JanaSoftR

Thursday, 31 August 2017

এবার হাজির মারণ গেম ‘সল্ট অ্যান্ড আইস’, মারণ গেমের ছায়া শিলিগুড়িতে



একে ব্লু হোয়েলে রক্ষে নেই। হাজির তার দোসর ‘সল্ট অ্যান্ড আইস’। এবার অনলাইন মারণ গেমের ছায়া শিলিগুড়িতে৷ ব্লু হোয়েলের ধাঁচে ঘাতক এই গেমে মজে মৃত্যুর মুখ থেকে কোনওরকমে বেঁচে ফিরল দশম শ্রেণির এক ছাত্র৷

‘সল্ট অ্যান্ড আইস’ নামে গেমের টানে রীতিমতো জীবন খোয়াতে বসেছিল শিলিগুড়ির একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই পড়ুয়া৷ খেলতে খেলতে শেষে ওই ছাত্রকে ‘টাস্ক’ দেওয়া হয়েছিল, চলন্ত ট্রাকের নিচে শুয়ে সেলফি তুলতে হবে৷ সেই কাজে সফল হতে রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল ছাত্রটি৷ তবে, ক্ষণিকের অমনোযোগ আর মোক্ষম সময়ে একটা ফোন৷ এই দুইয়ের যোগফলই প্রাণ বাঁচিয়ে দিল ওই কিশোরের৷ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে ছাত্রের বাবা শিলিগুড়ি সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ তবে অভিযোগে অনেক কিছুই তাঁরা স্পষ্ট করেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে৷

ওই পড়ুয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে বুধবার ডেকে পাঠানো হয় সাইবার থানায়৷ তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এমনকী প্রয়োজনে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার নীরজকুমার সিং৷ তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি৷  এমন গেমে কীভাবে ওই ছাত্র যুক্ত হল তা জানা দরকার৷ শহরে এমন ঘটনা প্রথম৷ এটা দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার৷”

শিলিগুড়ির শালবাড়ি এলাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই ছাত্র বেশ কিছুদিন ধরে মারণ অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷ কিন্তু তা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি  পরিবারের কেউ৷ গত শুক্রবার ছিল গেমটির শেষ টাস্ক৷ সেখানে রাস্তায় চলন্ত ট্রাকের নিচে সেলফি তুলতে নির্দেশ দেয় অচেনা গেমের অ্যাডমিন৷ সেইমতো শুক্রবার দুপুর থেকে স্কুলের কাছেই সুকনায় রাস্তার ধারে ট্রাকের অপেক্ষায় ছাত্রটি বসে ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ এ জন্য সে স্কুলেও যায়নি৷ কিন্তু এক ঘণ্টার বেশি বসে থেকেও ট্রাকের দেখা মেলেনি৷ পাহাড়ে বনধের জেরে সুকনার রাস্তায় এখন যানবাহন চলছে না বিশেষ৷ ফলে গেম শেষ করতে পারবে না ভেবে ছেলেটি মনমরা হয়ে পড়ে৷

এমন সময় এক কাকার ফোন আসে তার মোবাইলে৷ ফোন ধরে মুখ ফসকে সে বলে ফেলে, “আই অ্যাম গোয়িং টু কমিট সুইসাইড৷” বিষয়টি বুঝতে না পেরে ভয় পেয়ে তড়িঘড়ি ছাত্রের বাবাকে ফোন করেন ওই ব্যক্তি৷ এরপরই বাবার ফোন পেয়ে ছাত্রটি ভয় পেয়ে বাড়িতে ফিরে আছে। তার মুখ থেকে গোটা ঘটনা শুনে হতভম্ব হয়ে যায় ওই স্কুল পডু়য়ার পরিবার৷ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে প্রথমে দু-তিনদিন তাকে নানারকম প্রশ্ন করে উত্তর জানার চেষ্টা করেন বাড়ির লোকজন৷ প্রথমে মুখ না খুললেও পরে ধীরে ধীরে ছাত্রটি গেমের বিষয়ে সবটাই বলে৷ এর পরই মঙ্গলবার শিলিগুড়ির এক আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বিষয়টি জানিয়ে পরামর্শ চান উদ্বিগ্ন ওই ছাত্রের বাবা৷ তাঁদের পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন আইনজীবী।

JanaSoftR
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp




0 comments:

Post a Comment