JanaSoftR
  • সপ্তাহে কতবার যৌনমিলনে আগ্রহী সুন্দরীরা: একটি সমীক্ষা

  • এই নতুন নেশাতেই মজছে স্কুল পড়ুয়ারা, চিন্তায় অভিভাবকরা

  • ট্রেনে একঘন্টায় কলকাতা থেকে দিল্লি!

  • মরুভূমি হয়ে যাবে পাকিস্তান, সিন্ধু অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণ শুরু, প্রবল চাপে পাকিস্তান

Thursday, 31 August 2017

কোর্টে রাম রহিম বলেছিলেন, তিনি নপুংসক। তাহলে কী ভাবেই বা তিনি ৯ বছর পর ধর্ষণ করতে পারেন?



বাবা রাম রহিম নাকি ১৯৯০ সাল থেকেই নপুংসক!

নপুংসক যখন, তখন কী ভাবেই বা তিনি ৯ বছর পর ধর্ষণ করতে পারেন?

১৯৯৯ সালে দু’-দু’টি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত বাবার আইনজীবী সিবিআই আদালতে শুনানির সময় ওই অজুহাত দেখিয়েই ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন।

পারেননি। কারণ, সিবিআই বিচারকের পাল্টা প্রশ্ন ছিল, ‘‘তা হলে আপনার দু’-দু’টো মেয়ে হল কী ভাবে?’’

সচ্চা সৌদা ডেরার দুই সাধ্বী বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের দু’-দু’টি মামলা দায়ের করেছিলেন ’৯৯ সালের অগস্ট ও সেপ্টেম্বরে। শুনানির সময় সিবিআই বিচারক জগদীপ কুমারকে তাঁর জবানবন্দি দিতে গিয়ে বাবা বলেছিলেন, ‘‘আমি ধর্ষণ করব কী ভাবে? আমি তো ’৯০ সাল থেকেই নপুংসক। আমি তো কারও সঙ্গে সঙ্গমই করতে পারি না।’’

কিন্তু বাবার যুক্তি ধোপে টেঁকেনি আদালতে। তারই এক সাক্ষীর দেওয়া সাক্ষ্যেই মিথ্যেটা ফাঁস হয়ে যায়।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

এবার হাজির মারণ গেম ‘সল্ট অ্যান্ড আইস’, মারণ গেমের ছায়া শিলিগুড়িতে



একে ব্লু হোয়েলে রক্ষে নেই। হাজির তার দোসর ‘সল্ট অ্যান্ড আইস’। এবার অনলাইন মারণ গেমের ছায়া শিলিগুড়িতে৷ ব্লু হোয়েলের ধাঁচে ঘাতক এই গেমে মজে মৃত্যুর মুখ থেকে কোনওরকমে বেঁচে ফিরল দশম শ্রেণির এক ছাত্র৷

‘সল্ট অ্যান্ড আইস’ নামে গেমের টানে রীতিমতো জীবন খোয়াতে বসেছিল শিলিগুড়ির একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই পড়ুয়া৷ খেলতে খেলতে শেষে ওই ছাত্রকে ‘টাস্ক’ দেওয়া হয়েছিল, চলন্ত ট্রাকের নিচে শুয়ে সেলফি তুলতে হবে৷ সেই কাজে সফল হতে রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল ছাত্রটি৷ তবে, ক্ষণিকের অমনোযোগ আর মোক্ষম সময়ে একটা ফোন৷ এই দুইয়ের যোগফলই প্রাণ বাঁচিয়ে দিল ওই কিশোরের৷ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে ছাত্রের বাবা শিলিগুড়ি সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ তবে অভিযোগে অনেক কিছুই তাঁরা স্পষ্ট করেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে৷

ওই পড়ুয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে বুধবার ডেকে পাঠানো হয় সাইবার থানায়৷ তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এমনকী প্রয়োজনে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার নীরজকুমার সিং৷ তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি৷  এমন গেমে কীভাবে ওই ছাত্র যুক্ত হল তা জানা দরকার৷ শহরে এমন ঘটনা প্রথম৷ এটা দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার৷”

শিলিগুড়ির শালবাড়ি এলাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই ছাত্র বেশ কিছুদিন ধরে মারণ অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷ কিন্তু তা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি  পরিবারের কেউ৷ গত শুক্রবার ছিল গেমটির শেষ টাস্ক৷ সেখানে রাস্তায় চলন্ত ট্রাকের নিচে সেলফি তুলতে নির্দেশ দেয় অচেনা গেমের অ্যাডমিন৷ সেইমতো শুক্রবার দুপুর থেকে স্কুলের কাছেই সুকনায় রাস্তার ধারে ট্রাকের অপেক্ষায় ছাত্রটি বসে ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ এ জন্য সে স্কুলেও যায়নি৷ কিন্তু এক ঘণ্টার বেশি বসে থেকেও ট্রাকের দেখা মেলেনি৷ পাহাড়ে বনধের জেরে সুকনার রাস্তায় এখন যানবাহন চলছে না বিশেষ৷ ফলে গেম শেষ করতে পারবে না ভেবে ছেলেটি মনমরা হয়ে পড়ে৷

এমন সময় এক কাকার ফোন আসে তার মোবাইলে৷ ফোন ধরে মুখ ফসকে সে বলে ফেলে, “আই অ্যাম গোয়িং টু কমিট সুইসাইড৷” বিষয়টি বুঝতে না পেরে ভয় পেয়ে তড়িঘড়ি ছাত্রের বাবাকে ফোন করেন ওই ব্যক্তি৷ এরপরই বাবার ফোন পেয়ে ছাত্রটি ভয় পেয়ে বাড়িতে ফিরে আছে। তার মুখ থেকে গোটা ঘটনা শুনে হতভম্ব হয়ে যায় ওই স্কুল পডু়য়ার পরিবার৷ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে প্রথমে দু-তিনদিন তাকে নানারকম প্রশ্ন করে উত্তর জানার চেষ্টা করেন বাড়ির লোকজন৷ প্রথমে মুখ না খুললেও পরে ধীরে ধীরে ছাত্রটি গেমের বিষয়ে সবটাই বলে৷ এর পরই মঙ্গলবার শিলিগুড়ির এক আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বিষয়টি জানিয়ে পরামর্শ চান উদ্বিগ্ন ওই ছাত্রের বাবা৷ তাঁদের পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন আইনজীবী।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ভারত ভাগ করতে রাজী হলেন কেন নেহেরু ?



ব্রিটিশদের ভারত ছাড়তে হবে- এ কথা তারা ১৯৪৫ সাল নাগাদ পুরোপুরি বুঝে গিয়েছিল।

তখনকার ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৯৪৮ সালের ৩০শে জুনের আগেই ভারতবর্ষের ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

সেজন্য ১৯৪৬ সালের মার্চ মাসে কেবিনেট মিশন নামে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছিল ভারতের স্বাধীনতার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে।

এর কয়েক মাস পরেই জওহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হলেও মুসলিম লীগ প্রথমে তাতে যোগ দেয়নি।

অনেক আলোচনার পর ১৯৪৬ সালের অক্টোবর মাসে মুসলিম লীগ অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দেয়।

ইতোমধ্যে কলকাতা এবং নোয়াখালী সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার ঘটনা ঘটে।
সে প্রেক্ষাপটে ১৯৪৭ সালের ২২শে মার্চ নতুন ভাইসরয় এবং গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারতবর্ষে এসে পৌঁছান।

তখন থেকে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে থাকে।

ব্রিটিশ সরকারের নিয়োগ করা কেবিনেট মিশনের লক্ষ্য ছিল পুরো ভারতবর্ষকে অখণ্ড রেখে বিভিন্ন অঞ্চলে অধিকতর স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার মাধ্যমে ভারতকে স্বাধীনতা দেয়া।

কিন্তু লর্ড মাউন্টব্যাটেন নতুন ভাইসরয় ও গভর্নর জেনারেল হওয়ার পর ইংরেজদের মাথায় ভিন্ন চিন্তাও আসা শুরু করে।

লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সাথে তখন অনেকগুলো বৈঠক করেন ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির তখনকার প্রেসিডেন্ট মৌলানা আবুল কালাম আজাদ।

লর্ড মাউন্টব্যাটেন মৌলানা আজাদকে বলেছিলেন, ব্রিটিশরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বদ্ধপরিকর।

কিন্তু তার আগে ভারতবর্ষে চলমান হিন্দু-মুসলমান সংঘাত বন্ধের জন্য একটা পদক্ষেপ নিতে হবে।

মৌলানা আজাদ মি: মাউন্টব্যাটেনকে জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগের মধ্যকার মত-পার্থক্য অনেক কমে এসেছে।

তখন ব্রিটিশ কেবিনেট মিশন ভারত ভাগের ক্ষেত্রে বাংলা এবং আসামকে একত্রে রেখেছিল।

কিন্তু কংগ্রেস এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করে। আসাম এবং বাংলা একসাথে থাকবে কি-না এ নিয়ে কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগের মধ্যে তীব্র মত-পার্থক্য শুরু হলো।

দুই পক্ষের মত-পার্থক্য এমন একটি জায়গায় পৌঁছাল যে তখন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন হয়ে পড়লো।

মৌলানা আজাদ প্রস্তাব করেছিলেন এ বিষয়টি লর্ড মাউন্টব্যাটেনের উপর ছেড়ে দিতে।

কিন্তু তখনকার কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা জওহরলাল নেহেরু এবং সরদার প্যাটেল তাতে রাজী হলেন না। তারা এ বিষয়টিতে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের মধ্যস্থতা চাননি।

এরই মধ্যে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক খারাপের দিকে যাচ্ছিল। কলকাতা দাঙ্গার পর হিন্দু-মুসলমান সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে নোয়াখালী ও বিহারে।

একদিকে যখন সাম্প্রদায়িক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে, অন্যদিকে প্রশাসন তখন একটি গা ছাড়া ভাব নিয়েছে।

প্রশাসনে থাকা ইউরোপীয়রা তখন কাজে মন দিচ্ছে না। কারণ তারা বুঝতে পারছিল, যেকোন সময় ব্রিটিশরা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, তাই তারা শুধু দিন গুনছিল।

ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ব্রিটিশরা যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দিয়েছিল, সেখানে কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগের মধ্যে কিছু দপ্তর ভাগ করে দেয়া হয়েছিল।

এর ফলে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা সরদার প্যাটেল এবং অর্থ দপ্তরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল মুসলিম লীগ নেতা লিয়াকত আলী খানকে।

কিছুদিনের মধ্যেই কংগ্রেস নেতারা বুঝতে পারলেন, মুসলিম লীগের হাতে অর্থ দপ্তরের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া বিরাট ভুল হয়েছে।

কারণ লিয়াকত আলী খানের অনুমোদন ছাড়া সরদার প্যাটেল একজন চাপরাশিও নিয়োগ করতে পারছিলেন না।

ফলে কংগ্রেস নেতাদের নেয়া সিদ্ধান্তু গুলো বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো।

মৌলানা আজাদের বর্ণনা অনুযায়ী, কংগ্রেস নেতা সরদার প্যাটেলের কারণেই এ পরিস্থিতির তৈরি হয়।

কারণ সরদার প্যাটেল স্বরাষ্ট্র দপ্তর নিজ হাতে রেখে লিয়াকত আলী খানকে অর্থ দপ্তর দিয়েছিলেন।

এমন প্রেক্ষাপটে লর্ড মাউন্টব্যাটেন পরিস্থিতির পুরোপুরি সুযোগ নিয়েছিলেন।

র্নিবাহী পরিষদের সদস্যদের মধ্যে তীব্র মতপার্থক্যের সুযোগে তিনি ধীরে ধীরে পূর্ণ ক্ষমতা নিজের কাছে নিয়ে নেন। লর্ড মাউন্টব্যাটেন বলেছিলেন, একমাত্র ভারত বিভক্ত হলে এর সমাধান হতে পারে।

মৌলানা আজাদ লিখেছেন, লর্ড মাউন্টব্যাটেন উভয়পক্ষকে খুশি রাখতে চেয়েছিলেন এবং উভয়পক্ষকে বুঝিয়েছিলেন যে পাকিস্তানের সৃষ্টি না হয়ে উপায় নেই।

মি: মাউন্টব্যাটেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতাদের মনে পাকিস্তান সৃষ্টির বীজ বপন করেছিলেন।

আর ভারতীয় নেতাদের মধ্যে সরদার প্যাটেল মাউন্টব্যাটেনের এ ধারণা সবার আগে গ্রহণ করেছিলেন।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ভারতবর্ষ ভাগ করার জন্য সরদার প্যাটেল আগে থেকেই মানসিকভাবে অর্ধেক তৈরি ছিলেন। মি: প্যাটেল ধরে নিয়েছিলেন, মুসলিম লীগের সাথে একত্রে কাজ করা যাবে না।

সরদার প্যাটেল এক পর্যায়ে জনসম্মুখে বলেই ফেললেন, মুসলিম লীগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি ভারতবর্ষ ভাগ করতেও রাজী আছেন। এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে সরদার প্যাটেলই ছিলেন ভারতবর্ষ ভাগের স্থপতি।

ভারতবর্ষ বিভক্ত করার ফর্মুলা বিষয়ে সরদার প্যাটেল মনস্থির করার পর লর্ড মাউন্টব্যাটেন মনোযোগ দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহেরুর দিকে। এ ধরনের ফর্মুলার কথা শুনে প্রথমে নেহেরু খুবই রাগান্বিত হন।কিন্তু লর্ড মাউন্টব্যাটেন জওহরলাল নেহেরুকে ভারতবর্ষ ভাগ করার বিষয়ে ক্রমাগত বোঝাতে থাকেন। এ বিষয়ে মি: নেহেরুর রাগ প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত মি: মাউন্টব্যাটেন তাঁর তত্‍পরতা চালিয়ে গেছেন।

কিন্তু ভারত ভাগ করার বিষয়ে জওহরলাল নেহেরু শেষ পর্যন্ত কিভাবে রাজী হলেন?

মৌলানা আজাদ মনে করেন, এর দুটি কারণ আছে।

প্রথমত; জওহরলাল নেহেরুকে রাজী করানোর বিষয়ে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের স্ত্রীর একটি বড় প্রভাব ছিল। লেডি মাউন্টব্যাটেন ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতী। এছাড়া তাঁর মধ্যে আকর্ষণীয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় ছিল যার মাধ্যমে সে অন্যদের আকৃষ্ট করতে পারতো।

লেডি মাউন্টব্যাটেন তাঁর স্বামীকে খুব শ্রদ্ধা করতেন এবং অনেক সময় যারা প্রথমে তাঁর স্বামীর কাজের সাথে একমত হতে পারতেন না, তাদের কাছে স্বামীর চিন্তা-ভাবনা পৌঁছে দিয়ে তাদের সম্মতি আদায় করতেন।

ভারত ভাগ করার পেছনে নেহেরুর রাজী হবার আরেকটি কারণ ছিলেন কৃষ্ণ মেনন। এ ভারতীয় ব্যক্তি ১৯২০'র দশক থেকে লন্ডনে বসবাস করতেন। কৃষ্ণ মেনন ছিলেন জওহরলাল নেহেরুর একজন বড় ভক্ত এবং মি: নেহেরুও কৃষ্ণ মেননকে খুবই পছন্দ করতেন।

কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের সমন্বয়ে ভারতবর্ষে যখন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয় তখন মি: নেহেরু কৃষ্ণ মেননকে লন্ডনে হাই কমিশনার নিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কৃষ্ণ মেননের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের আপত্তি ছিল। কারণ ১৯৩০'র দশকের প্রথম দিকে ব্রিটেনের লেবার পার্টির একটি প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে কৃষ্ণ মেনন ভারত সফর করেছিলেন।

১৯৪৬ সালের দিকে কৃষ্ণ মেনন যখন আবার ভারতে আসেন তখন লর্ড মাউন্টব্যাটেন বুঝতে পেরেছিলেন যে ভারত ভাগ করার বিষয়ে কৃষ্ণ মেননের মাধ্যমে মি: নেহেরুকে রাজী করানো যাবে।

মৌলানা আজাদ যখন জানতে পারলেন যে ভারত ভাগ করার বিষয়ে জওহরলাল নেহেরু এবং সরদার প্যাটেল মোটামুটি একমত হয়েছে তখন তিনি ভীষণ হতাশ হয়েছিলেন।

মৌলানা আজাদ মনে করতেন, ভারত বিভক্ত হলে সেটি শুধু মুসলমানদের জন্যই নয়, পুরো ভারতের জন্যই সেটি খারাপ হবে।

তাঁর দৃষ্টিতে ভারতবর্ষের মূল সমস্যা ছিল অর্থনৈতিক। সাম্প্রদায়িক সমস্যা কোন বড় সমস্যা ছিল না।

ভারত ভাগ করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিতে সরদার প্যাটেল এবং জওহরলাল নেহেরুকে বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন মৌলানা আজাদ। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।

ভারত ভাগ করার বিষয়ে সরদার প্যাটেল এতোটাই অনড় ছিলেন যে তিনি অন্য কারো মতামত শুনতে মোটেই রাজি ছিলেন না।

সরদার প্যাটেলের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে মৌলানা আজাদ তাঁর বইতে লিখেছেন, " আমরা পছন্দ করি কিংবা না করি, ভারতবর্ষে দুটো জাতি আছে। হিন্দু এবং মুসলমানরা একজাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে না। যখন দুই ভাই একসাথে থাকতে পারে না, তখন তারা আলাদা হয়ে যায়। তাদের পাওনা নিয়ে আলাদা হয়ে যাবার পরে তারা আবার বন্ধু হয়ে যায়। কিন্তু তাদের যদি একসাথে থাকতে বাধ্য করা হয় তাহলে তারা প্রতিদিন ঝগড়া করবে।প্রতিদিন মারামারি করার চেয়ে একবার বড় ঝগড়া করে আলাদা হয়ে যাওয়াটাই ভালো।"

মি: আজাদের বর্ণনায়, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হয়তো ভারত ভাগ করার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, কিন্তু এখন সরদার প্যাটেল সে পতাকা বহন করছেন।

ভারত ভাগ করার বিষয়ে সরদার প্যাটেল যেভাবে প্রকাশ্যে কথা বলতেন, জওহরলাল নেহেরু সেভাবে বলতেন না। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী পরিষদে মুসলিম লীগের সাথে একত্রে কাজ করতে গিয়ে মি: নেহেরুর তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

তাদের মধ্যে প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। সেজন্য জওহরলাল নেহেরু মৌলানা আজাদকে বলেছিলেন ভারতবর্ষ ভাগ না করে কোন উপায় নেই।

মি: নেহেরু মৌলানা আজাদকে অনুরোধ করলেন, তিনি যাতে ভারত ভাগের বিরোধিতা না করেন এবং বাস্তবতা মেনে নেন।

নেহেরু এবং সরদার প্যাটেলের এ অবস্থানের কারণে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাঁর পাকিস্তান সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে আরো জোরালো অবস্থান নিলেন।

জওহরলাল নেহেরুকে সতর্ক করে মৌলানা আজাদ বলেছিলেন, " আমরা যদি ভারত ভাগ করার বিষয়ে একমত হই তাহলে ইতিহাস কোনদিনও আমাদের ক্ষমা করবে না।"

সরদার প্যাটেল ও জওহরলাল নেহেরুকে বোঝাতে ব্যর্থ হবার পর মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধী ছিলেন মৌলানা আজাদের শেষ ভরসা।

একদিন মৌলানা আজাদ মি: গান্ধীর সাথে দেখা করতে গেলে মি: গান্ধী বলেন, " ভারত ভাগের বিষয়টি এখন বড় একটি ভয়ের কারণ হয়েছে। মনে হচ্ছে বল্লবভাই (সরদার প্যাটেল) এবং জওহরলাল আত্নসমর্পন করেছে। আপনি এখন কী করবেন? আপনি কি আমার পাশে থাকবেন নাকি আপনিও মত পরিবর্তন করেছেন? কংগ্রেস যদি ভারত ভাগের প্রস্তাব মেনে নেয় তাহলে সেটা আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে হতে হবে। আমি যতদিন জীবিত আছি ততদিন ভারতবর্ষ ভাগ মানব না।"

