মোদির কূটনীতি ও ভারতীয় সেনার বাহুবলে বলীয়ান হয়ে ডোকলামে ‘ড্রাগন’কে কার্যত মাথা নোয়াতে বাধ্য করল ভারত, এমনটাই দাবি ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একাংশের।
মন্ত্রকের মতে, যুদ্ধ শুরু হলে নেপাল-ভুটান-ভারত ত্রিদেশীয় সীমান্তে চরম বিপাকে পড়ত লালফৌজ। সেটা বিলক্ষণই বুঝতে পেরেছিল বেজিং। চিনা সেনার জন্য চক্রব্যূহ তৈরিই রেখেছিলেন ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডোকলাম সীমান্তে এক চুল জমিও চিনকে না ছাড়তে কেন্দ্রকে আরজি জানিয়েছিলেন রাওয়াত। যুদ্ধ শুরু হলে চিনা যুদ্ধবাজদের গুঁড়িয়ে দিতে তৈরিই ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী, দিল্লিকে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি। ডোকলামে কৌশলগত দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ভারতীয় সেনা। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলি দখল করে ফেলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, সেটা বুঝতে পেরেই আস্ফালন করলেও যুদ্ধে অরাজি লালফৌজ, তাঁর রিপোর্টে কেন্দ্রকে জানিয়েছিলেন রাওয়াত।
শিলিগুড়ির কাছে ‘চিকেন নেক’ এলাকাকে নজরে রেখেই ডোকলামে সড়ক নির্মাণ করার চেষ্টা চালিয়েছিল চিন। ইন্টেলিজেন্স সূত্রে রিপোর্ট পেয়ে তড়িঘড়ি ডোকলামে সেনা মোতায়েন করে ভারত। তারপরই কষে ফেলা হয় যুদ্ধের ছক। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি দখল করে নেয় সেনাবাহিনী। এছাড়াও অরুণাচল সীমান্তে মোতায়েন করা হয় সুখোই যুদ্ধবিমান। চিনা চক্রান্ত বিফল হওয়ায় কৌশলগতভাবে ওই এলাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল ভারত। চিনের ষড়যন্ত্র সফল হলে অসম-সহ উত্তরপূর্বের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে ভারতের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ত। উল্লেখ্য, ডোকলামে মুখ পুড়লেও থেমে নেই লালফৌজ। বুধবার, ভারত মহাসগরে মালদ্বীপের কাছে দেখ মিলল চিনা নৌবহরের। মহড়ার নামে ওই এলাকয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখছে একাধিক চিনা ডেস্ট্রয়ার ও ফ্রিগেট।
এদিকে, আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘ব্রিকস সামিট’। সেখানে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে নেহেরুর ‘বিফল’ পঞ্চশীল ভারতকে হাড়ে হাড়ে বুঝিযে দিয়েছিল যে পিঠে ছুরি মারতে পারদর্শী চিন। তাই ঝুঁকি না নিয়ে এবার তৈরি ভারতও। সেনাকে যে কোনও সময় স্বল্প নোটিসে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment