহ নিয়েও সরব হন তিনি। বলেন, শিশুদের নিরাপত্তা দেওয়া একান্ত জরুরি কারণ যখন আপনি একটি শিশুকে নিরাপত্তা দেন, তখন নিরাপদ হয় আপনার দেশও। এ ধরনের শিশুরা বিস্ময়কর নানা কাজ করতে পারে। প্রত্যেকের বড় হওয়ার স্বাভাবিক জীবন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

এছাড়া একেবারে তৃণমূল স্তরে বাড়িতেই শিশুদের মহিলাদের সম্মান করতে শেখানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি বলেছেন। তাঁর কথায়, শিক্ষা সবথেকে জরুরি। যখন আপনি আপনার বাড়ির মহিলাকে সম্মান করেন, তখন সমাজের অন্যান্য মহিলাদেরও সম্মান করতে পারবেন। শিক্ষা তাই শুধু স্কুলে নয়, বাড়িতেও হওয়া প্রয়োজন।

এই মুহূর্তে বলিউডে নাম লেখাতে চান না মানুষী। তবে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁর আগ্রহ রয়েছে। তিনি বলেছেন, অভিনয় অত্যন্ত ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। তিনি থিয়েটার করেছেন, এই মুহূর্তে অবশ্য আর করতে চান না। তবে যদি পড়াশোনার পাশাপাশি ছবিতেও সুযোগ পান, হয়তো ভাববেন এ ব্যাপারে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

আট বছর বয়স থেকে ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে স্তন, ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখোমুখি হতে হচ্ছে এই মহিলাকে



ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে স্তন। গত আট বছর বয়স থেকে বাড়তে চলেছে স্তন। আজ দুই সন্তানের মা হওয়ার পর ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখোমুখি হতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার এক মহিলাকে। সাইজ হয়ে দাঁড়িয়েছে কে-কাপ। অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন অস্ত্রোপচারের। কিন্তু তাঁর নিজের দেশে এই অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা নেই। যেতে হবে বিদেশে। প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু জমানো বলতে কিছুই নেই। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে বড় মাপের অন্তর্বাস প্রয়োজন তাঁর এখন। সেটাও কিনতে পাচ্ছেন না শেরিডান লার্কম্যান। তবে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়াটাও প্রয়োজন। আর সেজন্যে টাকা রোজগারের সন্ধানে মহিলা। আর এই জন্যে একটি ক্যাম্পেনও শুরু করেছেন তিনি।



আক্রান্ত মহিলা শেরিডান জানিয়েছেন, ১৬ বছর বয়সে এই সমস্যা নিয়ে তিনি চিকিত্সকের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা থেকে খুব শীঘ্রই মুক্তি পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দেন ডাক্তাররা। কিন্তু সেই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে নি। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। বাড়ির বাইরে পুরুষদের অভব্য মন্তব্যের শিকারও হতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল বার্তাও পান তিনি। এই স্তনের সমস্যার জন্য দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে অসুবিধা হয় ২৩ বছরের শেরিডানের। সহজেই বাড়ির বাইরে বেরোনোর উপায়ও নেই তাঁর। সেই সঙ্গে শরীরে অসহ্য যন্ত্রনা হয় তাঁর। পিঠ, ঘাড়ের প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন তিনি। মেরুদণ্ডের সমস্যাও ভোগাচ্ছে তাঁকে। আর তাই লোকের কাছে অর্থের জন্যে হাপিত্তের করছে শেরিডান।




Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

কাশ্মীরের মাঠে এসে এমএস ধোনি শুনলেন পাকিস্তানের বন্দনা



শ্রীনগর : কাশ্মীরের মাঠে এসে এমএসডি শুনলেন আফ্রিদি বন্দনা। রাঁচির ‘বিস্ময় বালক’ মাঠে প্রবেশ করলে অথবা ব্যাট হাতে দাঁড়ালে শুধু তাঁর নাম নিয়েই স্টেডিয়াম ফাটিয়েছে দর্শক। মেক্সিকান ওয়েভ উঠেছে ধোনি নামে। এই ভারতে দাঁড়িয়েই ধোনিকে শুনতে হল পাক ক্রিকেটার বন্দ্না।

রবিবার কাশ্মীর বারামুলা জেলার কুঞ্জারে গিয়েছিলেন স্থানীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচের অতিথি হিসাবে। ‘চিনার প্রিমিয়ার লিগ’-এর এই ম্যাচে এসেই দেশের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে শুনতে হল প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেটারের নাম নিয়ে বন্দনা। শুধু এতেই ঘটনা থেমে থাকেনি। বেশ কয়েকজন স্থানীয় শাহিদ আফ্রিদির নাম নিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। ধোনির উপস্থিতিতে লীগের ম্যাচ দেখতে সেখানে হাজির হয়েছিলেন বহু মানুষ। ধোনি বারামুলার ওই মাঠে প্রবেশ করবার সময়েই শোনা যায় ‘বুম বুম আফ্রিদি’-র স্লোগান। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে স্থানীয় কিছু মানুষই দেশের সফলতম অধিনায়কের মাঠে প্রবেশ করার সময় ওই কাণ্ড ঘটায়।

লজ্জাকর হলেও দেশটার নাম ভারত বলেই হয়তো এমন ঘটনা সম্ভব। এমএস এই মুহূর্তে ভারতীয় সেনার সাম্মানিক ল্যাফটেনন্ট জেনারেল। যেহেতু তাঁর সঙ্গে ক্রিকেটও জড়িত তাই সেনা আয়োজিত ক্রিকেট লিগে স্বাভাবিক ভাবেই তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন।

কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের আন্দোলন যে থেমেও থামেনি তার প্রমান রবিবারের ঘটনা। জোর করে চেপে রাখা হয়েছে ‘শত্রু’ পাকিস্তানের গুনগান করা। একটু চাপ দিলেই যেকোনো সময়েই ফের শুরু হতে পারে এই আন্দোলন। না হলে খেলার ময়দান ছাড়া বা কোনও ক্রিকেটীয় যুদ্ধ ছাড়াই দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ‘বুম বুম আফ্রিদি’ নাম নিয়ে চিৎকার শুনতে হয় না দেশের সফলতম অধিনায়ককে। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ হয়ে যেখানে লজ্জাকর ঘটনার স্পষ্ট প্রমান মেলে।

এই ম্যাচ শেষেই আবার প্রাক্তন অধিনায়ক ভারত-পাক ক্রিকেট সিরিজ নিয়ে নিজের মতামত রাখেন। ধোনি বলেন ,‘ক্রিকেটে ভারত-পাক দ্বৈরথ সবসময়ই রোমাঞ্চকর ও উপভোগ্য৷ আগামী দিনে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে কিনা দুই দেশের সরকারের সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ৷’


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 26 November 2017

বাংলাদেশের জামালপুরে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ!



বাংলাদেশে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে মেলান্দহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ রোববার মোজাম্মেল হক (৩৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা ।

আসামি মোজাম্মেল হক পেশায় ব্যবসায়ী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় উপজেলার নয়ানগর এলাকার মোড় থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে মোজাম্মেল হক তাঁকে অপহরণ করেন। গাড়িটিতে তোলার পর মোজাম্মেল অচেতন করার রাসায়নিক মিশ্রিত একটি রুমাল ওই ছাত্রীর নাকে চেপে ধরে অজ্ঞান করে ফেলেন। এরপর কোনো একটি ঘরে তিন দিন আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল শনিবার বিকেলে দুরমুঠ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ওই ছাত্রীকে ফেলে যান মোজাম্মেল। স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেলান্দহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি দরিদ্র মানুষ। মেয়েকে খুব কষ্টে লেখাপড়া করাই। বুধবার দুপুরে বিকেলে সে প্রাইভেট পড়তে যায়। এরপর থেকে মেয়ের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। শনিবার বিকেলে দুরমুঠ এলাকার লোকজনের কাছে খবর পাই, অসুস্থ অবস্থায় সেখানে আমার মেয়েকে কেউ ফেলে গেছে। নেশা দ্রব্য কিছু একটা মেয়েকে খাওয়ানো হয়েছিল। আমার মেয়েকে যারা-এমন অবস্থা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম বলেন, ‘পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। স্কুলছাত্রীর বাবা অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