কয়েকদিন পরে মি: গান্ধী লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সাথে দেখা করলেন। এরপর সরদার প্যাটেল মি: গান্ধীর সাথে দেখা করে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করলেন। সে আলোচনার বিষয়বস্তু জানা যায়নি।

কিন্তু এরপর যখন মৌলানা আজাদ মি: গান্ধীর সাথে দেখা করলেন, তখন বিস্ময়ে হতবাক হলেন মৌলানা আজাদ।

কারণ ভারত ভাগ করার ফমূর্লা নিয়ে মি: গান্ধীর আগের অবস্থান বদলে গেছে। তিনি ভারত বিভক্তি সমর্থন না করলেও, আগের মতো জোরালো বিরোধিতাও করছেন না।

মি: গান্ধীর এ অবস্থান দেখে হতাশ হয়েছিলেন মৌলানা আজাদ। তবে মি: গান্ধী জানালেন, তিনি প্রস্তাব করেছেন যাতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সরকার গঠন করে এবং তাঁর পছন্দ মতো ব্যক্তিদের নিয়ে মন্ত্রীসভা তৈরি করে। এ বিষয়টি মি: গান্ধী লর্ড মাউন্টব্যাটেনের কাছে তুলে ধরেন এবং মি: মাউন্টব্যাটেন তাতে রাজী হয়েছেন।

লর্ড মাউন্টব্যাটেন মৌলানা আজাদকে বলেছিলেন, মি: গান্ধীর প্রস্তাব যদি কংগ্রেস মেনে নেয় তাহলে ভারত বিভক্তি এড়ানো যেতে পারে।

কিন্তু জওহরলাল নেহেরু ও সরদার প্যাটেল মি: গান্ধীর প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন। তারা দুজনে মিলে মি: গান্ধীকে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাহারে বাধ্য করেন।

তখন মি: গান্ধী বলেন, ভারতবর্ষ বিভক্তি অনিবার্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেটি কিভাবে ভাগ হবে।

মৌলানা আজাদ রাজী না থাকলেও ভারত ভাগ করার বিষয়ে কংগ্রেসের বাকি নেতৃত্ব সেটি গ্রহণ করেছে। কিন্তু তারপরেও মৌলানা আজাদ তাঁর শেষ চেষ্টা হিসেবে মি: গান্ধীকে আবারো বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।

তিনি মি: গান্ধীকে বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা চলছে সেটি আরো দুই বছর চলুক। প্রকৃত ক্ষমতা এখন ভারতীয়দের হাতে। এ পরিস্থিতি যদি দুই বছর পর্যন্ত চলে তাহলে কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ এ সময়ের মধ্যে তাদের অবস্থান বদলে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতেও পারে।

মৌলানা আজাদ ভেবেছিলেন, দুই বছর পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় থাকলে এক পর্যায়ে মুসলিম লীগ একমত হতে বাধ্য হবে।

কিন্তু মি: গান্ধি এ প্রস্তাব বাতিল করলেন না এবং কোন আগ্রহও দেখালেন না।

এক পর্যায়ে ব্রিটিশ সরকারের সাথে আলোচনার জন্য লর্ড মাউন্টব্যাটেন লন্ডন চলে যান। মৌলানা আজাদ মনে করেন, মি: মাউন্টব্যাটেন ভারত বিভক্ত করার পক্ষেই ছিলেন এবং তিনি তাঁর পরিকল্পনা ব্রিটিশ সরকারকে বোঝাতে গিয়েছিলেন।

১৯৪৭ সালের ৩০শে মে লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারতবর্ষে ফিরে আসেন। ২রা জুন তিনি কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন।

তার পরের দিন ৩রা জুন মি: মাউন্টব্যাটেন ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনা সম্বলিত 'হোয়াইট পেপার' বা 'শ্বেতপত্র' প্রকাশ করেন। সেখানে ভারতবর্ষ বিভক্তির রূপরেখা তুলে ধরা হয়।

ব্রিটিশ সরকারের সে ঘোষণার মাধ্যমে ভারতবর্ষ অখণ্ড রাখার সব আশা শেষ হয়ে গেল।

মৌলানা আজাদ মনে করেন, ভারতবর্ষ ভাগ করার পেছনে ভারতীয়দের স্বার্থের চেয়ে ব্রিটিশদের স্বার্থ বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। এজন্য শেষ পর্যন্ত বিচার বিশ্লেষণ করে তারা ভারত ভাগ করার দিকেই এগিয়ে গেল।

ব্রিটেন মনে করেছিল, যদি অখণ্ড ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে তাহলে সে দেশটির উপর তাদের অর্থনৈতিক প্রভাব থাকবে না।

বিভক্ত ভারতবর্ষ ব্রিটেনের স্বার্থ হাসিল করতো বলেই তাদের ধারণা।

মৌলানা আজাদ লিখেছেন, শেষ পর্যন্ত ভারতবর্ষকে দ্বিখণ্ডিত হয়ে তার স্বাধীনতার মূল্য দিতে হলো।

(ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি এবং কংগ্রেস নেতা মৌলানা আবুল কালাম আজাদের 'ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম' বই থেকে সংক্ষেপে অনুবাদ করে এ লেখাটি তৈরি করা হয়েছে।তাঁর মৃত্যুর ৩০ বছর পর পূর্ণাঙ্গ বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে ১৯৮৮ সালে। তিনি ১৯৪০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।সে সময় তিনি কংগ্রেস পার্টির পক্ষ থেকে ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।তাঁর প্রকৃত নাম ছিল ফিরোজ বখত। কিন্তু যৌবনে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন মুহিউদ্দিন আহমেদ নামে। পরবর্তীতে তিনি ছদ্মনাম ধারণ করেন আবুল কালাম আজাদ হিসেবে এবং সেটিই তাঁর পরিচয় হয়ে উঠে।)
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে ধাক্কা, হঠাৎ নগ্ন হলেন মহিলা ! এমন কী হয়েছিল যে হঠাৎ এই কাণ্ড ঘটালেন ওই মহিলা?



চিনের ঘটনা, শপিং মলে গিয়েছিলেন এক মহিলা। সেখানে হঠাৎ দেখা হয়ে যায় প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে। এরপর কী হতে পারে? কথাকাটি বা ঝগড়া। কথাকাটি হয়েছিল। কিন্তু, তারপর যা ঘটল তা দেখে স্তম্ভিত আশপাশের সবাই। সবাই প্রায় হাঁ করেই দেখছিলেন ঘটনাটি। মহিলা এক এক করে গায়ের সব পোশাক খুলে ফেললেন। এমনকী অন্তর্বাসটুকুও রাখেননি। কিন্তু, এমন কী হয়েছিল যে হঠাৎ এই কাণ্ড ঘটালেন ওই মহিলা?

ঘটনাটি দিন চার পাঁচেক আগের। চিনের জিয়াংশুর ইয়ুক্সি এলাকার একটি শপিং মলের। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী, শপিং মলে হঠাৎই প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে ধাক্কা লাগে ওই মহিলার। তারপর কোনও কথা না বলেই সেই ভদ্রলোক মহিলার দিকে এগিয়ে আসেন এবং সপাটে একটি চড় কষিয়ে দেন। সঙ্গে বলতে থাকেন, “যে মোবাইলটা তোমার হাতে আছে, যে জামাকাপড়গুলো পরে আছ সব আমার টাকায় কেনা।” শুনেই মাথা গরম হয়ে যায় মহিলার। ছুঁড়ে ফেলে দেন মোবাইল। এক এক করে পোশাক যা পরেছিলেন খুলতে শুরু করেন। এমনকী অন্তর্বাসগুলোও খুলে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যান। প্রকাশ্যে প্রাক্তন স্ত্রীর এমন কাণ্ডে ভদ্রলোক তখন হতভম্ব। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। দু’একবার মহিলাকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তবে লাভ হয়নি।





শেষ পর্যন্ত মহিলা যখন মল থেকে বেরোনোর জন্য এলিভেটরের সামনে অপেক্ষা করছিলেন তখন তাঁর গায়ে সুতোটুকুও নেই। মহিলার এই কাণ্ডর ভিডিও এখন চিনে ভাইরাল। ঘুরছে লোকের হাতে হাতে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পাঁচ বছর বয়স থেকে সাত বছর ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ বাবার!



স্কুলে গিয়ে বরাবরই চুপচাপ থাকত বছর বারোর মেয়েটি। শিক্ষিকাদের মনে হয়, মেয়েটি মানসিক অবসাদে ভুগছে। বেশ কয়েক দিন কাউন্সেলিং-এর পরেই প্রকাশ্যে আসে আসল সত্যি। মেয়েটি জানায়, তার বাবা প্রতিদিন তাকে যৌন নির্যাতন করে। মেয়েটির কাউন্সেলিং-এর দায়িত্বে থাকা প্রতিভা দীপক মহেশ্বরী গত সোমবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। মেয়েটির বাবার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

ঘটনাটি গুরুগ্রামের।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান। তারা উত্তরপ্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা। বর্তমানে মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য কাউন্সেলর মহেশ্বরী তাকে জয়পুর নিয়ে গিয়েছেন। মহেশ্বরী জয়পুরের বাসিন্দা হলেও হরিয়ানায় তাঁর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার কথা হরিয়ানার শিশু সুরক্ষা কমিশন এবং জয়পুরের চাইল্ড লাইনকে জানানো হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘জিরো এফআইআর’ দায়ের করেছে জয়পুর পুলিশ। এই মামলা জয়পুর থেকে হরিয়ানায় স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করছেন চাইল্ড লাইনের সদস্যেরা।

মহেশ্বরীর কথায়: ‘‘ঘটনার কথা জেনে আমি হতভম্ব। পাঁচ বছর বয়স থেকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে তার বাবা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।’’ মেয়েটির দিদিও একই ভাবে তাদের বাবার ধর্ষণের শিকার। গুরগাঁওয়ের বাজঘেরা থানার এক আধিকারিক সামসুদ্দিনের কথায়, ‘‘ঘটনার কথা ইমেল মারফৎ আমরা জানতে পেরেছি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

দাউদ হয়তো এখানেই আছে, কিন্তু আমরা কেন তাকে ভারতের কাছে তুলে দেব?



