JanaSoftR

Tuesday, 24 January 2017

দু’বার মন্ত্রী হয়েও পকেট ফাঁকা সুভাষচন্দ্র অনুরাগী এক মন্ত্রীর


লখনউ: যে রাজ্যে বিশাল টাকার মালা দিয়ে মন্ত্রীদের বরণ করাই রীতি সেই রাজ্যের এক মন্ত্রীর কোনও বাড়ি নেই৷ মাত্র ৫০০ টাকার জন্য বাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল তাঁর পরিবার৷ রাজ্যের দু বারের মন্ত্রী যমুনা প্রসাদ নিগম  এক ব্যতিক্রমী চরিত্র৷

উত্তরপ্রদেশের বান্দা বিধানসভা কেন্দ্র৷ সেখান থেকেই চারবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন যমুনা প্রসাদ৷   ৯২ বছরের এই রাজনীতিক সেই অর্থে কিছুই গুছিয়ে নিতে পারেননি৷ ফলে টাকা ওড়ানোর রাজনীতির মধ্যেও তাঁর কথা ঘুরে ফিরে আসছে৷
১৯৩৮ সালটি দেশের ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ জাতীয় কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশন থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বোস৷ তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের ভিতরে তীব্র আন্দোলনের প্রস্তুতি৷ সেই সমাবেশে সুভাষ বাবুকে দেখতে গিয়েছিলেন কিশোর যমুনা প্রসাদ৷ দূর থেকে ‘বঙ্গাল কা শের’ দেখেই তিনি আপ্লুত৷ সেই থেকে বন্ধু মহলে ‘বোস জি’ বলেই পরিচিত৷ সুভাষচন্দ্রের অনুরাগী হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেন যমুনা প্রসাদ৷ এখনো যমুনা প্রসাদকে সবাই ‘বোস জি’ নামেই ডাকতে থাকে৷
স্বাধীনতার পরও সুভাষ অনুরাগী হয়েই সমাজবাদের পথ বেছে নিয়েছিলেন যমুনা প্রসাদ৷ ১৯৭৪ সালে বান্দা থেকেই তিনি সোশালিস্ট পার্টির বিধায়ক নির্বাচিত হন৷ ১৯৭৭ সালে উত্তর প্রদেশ সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হন৷ পরে জনতা পার্টি ভেঙে মুলায়ম সিং যাদবের নেতৃত্বে তৈরি হয় সমাজবাদী পার্টি৷ ১৯৮৫ সালে সেই দলের বিধায়ক হন যমুনা প্রসাদ৷ হয়েছিলেন রাজ্যের পশুপালন ও মৎস্যমন্ত্রী৷
আগাগোড়া সৎ রাজনীতিক৷ ফলে কিছুই সঞ্চয় নেই৷ ১৯৪৫ সালে বোনের বিয়ের জন্য ৫০০ টাকায় পৈত্রিক বাড়ি বিক্রি করেছিলেন৷ আর নতুন বাড়ি করার সামর্থ হয়নি৷
বান্দা জেলায় বিশেষ পরিচিত যমুনা প্রসাদ৷ দলমত নির্বিশেষে তাঁর কাছে সবাই আসেন৷ বয়সের ভারে ক্লান্ত সুভাষচন্দ্র অনুরাগী ‘বোস জি’৷ জাতপাত ও টাকার খেলায়  আটকে থাকা উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির জটিল মারপ্যাঁচের মধ্যেও বিরল চরিত্র৷

JanaSoftR
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp




0 comments:

Post a Comment