JanaSoftR
  • সপ্তাহে কতবার যৌনমিলনে আগ্রহী সুন্দরীরা: একটি সমীক্ষা

  • এই নতুন নেশাতেই মজছে স্কুল পড়ুয়ারা, চিন্তায় অভিভাবকরা

  • ট্রেনে একঘন্টায় কলকাতা থেকে দিল্লি!

  • মরুভূমি হয়ে যাবে পাকিস্তান, সিন্ধু অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণ শুরু, প্রবল চাপে পাকিস্তান

Tuesday, 31 October 2017

ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে, তিব্বত থেকে ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলাচ্ছে চিন



এবার ভারতের বিরুদ্ধে প্রকৃতিকে হাতিয়ার করতে চলেছে চিন। তিব্বত থেকে ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলে ফেলার ভয়ানক ছক কষছে ওই দেশ। এই কাজের জন্য প্রায় ১ হাজার কিলোমিটারের একটি টানেল তৈরি করতে চলেছে বেজিং। ওই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে তিব্বত থেকেই ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলে ওই নদকে জিনজিয়াং প্রদেশের দিকে প্রবাহিত করবে লাল চিন।

চিনে ব্রহ্মপুত্রের নাম সাংপো। ওই নদের উৎস তিব্বতে। সেখান থেকে নিম্নমুখী হয়ে ভারত ও বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র। ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য বিশেষ করে অসমের জীবনরেখা ওই নদ। এর জন্যই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কৃষিকার্য সম্ভব হয়। তবে মাঝে মাঝে অত্যাধিক বৃষ্টির জন্য দুকূল ছাপিয়ে জনজীবন বিধ্বস্ত করে ব্রহ্মপুত্র। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিন ওই টানেল বানালে প্রবল বিপাকে পড়বে ভারত ও বাংলাদেশ। তিব্বত থেকে শুষ্ক জিনজিয়াং প্রদেশে জল প্রবাহিত করলে কমে যাবে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর। ফেল বিঘ্নিত হবে প্রবাহ। যার জেরে ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। জল কমে যাওয়ায় কৃষিকার্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, সুড়ঙ্গ থেকে জল ছাড়লে প্লাবিত হতে পারে নিচু জায়গাগুলি। একই অবস্থা হবে বাংলাদশেও। ফলে চিনের এই চালে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দিল্লির দরবারে।

চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের খবর, তিব্বতের সাংরি অঞ্চল থেকে জিনজিয়াং প্রদশের তাকলামাকান মরুভূমি পর্যন্ত বানানো হবে ওই সুড়ঙ্গ। এর মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের জল চাষবাসের জন্য পৌঁছে দেওয়া হবে মরুভূমিতে। ২০১৮-এর মার্চ মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। এই কাজে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। বেশ কয়েকবছর থেকেই ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলানোর হুমকি দিচ্ছিল চিন। তবে দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়ার পর ২০১০ সালে বেজিং জানায় এমন কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডোকলামে মান খুইয়ে ফুঁসছে লাল চিন। তাই এবার প্রকৃতিকে হাতিয়ার করেই ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে কমিউনিস্টশাসিত দেশটি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

নিজের ভাইয়ের মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ, জ্বলন্ত মোম ফেলে পোড়ানো হত তার শরীর



খুনের আসামী ছিল কাকা ইব্রাহিম (নাম পরিবর্তিত) । সাজাও খাটছিল। কিন্তু যখনই প্যারোলে বের হত বাড়িতে এসে নির্মমভাবে ধর্ষণ করত নাবালিকাকে। নিজের ভাইয়ের মেয়ের উপরই অকথ্য অত্যাচার চালাত। কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলারও হুমকি দিত। এই অভিযোগে ৪৬ বছরের ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের মাহিম থানা এলাকায়। ১৬ বছরের নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত কাকাকে। পুলিশকে নাবালিকা জানায়, ১০ বছর বয়স থেকেই কাকার অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে তাকে। জোর করে পর্ন ফিল্ম দেখানো হত তাকে। তারপর ধর্ষণ করা হত। এখানেই শেষ নয় জ্বলন্ত মোম ফেলে পোড়ানো হত তার শরীর।

জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের একটি খুনের মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছিল ওই ব্যক্তি। কিন্তু যখনই প্যারোলে ছাড়া পেত নিজের ভাইয়ের মেয়ের উপর এই অত্যাচার চালাত সে। এ বিষয়ে সবকিছু জানত অভিযুক্তের স্ত্রীও। কিন্তু কোনও প্রতিবাদ করেনি সে। উলটে নাবালিকাকেই হুমকি দেওয়া হত এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলা হবে তাকে।

২০১২ সালে ওই ব্যক্তি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়। এরপর থেকে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। শেষে বৃহস্পতিবার সাহস সঞ্চয় করে মাহিম থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। তার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ও তার স্ত্রীকে। দু’জনের বিরুদ্ধে যথাক্রমে নাবালিকাকে ধর্ষণ, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। নাবালিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের আপাতত পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

স্বামীর সঙ্গে যৌনসঙ্গমে রাজি না হওয়ায়, স্ত্রীয়ের যৌনাঙ্গে অ্যাসিড ঢালল স্বামী



চরম নির্মমতার নজির গড়ল উত্তরপ্রদেশ৷ স্বামীর সঙ্গে যৌনসঙ্গমে রাজি না হওয়ায় চলল স্ত্রীয়ের উপর অকথ্য অত্যাচার৷ যৌনাঙ্গে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হল৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে৷ পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পরেছে স্থানীয় বাসিন্দারা৷


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতি রাতেই স্ত্রীয়ের উপর অমানবিক অত্যাচার চালাত স্বামী৷ জোর করে তার উপর চড়াও হয়ে যৌনসঙ্গমে বাধ্য করত স্ত্রীকে৷ যদি যৌনসঙ্গম করতে রাজি না হত স্ত্রী, তাহলে অত্যাচারের পরিমাণ বেড়ে যেত আরও৷ কিন্তু সোমবার রাতে এই অত্যাচার চরমে পৌঁছায়৷ যৌনসঙ্গমে বাধ্য করা হয় ওই মহিলাকে৷ আর তাতে রাজি না হওয়াতেই মহিলার গোপনাঙ্গে অ্যাসিড ঢেলে দেয় স্বামী৷

জানা গিয়েছে, প্রায় ছয় বছর আগে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়৷ উত্তরপ্রদেশের কোতোয়ালি গ্রামের বাসিন্দা তারা৷ তাদের দুই সন্তানও রয়েছে৷ বিয়ের পর পর সুখের জীবন থাকলেও৷ কয়েক মাস যেতে না যেতেই শুরু হয় অত্যাচার৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায়ই স্বামী স্ত্রীয়ের মধ্যে বাগবিতন্ডা লেগেই থাকত৷ যৌনসঙ্গমে রাজি না হওয়াতে অত্যাচার মাঝে মধ্যেই মাত্রা ছাড়াত৷


স্থানীয় বাসিন্দারাই মহিলার বাবা মাকে খবর দেয়৷ তারাই এসে তাদের মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেন৷ ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ৷ নির্যাতিতা মহিলার বাবা থানায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও অবধি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

তৃণমূল ও CPI(M) থেকে প্রায় ৫০০ কর্মী BJP-তে যোগ



“সবাইকে দিয়ে টাকা তোলা এই সরকারের দায়িত্ব। এই কাজ তারা করাচ্ছে পুলিশকে দিয়ে। পার্টি ফান্ডের জন্য কয়লা খনি থেকে টাকা তুলে, গোরু পাচার করে পার্টি ফান্ড ভরাচ্ছে তৃণমূল। সেই টাকা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা নিচ্ছে।” গাইঘাটায় এক কর্মীসভায় তৃণমূলকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, “ছয়মাস হয়ে গেল ডেঙ্গি আটকানো যায়নি। গ্রামেগঞ্জে লোক মরছে। ডেঙ্গির ভয়াবহতা যাতে মানুষ বুঝতে না পারে সেজন্য তৃণমূলের লোকরা গিয়ে ডাক্তারদের ধমকি দিচ্ছে। প্যাথলজ়িক্যাল ল্যাবগুলিতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যাতে রিপোর্টে ডেঙ্গি না লেখে। রাজ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। জেলায় জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর শাড়ির রঙে নীল সাদা রং করা হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হয়ে সেখানে ঢুকলে আর জীবিত ফিরছে না। কেন্দ্রের টাকায় হাসপাতাল খুলে সেটাকে রাজ্যের নামে চালানো হচ্ছে।”

এছাড়াও তিনি আজকের সভায় নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার একটি বিল এনে ইতিহাস বইয়ে জায়গা করে নিল। নন্দীগ্রামের ইতিহাস। মুখ্যমন্ত্রী একটা কারখানা বন্ধ করে ইতিহাস বইতে উঠে গেল। বামফ্রন্ট সরকার তো ১৫ হাজার কারখানা বন্ধ করেছিল তাহলে তাদের নাম কোন বইতে উঠবে? নেতাজির অধ্যায় বাদ দিয়ে নন্দীগ্রামের ইতিহাস সেখানে ঢোকানো হল।”

পাশাপাশি তিনি মুখ খোলেন মুকুল রায়কে নিয়ে। বলেন, “উনি BJP-তে আসতে চেয়ে আবেদন করেননি। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। উনি দলে আসলে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। দুই একদিনের মধ্যেই কেন্দ্র থেকে নেতারা আসবে তারপর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”

এই সভায় তৃণমূল ও CPI(M) থেকে প্রায় ৫০০ কর্মী BJP-তে যোগ দেন। তাদের হাতে পতাকা তুলে দেন দিলীপ ঘোষ।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 29 October 2017