দাউদ যে পাকিস্তানেই আছে, সরাসরি না হলেও সেকথা জানালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ৷ পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে একথা জানিয়েছেন তিনি৷

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, “ভারত অনেকদিন ধরে পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে৷ এখন কেন আমরা ভালো হব আর ওদের সাহায্য করব? আমি জানি না দাউদ কোথায় আছে৷ হয়তো এখানে আছে, বা অন্য কোথাও আছে৷ ভারত মুসলিমদের মেরে ফেলছে আর দাউদ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে৷”

ভারতের আশঙ্কা গ্লোবাল টেররিস্ট, মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানেই কোনওখানে লুকিয়ে আছে৷ সেখান থেকেই সে তার কাজকর্ম চালাচ্ছে৷ অনুমান, করাচিই তার কার্যকলাপের কেন্দ্র৷ সেখানকার পালাতিয়াল হাউস থেকেই গ্যাং পরিচালনা করেন দাউদ৷ ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে যে পরপর বিস্ফোরণগুলি হয়েছিল, তাতে হাত ছিল দাউদের৷ এরপরই সে ভারত ছেড়ে করাচি চলে যায় বলে মনে করা হয়৷ তারপর গত ১০ বছর ধরে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ইসলামাবাদকে দাউদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে৷ ইসলামাবাদকে এও জানানো হয়েছে, ভারতে একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত দাউদ৷ তার বিচার চাইছে মানুষ৷ তাই তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হোক৷ কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও মাথা ঘামায়নি ইসলামাবাদ৷

ভারত এও অভিযোগ তোলে পাকিস্তান আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকেও আশ্রয় দিয়েছে৷ তখন পাকিস্তান সেই অভিযোগ অস্বীকার করে৷ তারপর ২০১১ সালের ২ মে একটি স্পেশাল অপারেশনে মার্কিন নেভি ওসামাকে মেরে ফেলে৷ এনিয়ে যখন পাকিস্তানকে জিজ্ঞাসা করা হয়, মুশারফ বলেন, “আমাদের মানুষের বুদ্ধি আছে৷ যখন ওসামাকে মারা হয়, কেউ জানতই না ও ওসামা৷এলাকার মানুষ ওকে ড্রাগ ডিলার মনে করত৷”

পাকিস্তানকে নিয়ে বরাবর সমস্যায় ভুগছে ভারত৷ একাধিকবার ভারতের তরফে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহঋষি জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে ক্রমাগত সন্ত্রাস চলছে৷ ওই সন্ত্রাসের আর্থিক মদত আসছে পাকিস্তান থেকে৷ সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার জন্য দেওয়ার জন্য যদি NIA হুরিয়ত কনফারেন্সের নেতাদের গ্রেফতার করতে চায়, তাহলে করতেই পারে৷ কেন্দ্র তাতে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না৷ “পাকিস্তান দুর্বৃত্তদের দেশ৷ সন্ত্রাসবাদের দেশ৷ অপরাধী ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যমণি৷ গোটা পৃথিবী খুব শিগগিরই তা বুঝতে পারবে৷” বলেছেন তিনি৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পৃথিবী ছাড়াও অন্য গ্রহে রয়েছে প্রাণ? মহাকাশ থেকে ভেসে এল রহস্যজনক রেডিও তরঙ্গ



মহাকাশ থেকে ভেসে এল রহস্যজনক রেডিও তরঙ্গ। শুনতে সিনেমার মতো লাগলেও এবার বাস্তবে এমনটাই ঘটল। সৌজন্যে এক ভারতীয় বৈজ্ঞানিক। চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর ভারতীয় বৈজ্ঞানিক ড: বিশাল গজ্জরের দাবি, একটি বামন ছায়াপথ থেকে ভেসে এসেছে রেডিও তরঙ্গ।

১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যই ছিল, পৃথিবী ছাড়াও মহাকাশে অন্য কোনও গ্রহে প্রাণ রয়েছে কি না, সেটা স্পষ্টভাবে জানা। আর এবার সেই প্রকল্পই সাফল্যের মুখ দেখল। ৩০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরের একটি বামন ছায়াপথ থেকে ভেসে আসা ১৫ বারেরও বেশি রেডিও তরঙ্গ রেকর্ড করতে সক্ষম হলেই এক ভারতীয় বৈজ্ঞানিক। মনে করা হচ্ছে, মহাকাশ যানে যে এনার্জি সোর্স ব্যবহার করা হয়, সম্ভবত সেরকমই কোনও এনার্জি ব্যবহার করছিল পৃথিবী থেকে বহু দূরের ওই বামন ছায়াপথের বাসিন্দারা।



বুধবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই কথা জানিয়েছেন ‘ব্রেক থ্রু লিসেন’ প্রকল্পের কর্তারা। তাঁরা বলছেন, ‘বহু বছর আগে ওই ১৫টি রেডিও বার্তা পাঠানো হয়েছিল। সেই সময় আমাদের সৌরজগতের বয়স ২ বিলিয়ন বছর ছিল। পৃথিবীতে তখন এককোশি প্রাণির অস্তিত্ব ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তারও কয়েক বিলিয়ন বছর পর এক থেকে বহুকোশি প্রাণীর বিবর্তন ঘটে।’ এরকম প্রথম রেডিও বার্তাটি প্রথম গৃহীত হয় অস্ট্রেলিয়ায়।

পৃথিবী ছাড়াও মহাকাশের অন্য কোনও গ্রহ থেকে ভেসে আসা বার্তা গ্রহণ করতে ২০১৫-য় পথ চলা শুরু হয় ‘ব্রেক থ্রু লিসেন’ প্রকল্পের। স্টিফেন হকিং ও ইউরি মিলনারের সহায়তায় ও একটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উদ্যোগে সূচনা হয় এই মেগা প্রজেক্টরের। সেই প্রকল্পেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানী বিশাল গজ্জার। আর তাঁর হাত ধরেই আজ ইতিহাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা পৃথিবী। তবে কি সত্যি কল্পবিজ্ঞানের গল্পের মতো অন্য কোনও গ্রহে জীবন্ত প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে? আপাতত সময়ই এর উত্তর দেবে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ব্যবসা করার ইচ্ছা পুঁজি নেই? ১০ লক্ষ পর্যন্ত ঋণ, রাখতে হবে না বন্ধকও! কীভাবে আবদেন করবেন ?



ব্যবসা করার ইচ্ছা কিন্তু পুঁজি নেই? ব্যবসা শুরু করেও তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত মূলধন নেই?  এসব চিন্তা না করে বরং ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা’-য় ঋণের জন্য আবেদন করুন। ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। আর সবচেয়ে বড় কথা, এই ঋণের জন্য কোনও রকম বন্ধক রাখার দরকার নেই।

তিনটি শ্রেণিতে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। শিশু, কিশোর ও তরুণ। যাঁরা সদ্য ব্যবসা শুরু করেছেন বা করছেন, তাঁরা ‘শিশু’। ঋণ পাবেন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। পাঁচ বছরের মধ্যে এই ঋণ শোধ করলেই আপনি হয়ে উঠবেন ‘কিশোর’। এবার ‘কিশোর ঋণ’ পেতে পারেন ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। সেটা শোধ করে দিলেই ‘তরুণ ঋণ’। পাবেন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত।

·         কেন্দ্রীয় সরকার এই ঋণের জন্য নেবে মাসিক ১ শতাংশ হারে সুদ। অর্থাৎ বছরে ১২ শতাংশ সুদ। আর এই ঋণের জন্য কোনও প্রসেসিং ফিজ লাগছে না।

·         ইতিমধ্যেই দেশের ২ কোটি ২৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই ঋণ পেয়েছেন। মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা।

২৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, ১৭টি প্রাইভেট ব্যাঙ্ক ছাড়াও দেশের ৩১টি আঞ্চলিক ব্যাঙ্কের মাধ্যেমে এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বেশ কিছু আর্থিক সংস্থা এবং কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমেও ঋণের আবেদন করা যাবে।

বিস্তারিত তালিকা দেখতে চলে যান কেন্দ্রীয় সরকারের www.mudra.org.in ওয়েবসাইটে। সেখানেই পেয়ে যাবেন এই ঋণের জন্য আপনাকে নাগরিক পরিচয়পত্র, স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ ছাড়া আর কী কী নথি জমা দিতে হবে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

F-16 যুদ্ধবিমান ভারতের মাটিতেই তৈরি করবে আমেরিকা



যদি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য লকহিড মার্টিনের কাছ থেকে F-16 ফাইটার জেট কেনার অফার আসে, তাহলে সেসব যুদ্ধবিমান বানানো হবে ভারতের মাটিতেই। এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন সংস্থার এক আধিকারিক। মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন ও সুই সংস্থা ‘সাব’-এর মধ্যে এই অর্ডার নিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র আওতায় ভারতে অন্তত ১০০টি ফাইটার জেট তৈরি হবে।

F-16-এর বিজনেস ডেভেলপমেন্টের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক র‍্যান্ডাল এল হওয়ার্ড জানিয়েছেন, ভারতকে F-16-এর প্রোডাকশন সেন্টার তৈরি করতে চাইছে লকহিড। অর্থাৎ কিনা, শুধু ভারতের জন্য নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও যুদ্ধবিমান তৈরি হবে ভারতের মাটিতেই। টেক্সাসে এই F-16-এর প্রোডাকশন বন্ধ করছে আমেরিকা। আপাতত নতুন অর্ডার নেওয়া হচ্ছে সাউথ ক্যারোলিনার নতুন সেন্টারে। তবে ক্রমশ সব বিমান ভারতে তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রয়টার্সকে এমন তথ্যই দিয়েছেন হওয়ার্ড।

হওয়ার্ড বলেছেন, ‘ভারতের কাছে আমাদের প্রস্তাব রয়েছে, তারা যদি আমাদের সংস্থা থেকে যুদ্ধবিমান কেনে তাহলে বিশ্ববাজারের জন্য যুদ্ধবিমান তৈরি করা হবে ভারতেই। তৈরি হবে একটি সিঙ্গল প্রোডাকশন লাইন।’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই লকহিড মার্টিন ও সাব দুই সংস্থাকে তাদের ডিজাইন ও পরিকল্পনার কথা জানাতে বলবে। এরপর এক নয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে তৈরি হবে ওইসব যুদ্ধবিমান। কয়েক দশক ধরে ভারত এভাবেই নিজেদের দেশের মাটিতে যুদ্ধবিমান তৈরি করার স্বপ্ন দেখেছে। এবার বোধহয় সেই স্বপ্নই সত্যি হতে চলেছে।