"জেলায় জেলায় পুলিশ সুপাররা তৃণমূলের জেলা সভাপতি! ওসি-রা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি": বিস্ফোরক বিজেপি নেতা মুকুল রায়



বাংলার রাজনৈতিক ‘ক্রিজে’ হাত খুলে ব্যাট চালানো শুরু করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ পরিবর্তনের বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পুলিশকে যে তৃণমূলের ‘ক্যাডারে’ পরিণত করেছে আক্ষরিক অর্থে তাই জানিয়ে দিলেন তিনি৷ হাওড়ার উলবেড়িয়ায় দলীয় জনসভা থেকে বোমা ফাটালেন, ‘‘জেলায় জেলায় পুলিশ সুপাররা তৃণমূলের জেলা সভাপতি! ওসি-রা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি!’’ একই সঙ্গে তীব্র শ্লেষের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল কোনও দল নয়, ওটা একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি!’’ যা শুনে হাততালিতে ফেটে পড়ল সমাবেশস্থল৷

২ বছর আগেই যে তিনি বিজেপিতে আসতে চেয়েছিলেন, এদিন তাও স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলের একদা চাণক্য৷ রীতিমতো কৈফিয়তের সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমিও ওই সংস্থার কর্মী ছিলাম৷ আপনারা প্রশ্ন তুলতে পারেন- আগে বলেননি কেন?’’ জবাবও দিয়েছেন নিজেই, ‘‘১৫সালেই আসতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু তখন সুযোগ পাইনি৷’’

এদিন বেলাতেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিশ্ব বাংলা, জাগো বাংলা ইস্যুতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন মুকুল রায়৷ রীতিমতো তথ্য সহকারে জানিয়ে দেন, ‘‘ক্ষমতা থাকলে এই তথ্যর বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে দেখাক তৃণমূল৷’’ সাংবাদিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘অপেক্ষা করুন৷ আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে৷ ধীরে ধীরে সবই সামনে আনব৷’’ এরপরই এদিন দুপুরে হাওড়ার উলবেড়িয়ার জনসভায় যোগ দেন তিনি৷

সভায় মুকুলবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘বিরুদ্ধে বললেই পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ পঞ্চায়েতে বিরোধীরা যাতে ভোট দিতে না পারে, শাসকদলের তরফে সেই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে৷’’ পরিবর্তনের বাংলায় কোনও শিল্পের বিস্তার তো ঘটেইনি বরং রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রেও দলতন্ত্র কায়েম করেছে তৃণমূল৷ তৃণমূলের এক সময়ের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ মুকুল রায় বলেন, ‘‘যে লক্ষ্যে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, তা পূরণ হয়নি৷ বাংলায় বেকারত্ব বাড়ছে৷ যুব সমাজ বাইরে চলে যাচ্ছেন৷’’ এরপরই নাম না করে মমতাকে কটাক্ষ করে মুকুলের হুঁশিয়ারি, ‘‘বাংলায় উনি নাকি তেল ভাজা শিল্প করবেন! কি অদ্ভূত অবস্থা চলছে!’’
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

জঙ্গি হাফিজ সইদ মুক্তির আনন্দে রাস্তায়, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’, ‘হাফিজ সইদ জিন্দাবাদ’, স্লোগান উঠল উত্তরপ্রদেশে



মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের মুক্তিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে। অভিযোগ, শুক্রবার শিবপুরী এলাকায় এই জঙ্গিনেতার মুক্তির আনন্দে রাস্তায় নামেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’, ‘হাফিজ সইদ জিন্দাবাদ’ স্লোগানও ওঠে।

এলাকায় পালটা জমায়েত করেছিলেন স্থানীয় হিন্দত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরাও। তবে পুলিশের তৎপরতায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে, হাফিজ সইদের জঙ্গিযোগের কথা স্বীকার করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর মাইকেল মোরেল। তাঁর বক্তব্য, হাফিজের হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে। পাক-রাজনীতিতে জঙ্গিদের শামিল করতে চাইছে সে।

পাকিস্তানে প্রায় দশমাস গৃহবন্দি ছিলেন জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ ও তার চার অনুগামী। মার্কিন চাপে তার জঙ্গি কার্যকলাপের কথা স্বীকার করলেও, আদালতে কোনও জোরাল প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি পাকিস্তান সরকার।  তাই গত শুক্রবার হাফিজ সইদ ও তাঁর চার অনুগামীকে গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি দিয়েছে লাহোর হাই কোর্ট। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। বস্তুত, হাফিজ সইদের মতো জঙ্গিনেতার মুক্তি আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানে এখন ব্যাকফুটে।

এমনটাই মত কূটনৈতিক মহলের। সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আশঙ্কাও জোরাল হচ্ছে পাক-প্রশাসনের অন্দরে। এই প্রেক্ষাপটে মুম্বই হামলার মূলচক্রীর মুক্তিতে উল্লাসের ছবি দেখা গেল বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশের একটি শহরে। পুলিশ জানিয়েছে, লখিমপুরের শিবপুরী এলাকার বেগম বাগ কলোনিতে হাফিস সইদের মুক্তিতে রাস্তায় নেমে পড়েন বেশ কয়েকজন। এলাকার বাড়িগুলিকে সবুজ পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। পাকিস্তান জিন্দাবাদ, হাফিজ সইদ জিন্দাবাদ স্লোগানও ওঠে।

প্রথমে ঘটনাটিকে  অবশ্য তেমন গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। কিন্তু, এলাকায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা পালটা জমায়েত করতেই পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয়। খবর পৌঁছে যায় জেলাশাসকের দপ্তরে। এরপরই সক্রিয় হয় পুলিশ। স্থানীয় থানার এরক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি বাড়িতে সবুজ পতাকা উড়ছে। আমরা দ্রুত পতাকাগুলি সরিয়ে ফেলা হয়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরাদের জানানো হয়, গোটা ঘটনার তদন্ত হবে।’ জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দারা যে হাফিজ সইদের মুক্তি ‘উদযাপন’ করছিলেন, তার প্রমাণস্বরূপ একটি ভিডিও পুলিশের হাতে এসেছে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লখিমরপুরের ইমাম আসফাক কাদরি। তিনি বলেন, ‘ কেউ দেশবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল কিনা, তা জানি না। একটি পরব উপলক্ষে অনেক বাড়িতে সবুজ পতাকা টাঙানো হয়েছিল। এরসঙ্গে হাফিজ সইদ বা পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই।’

এদিকে এরইমধ্যে হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর মাইকেল মোরেল। তিনি স্পষ্টই বলেছেন, হাফিজ সইদ একজন জঙ্গি। লস্কর-ই-তৈবা-সহ কাশ্মীরের বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী ও আলকায়দার সঙ্গে যোগ রয়েছে তার। পাক-রাজনীতিতেও জঙ্গিদের শামিল করতে চাইছে এই জঙ্গি নেতা।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

‘‘আল্লার পরে আপনিই আমাদের শেষ ভরসা" টুইট এক পাকিস্তানি নাগরিকের, সাহায্যের আশ্বাস দিলেন সুষমা



ফের পাক নাগরিকের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন সুষমা। টুইটারে সুষমার শরণাপন্ন হওয়া এক পাকিস্তানিকে মেডিক্যাল ভিসা পেতে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন তিনি।