রোহিঙ্গাদের জনবিস্ফোরণ রুখতে, পুরুষদের পুরুষত্বহীন করার পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের



রকেটগতিতে রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি আটকাতে নাসবন্দি করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সরকার। অগাস্টে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মায়ানমার সেনা। তারপর থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা। কিন্তু যেভাবে রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে চিন্তিত বাংলাদেশ সরকার। একেই খাদ্যসামগ্রী বাড়ন্ত। এর উপরে অতিরিক্ত বোঝা চাপবে।

কক্সবাজার জেলার পরিবার পরিকল্পনা দফতরের প্রধান  পিন্টুকান্তি ভট্টচার্য জানিয়েছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সচেতনার অভাব রয়েছে। সবারই বড় পরিবার। এক একজনের তো ১৯টি সন্তান রয়েছে। একের বেশি স্ত্রীও রয়েছে রোহিঙ্গা পুরুষদের। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে বিনামূল্যে কন্ডোম বিতরণ শুরু করেছিল প্রশাসন। তবে তাতে তেমন সাড়া মেলেনি। মাত্র ৫৪৯টি কন্ডোম বিলি করা গিয়েছে।

ওদিকে রোহিঙ্গাদের বংশবৃদ্ধির হার দেখে উদ্বিগ্ন চট্টগ্রামের পরিবার পরিকল্পনা দফতর। সরকারের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের নসবন্দি করানোর অনুমতি চেয়েছে তারা। তবে পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পে সামিল হতে ইতিমধ্যে অস্বীকার করেছে রোহিঙ্গারা। সংবাদমাধ্যমে রোহিঙ্গারা দাবি করেছে, বড় পরিবারই তারা চায়। এমনকি জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইসলাম বিরোধী বলেও মত রোহিঙ্গাদের।

স্বেচ্ছাসেবী ফারহা সুলতানার কথায়, অনেক মহিলার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মধ্যে সাতটি বাচ্চার মা সাবুরা জানিয়েছেন, তিনি স্বামীর সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলেছিলেন। তবে তাঁর স্বামী আপত্তি জানিয়েছেন। এমনকি কন্ডোমও ব্যবহার করেননি। তাঁর স্বামী উলটে জানিয়েছেন, খাবারের কোনও অভাব হবে না।   

অগাস্টের পর থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ৬ লক্ষ রোহিঙ্গার মধ্যে ২০ হাজার মহিলা গর্ভবতী। তাদের মধ্যে ৬০০ জন ইতিমধ্যে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বাংলাদেশের পরিবার কল্যাণ দফতর মনে করছে, পুরুষদের নসবন্দি করানো  ছাড়া রোহিঙ্গা জনবিস্ফোরণ রোখার অন্য কোনও পথ খোলা নেই তাদের কাছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

২৭ বছর আগে, রেলের কামরায় এই যুবতীর সম্মানরক্ষা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও শঙ্কর সিং বাঘেলা



সালটা ছিল ১৯৯০। রেলের পরীক্ষা দিতে লখনউ থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন দুই যুবতী। ট্রেনের কামরায় জনা ১২ ছেলে তাদের দিকে অস্বস্তিকর দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল। ওইসব ছেলেদের কাছে কোনও রিজার্ভেশন ছিল না। তারা এই যুবতীদের সরিয়ে সেই জায়গায় ব্যাগ-পত্র রাখতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, তাদের লক্ষ্য করে অশ্লীল ভাষাও ছুঁড়ে দিতে থাকে, যাতে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যান ওই দুই যুবতী। রাতটা কিভাবে কাটাবেন বুঝতে পারছিলেন না। অন্যান্য যাত্রীদেরও বিশেষ কোনও হেলদোল ছিল না। উধাও হয়ে যান টিটিও।

কোনও ভাবে রাতটা পার করেন তাঁরা। পরের দিন আরও একটা ট্রেন সফর। এবার দিল্লি থেকে গুজরাত। একজন ভয়ে দিল্লিতেই রয়ে গেলেন। অপর যুবতী ট্রেনে উঠলেন, তবে ছিল না কোনও রিজার্ভেশন। ওই যুবতীর সঙ্গে যোগ দেন আরও এক জন। টিকিট ওয়েটিং লিস্ট থাকার কারণে ভীষণ ভয় পাচ্ছিল তাঁরা। স্টেশনে পৌঁছে তারা ছুটল চার্ট দেখতে কিন্তু কিছুই লাভ হল না কারণ টিকিট কনফার্ম হয়নি। কর্মরত টিটিকে জানাল তাদের অসুবিধার কথা, টিটি বলল ট্রেনে উঠে বসতে পরে যদি কিছু করা যায়।

রাতের সফর। তার উপরে আগের ট্রেনে তাদের ভীষণ খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাই ভয়ে ভয়ে একটা কামরায় উঠে বসল তারা,তাদের সামনের সিটে দুজন ব্যক্তি বসেছিল ওদের উপর চোখ পড়তে আরও ভয় করতে লাগল কে জানে এরাও সেই আগের ট্রেনের লোকেদের মত কিনা? ওই দুই ব্যক্তির চোখে ওদের অস্বস্তি ধরা পড়ল। অবশেষে টিটি এসে জানাল কোন সিট খালি নেই এই সিট দুটো ও পরের স্টেশনে ভরে যাবে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মত অবস্থা তাঁদের তখন। কিন্তু কিছু করার কোন উপায় নেই।


এমন সময় ওই দুই ভদ্রলোক উঠেপড়ে সিট ছেড়ে দেন। কিছুক্ষণ পর তারা ফিরে এসে কামরার মেঝেতে একটা চাদর পেতে শুয়ে পড়ে। সকাল বেলা হকারদের শব্দে ওদের ঘুম ভাঙে। সেই সময় তাদের মধ্যে এক যুবক বলে ওঠেন, ‘বোন আপনাদের কোন অসুবিধা হয় নি তো? আর গুজরাতে কোন দরকার পড়লেও নির্দ্ধিধায় জানাবেন।’ এই কথা শোনার পর ওই দুই যুবতী আশ্বস্ত হন। এরপর একজন যুবতী তাঁর পেন ও ডাইরি দিয়ে সেই দুই সহযাত্রীকে বলে ওঁদের নাম ও ঠিকানা লিখে দিতে। ওই দুই যুবক ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার পর তাঁরা দেখেন দুই যুবকের নাম নরেন্দ্র মোদীজি ও শঙ্কর সিং বাঘেলা।


সেই যুবতী আজ ভারতীয় রেলের ইনফরমেশন সিস্টেমের জেনারেল ম্যানেজার। লীনা শর্মা। ঘটনার বছর পাঁচেক বাদে অসমের এক সংবাদপত্রে এই গল্পটি লিখেছিলেন তিনি। লীনার কাছে তখন মোদী কিংবা বাঘেলা, দুজনেই অপরিচিত মুখ। এরপর বাঘেলা গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হন, পরে নরেন্দ্র মোদীও মুখ্যমন্ত্রী হন। তবে একদিন যে সেই নরেন্দ্র মোদীরই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন সেকথা ভাবেননি রেলের এই অফিসার। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ‘The Hindu’ পত্রিকায় এই গল্পটি লেখেন তিনি। শিরোনাম ছিল A train journey and two names to remember. আজও যতবার টিভি-তে দেখেন মোদীকে সেদিন রাতের সেই ব্যবহারের কথা ভুলতে পারেন না তিনি।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

কাশ্মীর প্রসঙ্গে চিদাম্বরমের ‘আজাদি’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ স্মৃতি ইরানি



প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সমালোচনা করতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। মন্তব্য করেন, ‘আচ্ছে দিন’ কথাটি এখন কৌতুকে পরিণত হয়েছে। জিএসটি নিয়েও মোদিকে একহাত নেন তিনি। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু কাশ্মীর প্রসঙ্গে মুখ খুলেই বিপত্তি বাধালেন। বলে বসেন, “কাশ্মীরের মানুষ ‘আজাদি’ বলতে আসলে স্বশাসন চান।” আর তাঁর এই বক্তব্যেই ব্যাপক চটেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

চিদাম্বরমকে পালটা আক্রমণ করে স্মৃতি বলেন, ‘ভারতকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার যে ইঙ্গিত দিয়েছেন চিদাম্বরম, তা শুনে আমি চমকে উঠছি।’ পরে তিনি আরও বলেন, চিদাম্বরম ও কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা তাদের সমর্থন করেন, যারা উপত্যকায় নিরাপত্তারক্ষীদের কাপুরুষের মতো হত্যা করে। জম্মু ও কাশ্মীরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি চাইছে কংগ্রেস, অভিযোগ স্মৃতির।

এখানেই থেমে থাকেননি স্মৃতি। আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সম্ভাব্য পরবর্তী সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও। জেএনইউ-তে ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’ বলে যারা স্লোগান দিয়েছিল, তাদের সমর্থন করেন রাহুল গান্ধী, তোপ স্মৃতি ইরানির। তাঁর বক্তব্য, ‘সকলেই জানেন রাহুল গান্ধী তাদের সমর্থন করেন যারা ভারতকে ভাঙতে চায়।’
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

যুবভারতীর আলপনায় , রাস্তায় রংয়ের বাহার দেখে অবাক বিদেশিরা



স্প্যানিশ ম্যাগাজ়িন মার্কা-র সাংবাদিক পিট কুবার স্টেডিয়ামের আশেপাশে ঘুরছিলেন। ফাইনালের আগে ঠিক কোন স্টোরি করা যায়, তার খোঁজে। কিছুতেই যেন পছন্দ মতো কিছু পাচ্ছেন না। প্রায় হতাশ হয়ে স্টেডিয়াম ছাড়ার আগের মুহূর্তে চোখ চকচক করে উঠলো কুবারের। রাস্তার ওপর লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রংয়ের বাহার দেখে মুহূর্তের মধ্যে যেন হাতে চাঁদ পেয়ে গেলেন স্প্যানিশ ভদ্রলোক।