লোকাল পার্টনার হিসেবে টাটাকে বেছে নিয়েছে লকহিড। ১২ বিলিয়ন ডলারের এই বরাত পাওয়ার জন্য মার্কিন সংস্থা লকহিড ভারতের টাটা অ্যাডভান্স সিস্টেম লিমিটেডের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে নিলামে অংশগ্রহণ করছে। এক্ষেত্রে, ওই সংস্থার প্রতিযোগী হিসেবে থাকছে ‘গ্রিপেন ফাইটার জেট’-এর নির্মাতা সুইডিস সংস্থা SAAB. গত জুন মাসে প্যারিস এয়ার শো-তে F-16 যুদ্ধবিমান প্রদর্শিত হওয়ার পরেই মার্কিন সংস্থার সিইও মেরিলিন হিউসনের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই চুক্তি হলে ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই যথেষ্ট উপকৃত হবে। আরও জানা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে অন্তত ৩০০০ F-16 ফাইটার জেট রয়েছে। আর চুক্তি সম্পূর্ণ হলে সেই সব যুদ্ধবিমানের সার্ভিসিং হবে ভারতে। F-16 বিশ্বের সবথেকে সফল মাল্টি-রোল ফাইটার জেট। এই চুক্তি হলে, ভারতে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। চুক্তি কার্যকর হলে হায়দরাবাদে তৈরি হবে এই যুদ্ধবিমানগুলি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 30 August 2017

‘ড্রাগন’কে কার্যত মাথা নোয়াতে বাধ্য করল ভারত, চক্রব্যূহ তৈরি করেছিলেন মোদির সেনাপ্রধান রাওয়াত!



মোদির কূটনীতি ও ভারতীয় সেনার বাহুবলে বলীয়ান হয়ে ডোকলামে ‘ড্রাগন’কে কার্যত মাথা নোয়াতে বাধ্য করল ভারত, এমনটাই দাবি ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একাংশের।

মন্ত্রকের মতে, যুদ্ধ শুরু হলে নেপাল​-ভুটান-ভারত ত্রিদেশীয় সীমান্তে চরম বিপাকে পড়ত লালফৌজ। সেটা বিলক্ষণই বুঝতে পেরেছিল বেজিং। চিনা সেনার জন্য চক্রব্যূহ তৈরিই রেখেছিলেন ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডোকলাম সীমান্তে এক চুল জমিও চিনকে না ছাড়তে কেন্দ্রকে আরজি জানিয়েছিলেন রাওয়াত। যুদ্ধ শুরু হলে চিনা যুদ্ধবাজদের গুঁড়িয়ে দিতে তৈরিই ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী, দিল্লিকে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি। ডোকলামে কৌশলগত দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ভারতীয় সেনা। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলি দখল করে ফেলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, সেটা বুঝতে পেরেই আস্ফালন করলেও যুদ্ধে অরাজি লালফৌজ, তাঁর রিপোর্টে কেন্দ্রকে জানিয়েছিলেন রাওয়াত।

শিলিগুড়ির কাছে ‘চিকেন নেক’ এলাকাকে নজরে রেখেই ডোকলামে সড়ক নির্মাণ করার চেষ্টা চালিয়েছিল চিন। ইন্টেলিজেন্স সূত্রে রিপোর্ট পেয়ে তড়িঘড়ি ডোকলামে সেনা মোতায়েন করে ভারত। তারপরই কষে ফেলা হয় যুদ্ধের ছক। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি দখল করে নেয় সেনাবাহিনী। এছাড়াও অরুণাচল সীমান্তে মোতায়েন করা হয় সুখোই যুদ্ধবিমান। চিনা চক্রান্ত বিফল হওয়ায় কৌশলগতভাবে ওই এলাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল ভারত। চিনের ষড়যন্ত্র সফল হলে অসম-সহ উত্তরপূর্বের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে ভারতের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ত। উল্লেখ্য, ডোকলামে মুখ পুড়লেও থেমে নেই লালফৌজ। বুধবার, ভারত মহাসগরে মালদ্বীপের কাছে দেখ মিলল চিনা নৌবহরের। মহড়ার নামে ওই এলাকয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখছে একাধিক চিনা ডেস্ট্রয়ার ও ফ্রিগেট।

এদিকে, আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘ব্রিকস সামিট’। সেখানে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে নেহেরুর ‘বিফল’ পঞ্চশীল ভারতকে হাড়ে হাড়ে বুঝিযে দিয়েছিল যে পিঠে ছুরি মারতে পারদর্শী চিন। তাই ঝুঁকি না নিয়ে এবার তৈরি ভারতও। সেনাকে যে কোনও সময় স্বল্প নোটিসে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

সফল জিএসটি, কেন্দ্রের কোষাগারে কত টাকা জমা পড়ল?



জুলাই মাস থেকে দেশ জুড়ে চালু হয়েছে গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স বা জিএসটি। আর এই নয়া কর ব্যবস্থা লাগু করে প্রথম দফাতেই কেন্দ্রের ঘরে বিপুল অর্থ জমা পড়ল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি মঙ্গলবার এই বিষয়ে একটি পরিসংখ্যান পেশ করে জানান, কর বাবদ কেন্দ্রের ঘরে ৯২,২৮৩ কোটি টাকা জমা পড়েছে। তাও শুধু জুলাইতেই। করদাতাদের মধ্যে মাত্র ৬৪.৪২ শতাংশ মানুষের কাছ থেকে এই টাকা এসেছে।

বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় কর ও রাজ্যের লেভি তুলে দিয়ে একটি অভিন্ন কর ব্যবস্থা চালু করা কেন্দ্রের কাছে অ্যাসিড টেস্টের সমান কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এক্সাইজ ডিউটি, সার্ভিস ট্যাক্স বা ভ্যাট তুলে দিয়ে সর্বত্র একটিই কর বা জিএসটি চালু করা হয়। নয়া কর ব্যবস্থার প্রথম দফায় ৯১ হাজার কোটি টাকা সরকারের ঘরে আসবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের সব ধারণা ছাপিয়ে প্রথম দফাতেই বিপুল সাড়া মিলল মানুষের কাছ থেকে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল কেন্দ্রও। নয়াদিল্লিতে জেটলি বলছেন, ‘৬৪.৪২% করদাতা জুলাইতে ৯২,২৮৩ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন।’



এই বিপুল অঙ্কের মধ্যে ১৪,৮৯৪ কোটি টাকা সেন্ট্রাল জিএসটি, ২২,৭২২ কোটি টাকা স্টেট জিএসটি, ৪৭,৪৬৯ কোটি টাকা ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি ও ৭,১৯৮ কোটি টাকা কমপেনসেশন সেস বাবদ জমা পড়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এর থেকে কেন্দ্রের কাছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ও সব রাজ্য মোট ৪৩ হাজার কোটি টাকা পাবে। জিএসটির আওতায় প্রথম রিটার্ন জমা দেওয়ার ডেডলাইন ছিল ২৫ আগস্ট। তবে কয়েকটি শর্তে সেই তারিখ পিছিয়ে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। জেটলি আরও জানিয়েছেন, লেট পেমেন্টের ক্ষেত্রে সামান্য ফাইন দিলেও কর জমা করা যাবে। নয়া কর ব্যবস্থার আওতায় এসেছে ৭২.৩৩ লক্ষ ব্যবসা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 27 August 2017

ভারতের NSG অন্তর্ভুক্তিতে এবার জোরদার সমর্থন করবে আমেরিকা, চিন বিরোধিতাই করবে !



ওয়াশিংটন: Nuclear Suppliers Group এ ভারতের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে আরও বেশি সমর্থন জোগাবে আমেরিকা। ভারতের এই অন্তর্ভুক্তিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। গত জুন মাসে এলিট নিউক্লিয়ার ক্লাবের বৈঠকে ভারতের অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এর সদস্যরা।

এনএসজি-র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চিনের বাধাতেই বারবার আটকে যাচ্ছে ভারতের এনএসজি অন্তর্ভুক্তি। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের এই অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে একটি বৈঠক করবে আমেরিকা। যাতে তারা আরও সুকৌশলে ভারতকে সমর্থন করতে পারে। জুন মাসে মোদী ও ট্রাম্পের বৈঠকের সময়েও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এ অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারত আবেদন করা পরেই বাধা দেয় চিন। আর চিনকে সমানে ইন্ধন জোগায় পাকিস্তান।

অন্যদিকে, ডোকলামে চলা অশান্তির মাঝে ফের চিন জানিয়ে দিয়েছে যে তারা বিরোধিতাই করবে। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শ্যুয়াং বলেন, যতদূর নন-এনপিটি দেশগুলির এনএসজি-তে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তাদের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হয়নি। সুইজারল্যান্ডের বার্নে এসএসজি গোষ্ঠীর প্লেনারি সম্মেলন রয়েছে সামনেই। শ্যুয়াং বলেন, নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে এনএসজি-র নির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। সোল প্লেনারিতে তা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে। তাঁর আশা, বার্নেও সেই নীতি অবলম্বন করা হবে।

গত বছর সোলের প্লেনারিতেও ভারতের আবেদন নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের আবেদনকে সমর্থন জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন পশ্চিমী দেশ। কিন্তু, চিন জানিয়ে দেয়, যদি নতুন কোনও রাষ্ট্রকে এনএসজি-র সদস্য হতে ইচ্ছুক রাষ্ট্রগুলিকে এনপিটি স্বাক্ষর করতে হবে।

পাল্টা ভারতের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা এনপিটি স্বাক্ষর করবে না। এই প্রথম নয়। এর আগেও বেজিং বহুবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, পরমাণু জ্বালানি সরবরাহ গোষ্ঠীতে ভারতের যুক্ত করার প্রশ্নে তাদের অবস্থানের কোনও বদল হয়নি। তাদের দাবি, এনএসজিতে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সকল নন-এনপিটি রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে এক ও অবৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিত।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

দেশের ৬৭% নাগরিক বাড়িতে শৌচাগার বানিয়েছেন, পরিচ্ছন্নতার নয়া অভিযানের ডাক প্রধানমন্ত্রীর



দেশের দু লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি গ্রামে প্রকাশ্যে শৌচকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেছেন, ৬৭ শতাংশ নাগরিকই শৌচাগার বানিয়েছেন। গাঁধী জয়ন্তীর আগে পরিচ্ছন্নতার নয়া অভিযানেরও ডাক দিয়েছেন মোদী। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী ২ অক্টোবর স্বচ্ছ ভারত অভিযানের তিন বছর পূর্তি হচ্ছে। আজ বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সাফল্যের খতিয়ান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, আগে দেশের ৩৯ শতাংশ নাগরিকের বাড়িতে শৌচাগার ছিল। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৬৭ শতাংশ। এবারের গাঁধী জয়ন্তী ‘স্বচ্ছ দুই অক্টোবর’ হিসেবে পালন করা উচিত। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ অভিযান। পরিচ্ছন্নতার এই অভিযানে সব মানুষের যোগ দেওয়া উচিত। ১৫ দিন ধরে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মাধ্যমে মহাত্মা গাঁধীর প্রতি অন্তরের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, দীপাবলি, নবরাত্রি, দুর্গাপূজার মতো উৎসবের সময়ও পরিচ্ছন্নতার অভিযান চালানো যেতে পারে। সব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, স্কুল, কলেজ, সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক জগতের ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, সরকারি কর্মচারী, পুরসভা ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের পরিচ্ছন্নতা অভিযানে শ্রম দান করার আহ্বান জানিয়েছেন মোদী। তিনি আরও বলেছেন, যে কোনও ভাষায় চলচ্চিত্র ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা এবং আঁকা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের পক্ষে প্রচার চালানো যেতে পারে। এই প্রতিযোগিতাগুলিতে জেলা ও রাজ্যস্তরে সেরা তিনজনকে পুরস্কৃত করা হবে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

৪ ফিট লম্বা তরোয়াল হাতে মুখে “আল্লাহ আকবর” স্লোগান, গ্রেফতার



লন্ডন : বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে৷ প্রকাশ্যে তলোয়ার বের করা ও ২ পুলিশ অফিসারকে হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷

ওই ব্যক্তি একটি গাড়ি নিয়ে প্যালেসের দিকে আসে৷ বাকিংহাম প্যালেসের ঠিক সামনে সে গাড়ি এনে দাঁড় করায়৷ তারপর খাপ থেকে ৪ ফিট লম্বা তলোয়ার বের করে৷ মুখে ছিল “আল্লাহ আকবর” স্লোগান৷ এরপর ২ পুলিশ অফিসারকে সে হেনস্তা করে বলে অভিযোগ৷ তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়৷

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে এখন সন্ত্রাসবাদ দমন শাখার পুলিশের অধীনে রাখা হয়েছে৷ গাড়িটি সেই চালাচ্ছিল৷ সে ছাড়া গাড়িতে আর কেউ ছিল না৷ পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে সে জনতার সামনেই খোলা তলোয়ার বের করে৷ তারপর আর অপেক্ষা না করে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷ হাতাহাতিতে পুলিশ অফিসাররা আহত হন৷

তাকে মরিচগুঁড়োর সাহায্যে কাবু করে গ্রেফতার করা হয়৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

৫ টাকায় আনলিমিটেড ডেটা দেবে Vodafone



জিও-র বাজারে আসা ইস্তক খোলা ময়দানে লড়াইএ নেমেছে অন্যান্য টেলি পরিষেবা সংস্থাগুলি ৷ এ ব্যাপারে কেনই বা পিছিয়ে থাকবে ভোডাফোনের মতো পুরোনো টেলিভিশন পরিষেবা সংস্থা।জেনওয়াইন ডাটা হাঙ্গার দের জন্য এবার শুধু ৪জি ডেটা নয়, ২জি এবং ৩জি গ্রাহকদের জন্য আনলিমিটেড ডেটা অফার হাজির ভোডাফোন ইন্ডিয়া ৷

এবার মাত্র ৫ টাকায় আনলিমিটেড ডেটা পরিষেবা দেবে ভোডাফোন । ২জি গ্রাহকদের জন্য মাত্র ৫ টাকায় আনলিমিটেড ডেটা অফার পাওয়ার যাবে। ৩জি গ্রাহকেরা ১৯ টাকায় আনলিমিটেড ডেটা অফার পাবেন । তবে এই দুটি অফারই আগামী ১ ঘণ্টা পর্যন্ত বৈধ থাকবে।আরো বেশিদিনের আনলিমিটেড ডেটা পাওয়ার প্যাক হল ২৫৩ এবং ৩৪৫ টাকা ৷ দুটি প্যাকই বৈধতা ২৮ দিনের জন্য ৷

২৫৩ টাকার রিচার্জে সারা মাস পাওয়া যাবে আনলিমিটেড ২জি ডেটা ৷ এছাড়া ৩৪৫ টাকা দিয়ে রিচার্জে পাওয়া যাবে লোকাল+ এসটিডি প্রতিদিন ১জিবি করে ডেটা ৷ শুধু ডেটাতেই নয়, কল চার্জেও থাকছে অফার ৷ মাত্র ১৭ টাকা দিয়ে রিচার্জ করলেই মাত্র ৩০ পয়সায় প্রতি মিনিট খরচ হবে লোকাল এবং এসটিডি কলে ৷ অফারটির বৈধতা ৯০ দিনের জন্য ৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 20 August 2017

নীল ছবির জনপ্রিয় পর্ণতারকাকে ধর্ষণ করল আরেক অভিনেতা



নীলছবির শুটিং চলাকালীন জনপ্রিয় পর্ন অভিনেত্রী নিকি বেঞ্জকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগের তির আরেক জনপ্রিয় পর্ণ তারকা টনি টি-‌র বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম সিনে জগত।

পর্ন তারকা  নিকির দাবি, ফিল্মের শ্যুট চলার সময় ধর্ষণের পাশাপাশি শারীরিক নিগ্রহও করেছেন টনি। নিকি দাবি, ‘‌শ্যুটিংয়ে একটি ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয় করছিলাম আমরা। যৌনদৃশ্যে আমি ১৩ বছর ধরে অভিনয় করছি। কে কোন উদ্দেশ্য আমাকে স্পর্শ করছেন সেটা বুঝতে পারি। শুরু থেকেই আমার অস্বস্তি লাগছিল। পরিচালক কাট বলার পরেও টনি থামছিল না। আমার সঙ্গে যা তা করার চেষ্টা করছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রতিবাদ করলে, গলা টিপে ধরে মারার চেষ্টা করে। এমনকি চোখেও আঘাত করে। আসলে ও আমাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল।’‌



যদি পুরো ঘটনাকে অস্বীকার করেছে টনি। ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।  পর্ন ফিল্মে অভিনয় করেন বলেই কি কোনও মহিলাকে যৌন হেনস্থা করা যায়? তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ‌
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

NSHM কলেজের হস্টেলে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ



দুর্গাপুরে NSHM কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হস্টেল থেকে। মৃতের নাম সুরভি সুমন। তাঁর বাড়ি বিহারের মুজ়ফ্ফরপুরে।

আজ সকালে হস্টেলের কমন স্টাডি রুমে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান অন্যরা। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিল তাঁর দেহ। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃত ছাত্রীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কলেজ কর্তৃপক্ষ সুরভির পরিবারকে খবর দিয়েছে।

সুরভি MBA-এর সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর সহপাঠীরা জানান, পড়াশোনায় খারাপ ছিলেন না সুরভি। কী করে এমন ঘটনা ঘটল, তাঁরা বুঝতে পারছেন না।

কলেজের প্রিন্সিপ্যাল অমিতাভ দে বলেন, কী কারণে সুরভি আত্মহত্যা করল, তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

হাসপাতালে ভরতি মদন, রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল



 বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে৷বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির আরামবাগে৷গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি মদন বাগ নামে বিজেপির ওই নেতা৷অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল কংগ্রেসের৷

অভিযোগ আগামী ২১ তারিখ জেল ভরো আন্দোলনের ডাক দিয়েছে হুগলির জেলা বিজেপি৷ তার প্রস্তুতির জন্য বৃহস্পতিবার রাতে পোস্টার সাঁটাচ্ছিলেন বিজেপি নেতা মদন বাগ৷ তিনি আরামবাগে পুরশুরায় ১৬৯ বুথ সভাপতি ৷ অভিযোগ সেই সময় বাইকে করে বেশ কয়েকজন এসে তাঁর উপর চড়াও হয়৷ এই ধরনের পোস্টার এলাকায় দেওয়া যাবে না বলে দাবি করে বাইকে তারা৷ সেই দাবি না মানলেই মদনবাবুকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ৷ দুষ্কৃতিরা সকলেই শাসকদলের ছত্রছায়ায় রয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি নেতৃত্ব৷ এমনকী তাঁকে স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়েও মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়৷পরে তাঁকে রাস্তায় রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেছে বিজেপি৷

ঘটনা জানার পর সেখানে বিজেপি কর্মীরা গিয়ে মদন বাগকে উদ্ধার করে৷ এবং তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে৷ ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিজেপির জেলা সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য্য আরামবাগ হাসপাতালে যান৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি৷ পাশাপাশি এসডিপিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ সঙ্গে ছিলেন জেলা যুব সহ সভাপতি সুরেশ সাউ৷

এদিকে এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল৷ শাসকদলের তরফে জানানো হয়েছে এই সব মিথ্যে কথা৷ নিজেদের মধ্যে মারামারি করে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম খারাপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

স্বাধীনতা দাবিতে কাশ্মীরে মিছিল, উঠল স্বাধীনতার স্লোগান



স্বাধীনতার স্লোগান তুলে এ বার মানুষের ঢল নামল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাস্তায়। শুক্রবার জান্দালিতে এক গণমিছিলে সামিল হন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। পাক শাসন থেকে মুক্তির দাবিতে সরব হন তাঁরা। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে পথে নামার ডাক দিয়েছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ‘দ্য জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন’। সংগঠনের অভিযোগ ছিল, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই পাকিস্তান তাদের দখলে থাকা কাশ্মীরের অংশ লুটেপুটে খাচ্ছে। নিরন্তর সেখানে কাশ্মীরিরা শোষণের শিকার হচ্ছেন।