শাহজাইব ইকবাল নামে এক ব্যক্তি শনিবার বিদেশমন্ত্রী সুষমাকে টুইট করেন। তিনি লেখেন, তাঁর ভাইঝির লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন। ভারতে এসে চিকিৎসা করাতে চান তাঁরা। কিন্তু ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে সুষমাকেই শেষ ভরসা হিসাবে সম্বোধন করে তিনি লেখেন, ‘‘আল্লার পরে আপনিই আমাদের শেষ ভরসা। দয়া করে ইসলামাবাদের ভারতীয় দূতাবাসকে অনুমতি দিন যাতে আমরা মেডিক্যাল ভিসা পেতে পারি।’’ ওই দিনই তাঁর টুইটের উত্তর দেন সুষমা। ‘‘ভারত আপনাকে আশাহত করবে না, খুব দ্রুত মেডিক্যাল ভিসা পেয়ে যাবেন,’’ পাল্টা টুইটে জানান সুষমা।

চিকিৎসার জন্য ভারতে আসতে চেয়ে এর আগে বহু বার পাক নাগরিকেরা সুষমার সাহায্য পেয়েছেন। দিন কয়েক আগে চার পাকিস্তানিকে চিকিৎসার জন্য ভারতে আসার ভিসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।
ভারতের ৭০ তম স্বাধীনতা দিবসে সুষমা স্বরাজ বার্তা দিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য ভারতের দরজা সব সময়েই খোলা। পাশাপাশি ভারতে আসার বিষয়ে গড়িমসি করার জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সরতাজ আজিজকেও একহাত নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল, ক্যানসার আক্রান্ত এক পাক-নাগরিককে ভারতে আসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিতে গড়িমসি করছিল পাক প্রশাসন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 22 November 2017

সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে ছোঁড়া হল বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক ব্রহ্মোস মিসাইল, বিশ্ব রেকর্ড করল ভারত



প্রথমবার সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে ছোঁড়া হল সুপারসনিক ব্রহ্মোস মিসাইল। বিশ্বের দ্রুততম এই মিসাইল আর অত্যাধুনিক সুখোই-এর সাফল্যে বিশ্ব রেকর্ড করল ভারত। শত্রুপক্ষের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে আরও বেশি করে প্রস্তুত হল ভারত। ডিআরডিও ও বায়ুসেনার এই সাফল্যকে অভিবাদন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ।

সুখোই 30MKI ফাইটার জেটের রেঞ্জ ৩২০০ কিলোমিটার। এদিনের পরীক্ষায় সাফল্যের জেরে ভারত এবার জল, স্থল এবং আকাশ তিন জায়গা থেকেই মিসাইল উৎক্ষেপণ করতে সমর্থ হল। ভারতে, এমনকি বিশ্বের মধ্যে প্রথমবার সুখোই বিমান থেকে ব্রহ্মোস উৎক্ষেপণ করা হল।

বঙ্গোপসাগরে টার্গেট করে এদিন মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়। শব্দের থেকে তিনগুণ বেশি গতিতে গিয়ে সমুদ্রে পড়ে এটি। এর ফলে যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার জন্য আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠল ভারতীয় বায়ুসেনা। ট্যুইট করে ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানালেন নির্মলা সীতারামণ।

ভারতের ডিআরডিও ও রাশিয়ার এনপিওএম যৌথ উদ্যোগে এই মিসাইল তৈরি করেছে। বায়ুসেনার তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ব্রহ্মোসের সফল উৎক্ষেপণ সম্ভব হলে মোট ৪২টি সুখোই ফাইটার জেটকে ব্রহ্মোস মিসাইলে সাজানো হবে। এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার থেকে ২৪০টি সুখোই যুদ্ধবিমান পেয়েছে ভারত। মোট ১২ বিলিয়ন ডলারে ২৭২টি ফাইটার জেট পাওয়ার কথা।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভায় বোরখা খুলে নেওয়া হল বিজেপি মহিলা সমর্থকের, বিতর্কে যোগী সরকার



বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় বোরখা পরে গিয়েছিলেন এক মহিলা। এই অপরাধে তাঁকে ওই পোশাক খোলাতে বাধ্য করল পুলিশ।




বালিয়ায় ওই জনসভায় দেখা যায় দর্শক আসনে বসে রয়েছেন সায়রা নামের এক মুসলিম মহিলা। যাঁর গলায় গেরুয়া রঙের উত্তরীয় ছিল। তাঁকে বোরখা পরা অবস্থায় দেখে তিন মহিলা পুলিশকর্মী এগিয়ে যান। বোরখা খোলার জন্য সায়রাকে রীতিমতো চাপ দেওয়া হয়। কার্যত বাধ্য হয় ওই বিজেপি সমর্থক বোরখা খোলেন। পুলিশকর্মীদের ইঙ্গিতে ওই সভায় থাকা আরও এক দর্শক ওই মহিলার বোরখা খোলার ব্যাপারে হাত লাগান। বোরখা ছাড়ার পর পুলিশকর্মীরা নিশ্চিন্ত হন। পরে এক পুরুষ পুলিশকর্মী এসে ওই বোরখাটি নিয়ে যান। পরে সায়রা জানান, তিনি বিজেপি সমর্থক। গ্রাম থেকে প্রথাগত পোশাক পরেই ওই সভায় এসেছিলেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে এমন ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পরে ড্যামেজ কন্ট্রোল ওই মহিলাকে আসরে নামায় বিজেপি। সায়রা জানান, কালো রংয়ের পোশাক পরার জন্য পুলিশকর্মী তা খুলে ফেলতে বলেন। ওই এলাকায় হয়তো এধরনের কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল। আমি এবং আমার স্বামী দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী। এটা তেমন কোনও বিষয় নয়।

ভিডিওয় তিন পুলিশকর্মীর এমন আচরণ নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে প্রশাসন। বালিয়ার পুলিশ সুপার অনিল কুমার এই প্রসঙ্গে জানান, এমন কোনও ঘটনার রিপোর্ট মেলেনি। তবে ওই সভায় কালো পতাকা নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কোনও সমর্থকের বোরখা খুলে নেওয়া হলে তা অত্যন্ত অন্যায়। এই ঘটনায় তদন্ত করা হবে। তবে পুলিশ এমন ব্যাখ্যা দিলেও বেশ কিছু সংখ্যালঘু সংগঠন বিষয়টি নিয়ে বেজায় বিরক্ত। তাদের বক্তব্য, ধর্মীয় কারণে ওই মহিলা বোরখা পড়েছিলেন। এতে অপরাধ কোথায়?

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Tuesday, 21 November 2017

হিন্দুদের তাড়িয়ে কাশ্মীরকে স্বাধীন করব, হুমকি জামাত-উদ-দাওয়ার



ফের হুমকি দিল জামাত-উদ-দাওয়ার অন্যতম প্রধান আবদুল রহমান মাক্কি।

কাশ্মীরকে ‘স্বাধীন‘ করতে জামাত-উদ-দাওয়া সব সময় তৈরি। কাশ্মীরকে ‘স্বাধীন‘করতে জামাত রক্ত দিতেও কখনও পিছপা হবে না বলেও হুমকি দিয়েছে জামাত প্রধান মাক্কি।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ‘জিহাদের‘ সঙ্গে কেউ যাতে লড়তে না আসে, সে বিষয়েও সতর্ক করেছে আবদুল রহমান মাক্কি।পাশাপাশি, জিহাদকে ‘আল্লা‘ চালান বলেও দাবি করে আবদুল রহমান মাক্কি। শুধু তাই নয়, জিহাদকে যে বা যাঁরা বন্ধ করতে চান, আল্লা তাঁদের কখনও ছেড়ে দেয় না বলেও দেওয়া হয়েছে হুমকি। পাশাপাশি ‘হিন্দুদেরও দমিয়ে রাখতে হবে‘ বলেও মন্তব্য করে জামাত প্রধান।

পাকিস্তান কখনওই ভারতের বন্ধু হতে পারে না বলেও মন্তব্য করে মাক্কি। কাশ্মীর নিয়ে শুধু ভারতের বিরুদ্ধেই নয়, আমেরিকার বিরুদ্ধেও সুর চড়ায় মাক্কি। জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য বলে মার্কিন মুলুক ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালে, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধেও আক্রমণ করে জেউডি প্রধান।

সম্প্রতি জামাত প্রধান হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করে পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আমেরিকার লাগাতার চাপের জেরেই শেষ পর্যন্ত হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।

ইসলামাবাদের পক্ষে সইদকে গৃহবন্দি করার পর পরই আরও সামনে উঠে আসে আবদুল রহমান মাক্কি। আর এবার নয়া জেউডি প্রধানের হুমকি ফের প্রকাশ্যে আসায় শুরু হয়েছে জল্পনা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

উদ্বোধনের আগেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় দখল করল বিজেপি, দল বেঁধে বিজেপিতে যোগ তৃণমূল কর্মীরা




তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সহ সভাপতি তাপস হালদারের নেতৃত্বে ১৫০ জনের বেশি তৃণমূল কর্মী সোমবার যোগ দেন বিজেপিতে।

উদ্বোধনের আগেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় দখল করল বিজেপি। নেপথ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানার কুন্দখালি গোদাবর গ্রাম পঞ্চায়েতের ট্যাংরাবিচি গ্রামে। মুকুল রায়ের পথ অনুসরণ করে এই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সহ সভাপতি তাপস হালদারের নেতৃত্বে ১৫০ জনের বেশি তৃণমূল কর্মী সোমবার যোগ দেন বিজেপিতে। পাশাপাশি স্থানীয় নব নির্মিত তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়টি বিজেপির কার্যালয় হিসেবেও ঘোষণা করা হয়। কাদা দিয়ে মুছে দেওয়া হয় দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের নাম ও প্রতীক চিহ্ন। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্যই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে তাঁদের যোগদান বলে দাবি করেন সদ্য বিজেপিতে আসা তাপস হালদার ও তাঁর অনুগামীরা।

গত রবিবার এই কুন্দখালি গোদাবর অঞ্চলের ট্যাংরাবিচি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্মিত দলীয় কার্যালয়টি উদ্বোধনের কথা ছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা, জয়নগর লোকসভার সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, কুলতলি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল মাঝি-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের পর সেখানে একটি সভা করারও কথা ছিল তাঁদের।

রবিবার বিকেলে যথা সময়ে স্থানীয় প্রায় হাজার চারেক তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ঘটনাস্থলে চলে এলেও দেখা পাওয়া যায়নি অতিথি তৃণমূল নেতাদের। বারংবার তাঁদের ফোন করেও মেলেনি কোনও উত্তর। ফলে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি তাপস হালদারকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে যথেষ্ট কটূকথা শুনতে হয় ও অপমানিত হতে হয়। সেই কারণে রাগে ক্ষোভে রবিবার রাতেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন এই তৃণমূল নেতা। রাতেই যোগাযোগ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা উত্তম হালদার, খোকন বণিক, বিনয়কৃষ্ণ দাসদের সঙ্গে।
সেই মোতাবেক সোমবার দুপুরেই বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের তৈরি মঞ্চেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তাপস হালদার। সঙ্গে ছিলেন আরও প্রায় দেড়শো তৃণমূল কর্মী।

যদিও এ বিষয়ে কুলতলি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল মাঝি বলেন, “ তাপস কোনও দিনই আমাদের দলের কোন পদে ছিল না। দলের অন্যান্য সাধারণ কর্মীর মতো একজন কর্মী ছিল। ওর ওখানে একটা ঘর বানিয়ে সেটাকে পার্টি অফিস করতে চেয়েছিল। কিন্তু ও ইদানীং সিপিএমের লোকজন নিয়ে দলের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে বুথের মধ্যে ঝামেলা করছিল। সেটা বসে মিটিয়ে দেব বলেছিলাম আমরা। আর ওর ওই কার্যালয়টি ঝামেলা মেটানোর পরই উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছিলাম। শুনেছি আজ ও সিপিএমের লোকজন নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে”।

এ বিষয়ে তাপসবাবু বলেন, “ তৃণমূল দলের নেতাদের কথার ঠিক নেই। দলকে ভালবেসে নিজের জমিতেই দলের কার্যালয় করেছিলাম। নেতারা আমাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। দলের মধ্যে কোন্দল চলছে। এক নেতাকে ডাকলে অন্যজন আসে না। তাই আমি বিজেপিতে যোগ দিলাম।”

এ বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনিপ দাস বলেন, “রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের ভাঙন অব্যাহত, এটা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। যত পঞ্চায়েত ভোট এগোবে তৃণমূলের সৎ, নিষ্ঠাবান কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করবেন।”

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 19 November 2017

প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রীতা কয়রাল, শোক টলিউডে



দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগে অবশেষে রবিবার প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রীতা কয়রাল। এদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বহুদিন ধরেই মারণরোগ ক্যানসারে ভুগছিলেন। আর সেটাই কেড়ে নিল বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর প্রাণ।

টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ রীতা কয়রাল। দীর্ঘদিন ধরেই টেলিভিশন ও সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে অভিনয় জীবনের বেশিরভাগ চরিত্রই ছিল নেগেটিভ। তবুও বাঙালীর ড্রয়িংরুমে তিনি ছিলেন অত্যন্ত পরিচিত। নয়ের দশক থেকে মূলধারার সিনেমায় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগে ‘বেয়াদপ’ হোক কিংবা হালফিলের অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ‘দত্ত ভার্সেস দত্ত’ বা ‘পারমিতার একদিন’, নিজস্ব অভিনয়ে জয় করেছেন দর্শকদের মন। তাঁর অভিনীত আরও বেশ কয়েকটি হিট সিনেমা হল- বড় বউ, অসুখ, গুন্ডা, জীবন নিয়ে খেলা, চিরদিনই তুমি যে আমার। ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। শুধু সিনেমা নয়, সিরিয়ালের জগতেও বেশ নামডাক ছিল তাঁর। সম্প্রতি ‘রাখিবন্ধন’ সিরিয়ালেও ছিলেন অন্যতম মুখ্য চরিত্রে। সেখানেও তাঁর চরিত্র ছিল নেগেটিভ। সিনেমা, সিরিয়াল ছাড়াও একসময় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন বিভিন্ন যাত্রা এবং নাটকেও।



কিন্তু গত আগস্ট মাস থেকেই লিভার ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। ভরতি ছিলেন হাসপাতালে। কয়েকদিন আগেই বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। রবিবার ফের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে ফের একবার ভরতি করা হয় হাসপাতালে। কিন্তু জীবন যুদ্ধের লড়াই সেখানেই শেষ হয়ে গেল। টলিপাড়াকে অভিভাবকহীন করে চলে গেলেন রীতাদেবী। তাঁর মৃত্যুতে টালিগঞ্জে নেমেছে শোকের ছায়া।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

অর্থনীতিতে জাপানকে টপকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের



পরের দশকের মধ্যে অর্থনীতিতে জাপানকে টপকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের৷ ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হতে পারে ভারত৷ একটি রিপোর্টে এই খবর প্রকাশ পেয়েছে৷

ইতিমধ্যেই ব্রিকস ইকোনমিতে ব্রাজিল ও রাশিয়াকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে ভারত৷ এদেশের স্থান রয়েছে চিনের পরেই৷ বিশ্ব অর্থনীতিতে ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে টপকে গিয়েছে ভারত৷ ২০১৯ সালের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হয়ে উঠতে পারে৷ জার্মানির পরেই থাকতে পারে ভারতের নাম৷ ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকার মেরিল লিঞ্চ রিপোর্টে জানিয়েছেন, “আমরা দেখেছি ডলারের হিসেবে GDP-র দিক থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে জার্মানি ও জাপানকে টপকে যাবে ভারত৷ পরের দশকে ভারতের অর্থনীতি ১০ শতাংশ বেড়ে যাবে৷ জাপানের বৃদ্ধির থেকে এই বৃদ্ধি ১.৬ শতাংশ বেশি৷”

গত বছর অর্থনীতি বন্ধ হয়েছিল ২.২৬ ট্রিলিয়ন ডলারে৷ কিন্তু ২০২৮ সালের মধ্যে ভারত কীভাবে চিন ও আমেরিকার পর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে ইন্ডিয়া ২০২৮: দা লাস্ট ব্রিকস ইন দা ওয়াল বইতে লেখা আছে, হিংসা, ফিনানশিয়াল ম্যাচিওরিটি ও আয় বাড়ার ফলে দেশের মূল চালিকা শক্তি বাড়বে৷ অর্থনীতির উন্নতি হবে সেখান থেকেই৷

প্রথমত, ডিপেন্ডেন্সি রেশিও বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ের হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে৷ দ্বিতীয়ত, ফিনানশিয়াল ম্যাচিওরিটির ফলেও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হবে৷ চূড়ান্ত পর্বে আয়ের বৃদ্ধির ফলে অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে৷ রিপোর্টে এমন তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে৷

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Saturday, 18 November 2017

জোর ধর্ম পরিবর্তনের জন্য, বিষ পর্যন্ত খাইয়েছে স্বামী



মুম্বই: ফের প্রকাশ্যে লাভ জিহাদ? প্রাক্তন মডেল রশ্মি শাহবেজকর স্বামী আসিফ শাহবেজকরের বিরুদ্ধে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য জোর জবরদস্তি করার অভিযোগ করেছেন। এমনকী তিনি রাজি না হওয়ায় স্বামী তাঁকে বিষ খাইয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।



মুম্বইয়ের বাসিন্দা রশ্মির ১৩ বছর আগে বিয়ে হয় আসিফের সঙ্গে। প্রথমদিকে সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে আসিফ তাঁর ওপর ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। সন্তান জন্মের পর এই চাপ আরও বাড়ে। তাঁর অভিযোগ, আসিফ অপহরণ করেছেন তাঁদের ৭ বছরের ছেলেকে। এখন আসিফ অন্য এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ে করেছেন, তাঁকেও ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করছেন তিনি। তিনি রশ্মিকে হুমকি দিচ্ছেন, ধর্ম পাল্টাতে রাজি না হলে  বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হবে।



রশ্মির অভিযোগ, আসিফ তাঁকে জোর করে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা পর্যন্ত করেছেন। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে তাঁকে চাপ দিতেন তিনি। তিনি বারবার কথামত টাকা এনে দিয়েছেন, তারপরেও তাঁকে মারধর, অত্যাচার সইতে হয়েছে।

রশ্মির অভিযোগ, তাঁর স্বামী আসলে লাভ জিহাদি। অন্য যে তরুণীকে এখন তিনি ফাঁসিয়েছেন, তাঁর বয়স ২৮, আসিফের ৪৭। সেই তরুণীর ধর্ম পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি এসএমএস রয়েছে রশ্মির কাছে। তাঁর অভিযোগ, মুনির নামে আসিফের এক বন্ধুও এই ঘটনায় জড়িত। তাঁর বক্তব্য, এরা প্রথমে তাঁর জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে, এখন অন্য আর একজনের সঙ্গেও এমনই করতে চলেছে। আসিফ নাকি তাঁকে খুনের হুমকিও দিয়েছেন, বলেছেন, কোথায় কোথায় তাঁর হাত রয়েছে, সে ব্যাপারে রশ্মির কোনও আন্দাজই নেই।

বান্দ্রা পুলিশ আসিফ ও মুনিরের নামে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। যদিও এ ব্যাপারে আসিফের কোনও বক্তব্য জানা যায়নি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

প্রকাশ্যে এল কেন্দ্রের নয়া সংকল্প ‘ওয়ান বিলিয়ন’



আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডি’জ ইনভেসটরস সার্ভিসের বিচারে নরেন্দ্র মোদির ভারতের রেটিং বাড়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কেন্দ্রের নয়া সংকল্প- ‘ওয়ান বিলিয়ন’ প্রকাশ্যে এল। নোট বাতিল, জিএসটি ও আধার বাধ্যতামূলক করার পিছনে কেন্দ্রের এত জোরাজুরির কারণও জানা গেল এবার।

কেন্দ্রীয় সরকার এখন ভারতে ওয়ান বিলিয়ন কানেকটিভিটি ভিশন চালুর পক্ষে জোরাল পদক্ষেপ করছে। কী এই নয়া প্রকল্প? এই প্রকল্পের অধীনে দেশে ১০০ কোটি মানুষের আধার নম্বরের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংযোগ, আধার নম্বর ও স্থায়ী মোবাইল নম্বর চায় কেন্দ্র। স্বল্প মূল্যের প্রায় ৬ লক্ষ কোটি নোট বাতিল, ডিজিটাল লেনদেন চালু ও প্রত্যেকের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালু করে কেন্দ্র এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে চায়। এই মডেলের পোশাকি নাম ‘ওয়ান প্লাস ওয়ান প্লাস ওয়ান’। অর্থাৎ, একজন ভারতীয় নাগরিকের কাছে তাঁর যাবতীয় প্রামাণ্য নথি থাকবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের সমস্ত সুযোগ সুবিধা পেতে যে কোনও একটি নথি দেখালেই একসঙ্গে অন্যান্য নথিরও ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।

তবে কেন্দ্রের তরফে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার কোনও নির্দিষ্ট তারিখ এখনই প্রকাশ্যে আনা হয়নি। দেশজোড়া বিতর্কের মুখে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ মোদি সরকার। নোট বাতিলের বর্ষপূর্তিতে জাতীয় অর্থনীতিতে এখন খানিকটা হলেও স্থিতাবস্থা ফিরে এসেছে। যার ফলাফল হিসাবে মুডি’জ রেটিংও চড়েছে। তাই এবার আরও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ঝাঁপাতে চাইছে কেন্দ্র। আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংযোগের শেষ তারিখ এগিয়ে আসছে। মোবাইল নম্বরের সঙ্গেও আধার লিঙ্ক করে ফেলতে হবে ২০১৮-র ফেব্রুয়ারির মধ্যে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও কার্যত স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রকে। প্যান কার্ডের উপরও নজরদারি শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশ থেকে হিসাব বহির্ভূত টাকা সরাতে ও স্থিতিশীল অর্থনীতি চালু করতেই ‘ওয়ান বিলিয়ন’ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করে আনতে চায় নরেন্দ্র মোদির সরকার।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Friday, 17 November 2017

সাধুবাদ প্রাপ্য সরকারের, ভারত আর্থিক সংস্কারের প্রশ্নে সঠিক দিশায় চলেছে এবং বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করছে



স্বস্তির মুহূর্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য। প্রধানমন্ত্রী নিজে এখনও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিবৃতি দেননি। কিন্তু নোটবন্দি থেকে জিএসটি, আধার সংযুক্তিকরণ থেকে জনধন— সরকারের প্রতিটি বড় অর্থনৈতিক পদক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সহকর্মী অরুণ জেটলির মুখমণ্ডল প্রশস্ত হাসিতে উদ্ভাসিত, বয়ানে যুদ্ধজয়ের পরিতৃপ্তি। আচমকা যেন প্রবল আত্মবিশ্বাসী গোটা মন্ত্রিসভাই। মুডি’জ ইনভেস্টরস সার্ভিস ভারতীয় অর্থনীতিকে যে শংসাপত্র দিল, তা প্রবল শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠল যেন মোদী-জেটলি জুটির জন্য। এমন এক অস্ত্র হাতে পেলেন নরেন্দ্র মোদীরা, যা বিরোধীদের এবং সমালোচকদের যাবতীয় আক্রমণকে এক লহমায় ভোঁতা করে দিতে সক্ষম, একই সঙ্গে বিরোধিতার দুর্গে বিধ্বংসী আঘাত হানতেও সমর্থ। মোদীর হাসি চওড়া হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক।