স্টেডিয়াম চত্বর ঘুরে দেখছিলেন স্প্যানিশ ফুটবলার আবেল রুইজ এর আত্মীয় ক্লাটা। চোখের সামনে হাতে আঁকা আল্পনা দেখে ওখানেই আটকে রইলেন। তারপর সামনে থাকা এক নিরাপত্তা রক্ষীকে অনুরোধ করলেন সেই আলপনার একটা ছবি তুলে দিতে। যাওয়ার সময় ক্লাটা বললেন , এটা যে কেউ হাতে এঁকেছেন সেটা জেনেই অবাক হলাম। এই ছবি তা দেশে নিয়ে গিয়ে সবাই ক দেখাবো।




শুধু তাঁরা নন, রাস্তায় রংয়ের বাহার দেখে অবাক বিদেশিরা। স্টেডিয়ামে প্রধান গেটের রাস্তা জুড়ে আঁকা হয় আলপনা। তা দেখে এখনও চোখ ফেরাতে পারছেন না বিদেশিরা। পুজোর সময় লেক রোডে বিরাট মাপের আলপনা এঁকে বিশ্বরেকর্ড করেছিল কলকাতা। এবার বিশ্বকাপ ফাইনালেও আলপনায় রেকর্ড গড়ল শহর।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Monday, 23 October 2017

জয় শ্রীরাম গান চলছিল কেন? তার জেরেই ভাঙা হল প্যান্ডেল, বাড়ি



বাগনান (হাওড়া): কালী প্রতিমা নিরঞ্জন উপলক্ষ্যে মাইকে জয় শ্রীরাম গান চলছিল। তার জেরেই পুজো প্যান্ডেল ও বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল উপপ্রধানের স্বামী ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ওই উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের বলে জানা গেছে। গতরাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনানের হাটুরিয়ায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তখনকার মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতরাতে হাটুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পূর্বপাড়া সর্বজনীন শ্যামাপুজো কমিটির ঠাকুর নিরঞ্জন করার কথা ছিল। সেই উপলক্ষ্যে মাইকে জয় শ্রী রাম গান বাজছিল। আচমকা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মল্লিকা প্রামাণিকের স্বামী সুবিমল প্রামাণিক ও তাঁর অনুগামীরা এসে বচসা শুরু করে বলে অভিযোগ। কেন জয় শ্রী রাম গান চলছে সেই প্রশ্ন তুলে হামলা চালানো হয় পুজো প্যান্ডেলে। প্যান্ডেলের পাশাপাশি আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালান।

ওই পুজো কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, প্রতিমা নিরঞ্জন উপলক্ষ্যে সেই সময় খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হচ্ছিল। আচমকা গন্ডগোল লাগায় স্থানীয়দের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পুজো প্যান্ডেলে থাকা চেয়ারটেবিল প্রায় সবই ভেঙে গেছে। প্রচুর খিচুড়িও নষ্ট হয়েছে।

আজ সকালে এই ঘটনায় জড়িত উপপ্রধানের স্বামী ও অন্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বাগনান থানা ঘেরাও করেন পূর্বপাড়ার বাসিন্দারা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান ও তাঁর স্বামী।

সৌমেন ভৌমিক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গতরাতে যে হামলা হয়েছে আমার মনে হয় সেই হামলার পিছনে অন্য কারণ আছে। কয়েকদিন আগেই এলাকার একটি ঢালাই রাস্তা তৈরিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয়রা। তার জেরেই এই হামলা হয়েছে।”
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

‘বাবরি মসজিদের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই’ , 'শীর্ষ আদালতের রায় যাবে রাম মন্দিরের দিকেই'



রাম মন্দির ইস্যু নিয়ে অযোধ্যায় হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে কোনও শত্রুতা নেই। এমনটাই বললেন রাম মন্দিরের পুরোহিত মোহান্ত সত্যেন্দ্র দাস। তিনি আরও বলেন, শীর্ষ আদালতের রায় যাবে রাম মন্দিরের দিকেই। কারণ স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল, সেখানেই একসময় মন্দির ছিল। তাঁর দাবি, খুন শীঘ্রই শীর্ষ আদালত রায় দেবে আর তার বছর খানেকের মধ্যেই তৈরি হবে রাম মন্দির।

এক সাক্ষাৎকারে মোহান্ত জানিয়েছেন, শীঘ্রই আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসবে। হিন্দুদের তরফ থেকে সমস্ত প্রমাণ দাখিল করা হয়েছে যা থেক পরিষ্কার যে বাবরি মসজিদের আগেই অযোধ্যাতেই ছিল রাম মন্দির। তিনি আরও দাবি করেন, মুসলিমরা কোনও প্রমাণই দাখিল করতে পারেনি। কিছু নথি ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছেন তাঁরা। ফলে আগামী বছরের শুরুতেই রায় ঘোষণা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যদি আদালতের রায় কোনও একটি পক্ষের দিকে না যায়, তাহলে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সামনা-সামনি বসে আলোচনা করে সমাধান করবে। আর তাতে কোনও রাজনৈতিক দল মাথা গলাতে পারবে না। মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, ”বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এমন ভাষা ব্যবহার করেছে যাতে মুসলিমরা হতাশ ও দুঃখিত। ‘ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যেসব স্লোগান ব্যবহার করেছে সেগুলি হল, ‘হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তান, মোল্লা ভাগো পাকিস্তান’, ‘যো কহেগা বাবরি, উসকো সমঝো আখরি’। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

সত্যেন্দ্র দাস নিজে ২৬ বছর মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনও নিরাপত্তারক্ষী নেন না, কারণ মুসলিমদের নিয়ে কখনও ভয় পাননি তিনি। তাঁর কখনও মনে হয়নি যে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে কোনও শত্রুতা রয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Friday, 20 October 2017

জিও ১৪৯ টাকার প্ল্যানে এবার মিলবে দ্বিগুন ডেটা



দিওয়ালির মরশুমে গ্রাহকদের জন্য সুখবর নিয়ে এল জিও। । অর্থাৎ ২৮ দিনে ২ জিবি-র পরিবর্তে এবার মিলবে ৪ জিবি ডেটা।

গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন প্ল্যানে বেশ কিছু রদবদল এনেছে মুকেশ আম্বানির সংস্থাটি। সেখানে এবার থেকে ১৫ শতাংশ বেশি ব্যয় করতে হবে গ্রাহকদের। ৩৯৯ টাকার প্ল্যানটি এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৪৫৯ টাকা। এই প্ল্যানটিই জিও গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ৮৪ দিনের এই প্ল্যানে প্রতিদিন ১ জিবি করে ডেটা পান গ্রাহকরা। এই প্ল্যানেরই খরচ কিঞ্চিত বাড়ছে। তবে দিওয়ালি ধামাকায় ১৪৯ টাকার প্ল্যানে লাভবান হচ্ছেন গ্রাহকরা।

এছাড়া ৫২ টাকায় এক সপ্তাহ ও ৯৮ টাকায় দুই সপ্তাহের জন্য স্বল্পমেয়াদি দুটি প্ল্যানও চালু করে জিও। অন্যদিকে ৫০৯ টাকার প্ল্যানের ক্ষেত্রে খানিকটা কাটছাঁট করা হচ্ছে। এতদিন এই প্ল্যানে ৫৬ দিনের জন্য দৈনিক ২ জিবি করে ডেটা পেতেন গ্রাহকরা। এবার তার মেয়াদ কমিয়ে করা হল ৪৯ দিন। ৯৯৯ টাকার প্ল্যানে মিলত ৯০ জিবি ডেটা। এবার তা কমিয়ে করা হল ৬০ জিবি। অন্যদিকে চালু করা হয়েছে ১৯৯৯ টাকার প্ল্যান। যেখানে ছয় মাস সময়সীমার মধ্যে মিলবে ১২৫ জিবি ডেটা। এক্ষেত্রে হাই স্পিড পরিষেবা পাবেন গ্রাহকরা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ঢুকে পড়েছিলেন গ্রামের সরপঞ্চের বাড়িতে, সেই অপরাধের শাস্তি তে চাটতে হল থুতু



দুম করে ঢুকে পড়েছিলেন গ্রামের সরপঞ্চের বাড়িতে। শুধু তাই নয়, গ্রামের প্রধানের বাড়িতে প্রবেশের জন্য যে অনুমতি নিতে লাগে সেই জ্ঞানটাও তাঁর ছিল না। সেই অপরাধের শাস্তির জন্য মাটিতে থুতু ফেলে তা চাটতে হল বৃদ্ধকে।

উদ্ভট এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নালন্দা জেলার নুরসরাই ব্লকের অজয়পুর গ্রামে। এই জেলাতেই একসময় থাকতেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

জানা গিয়েছে, সরকারি প্রকল্পের বিশয়ে বিস্তারিত জানার জন্য গ্রামের প্রধান তথা সরপঞ্চের বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। কোনও প্রকারের অনুমতি ছাড়াই সেই বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। গ্রামের অতি সাধারণ একজন মানুষের কি করে ধৃষ্টতা হয় কি করে কাউকে কিছু না বলে সরপঞ্চের বাড়িতে ঢুকে পরার! সরপঞ্চ মানে তো সমগ্র গ্রামের মাথা। সেই বাড়িতে ঘারে একটি মাত্র মাথা নিয়ে ঢোকার সাহস দেখিয়ে ফেলেছিলেন সেই বৃদ্ধ। তাও আবার বিনা অনুমতিতে! এই অপরাধের কারণে মাটিতে থুতু ফেলে তা চাটতে বাধ্য করা হল ওই বৃদ্ধকে।

ছবিতে দেখা গিয়েছে যে যেখানে থুতু ফেলে তা ওই বৃদ্ধকে চাটানো হয়েছে সেই জায়গায় রয়েছে বেশ কয়েক জোড়া জুতো। সরপঞ্চের বাড়ির লোকেদের জুতো রাখার জায়গায় থুতু ফেলে চাটতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে। এখানেই অবশ্য শেষ যায়নি শাস্তি। বিনা অনুমতিতে সরপঞ্চের বাড়িতে ঢুকে পড়েছে বলে কথা! একটি ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে সরপঞ্চের বাড়িতেই দুই মহিলা অই বৃদ্ধকে জুতো দিয়ে বেধড়ক মারছে।

খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেও খুব একটা সময় নেয়নি। সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মাস খানেক আগে সেই গেরুয়া শিবিরই জোট বেধে সরকার গঠন করেছে বিহারে। স্বভাবতই এই ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে বিহার প্রশাসন।

যদিও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই রাজ্যের মন্ত্রী নন্দ কিশোর যাদব। বিহারের মন্ত্রীসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রী নন্দ কিশোর বলেছেন, “এই ধরণের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

লিঙ্গ পরিবর্তন করে স্প্লিটসভিলার গৌরব হয়েছেন মডেল গৌরী



ছিলেন গৌরব, হয়েছেন গৌরী। নতুন রূপে নতুন করে জীবন শুরু করেছেন স্প্লিটসভিলার অষ্টম মরশুমের প্রতিযোগী গৌরব অরোরা। লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়ে যিনি এখন গৌরী অরোরা। আর গৌরী এবার শামিল হতে হয়েছেন ভারতের সেরা মডেল হওয়ার দৌড়ে। নারীশরীর নিয়ে টেলিভিশনের জগতে এভাবেই কামব্যাক করতে চলেছেন তিনি।

A post shared by GAURI ARORA (@gauriarorafficial) on

হ্যান্ডসম হাঙ্ক হয়েই স্প্লিটসভিলায় প্রবেশ করেছিলেন গৌরব। কিন্তু সেখানে গিয়ে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেন তিনি। বুঝতে পারেন আদতে তাঁর মধ্যে নারীসত্তা প্রবল। বুঝতে পারেন, নারী হয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে চান তিনি। মাঝপথেই শো ছেড়ে দেন গৌরব। লিঙ্গ পরিবর্তন করে হয়ে ওঠেন গৌরী।

A post shared by GAURI ARORA (@gauriarorafficial) on

নিজের নতুন সত্তা নিয়ে দারুণ খুশি তিনি। হ্যাঁ, অনেকে এখন তাঁকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু নতুন অনেক বন্ধুও জুটেছে। যাঁরা খোলা মনে আপন করে নিয়েছেন তাঁকে। প্রতি পদক্ষেপে সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন।

A post shared by GAURI ARORA (@gauriarorafficial) on

সেই সাহসের জোরেই এবার ভারতের সেরা মডেল হওয়ার দৌড়ে শামিল হয়েছেন গৌরী। নাম লিখিয়েছেন ‘ইন্ডিয়া’স নেক্সট টপ মডেল রিয়্যালিটি শো’-এ। বিচারকদের সামনে বিকিনি পরেও হাঁটতে হয়েছে তাঁকে। প্রথমে একটু কুণ্ঠা বোধ হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন নিজেকে মুক্ত মনে হয়েছে গৌরীর। এখন তাঁর একটাই লক্ষ্য। নতুন জীবনে এই সেরার শিরোপাটি দিয়েই শুরু করতে চান তিনি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

বাবা ও ছেলে বিয়ে করল দুই বোনকে



ছেলেকে বিয়ে করাতে নিয়ে গিয়ে পাত্র হলেন তার বাবাও। শুধু তাই নয়, ছেলের আগেই টোপর পড়ে বিয়ের আসরে বিয়ে সারতে হলো নিজের। হঠাৎ করে কেনই বা এমনটা করতে হলো বরের বাবাকে?

জানা গেছে, মেয়ের বাড়িতে সকল প্রস্তুতি নিয়ে হাজির বরপক্ষ। ছেলের সঙ্গে বাবা ও তার পরিবারও রয়েছেন। মেয়ে বাড়িতে সবই ঠিকঠাক, হঠাৎ বাধ সাধলেন মেয়ের মা। নিজের ছোট মেয়ের বিয়ের আগে বড় মেয়ের বিয়ে হতে হবে। যতদিন না বড় মেয়ের বিয়ে হচ্ছে ছোট মেয়ের বিয়ে দেবেন না তিনি।

ছেলেও নাছোড়বান্দা। বিয়ে করেই বাড়ি ফিরবে। তাই কোনো উপায় না দেখে বড় মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ছেলের বাবা। আর এই অদ্ভুত প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান মেয়ের মা।

ব্যস, সবাই যখন রাজি তো কি আর বলবেন কাজি? বাবা-ছেলে একই আসরে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়লেন। আর ভায়রা ভাই হয়ে দুই বোনকে নিয়ে তুললেন নিজেদের ঘরে।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ সৌদিতে। স্থানীয় একটি পত্রিকা গত বুধবার এ সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

অন্য দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার ইঙ্গিত, দেশ ছাড়বেন শ্রীসন্থ ?



দীর্ঘ লড়াই। ক্রিকেটের গড়াপেটার সঙ্গে নাম জড়িয়ে যাওয়া। সব নিয়েই কাটছিল জীবন। এর পর একদিন জীবনকে ট্র্যাকে ফেরানোর একটা ছোট্ট আলো দেখতে পেলেন এস শ্রীসন্থ। কেরল হাইকোর্ট তাঁকে নির্দোষ বলল। কিন্তু বেকে বসল বিসিসিআই। আজীবন নির্বাসিত করা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৩ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য  আজীবন নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ছোট্ট একটা আশার আলো দেখিয়েও  হতাশায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের এই বোলারকে। এতটাই হতাশ তিনি যে দেশ ছাড়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছেন।

এশিয়ানেট নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।  জানিয়েছেন, বিসিসিআই তাঁকে ভারতে খেলা থেকে নির্বাসিত করতে পারে। বিসিসিআই ‘প্রাইভেট ফার্ম’। কিন্তু তাঁর সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে অন্য যে কোনও দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার। শ্রীসন্থ বলেন, ‘‘বিসিসিআই আমাকে নির্বাসিত করেছে, আইসিসি না। যদি ভারতে খেলার সুযোগ না পাই তা হলে অন্য যে কোনও দেশের হয়ে খেলতে পারি। কারণ আমার এখন ৩৪ বছর বয়স খুব বেশি হলে আর ছ’বছর খেলতে পারব। আমি ক্রিকেট খেলতে চাই। বিসিসিআই প্রাইভেট ফার্ম। শুধু আমরাই যারা এটাকে ভারতীয় দল বলি। সব কিছুর পরও বিসিসিআই ব্যক্তিগত সংস্থা। রঞ্জি ট্রফি, ইরানি ট্রফিতে কেরালার হয়েও খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটাও বিসিসিআই-এর হাতে।’’

যে আইপিএল-এ গড়াপেটার জন্য আজীবন নির্বাসিত হয়েছিলেন শ্রীসন্থ সেই আইপিএল-এর পর নির্বাসিত হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের মতো দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিও। কিন্তু দু’বছরের জন্য। আগামী বছর আইপিএল-এ খেলতে পারবে এই দুই দল। তা হলে শ্রীসন্থ নয় কেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং শ্রীসন্থ। সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘লোঢা প্যানেল বন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টকে ১৩ জনের নাম দিয়েছিল। কেউ সেটা কেন জানতে চাইছে না? আমি লড়াই চালিয়ে যাব। ভগবান সঙ্গে আছে।’’
`
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

২০২২ সালের এর মধ্যে সম্পূর্ণ উন্নত দেশ হবে ভারত



২০২২ সালের মধ্যে ভারতকে সম্পূর্ণ উন্নত দেশে পরিণত করার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল কে কে পল ও মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেদারনাথের এই পূণ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে আমি ভোলে বাবার আশীর্বাদ চাইছি এবং শপথ নিচ্ছি, ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে ভারতকে একটি সম্পূর্ণ উন্নত দেশে পরিণত করার স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি নিজেকে উৎসর্গ করব।’’

জনসভা থেকে আগের সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড অভিযোগ আনেন তিনি। বলেন,  ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডে বন্যার পর সকলে দুঃখ পেয়েছিলেন। পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন UPA সরকার তাঁর সহায়তা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। তিনি বলেন, “আমি তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী নই, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গতদের জন্য যতটুক পারি তা করতে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু সেই সময় সরকার বলেছিল,  কেদারনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণের জন্য গুজরাতের সাহায্যের প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমি মনে করি, প্রভু আমার দ্বারা এই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটনস্থান হিসাবে গড়ে তোলার কথাও মোদি বক্তব্য রাখতে জানান। তাঁর আহ্বান, “দেশের পার্বত্য রাজ্যগুলি পরস্পরের সঙ্গে উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় সামিল হোক। পরিবেশের ক্ষতি না করে কোন রাজ্য কত দ্রুত পরিকাঠামো এবং পর্যটনের উন্নতি ঘটাতে পারে, তার প্রতিযোগিতা শুরু হোক।”

২০১৩ সালে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটেছিল। কেদারনাথ মন্দিরের কোনও ক্ষতি না হলেও বিধ্বস্ত হয়েছিল আশপাশের এলাকা। আজ নরেন্দ্র মোদি বেশকিছু কাজের শিলান্যাস করেন। কেদারনাথে পর্যটন পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। পরম্পরার সঙ্গে খাপ খাইয়ে এবং পরিবেশ বাঁচিয়েই এই আধুনিকীকরণ হবে বলে আরও জানান তিনি। দেশের চারধামকে যুক্ত করতে রাস্তা তৈরির কাজ সরকার কাজ শুরু করেছে বলেও জানান মোদি। আজ উত্তরাখণ্ড সরকারকে পরিবেশের বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

২০২২ সালের মধ্যে উত্তরাখণ্ডকে জৈব রাজ্য হিসাবে গড়ে তুলতে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের কাছে আবেদন জানা মোদি। বলেন, “উত্তরাখণ্ডে অর্গানিক চাষের সুযোগ রয়েছে।”
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 18 October 2017

সূর্য ঘুরছে পৃথিবীর চারদিকে, কোপার্নিকাসের মডেলকে খারিজ



পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে এই তথ্যকে ভুল ‘প্রমাণ’ করেছেন সৌদি আরবের এক আলেম। নিজের গবেষণার কথা বলে তিনি দাবি করেছেন, পৃথিবী একটি নিশ্চল বস্তু, এটি নড়তে পারে না।
শেখ বানদার আল খাইবারি নামে ওই ব্যক্তির এই ‘আবিষ্কার’ একুশ শতকের বিজ্ঞানকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার দাবি তুলেছে।

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে নিজের গবেষণাকর্ম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন শেখ বানদার। সে সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি পৃথিবীর ‘নিশ্চলতা’ সম্পর্কে তাঁর বিশ্বাসের কথা বলেন। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে এমন কথাই জানা যাচ্ছে।

নিজের গবেষণা সম্পর্কে বোঝাতে শেখ বানদার বলেন, পৃথিবী নিশ্চল এবং তা নড়াচড়া করতে পারে না। যদি পৃথিবী নিজের কক্ষপথে ঘুরত, তাহলে বিমান কখনও তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারত না।

আরবের এই গবেষক প্রচলিত কোপার্নিকাসের মডেলকে খারিজ করে দিয়েছেন। বিশ্বের কোনও বিজ্ঞানই তাঁর গবেষণার ফলকে অস্বীকার করতে পারবে না বলেও দাবি করেছেন শেখ বানদার। একই সঙ্গে নাসার চাঁদে যাওয়ার বিষয়টি ‘হলিউডের সৃষ্টি’ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

নাসা বা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি আলেমের এমন বিচিত্র‘আবিষ্কার’-এর ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ভাঙা হল সাতটি কালীমূর্তি, গেপ্তার যুবক



সাতটি কালীমূর্তির মাথা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। কাঁথি থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ কাঁথি আদালতে তোলা হলে তার ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে কী কারণে সে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

গোপীনাথপুরের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ মাইতি গতকাল দোকানে বসে ওই সাতটি মূর্তি বানাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার পুজো। আর তাই শেষ বেলার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সন্ধের দিকে তাঁর দোকানে চড়াও হয়ে ওই সাতটি প্রতিমার মাথা ভেঙে দেয় অভিযুক্ত যুবক। ঘটনাটি দেখতে পেয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আজ কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক অনির্বাণ চৌধুরি ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। তবে কী কারণে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও জানতে পারা যায়নি।

সরকারী আইনজীবী অরুণ সাউ বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২৯৫/এ ধারায় ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় সে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে সর্বাধিক তিন বছরের জেল এবং জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।”

ইন্দ্রজিতবাবু বলেন, “কালীপুজো আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তাই প্রতিমা তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছিল। এখন সময়ের মধ্যে কাজ কীভাবে শেষ করব তাই ভেবে উঠতে পারছি না। এটা এখন আমার কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পাকিস্তান : নিজের দেশের উপরেই পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ !



নিজের দেশের উপরেই পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবে পারে পাকিস্তান সেনাবাহিনী! এমনটাই শঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন  স্বাধীনতাকামী পাশতুন জনগোষ্ঠীর নেতা উমর দাউদ খটক। তাঁর শঙ্কা, খাইবার-পাখতুনখোয়ায় পরমাণু হামলা চালাতে পারে পাক সেনা। এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে উমর দাউদ জানান,  ভারত এবং আফগানিস্তানে নাশকতার কাজে লিপ্ত হতে পাশতুনরা অস্বীকার করায়, পাক সেনাবাহিনী প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে বলে পাশতুন নেতা জানিয়েছেন।

পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী পাখতুন বা পাশতুনরা হল। আফগানিস্তান লাগোয়া খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে এই জনগোষ্ঠীই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বালোচের মতো দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা পেতে চাইছে এই সম্প্রদায়। কারণ বেশির ভাগ সময়ে বিভিন্ন বাঁধার মধ্যে পড়তে হয় এই সম্প্রদায়কে। এমনকি, আত্মীয়দের থেকেও বিচ্ছিন থাকতে হয় এই সম্প্রদায়। এরপর পাকিস্তান সেনার অত্যাচার।  ফলে পাশতুনদের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাক প্রশাসনের হাত থেকে মুক্তির দাবিও ক্রমশ জোরদার হচ্ছে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে।

খাইবার-পাখতুনখোয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এক সময় চাইতেন, পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্ত হয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত হতে। কিন্তু এখন সে দাবি বদলে গিয়েছে। স্বাধীন পাশতুনিস্তান গঠনের দাবি উঠেছে। উমর দাউদ খটক বলেছেন, ‘‘আমরা পাশতুনিস্তান লিবারেশন আর্মি তৈরি করছি এবং শীঘ্রই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হবে। আমরা আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন চাইব।’’ উমর দাউদ খটক আরও জানিয়েছেন, পাশতুনদের উপর অভাবনীয় অত্যাচার শুরু করেছে পাক সেনা। তাঁর কথায়, ‘‘পাকিস্তানের সেনা আমাদের বিরুদ্ধে ভারী অস্ত্র-শস্ত্র ব্যবহার করছে। তারা আগে আমাদের সোভিয়েত রাশিয়া এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। এখন পাকিস্তান আমাদের জঙ্গি হিসেবে ভারত এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চাইছে। আমরা তা হতে দিচ্ছি না। তাই আমাদের উপর বোমা বর্ষণ শুরু হয়েছে।’’ পাশতুনদের অভিযোগ, পাক বিমানবাহিনী এখন পাশতুন এলাকায় বোমা বর্ষণ করছে। খাইবার-পাখতুনখোয়ার দখল ধরে রাখতে সেই প্রদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীকেই পাকিস্তান মুছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে পাশতুন নেতারা জানিয়েছেন। উমর দাউদ খটকের আশঙ্কা, পাশতুন জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাক সেনা যে সব ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করতে শুরু করেছে, তাতে খুব শীঘ্রই পাশতুন জনপদগুলির উপর পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করা হবে। খাইবার-পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন এলাকায় পরমাণু হামলা চালিয়ে পাকিস্তান পাশতুনদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায় বলে পাশতুন নেতার আশঙ্কা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Monday, 16 October 2017

নোট বাতিল ও জিএসটির-র প্রশংসা, ভারতের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে: আইএমএফ



ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বা আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার জানিয়ে দিল, ভারতের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপরই দাড়িয়ে রয়েছে।

গত মঙ্গলবারই, ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক রিপোর্ট প্রকাশ করে আইএমএফ জানায়, ভারতে বৃদ্ধির গতি স্লথ হয়েছে। আর এই গতি স্লথ হওয়ার জন্য ভারত সরকারের নোট বাতিল ও জিএসটি চালু করাকেই দায়ী করে আইএমএফ।

কিন্তু, এদিন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দা এই নোট বাতিল ও জিএসটির-র ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর দাবি, এই দুই পদক্ষেপ অত্যন্ত বলিষ্ঠ। তিনি যোগ করেন, নোট বাতিল ও জিএসটি-র ফলে অর্থনীতি যে সাময়িক স্লথ হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না।

গত সপ্তাহে প্রকাশিত রিপোর্টে ২০১৭ সালের জন্য ভারতীয় অর্থনীতির পূর্বাভাসের হার আগের তুলনায় ০.৫ শতাংশ কমিয়ে ৬.৭ শতাংশ করেছিল আইএমএফ। একইভাবে, ২০১৮ সালের পূর্বাভাসও ০.৩ শতাংশ কমিয়ে ৭.১ শতাংশ করে তারা।

এদিন সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আইএমএফ প্রধান স্বীকার করে নেন, তথ্যে কোনও ভুল নেই। যদিও, একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই স্লথ হওয়াটা সাময়িক। স্বল্প-মেয়াদী। তিনি যোগ করেন, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে ভারতের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপরই দাঁড়িয়ে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

বড়সড় ধাক্কা: বিজেপিতে যোগ দিলেন শাসকদলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী



ত্রিপুরায় বামেদের বড়সড় ধাক্কা। প্রচুর বাম সমর্থক যোগ দিল বিজেপিতে। উত্তর ত্রিপুরায় ৫১৪টি পরিবারের ১৬৬৯ জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। গত ১২ অক্টোবর বিজেপিতে যোগ দেয় ওই বাম সমর্থকেরা। ত্রিপুরায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিপ্লব কুমার দেবের ওইদিন দুটি জনসভা ছিল, একটি জলেবাসায় ও আর একটি সাতনালায়। সেখানেই বিজেপির যোগ দেন নতুন সদস্যরা।

বিপ্লব দেব জানান, এই সিপিএম সমর্থকদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি পূর্ব নির্ধারিত। এদিন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন তাঁরা। অনুন্নয়নের জন্য এদিন রাজ্যের বাম সরকারের দিকে আঙুল তোলেন তিনি। রাজ্যে রবার শিল্প ও ফল ভিত্তিক শিল্পের উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। ওই সব শিল্প রাজ্যে এলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আর এই শিল্পেই ত্রিপুরার ভাগ্য বদলে যাবে বলে উল্লেখ করেন এই বিজেপি নেতা। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই সব শিল্পে উন্নয়ন হবে বলে দাবি করেন তিনি।

তাঁর আরও অভিযোগ, শিল্পের ক্ষেত্রে তেমন কোনও উৎসাহ নেই বাম নেতাদের। তারা এসব শিল্পের থেকে বেশি বিল্ডিং তৈরিতে টাকা খরচ করেন বলেও উল্লেখ করেন বিপ্লব দেব। তিনি আরও বলেন, এইসব নির্মাণে টাকা বাড়ে পার্টি ফান্ডে। বাম সরকারের জন্যই ত্রিপুরার যুব সম্প্রদায় চাকরি হারিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ত্রিপুরার উন্নয়নের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলেও ব্যাখ্যা করেন তিনি।

বিজেপিতে নতুন যোগ দেওয়া সদস্যরা বলেন, তাঁরা কয়েক প্রজন্ম ধরে সিপিএমের সঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু, প্রত্যেকবারই তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। আর এখন তাঁদের পরিবারের হত দরিদ্র অবস্থা, তাই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

শহিদ অমিতাভ : শোকসভা নয়, গুরুঙের মাথা চাই




আর কোনও শোকসভা বা প্রতিবাদ মিছিল নয়। মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংকে ফাঁসি দেওয়া হোক, নয়তো শুট অ্যাট সাইট জারি করা হোক। এই দাবি নিয়ে আজ মশাল হাতে পথে নামল জয় বাংলার সদস্যরা।

গুরুঙের খোঁজের তল্লাশি চালাতে গিয়ে বিমলপন্থীদের গুলিতে শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে SI অমিতাভ মালিকের। আর তাঁর ছবি সামনে রেখে গুরুঙের শাস্তির দাবিতে মশাল হাতে সোচ্চার হয় জয় বাংলার সদস্যরা। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক ময়দান এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়ে ভেনাস মোড়, সেবক মোড় ঘুরে এয়ারভিউ মোড়ে পৌঁছয়। সেখানে গুরুঙের কুশপুতুলকে প্রথমে ফাঁসি দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। 
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ভারত থেকে ৫০০ কোটি ঋণ, MIG-35 যুদ্ধবিমান কিনবে বাংলাদেশ



 বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ভারত থেকে ৫০০ কোটি ঋণ পাওয়ার কথা। আর সেই অর্থ দিয়েই নাকি বাংলাদেশ কিনবে MiG-35 এয়ারক্রাফট। এছাড়া MiG-29S ফাইটার জেটের কিছু অংশও কেনা হবে ওই টাকায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ান বিমান কেনার জন্য ভারতের অর্থ সাহায্য আদতে ঢাকা, নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বার্তা দিচ্ছে।

চারদিনের সফরে শুক্রবারই ভারতে এসেছেন শেখ হাসিনা। ‘ইন্ডিয়ান ডিফেন্স নিউজ’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করতে আগ্রহী নন হাসিনা। কারণ বিরোধীরা তাঁকে সবসময় ‘ভারতের হাতের পুতুল’ বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। ঠিক যেমন ভারত ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে আফগানিস্তানের সঙ্গে। তেমনই চুক্তির অফার দেওয়া হয়েছিল ভারতের পক্ষ থেকে।

মার্চ মাসেই Analysis of World Arms Trade (CAWAT)-এর তরফ থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে এয়ার ফোর্সের জন্য আটটি MiG-35 মাল্টি-রোল ফাইটার জেট কেনা হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের ডিফেন্স বাজেট ২৮০ কোটি ডলার। তাই সেদেশের পক্ষে এতগুলি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান কেনা সম্ভব নয়। বাংলাদেশকে মূলত অস্ত্র রফতানি করে চিন। তবে রাশিয়ান অস্ত্রের উপর এদেশের ব্যাপক বিশ্বাস রয়েছে। বাংলাদেশ রাশিয়ার তৈরি BTR ট্যাংক, MiG যুদ্ধবিমান ও Mi-17 হেলিকপ্টার ব্যবহার করে।

উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও দেশকে এত টাকার ঋণ দিচ্ছে ভারত। হাসিনার এবারের সফরে ৩০টিরও বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ২০১০ ও ২০১৫ সালে ভারত দু’টি লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে ৩০০ কোটি ডলার দিয়েছিল। আগের দু’টি লাইন অব ক্রেডিটে প্রথমে টাকার অঙ্ক নির্দিষ্ট করে পরে প্রকল্প নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এবারে প্রাথমিক ২৭টি প্রকল্পের মধ্যে ১৮টি প্রকল্প বাছাই করে মোট অঙ্ক যোগ করে লাইন অব ক্রেডিট নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই ঋণে সুদের হার ১ শতাংশ। ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য। প্রথম পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ড থাকবে। প্রকল্পে ব্যবহৃত ৭৫ শতাংশ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করতে হবে এবং প্রকল্পভেদে প্রয়োজন পড়লে এ’টি কমতে পারে। ভারতের এক্সিম ব্যাংক এই অর্থ যোগান দেবে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে রূপপুর নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা বন্দরে টার্মিনাল নির্মাণ, বুড়িগঙ্গা নদী সংরক্ষণ, রেল রাইনে সহায়তা, বিদ্যুৎ খাতে সহায়তা, চট্টগ্রাম ড্রাই ডকে সহায়তা, সড়ক খাতে সহায়তা ইত্যাদি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Friday, 13 October 2017

কোথায় বাস করি আমরা ! দুই বোনের কান্না, যন্ত্রনা , আর্ত চিৎকার




ছেলেটির সেজো বোন (17 yr) তখন বাথরুমে স্নান করছিল, হঠাৎ তার চোখ চলে যায় ছাদের দিকে, অবাক হয়ে সে দেখে পাশের বাড়ির ৩ জন ছেলে গাছে উঠে তার স্নান করা দেখছে আর মোবাইলে সেটার ফোটো তুলছে |

 বাথরুম থেকে বেরিয়ে ঘটনাটা সে জানায় বাড়ির লোকেদের, তার মুখ থেকে এই কথা শুনে তখন বাবা-মা-দিদি ও সেই ছেলেটি সবাই পাশের বাড়িতে যায় অভিযোগ জানাতে, আশা করি তাদের এই কাজ টি কোন অপরাধ ছিল না, তারা শুধু এই অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করেছিল মাত্র |

কিন্তু হঠাৎ ই ওখানকার প্রায় ৮-১০ জন ছেলে সেখানে আসে লাঠি ,রড, টাঙি, কুড়ুল নিয়ে, কোন অভিযোগ শোনা তো দূর অস্ত , তারা কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ছুটে এসে মারামারি শুরু করে দেয়, আর কিছুক্ষনের মধ্যেই তার ছোট বোন (13 yr) আর সেজো বোন (17 yr) কে বলপূর্বক টেনে ওদের বাড়ির মধ্যে নিয়ে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়|

দুই বোনের কান্না, যন্ত্রনা পেয়ে আর্ত চিৎকার ... উফ !

বাড়ির লোক কি আর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে ? ছেলেটি কোনভাবে বেরিয়ে ছুটে চলে যায় ওই ঘরে, সেজো বোনের জামা তখন ছিন্নভিন্ন ...

সারা শরীরে রক্তের দাগ, গালে, মুখে নিষ্ঠুর রডের আঘাতের ফলে রক্তাক্ত মুখ, তখনও একটা জানোয়ার তার মাথার উপর একটা রড তাক করে রেখেছে,

সবে মারতে যাবে, বিদ্যুৎ গতিতে ছেলেটি তখন তার হাত টা বাড়িয়ে দেয় সেই আঘাত থেকে নিজের বোনকে বাঁচানোর জন্য., বোন বেঁচে যায় আঘাত থেকে, কিন্তু সেই রডের বাড়ি এসে পড়ে তার হাতে, জানোয়ার গুলো তাকে ব্যাথায় ককিয়ে ওঠার সুযোগ টাও দেয়নি. আচমকা কেউ পেছন থেকে টাঙি দিয়ে তার বোনের মাথায় মারে. ওখানেই সাথে সাথে অজ্ঞান|

জ্ঞান ফিরলে সে চোখ খুলতেই দেখতে পায় তার ছোট বোনের রক্তাক্ত শরীর টা , অচৈতন্য অবস্থায় পাশে পড়ে রয়েছে, জামা পুরো ছিন্ন ভিন্ন, রক্তে ভেজা, মাথায় প্রায় ৫ ইঞ্চির গভীর ক্ষত, পাশে সেজো বন ছটফট করছে যন্ত্রনায়, আর বাবা-মায়ের কথা নাই বা বললাম. নিজের সন্তানদের এইভাবে দেখতে কেমন লাগে তা আমার বর্ণনা করবার ভাষা নেই. কোনোভাবে ছেলেটি সেখান থেকে উঠে তার দুই বোনকে নিয়ে ছুট দেয় হাসপাতালের পথে ....

কি ভাবছেন ? এখানেই নিষ্পত্তি ? তাহলে আপনি ভুল ....