এ দিন মিছিলের শেষে সমাবেশে স্থানীয় নেতা লিয়াকত খান অভিযোগ করেন, ‘‘প্রতিভা ও ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পাক সরকারের দমননীতির জন্যই কাশ্মীরের পড়ুয়ারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো জরুরি পরিষেবার অভাবে ধুঁকছে কাশ্মীর। এখানে এখনও বহু জায়গায় রাস্তা নেই, কল-কারখানা নেই, এমনকী উপত্যকায় ইচ্ছেমতো বই পড়ারও অনুমতি নেই। পড়াশোনার উপরে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে সরকার। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে নির্বাচনটা প্রহসন মাত্র।’’

বস্তুত, ২০১৬ সালের নির্বাচনে শাসক দল পিএমএল(এন)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ব্যাপক রিগিং করে ভোট করিয়েছে তারা। সাধারণ মানুষ বুথ থেকে ভোট না দিয়েই ফিরে গিয়েছেন। আর এক স্থানীয় নেতার দাবি, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে কাশ্মীরে জঙ্গি ঢুকিয়ে শান্তি নষ্ট করা হচ্ছে। এ সবই কাশ্মীরকে দমিয়ে রাখার লক্ষ্যে রাজনৈতিক চাল।’’

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

সন্ত্রাসবাদীদের দমন করতে শূকরের রক্তে ভেজা গুলিতে জঙ্গি নিকেশ, উপদেশ ট্রাম্পের



স্পেনে জঙ্গি হামলায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শুধু তাই নয়, এবার জঙ্গিনিধনে এক নতুন পথও বাতলে দিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদীদের দমন করতে মার্কিন সেনাপতি জন পার্শিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন ট্রাম্প। একটি টুইটের মাধ্যমে উপদেশ দিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিদের নিকেশ করতে জেনারেল পার্শিংয়ের পদ্ধতি পালন করা উচিত।

কী সেই পদ্ধতি? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, জেহাদিদের অন্ধবিশ্বাসে আঘাত হানতে হবে। ধর্মকে ‘অস্ত্র’ করেই নির্মূল করতে হবে ইসলামিক সন্ত্রাসের শিকড়। উল্লেখ্য, জেহাদিদের বিশ্বাস ‘বিধর্মী’দের হত্যা করলে আল্লাহ স্বর্গের পথ খুলে দেন। তাদের কাছে চরম অপবিত্র বা ‘হারাম’ হচ্ছে শূকর। ওই প্রাণীর স্পর্শেও নরকে যেতে হয়, বিশ্বাস করে জেহাদিরা। জেহাদিদের বিরুদ্ধে শূকরের রক্তে ভেজা কার্তুজ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন নেটিজেনরা। তবে সমালোচনায় কান দেওয়া ট্রাম্পের স্বভাব নয়। তাঁর দাবি, এই পথেই জেহাদিদের সন্ত্রাসের পথে হাঁটা আটকানো যাবে।

উল্লেখ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন সেনার এক প্রভাবশালী সেনাপতি ছিলেন জন পার্শিং। ইতিহাসবিদের একাংশ মনে করেন, ইসলামিক উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে শূকরের রক্তে ভেজানো গুলি ব্যবহার করেছিলেন তিনি। যার ফলে নরকে যাওয়ার ভয়ে লড়াই ছেড়ে পালিয়ে যেত জঙ্গিরা।

তবে ট্রাম্পই প্রথম নন, জঙ্গিদের দেহ শূকরের চামড়ায় মুড়ে কবর দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। ২০০২ সালে চেচেন বিদ্রোহীদের দমন করতে এই পন্থাই নিয়েছিল রুশ সেনা, বলেন গবেষকরা। বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে ঘৃণ্য, প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলা চালাচ্ছে ইসলামিক স্টেট, আল কায়দা, বোকো হারামের মতো চরমপন্থী ইসলামিক সংগঠনগুলি। জঙ্গিদের লক্ষ্য, বিশ্ব জুড়ে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠা করা। গত বৃহস্পতিবারও জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল স্পেনের বার্সেলোনা। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ জন নিরীহ মানুষ। ওই হামলায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায় বিশ্ব জুড়ে। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী। স্পেনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 16 August 2017

আপনার কি Jio connection? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে ক্যাশব্যাকের ফুলঝুরি



এবার রিচার্জ প্রতি ক্যাশব্যাক ঘোষণা করল রিলায়েন্স Jio। Amazon, PhonePe-এর পাশাপাশি Paytm-এও Jio রিচার্জে ক্যাশব্যাক রয়েছে।

তবে ₹৩০০-র উপর রিচার্জেই এই ক্যাশব্যাক মিলবে গ্রাহকদের। এই মুহূর্তে ₹৩০০-র উপর ৮টি রিচার্জ প্ল্যান রয়েছে। প্ল্যানগুলি হল- ₹৩০৯, ₹৩৪৯, ₹৩৯৯, ₹৫০৯, ₹৯৯৯, ₹১,৯৯৯, ₹৪,৯৯৯ এবং ₹৯,৯৯৯।

কোথায় রিচার্জে কত ক্যাশব্যাক?

PhonePe

 ১) ₹৭৫ ক্যাশব্যাক Jio-র প্রি-পেড রিচার্জে।
 ২) ১৪ থেকে ২১ অগস্ট পর্যন্ত অফার ভ্যালিড।
 ৩) Jio অ্যাকাউন্ট প্রতি একবারই অফার ব্যবহার করা যাবে।
 ৪) ইতিমধ্যেই Jio প্রি-পেডে ₹৫০ ক্যাশব্যাক নিয়ে নেওয়া গ্রাহকদের জন্য অফার প্রযোজ্য নয়।


Paytm

 ১) ₹৩০০-র উপর রিচার্জে ₹৭৬ ক্যাশব্যাক।
 ২) ₹১০০-র উপর রিচার্জে ₹১৫ ক্যাশব্যাক।
 ৩) ক্যাশব্যাক পেতে PAYTMJIO প্রোমো-কোড ব্যবহার করতে হবে।


Amazon

 ১) ₹৩০৯ বা তার বেশি রিচার্জে ₹৯৯ ক্যাশব্যাক।
 ২) Amazon Pay ব্যবহার করে প্রথম Jio রিচার্জেই এই অফার মিলবে।
 ৩) রিচার্জের ৭ দিনের মধ্যে ক্যাশব্যাক মিলবে।
 ৪) ১৪ অগস্ট থেকে ১৯ অগস্ট পর্যন্ত অফার বৈধ।

 শুধু এই নয়, ₹৯৯-এর ক্যাশব্যাকের পরও অতিরিক্ত ২০% ক্যাশব্যাকের সুযোগ দিচ্ছে Amazon Pay। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সমপরিমাণ রিচার্জে এই অফার মিলবে। এই অফারে মোট ₹৩০০ ক্যাশব্যাক পেতে পারেন কোনও গ্রাহক।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

যে কোনও মুহূর্তে বেঁধে যেতে পারে মহাযুদ্ধ, আমদানি নিষিদ্ধ করল চিন



 যে কোনও মুহূর্তে বেঁধে যেতে পারে আমেরিকা এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে মহাযুদ্ধ! এই অবস্থায় পিয়ংইয়ং থেকে লোহা এবং সামদ্রিক খাবার আমদানি বন্ধ করে দিল চিন। পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর চিনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হল।

চিনের বাণিজ্য মন্ত্রক আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার থেকে কয়লা, লোহা, আকরিক লোহা এবং সামদ্রিক জাতীয় সব ধরনের খাবার উত্তর কোরিয়া থেকে আমদানি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হল। উত্তর কোরিয়ার রফতানি বাণিজ্যকে টার্গেট করে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটির বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১০০ কোটি ডলার। নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়া থেকে কয়লা, লোহা, লৌহ আকরিক, সিসা, আকরিক সিসা, মাছ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তর কোরিয়া থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগকেও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত এই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবের পক্ষে উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘ দিনের মিত্র চিনও ভোট দিয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Jio টেক্কা দিচ্ছে Airtel, নিয়ে এল নতুন অফার



টেলিকম কোম্পানি Airtel একটি বিশেষ অফার নিয়ে এসেছে। এই অফারে Airtel, Jio কে প্রতিযোগিতা দেওয়ার কথা ভাবছে। এই অফারটি শুধু Airtel এর প্রিপেড ইউজার্সদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে।

Airtel এর এই অফারটির দাম Rs 399 রাখা হয়েছে। এই অফারটি শুধু 4G হ্যান্ডসেট আর 4G সিম ইউজার্সরাই পাবে। এই অফারে 84 দিনের ভ্যালিডিটি পাওয়া যাচ্ছে। আর এর সঙ্গে প্রতিদিন 1GB ডাটা পাওয়া যাচ্ছে। মোট 84GB ডাটা পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে এই অফারে Airtel থেকে যেকোন নেটওয়ার্কে লোকাল আর এসটিডি আনলিমিটেড কলও করা যাচ্ছে।


জিওর Rs 399 প্ল্যানেও 84 দিনের ভ্যালিডিটি পাওয়া যাচ্ছে। এতেও প্রতিদিন 1GB ডাটা পাওয়া যাচ্ছে। আর মোট 84GB ডাটা পাওয়া যাচ্ছে। আর এর সঙ্গে আনলিমিটেড কলের সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে।

নোটঃ তবে আমরা এয়ারটেল প্রিপেড নম্বরে এই অফারটি পাওয়ার চেষ্টা করেছি আর তাতে মাত্র 28 দিনের ভ্যালিডিটি পাওয়া যাচ্ছে। তাই এটি পেতে হেল এটি কিছু বাছাই করা নম্বরেই দেওয়া হচ্ছে। আর এও হতে পারে যে এটি শুধু নতুন 4G সিম আর নতুন 4G হ্যান্ডসেটে পাওয়া যাচ্ছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Tuesday, 15 August 2017

দেশে থাকা অবৈধ রোহিঙ্গা মুসলিমদের দেশছাড়া করবে কেন্দ্র



অবৈধভাবে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমরা দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। তাই ভারত থেকে অবৈধ মুসলিমদের বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে বলে জানা গিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে প্রবেশ করা মুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকদের অসুবিধা তৈরি করছেন তো বটেই, পাশাপাশি, দেশের নিরাপত্তার জন্যও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। আরও বলা হয়েছে যে, গত কয়েক দশকে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা যেভাবে বেড়েছে তাতে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুপ্রবেশকারীদে জঙ্গিদলে যোগ দিতে দেখা যায়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে অনেক সময়েই প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে দেখা যায়। এদের সঙ্গে ভারতীয়দের সাংস্কৃতিক মিল থাকায় সেটা সবসময় চোখে পড়ে না। তাই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে টাস্ক ফোর্স গঠন করতে বলেছে কেন্দ্র।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কাশ্মীরে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিচ্ছে এই রোহিঙ্গা মুসলিমরা। ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন, লস্ক-ই-তইবার সদস্য হিসেবে কাজ করে এরা।

জানা গিয়েছে, ৫,৫০০-৫,৭০০ রোহিঙ্গা শুধু জম্মুতেই রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আশঙ্কা, ঠিকমত গণনা হলে এই সংখ্যা ১০,০০০ থেকে ১১,০০০ দাঁড়াবে। গোটা ভারতের প্রেক্ষিতে জম্মুতে জড় হওয়া এই রোহিঙ্গাদের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেশি বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিছুদিন আগে তাদের বস্তিতে তল্লাশি চালিয়ে আধার কার্ড সহ বেশ কিছু পরিচয়পত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

জাতীয় সংগীত গাইল না মাদ্রাসার পড়ুয়ারা



যোগীর রাজ্যে মাদ্রাসাগুলিতে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা তুলতে হবে। গাইতে হবে জাতীয় সংগীত। পুরো কর্মসূচি ক্যামেরাবন্দি করেও রাখতে হবে। এ নির্দেশ ঘিরে বহু বিতর্কের জল গড়িয়েছে। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মৌলবিরা। তাই স্বাধীনতা দিবসে পড়ুয়ারা কী করে, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল। বাস্তবে দেখা গেল, জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হলেও, ‘জনগণমন’ মুখেও আনল না মাদ্রাসার ছাত্ররা।

ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বরেলির। শহরের সবথেকে বড় মাদ্রাসা মঞ্জর-ই-ইসলাম। সেখানেই জমায়েত হয়েছিল কয়েকশো পড়ুয়া। সকলে মিলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। কিন্তু জাতীয় সংগীত গাওয়া হল না। বদলে পড়ুয়ারা গাইল ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা…’। মহম্মদ ইকবালের এ গানেই দেশের প্রতি ভালবাসা ব্যক্ত করল তারা। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও কেন এ বিরুদ্ধাচরণ, সে প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠেছে।

এদিকে যোগীর এই নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক কম ছিল না। বলা হচ্ছিল, ইসলাম সম্প্রদায়ের মানুষের দেশভক্তির উপর সন্দেহ হওয়াতেই কি এই সিদ্ধান্ত? কেন দেশেপ্রেমের প্রমাণ দিতে হবে দেশেরই এক সম্প্রদায়ের মানুষকে, সে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিলেন অনেকে। অন্যদিকে পালটা দাবি ছিল, দেশকে ভালবাসলে জাতীয় সংগীত গাইবে না কেন পড়ুয়ারা? এক মৌলবি ঘোর অনাস্থা জানিয়ে বলেছিলেন, চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা জাতীয় সংগীত গান না। কেননা, জাতীয় সংগীতের এমন কিছু লাইন আছে, বিশেষত শেষ লাইনে ‘জয় হে’- গাওয়ার সময় মনে হয়, বুঝি আল্লাহকেই ছোট করা হচ্ছে।

যদিও এ নিয়ে বাড়তি একটি শব্দও খরচ করেনি যোগী প্রশাসন। স্বাধীনতা দিবসের কর্মকাণ্ডেরই অপেক্ষা ছিল। আজ নিজেদের অবস্থানে অনড়ই থেকেছে অধিকাংশ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ গাওয়া হয়নি জাতীয় সংগীত। এবং সাফাই হিসেবে ওই পুরনো কাসুন্দিই টেনেছেন মৌলবিরা। সরকারি নির্দেশ অমান্য করার এই সিদ্ধান্ত বর্ষীয়ান মৌলবি আসজাদ মিঞার। এরপর সরকারের পদক্ষেপ ঠিক কী হবে, সে জল্পনাই ছড়াচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

নোট বাতিলের লক্ষ্য সফল, জমা পড়া ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা নজরদারির আওতায়, বললেন প্রধানমন্ত্রী




দেশের ৭১তম স্বাধীনতা দিবসে মঙ্গলবার সকালে নয়াদিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের সুফল সম্পর্কে কী বলেন, তা জানতে আগ্রহী ছিলেন অনেকেই। মোদীর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে থাকল নোট বাতিলের প্রসঙ্গ। তিনি বললেন, কালো টাকার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলবে। তিনি বলেছেন, নোট বাতিলের পর ব্যাঙ্কে জমা পড়া ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা নজরদারির আওতায় রয়েছে। একইভাবে হিসাব-বহির্ভূত আয়ের জন্য ১৮ লক্ষ লোকও নজরদারিতে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪.৫ লক্ষ মানুষ হিসাববহির্ভূত আয়ের কথা স্বীকার করে ‘ভুল সংশোধন’ করতে চেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গত ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর  আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন কমপক্ষে ২ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নোট বাতিলের জেরেই আয়কর রিটার্নের সংখ্যা  দ্বিগুণ বেড়ে ২২ লক্ষ থেকে ৫৬ লক্ষ হয়েছে। এছাড়াও ৩ লক্ষ ভুয়ো বা কাগুজে কোম্পানির হদিশও মিলেছে। আর্থিক বেনিয়মের জন্যই এই কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করা হত।

মোদী বলেছেন, নিরপেক্ষ সমীক্ষা অনুসারে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি হিসাববহির্ভূত অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হয়েছে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত।

এদিন মোদীর ভাষণের অধিকাংশ সময় জুড়েই ছিল কালো টাকার ইস্যু। তিনি বলেছেন, নোট বাতিলের পর যাঁরা হিসেব বহির্ভূত অর্থ ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছেন, তাঁরা নজরদারির আওতায় পড়েছেন। নোট বাতিলের পর যত পরিমাণ টাকা জমা পড়েছে তার মধ্যে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা নজরদারির আওতায় পড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নোট বাতিলের ফলে নতুন করে কালো টাকা তৈরি হওয়াতেও রাশ টানা গিয়েছে।

কালো টাকা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই লক্ষ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ইনকাম ট্যাক্স জমা দেওয়ার সঙ্গে আধার যুক্ত করার প্রচেষ্টা সার্থক হয়েছে।

মোদী বলেছেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে সরকার ৮০০ কোটি টাকার বেশি বেনামি সম্পত্তি বা সম্পদ উদ্ধার করেছে।

মোদী আরও বলেছেন, যারা দেশ ও গরিব জনতাকে লুঠ করেছে তারা শান্তিতে ঘুমোতে পারবে না। আজ সততার উদযাপন হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রযুক্তিই স্বচ্ছতা আনবে। ডিজিটাল লেনদেন গুরুত্ব দিতে জনগনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

মোদী বলেছেন, গত তিন বছরে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার হিসাববহির্ভূত সম্পদ চিহ্নিত করা হয়েছে।

কালো টাকা উদ্ধারের লক্ষ্যেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করে মোদী বলেছেন, এর ফলে কালো টাকা মূল স্রোতে ফিরিয়ে এনেছে। ওই কালো টাকা ব্যাঙ্কে ফিরিয়ে এনে তা অর্থনীতির মূলধারার সঙ্গে যুক্ত করাই ছিল সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নোট বাতিলের ফলে ব্যাঙ্কে টাকা এসেছে। এরফলে ঋণে সুদের হার কমেছে। দরিদ্রদের স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি। এতে দেশের অর্থনীতিরই লাভ হয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

নেতাজির মূর্তিতে আলকাতরা !



ভারতকে ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্ত করতে জীবন বাজি রেখেছিলেন তিনি। ছুটে বেড়িয়েছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। উত্তর পূর্ব ভারতের সীমান্তে দাঁড়িতে ব্রিটিশ সরকারকে যুদ্ধের হুঙ্কার দিয়েছেন। তিনি আপামর ভারতবাসীর হৃদয়ে রয়েছেন, রয়েছেন মন আর মননে। কিন্তু আজ যে ঘটনা ঘটল তা চূড়ান্ত লজ্জার। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে লাগানো হল আলকাতরা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের খয়রাশোলে।

খয়রাশোল থানার পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় করে নেতাজির একটি আবক্ষ মূর্তি তৈরি করা হয়। ঠিক ছিল আজ সকালে প্রশাসনের উপস্থিতিতে মূর্তিটি উন্মোচন করা হবে। কিন্তু তার আগেই রাতের অন্ধকারে নেতাজির মূর্তির মাথায় আলকাতরা লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, ভেঙে দেওয়া হয়েছে মূর্তির নাক।

আজ সকালে বিষয়টি প্রথম নজরে আসে পঞ্চায়েতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী দীনবন্ধু দাসের। তিনিই খবর দেন প্রধানকে। পঞ্চায়েতের সামনে জড়ো হন প্রধান, সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর যায় খয়রাশোল থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিস ঘোষ বলেন, “যারা এমন কাজ করেছে, তারা দেশদ্রোহী। তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।  প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলনে নামব।”

পঞ্চায়েত প্রধান সোনালি বক্সি বলেন, “আমরা এবার ৭১-তম স্বাধীনতা দিবস ধূমধামের সঙ্গে পালন করার জন্য নেতাজির মূর্তি বসিয়েছিলাম। কিন্তু দুষ্কৃতীরা এমন নোংরা কাজ করতে পারে স্বপ্নেও ভাবতে পারছি না। ওরা দেশদ্রোহী। পুলিশকে তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের খুঁজে বের করতে বলেছি।”
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp