লন্ডন: ব্রিটিশ সরকার একটি ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে ছুটে গিয়েছিল! আমেরিকার ফ্লোরিডার উপকূল থেকে ব্রিটিশ সাবমেরিন থেকে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রবহনে সক্ষম ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। আর সেখান থেকেই ঘটে যায় বিপত্তি! সবথেকে বড় ব্যাপার এই ঘটনা থেকেই যে কোনও মুহূর্তে বেঁধে যেতে পারে মহাযুদ্ধ!
জানা গিয়েছে, জলের তলা থেকে ছোঁড়ার পর ক্ষেপণাস্ত্রের যাত্রপথ হঠাত করেই ঘুরে যায়। এবং নির্ধারিত লক্ষ্যস্থল আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে না গিয়ে এটি মার্কিন মূল ভূখণ্ডের দিকে বিপদজনক ভাবে যেতে থাকে। অবশ্য ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্রটি জলে পড়ে যাওয়ায় এই মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী।
চার বছরের মধ্যে এই প্রথম ট্রাইডেন্ট পরীক্ষামূলক ভাবে ছোঁড়া হয়েছিল। ২০০০ দশকের গোড়া থেকে এই পর্যন্ত মাত্র পাঁচবার পরীক্ষামূলক ভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা লকহেড মার্টিনের তৈরি প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের মূল্য দুই কোটি ১০ লাখ ডলার হওয়ায় এই নিয়ে বেশি পরীক্ষা চালায়নি ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী।
গত জুন মাসে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা ব্রিটিশ সরকার এবং রাজকীয় নৌবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে সানডে টাইমস। ট্রাইডেন্ট ছোঁড়ার এই ব্যর্থতার কথা যেন কোনও ভাবেই প্রকাশ না পায় সে চেষ্টায় তৎপর হয়ে উঠেন তারা। ব্রিটেনের ডুবোজাহাজ ভিত্তিক কৌশলগত পরমাণু ব্যবস্থা নবায়নের খাতে ৪৯৫ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে কিনা তা নিয়ে ব্রিটেনের কমন্স সভায় ভোটাভুটির আগে এই ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে কমন্স সভাকে কেন এই ব্যর্থ পরীক্ষার বিষয় অবহিত করেন তিনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এ দিকে, ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্য আলোচনা করার দাবি করেছে ব্রিটেনের শ্রমিক দলের কোনও কোনও আইনজীবী। এই ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালোনকে সংসদে তলব করা হতে পারে।
0 comments:
Post a Comment