বাজার এ পৌঁছে না জানি সে কত লোকের কাছে মিনতি করেছে, পায়ে ধরেছে যে "দাদা, কাকু, মামা আমাদের একটু হাসপাতালে পৌঁছে দিন. অন্তত আমার ছোটো বোন টা কে নিয়ে যান"... নাহহ, কেউ আসেনি এগিয়ে, বরং দূরে সরে গিয়ে সবাই তামাশা দেখল আর সমালোচনা করল, যেন তারা সার্কাসের ক্লাউন ! কেউ আবার রক্তের দাগ থেকে ঘেন্নায় দূরে পালালো, নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষায় তখন ব্যস্ত সবাই |

 তারা ভীত, এই ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকতে,.... সবাই তখন চাইছিল গল্পের মত সব কিছু ভুলে গিয়ে আবার নিজেদের সুখী জীবনে মনোনিবেশ করতে, কে এত ঝামেলা পোয়াবে বাপু !! পুলিশ- কোর্টের টানাহেচঁড়া হবে শেষে ! অত দয়াবান হয়ে কাজ নেই !

কোনভাবে এরপর তারা যায় কাছের গ্রামীন হাসপাতালে, সেখানে প্রায় ১৫ মিনিট বসে থাকার পর, নার্স এসে বললেন "ডাক্তার নেই, অপেক্ষা কর", একটা করে ব্যান্ডেজ দিয়ে ক্ষত স্থানে চেপে রাখতে বললেন. দারুন শুশ্রুষা ! বাজার এ অনেক গাড়ি ছিল কিন্তু একটাও গাড়ি এগিয়ে আসেনি নিয়ে যাওয়ার জন্য, ছেলেটির বাবা লোকেদের পায়ে পর্যন্ত পড়েছে, নাহ! তাও কারোর দেখা পাওয়া যায়নি, কেউ আসেনি....

তারপর অসহায় হয়ে ওর বাবা নিজের স্কুটারে করে ছেলেটিকে আর তার বোনকে কোনোভাবে থানায় নিয়ে যায়, ওখানে পুলিশকে বলা হয় হাসপাতালে যাওয়ার জন্য একটা গাড়ির ব্যবস্থা করতে. বলিহারি বঙ্গপুলিশ ! উত্তর আসে...

" হেঁটে চলে যান না". যেন, পাড়ায় মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছে !

কিছু করার ছিল না, তারপর বাবা অনেক কষ্টে একটা গাড়ি ভাড়া করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়, প্রথমে খড়গপুর সাব ডিভিশন হাসপাতাল, তারপরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে... তবে ক্রমশ ছোট বোনের অবস্থা খারাপ হতে থাকলে সেখান থেকে ডাক্তার তাকে কলকাতার পি.জি. ( S.S.K.M) তে নিয়ে যেতে বলে...

২/১০/২০১৭ ----

থানায় F.I.R হয়েছে. ৮জন এখনো অবধি ধরা পড়েছে..

তবে এরপর থেকেই শুরু হয়েছে হুমকির পালা, বাড়িতে থাকা দায় হয়ে উঠেছে.. পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তারা খুব চিন্তায় আছে কারণ ঘটনা ঘটার পর ৭দিন হয়ে গেলেও পুলিশ হুমকির ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি, এখন তাদের মনে হয় কোথাও একটা রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে যার ফলে পুলিশ হয়ত নিরুত্তাপ, আসামীরাও রাজনৈতিক সাহায্য পাচ্ছে বলেই তারা মনে করে |

আজ ৩ দিন হল সে আর তার ছোট বোন বাড়ি ফিরেছে, আপাতত সবাই কিছুটা সুস্থ আছে, তবে মানসিক এবং আর্থিক দিক থেকে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত |

কোথায় বাস করি আমরা? এটাই কি সভ্য ভারত?

পাঠকদের কাছে অনুরোধ শুধু পড়ে 'sad/angry react' করে চলে যাবেন না কেউ, Share করে সবার সামনে আধুনিক পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের রূপ তুলে ধরুন|
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Thursday, 12 October 2017

ছি ! এখানে পশু কারা ??



ফসল খেয়েছে বলে এই ভাবে আঘাত করাটা কি কোনো মানুষের কাজ হতে পাড়ে ?

ঘটোনা টি বাংলাদেশের।

পশুটির খুব খিদে পেয়েছিল তাই নিজের লোভ না সামলাতে পেরে ঢুকে পরে ছিল চাষের জমিতে।

আর এটাই তার কাল হল জমির চাষী কোপ দিল কুরুল দিয়ে তার পিঠে, সেখানেই লুটিয়ে পরল সে।

এমন কাজ  যারা করেছে সত্যিকার এর অর্থে তারা কি নিযেরাই বড় পশু নয়?
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মহিলা টয়লেটে ঢুকে পড়লেন রাহুল গান্ধী, হাসির রোল চারিদিকে



গুজরাতে প্রচারে গিয়ে অনেক ঝড় তুলেছেন কংগ্রেস যুবরাজ রাহুল গান্ধী৷ প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ করে হাততালি কুড়িয়েছেন তিনি৷ কিন্তু সফর শেষে একটা ঘটনার জেরে নিজেই হয়ে উঠলেন পরিহাসের পাত্র৷ তাই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখরোচক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছেন কংগ্রেস যুবরাজ৷

বুধবার গুজরাতের ছোটা উদয়পুরে প্রচারে যান রাহুল গান্ধী৷ সমাবেশ শেষে শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেন তিনি৷ শৌচালয়ে যানও তিনি৷ কিন্তু ভুলবশত মহিলা শৌচালয়ে ঢুকে পড়েন তিনি৷ সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতেই হাসির রোল ওঠে চারিদিকে৷ দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান যুবরাজ৷



অবশ্য এতে রাহুলের কোন দোষ ছিল না৷ ভুলবশতই তিনি মহিলা শৌচালয়ে ঢুকে পড়েন৷ শৌচালয়ের বাইরে কোন পুরুষ বা মহিলা চিহ্ন ছিল না৷ শুধু এক জায়গায় গুজরাতি অক্ষরে লেখা ছিল ‘মহিলাও মাটে শৌচালয়’৷ লেখাটি লক্ষ্য না করেই ঢুকে পড়েন তিনি৷ যুবরাজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ব্যপারটি বুঝতে পারেন৷ কিন্তু একটু বোধদয় হয় তার৷ কয়েক সেকেন্ড পরই শৌচালয় থেকে বেরিয়ে আসেন রাহুল৷ সমাবেশের বাইরে থাকা চিত্র গ্রাহকরা গোটা ঘটনাটির ভিডিও করে নেন৷ সেই ক্লিপিংই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 11 October 2017

মন্দিরের সামনে ভিক্ষা রাশিয়ান যুবককের, অবাক দর্শনার্থীরা, সাহায্যের আশ্বাস সুষমার



ATM এর PIN লক হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন এক রাশিয়ান যুবক। টাকার অভাবে তামিলনাড়ুর একটি মন্দিরের সামনে তিনি ভিক্ষা করতে শুরু করেন। সেই খবর কানে পৌঁছালে তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ওই যুবককে উদ্দেশ্য করে টুইটারে তিনি লেখেন, ইভানজেলিন- তোমার দেশ রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। চেন্নাইয়ে আমাদের আধিকারিকরা তোমাকে সবরকম সাহায্য করবেন।

২৪ বছরের রাশিয়ান যুবক ইভানজেলিন। তামিলনাড়ুতে বেড়াতে এসেছিলেন। সেই পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু, প্রয়োজনীয় টাকা তুলতে গিয়ে পড়লেন আতান্তরে। ATM-এ টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন তাঁর PIN লক হয়ে গেছে। অগত্যা কী করণীয়। কাচিপুরমের কুমারাকোত্তাম শ্রী সুব্রমানিয়া স্বামী মন্দিরের সামনে তিনি ভিক্ষা করতে শুরু করে দেন।

মন্দিরের প্রবেশপথে ব্যাকপ্যাক নামিয়ে টুপি খুলে এক বিদেশিকে ভিক্ষা করতে দেখে দর্শনার্থীরা অবাক হয়ে যান। তাঁরা তাঁকে আর্থিক সাহায্যও করেন। খবর পৌঁছায় পুলিশের কাছে। পুলিশও তাঁকে কিছু টাকা দেয়। পাশাপাশি তাঁকে চেন্নাইয়ে গিয়ে রাশিয়ান কনসুলেটে দেখা করার পরামর্শ দেয়। এদিকে ওদিকে ঘুরে সেই খবর পৌঁছায় বিদেশমন্ত্রীর কাছে। সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগী হন তিনি। এরপরই তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দেন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Tuesday, 10 October 2017

দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো যাবে না দিল্লিতে, ‘ভারতে একদিন হিন্দুদের শেষকৃত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে’



চলতি মাসে জাতীয় রাজধানী বাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যার অর্থ হচ্ছে দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো যাবে না দিল্লিতে। মূলত পরিবেশ দূষণ থেকে দিল্লিকে রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এই নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়।

একসময়ের পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি বর্তমান ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় ট্যুইটারে লিখেছেন, “প্রথমে দহি হান্ডি, এখন বাজি। পুরষ্কার ফিরিয়ে দেওয়ার দল এবং যারা মোমবাতি হাতে মিছিল করে তারা হয়তো হিন্দু ধর্মের শেষকৃত্য নিয়েও প্রশ্ন তুলবে।” দহি হান্ডি মহারাষ্ট্রে পালিত হওয়া একটি উৎসব। প্রতি বছর মুম্বই এবং থানে শহরে বেশ সাড়ম্বরের সঙ্গে এই উৎসব পালন করা হয়। বেশ ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ার কারণে এই উৎসব নিষিদ্ধ করার দাবি করে কিছু সংগঠন। একইরকমভাবে পরিবেশ দূষণের কারণে দীপাবলিতে বাজি নিষিদ্ধ করার দাবি দীর্ঘদিনের। রাজধানী দিল্লিতে এমনিতেই দূষণের হার মারাত্মক। সেই কারণে দীপাবলিতে বাজি নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলাতেই আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম দিন পর্যন্ত দিল্লিতে বাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। যা নিয়েই ট্যুইট করেছেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়।




একটি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের করা এহেন ট্যুইট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজ্যপালের এই ধরণের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যদিও এই বিষয়ে তথাগত রায় বলেছেন, “আমি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করিনি। নিজের মত প্রকাশ করেছি।” দিল্লিতে দূষণের মাত্রা অনেক বেশি। এশিয়া মহাদেশের দূষিত শহরের তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে ভারতের রাজধানী শহর। প্রতি বছর দীপাবলির পর পরিস্থিতি বেশ প্রতিকূল হয়ে যায়। দিল্লির দূষণের বিষয়ে তিনি অবগত বলে দাবি করেছেন তথাগত বাবু। একইসঙ্গে তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন, “দীপাবলি বছরে মাত্র একবার হয়।”

রাজ্যপাল হওয়ার পরে বেশ কয়েকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। ইয়াকুব মেননের ফাঁসির পরেই তিনি ট্যুইট করেন, “ইয়াকুব মেননের শেষযাত্রায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের ওপর নজর রাখুক গোয়েন্দারা। এদের অনেকেই সম্ভাব্য জঙ্গি।” আরও লেখেন, ”আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব জনস্বার্থে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা। এতে আমার রাজ্যপাল পদের এক্তিয়ার লঙ্ঘিত হয় না।” যা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এরপরে পাঠানকোটে হামলাকারী জঙ্গিদের অন্ত্যোষ্টি নিয়ে বিস্ফোরক ট্যুইট করেন তথাগত রায়। ট্যুইটে তিনি বলেন, “জঙ্গিদের অন্ত্যোষ্টির বিষয়ে রাশিয়ান প্রথা মানা উচিত। জঙ্গিদের দেহ শুয়োরের চামড়ায় মুড়ে মাথা নিচু করে কবরে ঢোকানো উচিত।’’ রাজ্যপালের এহেন মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ‘যা ছিল আমার দেশ’ নামক একটি বই লিখেছিলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। সেই বইতে দেশ ভাগ এবং পরবর্তী অবস্থার কথা তিনি উল্লেখ করেছিলেন। যা নিয়েও বেশ বিতর্ক হয়েছিল। এছাড়াও ভারতে সাম্প্রদায়িক সমস্যা মেটাতে গৃহযুদ্ধের পক্ষেও সাওয়াল করেছিলেন যা নিয়েও বিতর্ক হয়।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Thursday, 5 October 2017

অমানবিক অত্যাচার, ক্রীতদাসের মটো খাটুনি, ১১ তলা থেকে ঝাঁপ কাজের মেয়ের




কাজের বাড়িতে ক্রীতদাসের মটো খাটুনি, তারসঙ্গে জুটত বেধড়ক মার, সঙ্গে দিনের পর দিন না খেয়ে থাকা। বিহার থেকে আসা ১৩ বছরের ছোট্ট মেয়েটা সেই অত্যাচার আর সহ্য করতে পারেনি। দুবছর সহ্য করার পর অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে। কাজের বাড়ির ১১ তলা থেকে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু কথায় আছে রাখে হরি মারে কে। মেয়েটির ক্ষেত্রে এই কথাটি একেবারেই প্রযোজ্য। ১০ তলায় একটি পাখির বাসায় সে আটকে যায়। তারপর সেই বাড়ির অন্য বাসিন্দার চোখে পড়ে যায় ঝুলন্ত মেয়েটি। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় অবশেষে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদাবাদে। মেয়েটি কনিষ্ক টাওয়ারে ১১ তলায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করত।

শিশু শ্রম আইনে ১৩ বছরের ওই মেয়েটির ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানোর অপরাধে ২৩ বছরের এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকা মেয়েটি তার বয়ানে জানিয়েছে, অসহনীয় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়।জানা গিয়েছে, গত দুবছরে মেয়েটিকে কার্যত নিজের অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি করে রেখেছিলেন অভিযুক্ত মহিলা। বাচ্চা মেয়েটিকে বেরোতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। মেয়েটির সারা গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ও পোড়া দাগ দেখা গিয়েছে। বাড়ির অন্য প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই ফ্ল্যাটের মধ্যে থেকে মাঝেমধ্যেই বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাওয়া যেত। ২৩ বছরের অভিযুক্ত তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

মেয়েটিকে ডেকে শক্তি বাহিনী নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই চিকিত্সকরা তাকে পরীক্ষা করে জানিয়েছে, মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে অনাহারে থেকেছে। বাচ্চা মেয়েটিকে শিশু কল্যান কমিটির চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা করানো হয়েছে। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, আতঙ্কে ওই টাওয়ারের অন্য প্রতিবেশীরা বিভিন্ন সময় নানা ধরনের বিবৃতি দিচ্ছেন।

সূত্রের খবর, বাচ্চা মেয়েটি এবং তরুণী দুজনেই বিহারের পটনার বাসিন্দা। তরুণীর পটনার বাড়িতে আক্রান্ত মেয়েটির মা কাজ করে। তারাই মেয়েকে ফরিদাবাদে ওই তরুণীর সঙ্গে কাজ করতে পাঠিয়েছিল। এখানে এনে মেয়েটিকে প্রতিদিন মারধর করা হত বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ফুরোচ্ছে Jio-র আনলিমিটেড ভয়েজ কলের দিন, আনলিমিটেড ফ্রি ভয়েজ কলে এবার লাগাম পরাতে চলেছে রিলায়েন্স জিও



এখনও অবধি ফোন কলের জন্য একটি নয়া পয়সা গুনতে হয় না রিলায়েন্স জিওর গ্রাহকদের। ফ্রি বলেই দিনে যতক্ষণ যতঘণ্টা খুশি, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে চুটিয়ে কথা বলে যাচ্ছেন গ্রাহকরা।
তবে, এই আনলিমিটেড ফ্রি ভয়েজ কলে এবার লাগাম পরাতে চলেছে রিলায়েন্স জিও কর্তৃপক্ষ।

সূত্রের খবর, ভয়েজ কলে দিনে ৩০০ মিনিট অর্থাত্ ৫ ঘণ্টা অবধি ছাড় রয়েছে। তার পরেও কোনও জিও গ্রাহক কথা চালিয়ে যেতে চাইলে, লাইনটি যদিও নিজে থেকে কাটবে না। তবে, ফোন কথা বলার সময় নানারকম সমস্যা হতে থাকবে। ফলে, বাধ্য হয়েই কথা থামাতে হবে।

জিওর তরফে জানানো হয়েছে, গ্রাহকরা সুযোগের মিসইউজ যাতে না-করেন, তার জন্যই এই পদক্ষেপ করতে হচ্ছে। সূত্রের খবর, সময়ের লিমিট ছাড়ালে, সেক্ষেত্রে ১৪৯ টাকার টপ-আপ ভরাতে হতে পারে।

তবে, একটা কিন্তু থাকছেই। মানে, পাঁচ ঘণ্টার এই সময় কড়াকড়ি একটি কলের ক্ষেত্রে। একটানা কারও সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার বেশি কথা বলা যাবে না। তবে, দিনে একাধিক কল হলে, সেক্ষেত্রে ওই নিয়ম খাটবে না। এখনকার মতোই সারাদিনে প্রাণভরে কথা বলা যাবে।

ফলে, জিও গ্রাহকদের এই নিয়ে দুশ্চিন্তার এখনই কিছু নেই। তা ছাড়া, WhatsApp , Facebook বা Skype-র মতো অ্যাপের দৌলতে গ্রাহকদের ফ্রি ফোন কলের লিমিটেশন নিয়ে মাথাব্যথা থাকবে বলে মনে হয় না।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মাদ্রাসায় এবার থেকে বাধ্যতামূলকভাবে গাইতেই হবে জাতীয় সঙ্গীত, নির্দেশ দিল হাইকোর্ট



মাদ্রাসাগুলিতে এবার থেকে বাধ্যতামূলকভাবে গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত। এমনটাই নির্দেশ দিল এলাহবাদ হাইকোর্ট। উত্তরপ্রদেশে এবার থেকে বাধ্যতামূলকভাবে মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কথা বলল আদালত।

আদালতের তরফে বলা হয়েছে, প্রত্যেককে জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানাতে হবে। এর আগে স্বাধীনতা দিবসে দিনে একই ধরনের নির্দেশ দিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। বলা হয়েছিল, ওইদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক। গাইতে বলা হয়েছিল জাতীয় সঙ্গীত। ৭১ তম স্বাধীনতা দিবসের আগে মাদ্রাসাগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদ। সব মাদ্রাসায় এই সংক্রান্ত সার্কুলার পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ও সবাইকে এই নির্দেশিকা মানার নির্দেশ দেওয়া হয়। নজিরবিহীনভাবে এই প্রথম কোনও মাদ্রাসায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে লেখা হয়, প্রত্যেক আধিকারিককে নিজের নিজের এলাকায় প্রতিটি মাদ্রাসায় ধুমধাম করে স্বাধীনতা দিবস পালনের নির্দেশ দিতে হবে। যাবতীয় অনুষ্ঠানের ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি সংগ্রহ করতে হবে, যাতে ভাল অনুষ্ঠান ভবিষ্যতেও করা যায়।

বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে ৮০০০ মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬০টি রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp