ওয়াশিংটন: Nuclear Suppliers Group এ ভারতের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে আরও বেশি সমর্থন জোগাবে আমেরিকা। ভারতের এই অন্তর্ভুক্তিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। গত জুন মাসে এলিট নিউক্লিয়ার ক্লাবের বৈঠকে ভারতের অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এর সদস্যরা।
এনএসজি-র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চিনের বাধাতেই বারবার আটকে যাচ্ছে ভারতের এনএসজি অন্তর্ভুক্তি। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের এই অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে একটি বৈঠক করবে আমেরিকা। যাতে তারা আরও সুকৌশলে ভারতকে সমর্থন করতে পারে। জুন মাসে মোদী ও ট্রাম্পের বৈঠকের সময়েও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এ অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারত আবেদন করা পরেই বাধা দেয় চিন। আর চিনকে সমানে ইন্ধন জোগায় পাকিস্তান।
অন্যদিকে, ডোকলামে চলা অশান্তির মাঝে ফের চিন জানিয়ে দিয়েছে যে তারা বিরোধিতাই করবে। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শ্যুয়াং বলেন, যতদূর নন-এনপিটি দেশগুলির এনএসজি-তে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তাদের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হয়নি। সুইজারল্যান্ডের বার্নে এসএসজি গোষ্ঠীর প্লেনারি সম্মেলন রয়েছে সামনেই। শ্যুয়াং বলেন, নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে এনএসজি-র নির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। সোল প্লেনারিতে তা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে। তাঁর আশা, বার্নেও সেই নীতি অবলম্বন করা হবে।
গত বছর সোলের প্লেনারিতেও ভারতের আবেদন নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের আবেদনকে সমর্থন জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন পশ্চিমী দেশ। কিন্তু, চিন জানিয়ে দেয়, যদি নতুন কোনও রাষ্ট্রকে এনএসজি-র সদস্য হতে ইচ্ছুক রাষ্ট্রগুলিকে এনপিটি স্বাক্ষর করতে হবে।
পাল্টা ভারতের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা এনপিটি স্বাক্ষর করবে না। এই প্রথম নয়। এর আগেও বেজিং বহুবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, পরমাণু জ্বালানি সরবরাহ গোষ্ঠীতে ভারতের যুক্ত করার প্রশ্নে তাদের অবস্থানের কোনও বদল হয়নি। তাদের দাবি, এনএসজিতে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সকল নন-এনপিটি রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে এক ও অবৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিত।
0 comments:
Post a Comment