JanaSoftR

Sunday, 20 August 2017

সন্ত্রাসবাদীদের দমন করতে শূকরের রক্তে ভেজা গুলিতে জঙ্গি নিকেশ, উপদেশ ট্রাম্পের



স্পেনে জঙ্গি হামলায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শুধু তাই নয়, এবার জঙ্গিনিধনে এক নতুন পথও বাতলে দিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদীদের দমন করতে মার্কিন সেনাপতি জন পার্শিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন ট্রাম্প। একটি টুইটের মাধ্যমে উপদেশ দিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিদের নিকেশ করতে জেনারেল পার্শিংয়ের পদ্ধতি পালন করা উচিত।

কী সেই পদ্ধতি? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, জেহাদিদের অন্ধবিশ্বাসে আঘাত হানতে হবে। ধর্মকে ‘অস্ত্র’ করেই নির্মূল করতে হবে ইসলামিক সন্ত্রাসের শিকড়। উল্লেখ্য, জেহাদিদের বিশ্বাস ‘বিধর্মী’দের হত্যা করলে আল্লাহ স্বর্গের পথ খুলে দেন। তাদের কাছে চরম অপবিত্র বা ‘হারাম’ হচ্ছে শূকর। ওই প্রাণীর স্পর্শেও নরকে যেতে হয়, বিশ্বাস করে জেহাদিরা। জেহাদিদের বিরুদ্ধে শূকরের রক্তে ভেজা কার্তুজ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন নেটিজেনরা। তবে সমালোচনায় কান দেওয়া ট্রাম্পের স্বভাব নয়। তাঁর দাবি, এই পথেই জেহাদিদের সন্ত্রাসের পথে হাঁটা আটকানো যাবে।

উল্লেখ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন সেনার এক প্রভাবশালী সেনাপতি ছিলেন জন পার্শিং। ইতিহাসবিদের একাংশ মনে করেন, ইসলামিক উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে শূকরের রক্তে ভেজানো গুলি ব্যবহার করেছিলেন তিনি। যার ফলে নরকে যাওয়ার ভয়ে লড়াই ছেড়ে পালিয়ে যেত জঙ্গিরা।

তবে ট্রাম্পই প্রথম নন, জঙ্গিদের দেহ শূকরের চামড়ায় মুড়ে কবর দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। ২০০২ সালে চেচেন বিদ্রোহীদের দমন করতে এই পন্থাই নিয়েছিল রুশ সেনা, বলেন গবেষকরা। বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে ঘৃণ্য, প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলা চালাচ্ছে ইসলামিক স্টেট, আল কায়দা, বোকো হারামের মতো চরমপন্থী ইসলামিক সংগঠনগুলি। জঙ্গিদের লক্ষ্য, বিশ্ব জুড়ে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠা করা। গত বৃহস্পতিবারও জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল স্পেনের বার্সেলোনা। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ জন নিরীহ মানুষ। ওই হামলায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায় বিশ্ব জুড়ে। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী। স্পেনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ।
JanaSoftR
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp




0 comments:

Post a Comment