নোটবন্দি থেকে জিএসটি প্রবর্তন— একের পর এক বৃহৎ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ করছিল মোদী সরকার, ক্রমশ তীব্র এবং ঐক্যবদ্ধ হচ্ছিল বিরোধী কণ্ঠস্বরও। সরকারি পদক্ষেপগুলো সাধারণ নাগরিকের জীবনে যে সব নেতিবাচক প্রভাব ফেলছিল, সেগুলোকে তুলে ধরেই সরব হচ্ছিল বিরোধী শিবির। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার যে ভাবে ৭.৯ শতাংশ থেকে ৫.৭ শতাংশে নেমে এসেছে, তা নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়ে গিয়েছিল। সরকার নিজের মতো করে প্রতিটি পদক্ষেপের স্বপক্ষে যুক্তি সাজানোর নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সে সব যুক্তি অনেক ক্ষেত্রেই খুব গ্রহণযোগ্য ঠেকছিল না বিশেষজ্ঞ মহলের বড় অংশের কাছে। সরকারের ভঙ্গিতেও আত্মবিশ্বাসের যথেষ্ট অভাব ছিল। মুডি’জ রেটিং লহমায় বদলে দিল ছবিটা। বিরোধী শিবিরের প্রবল রব আচম্বিতে স্বব্ধ যেন। আর সরকারের ভাবভঙ্গি যেন মুহূর্তে উজ্জ্বল এবং আত্মবিশ্বাসী।

তা হলে কি বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ এবং সমালোচনা ভিত্তিহীন ছিল? নোটবন্দি বা জিএসটি-তে কারও কোনও সমস্যা কি হয়নি? সমস্যা অবশ্যই হয়েছে। সাধারণ নাগরিক যে দৈনন্দিন জীবন চালাতে গিয়ে আতান্তরে পড়েছেন, সে আমরা সকলেই দেখেছি। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারও যে এক ধাক্কায় অনেকটা কমেছে, সেও কারও অজানা নয়। কিন্তু মুডি’জ রেটিং-য়ে ভারতের উত্থানের পর সরকার খুব জোর দিয়ে এ কথা বলার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে যে, সরকার সাহসী এবং উপযুক্ত পদক্ষেপই করেছে। সাময়িক কষ্ট ভোগ করতে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে লাভই অপেক্ষায় রয়েছে। আর নতুন হাতিয়ারে সমৃদ্ধ সরকার পক্ষের সামনে বিরোধী শিবির মানসিক ভাবে যেন দুর্বল হয়ে পড়েছে।

মুডি’জ রেটিং-য়ে ভারতের উত্থানের খবর যখন আসে, তখন ইতিবাচক এবং গৌরবজনক অনুভূতি তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, ভারত আর্থিক সংস্কারের প্রশ্নে সঠিক দিশায় চলেছে এবং বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করছে। তার জেরে ভারতীয় অর্থনীতির ছবিটা বিশ্বের সামনে উজ্জ্বল হচ্ছে। এ নিশ্চয়ই একটি ইতিবাচক বিষয়।

ইতিবাচক সন্ধিক্ষণে পৌঁছল দেশের অর্থনীতি । ভারতীয় অর্থব্যবস্থার ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক মহলের সামনে আগের চেয়েও উজ্জ্বল করে তোলার কৃতিত্ব মোদী সরকার দাবি করতেই পারে।

এই অর্জনের জন্য সরকারকে সাধুবাদ। এই অর্জন এমন এক সময়ে এল, যখন প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য ভোটমুখী। নির্বাচনে সুফল পাবেন মোদীরা, ধারণা বিশেজ্ঞদের।
জাতীয় অর্থনীতি যে আগের তুলনায় মজবুত হয়েছে, এবং তার যে কিছু সুফল রয়েছে, দেশের নাগরিক তা প্রত্যক্ষ ভাবে উপলব্ধি করার অপেক্ষায়।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

সিদ্ধ ডিমকে কাঁচা অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব !



ডিম সিদ্ধ করতে তো সবাই পারেন। তাই বলে সিদ্ধ ডিমকে অসিদ্ধ বা কাঁচা অবস্থায় ফিরে আনা সম্ভব? না, আজগুবি নয়। এই আবিষ্কারের জন্য একদল বিজ্ঞানীকে দেওয়া হল আইজি নোবেল পুরস্কার। প্রত্যেক বছর মজার কিছু আবিষ্কারের জন্য গবেষকদের এই বিশেষ নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে এগুলো শুধুই মজার নয়। যথেষ্ট মাথা খাটিয়ে বের করতে হয় এসব  আজগুবি তত্ত্ব। যা কিছু অসম্ভব বলে মনে করা হয়, তা সম্ভব করাই এদের উদ্দেশ্য। পুরস্কার দেওয়া হয় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন থেকে অর্থনীতি-সাহিত্যেও।

দু’দিন আগেই ২০১৫-র ২৫ তম আইজি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হল হাভার্ড ইউনিভার্সিটিতে। প্রকাশ্যে এল আরও কিছু অদ্ভুতুড়ে আবিষ্কার। এবার যা সবথেকে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তা হল, সিদ্ধ ডিমকে কাঁচা অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি। একদল রসায়নবিদ এই আবিষ্কার করেছেন। এতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হলেও এটাই সত্যি। এর জন্য করতে হয়েছে গভীর গবেষণা। নানা রাসায়নিকের খেলায় সিদ্ধ ডিমকে তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

পদার্থবিদ্যায় যিনি এই পুরস্কার পেলেন তাঁর আবিষ্কার প্রাণীদের প্রস্রাব করতে গড়ে সময় লাগে ২১ সেকেন্ড। এছাড়া মরক্কোর সম্রাট মৌলায় ইসমাইল যিনি ৮৮৮ জন সন্তানের বাবা ছিলেন তাঁর সম্পর্কে দুটি তত্ত্ব দিয়েছেন ঐতিহাসিকদের একটি দল। প্রথম তত্ত্ব অনুযায়ী,  ৫০০ জন মহিলার সঙ্গে যদি প্রত্যেক দিন ১.৬৩ করে কেউ মিলিত হন তাহলে ৩২ বছরে ১,১৭১ টি সন্তান হওয়া সম্ভব। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুক্রাণু কমে যাওয়ায় তা ৮৮৮ তে এসে ঠেকেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

প্রথম বার সফল ভাবে প্রতিস্থাপিত হল মানুষের মাথা, দাবি বিজ্ঞানীর



চাঞ্চল্যকর সাফল্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে। প্রথম বার সফল ভাবে প্রতিস্থাপিত হল মানুষের মাথা। ইতালীয় শল্যচিকিৎসক সের্গিও কানাভেরোর তরফে অন্তত তেমনই দাবি করা হয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই কানাভেরো দাবি করছিলেন, এক মানুষের শরীরে অন্য মানুষের মাথা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। কিন্তু ইউরোপ বা আমেরিকার কোনও দেশের সরকারই তাঁকে এমন কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ দিতে চায়নি। নৈতিক কারণেই এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক কানাভেরোকে। কিন্তু ইতালীয় শল্যচিকিৎসক তথা চিকিৎসা বিজ্ঞানের অধ্যাপক কানাভেরো জানিয়েছেন, চিনের এক গবেষণাগারে সফল ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে মানুষের মাথা।

শুক্রবার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় সাংবাদিক সম্মেলন করে কানাভেরো জানিয়েছেন, এক মানুষের শরীরে অন্য মানুষের মাথা সফল ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। এক জনের ধড়ে অন্য এক জনের মাথা বসিয়ে মেরুদণ্ড, স্নায়ু এবং ব্লাড ভেসেলগুলি সফল ভাবে জুড়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে এই পরীক্ষামূলক প্রতিস্থাপন জীবিতদের শরীর ব্যবহার করে হয়নি। এর পরে সেই ধাপের দিকেই তিনি এগোচ্ছেন বলে কানাভেরো জানিয়েছেন।

খুব শীঘ্রই কোনও ব্রেন ডেথ হওয়া ব্যক্তির শরীরে অন্য ব্যক্তির মাথা বসিয়ে প্রমাণ করে দেওয়া হবে, মানুষের মাথা প্রতিস্থাপনও সম্ভব। জানিয়েছেন কানাভেরো।চিনের হারবিন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে এই পরীক্ষামূলক প্রতিস্থাপন হয়েছে বলে খবর। এই অস্ত্রোপচারে ১৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে বলে জানানো হয়েছে। চিনা চিকিৎসক রেন শিওয়াপিং এই প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় সের্গিও কানাভেরোর সঙ্গী হয়েছিলেন। গত বছর শিয়াওপিং সফল ভাবে হনুমানের শরীরে মাথা প্রতিস্থাপন করেছিলেন। শিওয়াপিং-কে সঙ্গে নিয়ে তিনি খুব শীঘ্রই জীবিত মানুষের মাথা প্রতিস্থাপন করতে চলেছেন বলে কানাভেরো জানিয়েছেন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Saturday, 11 November 2017

কালী ঠাকুরের মূর্তিতে কালি লেপে দিল দুষ্কৃতীরা



আগরতলা : কালীমূর্তিতে কালি লেপে দিল দুষ্কৃতীরা। গতরাতে পশ্চিম জেলার রামনগর ফাঁড়ি থানা এলাকার রঞ্জিতনগরের অখণ্ড পঞ্চবটী কালীমন্দিরে এই ঘটনটা ঘটেছে।

আজ সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি লক্ষ্য করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রঞ্জিতনগর থানার পুলিশ এলাকায় যায়। তদন্ত শুরু হয়েছে।

কিছুদিন আগেই সোনামুড়া এলাকায় লোকনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মহিলা পুলিশকর্মীকে অশ্লীল এসএমএস পাঠানোর অভিযুক্ত কীভাবে সিআইডির শীর্ষপদে বসানো হয়েছে?, অভিযোগ মুকুল রায়ের


বিরোধী দলের নেতা-জনপ্রতিনিধিদের জালে জড়াতে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসারদেরও কাজে লাগাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ শুক্রবার কলকাতার রানি রাসমনি রোডের সভা থেকে এমনই অভিযোগ করলেন মুকুল রায়৷ বিজেপির হয়ে তাঁর আত্মপ্রকাশের পর প্রথম জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন তিনি৷ তার মধ্যেই ছিল, রাজ্য সরকার বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ-সিআইডিকে কাজে লাগানোর অভিযোগ৷

যদিও পুলিশ-প্রশাসনকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ মুকুল রায় আগেও তুলেছেন৷ কিন্তু এদিন তিনি যোগ করেছেন, নতুন একটি প্রসঙ্গ৷ সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারকে সিআইডির মাথায় বসানো নিয়ে৷ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এডিজি-সিআইডির পদে বসেছেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর নাম করেই এদিন অভিযোগ করেছেন মুকুল রায়৷ বলেছেন, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার থাকাকালীনই এর মহিলা পুলিশকর্মীকে অশ্লীল এসএমএস পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে৷ সেই সঞ্জয়কেই আবার সিআইডির শীর্ষপদে বসানো হয়েছে৷ মুকুল রায়ের অভিযোগ, এগুলো করা হয়েছে বিরোধী নেতাদের হেনস্তা করতে৷ বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতেই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷

প্রসঙ্গত, অভিযোগ ওঠার পর কম গুরুত্বপূর্ণ পদে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে৷ তার পর তিনি সিআইডির ওই পদে এলেন৷ তাঁর আগে ওই পদে ছিলেন রাজেশ কুমার৷ তিনি আবার পুলিশ মহলে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত৷ তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে অভিযোগ উঠেছে৷ কারণ, ইতিমধ্যে সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় মুকুল রায়ের নাম জড়িয়েছে৷ মুকুল ঘনিষ্ঠ অর্চনা মজুমদারকে ডেকে জেরাও করেছে সিআইডি৷ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগকারী নম্রতা দত্তকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ মুকুলের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর৷ ফলে এদিন কার্যত সেই প্রসঙ্গগুলিই টেনে রাজ্যে পুলিশি-রাজ নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্য রাজনীতির চাণক্য৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

যোগাসন শেখানো যাবে না, ফতোয়া না মানার শাস্তি পেতে হল মুসলিম যোগ শিক্ষিকাকে বাড়িতে হামলা



যোগাসন শেখানো যাবে না। এই ছিল ফতোয়া। না মানার শাস্তি পেতে হল মুসলিম যোগ শিক্ষিকাকে। টেলিভিশনের সাক্ষাৎকার চলাকালীনই হামলা হল শিক্ষিকার বাড়িতে। ছোড়া হল ইট-পাটকেল। যোগ শেখানো বন্ধ না করা হলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হল রাঁচির রাফিয়া নাজকে।

যোগগুরু রামদেব সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে এলে তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে যোগাসন শিখিয়েছেন রাফিয়া। যোগা শিক্ষিকা হিসেবে বেশ নাম রয়েছে তাঁর। কিন্তু কিছুদিন আগেই রাফিয়া জানান, যোগাসন শেখানো থামাতে তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছেন মুসলিম সমাজেরই একাংশ। হুমকি দেওয়া হচ্ছে, অবিলম্বে যোগাসন শেখানো বন্ধ না করলে তাঁকে হত্যা করা হবে। মহিলাদের যোগাসন শেখানোর অনুমতি দেয় না ইসলাম, এই দাবিতে রাফিয়ার বিরুদ্ধে জারি হয় ফতোয়া।



ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন রাফিয়া। এ নিয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই লাইভ ভিডিওর মাধ্যমের চ্যাট শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন। বাড়ি থেকেই শোয়ে নিজের ভয়ের কথা জানাচ্ছিলেন। যা ভয়ঙ্কর সত্যিতে পরিণত হয়। একদল মানুষ এসে হামলা চালায় তাঁর বাড়িতে। ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। বাইরে থেকে গালিগালাজ ও হুমকি দিতে থাকে। ভয়ে কেঁদে ফেলেন রাফিয়া। বারবার নিজের ও নিজের পরিবারের সুরক্ষার আরজি জানাতে থাকেন।

ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে যোগগুরু রামদেব বলেন, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে সৌদি আরবে বহু মুসলিম যোগ চর্চা করেন। এটা শরীর ও মন সুস্থ রাখার ভাল উপায়। ধর্মকে এই স্তরে নামিয়ে আনা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন যোগগুরু। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রখ্যাত শিয়া ধর্মগুরু মৌলানা সইফ আব্বাস। তিনি জানান, মুসলিম মহিলা যোগ প্রশিক্ষণ দিলে তাতে খারাপটা কোথায়? প্রশ্ন তোলেন মৌলানা। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। ঘটনার পর রাফিয়ার ঘরের চারপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের মুখ্যসচিব সঞ্জয় কুমার।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 8 November 2017

রাজি ছিল নম্রতাও, তরুণীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তিনি কিছুই করেননি: ঋতব্রত



বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সিআইডি-র দাবি, নম্রতা দত্তের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক হয়েছিল বলে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে স্বীকার করেছেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত রাজ্যসভার সদস্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিআইডি-র প্রশ্নের জবাবে ওই সাংসদ জানান, নম্রতার সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক হয়েছে পরস্পরের সম্মতিতেই। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, ঋতব্রত এ দিন দাবি করেছেন, বালুরঘাটের ওই তরুণীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তিনি কিছুই করেননি। যা করেছেন তাঁর সম্মতি নিয়েই।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কাল, বৃহস্পতিবার ঋতব্রতের বিয়ে হওয়ার কথা তাঁর প্রেমিকা দূর্বা সেনের সঙ্গে। সেই জন্য ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে যথাসময়ে নোটিসও দেওয়া হয়েছে। দূর্বার সঙ্গে ওই দিন তাঁর বিয়ে হচ্ছে বলে ঋতব্রত জানান তদন্তকারীদের।

আজ, বুধবার বেলা ১টা নাগাদ ফের ভবানী ভবনে জেরা করা হবে ঋতব্রতকে। নম্রতাকে তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কি না, এ বার মূলত সেটাই জানতে চাওয়া হবে তাঁর কাছে। সিআইডি-র হেফাজতে নেওয়া হবে তাঁর মোবাইল-সহ কিছু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম এবং নথিপত্র।

১ নভেম্বর ভবানী ভবনে গিয়ে দূর্বা জানিয়েছিলেন, ঋতব্রতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ২০১৫ সালে।

ঘনিষ্ঠতা ২০১৬ থেকে। আর নম্রতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কবে থেকে? সিআইডি-র দাবি, ঋতব্রতের বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে, নম্রতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দেড় বছরের কম নয়। অর্থাৎ একই সময়ে তিনি দুই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গোয়েন্দাদের দাবি, ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে ঋতব্রত জানান, নম্রতার সঙ্গে নৈতিক ভাবে তিনি ঠিক করেননি।

এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ আইনজীবীকে নিয়ে সাদা সেডানে ভবানী ভবনে সিআইডি-র দফতরে ঢোকেন ঋতব্রত। কালো ফুলহাতা জামা, নীল জিনসের ঋতব্রতের দাড়ি ছিল কামানো। যদিও এত দিন ঋতব্রতকে দাড়িগোঁফ-সমেত দেখা গিয়েছে। গোয়েন্দারা তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন প্রায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তিনি বেরিয়ে আসেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঋতব্রত বলেন, ‘‘গোটা ঘটনার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে। এটা একটা ষড়যন্ত্রের অংশ। আমি চাই, প্রকৃত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। আমার অভিযোগেরও তদন্ত হোক।’’ গরফা থানায় ঋতব্রত অভিযোগ করেন, বারবার টাকা চেয়ে ব্যর্থ হয়েই নম্রতা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। এতে তাঁর মর্যাদাহানি হয়েছে। সেই অভিযোগ দিল্লিতে পাঠানো হয়। দিল্লি পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে বলে সিআই়ডি-র খবর।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

রাজ্যজুড়ে BJP ভালো ফল করবে, জেলায় তৃণমূল হারবে বেশিরভাগ আসনে, মুকুল রায়



সামনেই উপনির্বাচন। তারপর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচন আছে। আর ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন। মুকুল রায় আশাবাদী লোকসভা নির্বাচনে বেশ ভালোই ঘর গুছিয়ে নেবে BJP। তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে BJP ভালো ফল করবে। তৃণমূল কংগ্রেস সিঙ্গেল লার্জেস্ট পার্টি হবে না।” আজ BJP রাজ্য দপ্তরে এসেছিলেন মুকুল রায়। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন। আর নিজের জেলায় কেমন ফল করবে BJP ? প্রশ্নের উত্তরে মুকুল বলেন, “৫টি আসন আছে। ৩টি আসনে হারবে তৃণমূল। ব্যারাকপুরেও তৃণমূল জিতবে না।”

আগামীকাল নোটবাতিলের বর্ষপূর্তি। এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ অব্যাহত। মুকুল রায় বলেন, “নোটবাতিলের পর দুটি ভোট হয়েছে। ভারতবর্ষের মানুষ BJP-র পক্ষে রায় দিয়েছে। সামনে হিমাচল ও গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন আছে। হিমাচল প্রদেশে তো আমাদের জয়জয়কার হবে। গুজরাতে তো ভারী বহুমতে জিতব। সুতরাং, বিরোধীরা কী বলব তাতে কিছু এসে যায় না। মানুষের রায়ই আসল।”

আজ লখনউয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বৈঠক করেন অধীর চৌধুরি। এ বিষয়ে মুকুল বলেন, “অধীরবাবু দীর্ঘদিনের সাংসদ সদস্য। যোগীজিও সাংসদ সদস্য ছিলেন বহুদিন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্য তাঁরা বৈঠক করেছেন।” তবে, অধীর চৌধুরি BJP-তে যোগ দিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান মুকুল রায়।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পাকিস্তানে গিয়ে ভারতের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছেন তাঁরা, প্রশংসায় পঞ্চমুখ জেলে বন্দি থাকা ফতিমারা



গত বৃহস্পতিবার ১৩ জন পাকিস্তানি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ভারত। ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছেন তাঁরা।  বন্দিদের মধ্যে ছিলেন দুই মহিলা ও এক কিশোরী। ভারতের জেলেই জন্ম হয়েছে ওই কিশোরীর।  তাঁদের ফিরে যাওয়ায় কার্যত পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে উৎসবের মেজাজ।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জেলে বন্দি ছিলেন তাঁরা। ২০০৮-এ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রশিদা নামে এক বন্দির। বাকিরা এতদিন লড়াই করে অবশেষে ফিরতে পেরেছেন দেশে। আর হিনা নামে ওই কিশোরী জন্মের পর প্রথম পা রেখেছেন পাকিস্তানে।

পাকিস্তানে গিয়ে ভারতের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছেন তাঁরা। এখানে তাঁদের সঙ্গে খারাপ কিছু হয়নি, সেকথাও বলেছেন তাঁরা। ২০০৬-এ গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। তাদের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম ড্রাগ পাওয়া গিয়েছিল। গর্ভবতী ফতিমা সহ বাকি ভয়ে পেয়ে গিয়েছিলেন যে তাঁদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হবে।

প্রথম কয়েকদিন তাঁরা ভয়ে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ফতিমা সুস্থভাবেই সন্তানের জন্ম দেয়। তার জন্য জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ বলেও জানিয়েছেন। সন্তানের জন্ম দেওয়ার এক মাস আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এক সপ্তাহ পরে ছাড়া হয়। তাঁর কোনও কষ্টই হয়নি। এমনকি হিনা স্কুলে পড়াশোনার সুযোগও পেয়েছে ভারতে।

সেইসঙ্গে তাঁদের আইনজীবী নভজোত কাউর ছাব্বার প্রশংসাও করেছেন তিনি। যিনি এক টাকাও না নিয়ে মামলাটি লড়েছেন। তিনি একবারও ভাবেননি এরা পাকিস্তানি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

নোট বাতিলের বাস্তব চিত্র, রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্ট



নোট বাতিলের বাস্তব চিত্র যা রিজার্ভ ব্যাংকের পেশ করা রিপোর্টে ধরা পড়েছে।

আসুন বাস্তব চিত্রটা একবার দেখে নেওয়া যাক।

১) নোট বাতিলের কারণে ১৮ লক্ষ সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত হয়েছে। 

২) নোট বাতিলের সময়ে জমা দেওয়া ২.৮৯ লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে তদন্ত চলছে।

৩) লেনদেন সংক্রান্ত ৫.৫৬ লক্ষ নতুন মামলা চালু হয়েছে।

৪) রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ৫৬ লক্ষ নতুন কর দাতা যুক্ত হয়েছে নোট বাতিলের কারণে। 

৫) নগদ ব্যবসায়ীরা এখন প্রায় সকলেই কর দিচ্ছে। ট্যাক্স রিটার্ন ফাইলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৪.৭ শতাংশ। আগে যা ছিল ৯.৯ শতাংশ। 

৬) ব্যক্তিগত ইনকাম ট্যাক্স আদায় বেড়েছে ৪১.৭৯ শতাংশ।

৭) ব্যাংকে তিন লক্ষ কোটি টাকা আমানত জমা পড়েছে।

৮) ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৬ শতাংশ।

৯) এক কোটির বেশি শ্রমিক ইপিএফ এবং ইএসআইসির আওতায় এসেছে।

১০) ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি টাকার অনৈতিক অনৈতিক লেনদেনে ধরা পড়েছে। 

১১) ২৯,২১৩ কোটি টাকার অপ্রকাশিত আয় সামনে এসেছে। 

১২) নোট বাতিলের কারণে বহু বেনামি কোম্পানির নাম সামনে এসেছে। ২.১ লক্ষ কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। 

১৩) এই ধরণের বিভিন্ন কোম্পানির ৮০০ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

১৪) নোট বাতিলের কারণেই লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন জমা শুরু হয়েছে। যা কালো টাকার কারবারিদের পর্যুদস্ত করতে অনেকটাই সহায়ক হয়েছে।

এটি  গত বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাংকের পেশ করা রিপোর্ট।
বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলি নোট বাতিলের সুফল  জেনেও, শুধু মাত্র সাধারণ মানুষ কে ভুল পথে চালিত করার সস্তার রাজনীতি করে যাবে!!


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp