কলকাতা: টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের দেখে বলাই যায়, তিনি এখন ‘মধ্য গগণের সূর্য’৷ ব্যাট হাতে দুরন্ত ধারাবাহিকতা, চূড়ান্ত ফিটনেস, রান তাড়া করার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত পরিপক্কতা দেখাচ্ছেন কোহলি৷ তাঁর সমসাময়িকরা তো বটেই, প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও এই কোহলিতে মুগ্ধ হয়ে রয়েছেন৷ সম্প্রতি একটি টেলিভিশন ‘টক শো’-তে শুধুমাত্র কোহলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তিন কিংবদন্তি প্রাক্তন ক্রিকেটার৷ এবং এঁরা তিনজনই আবার পাকিস্তানের৷ ওয়াসিম আক্রম, সাকলিন মুস্তাক ও শোয়েব আখতার। কোহলির প্রশংসার পাশাপাশি এই তিন প্রাক্তনী তাঁদের দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের সীমাবদ্ধতা, শেখার আগ্রহের অভাব নিয়েও আক্ষেপ করলেন। তাঁদের কথায়,কোহলি যে কোনও দেশের উদীয়মান ক্রিকেটারদের কাছে এখন রোল মডেল।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে পুনেতে কোহলি যেভাবে চাপের মুখ থেকে ভারতকে টেনে তুলেছিলেন, এবং অবিশ্বাশ্য জয় উপহার দিয়েছিলেন, তার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করলেন এই তিন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। কোহলির সেই ইনিংসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিশ্লেষণ করেছেন তিন পাক তারকা। এই প্রসঙ্গে রান তাড়া করতে গিয়ে ভারত অধিনায়কের ১৭ টি সেঞ্চুরি করার কথাও তাঁরা উল্লেখ করেন।
ইংল্যান্ড দলের স্পিন বোলিং বিভাগের পরামর্শদাতা ছিলেন সাকলিন। তিনি ডায়েট-সহ কোহলির ফিটনেস নিয়ে পরিশ্রমের দিকটিও তুলে ধরেন। সাকলিনের মতে, কোহলি সবচেয়ে এনার্জেটিক, খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সব মিলিয়ে খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ ক্রিকেটার।
আক্রম বলেন, ব্যাটিংয়ে সাফল্য সত্ত্বেও মাথা ঘুরে যায়নি কোহলির। কোহলি কোনও সমস্যা হলেই সিনিয়কদের কাছে পরামর্শ নেন। এত বড় স্টার হয়েও মাটিতে পা রেখে চলেন কোহলি৷ শুধু কোহলিই নন, ভারতের অন্যান্য তরুণ ক্রিকেটাররাও একই পথ অবলম্বন করেন। আক্রম বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটাররা তো নিয়মিত সুনীল গাভাসকরের কাছ থেকে ব্যাটিং নিয়ে পরামর্শ নিয়ে থাকেন৷
আক্রম বলেন, ব্যাটিংয়ে সাফল্য সত্ত্বেও মাথা ঘুরে যায়নি কোহলির। কোহলি কোনও সমস্যা হলেই সিনিয়কদের কাছে পরামর্শ নেন। এত বড় স্টার হয়েও মাটিতে পা রেখে চলেন কোহলি৷ শুধু কোহলিই নন, ভারতের অন্যান্য তরুণ ক্রিকেটাররাও একই পথ অবলম্বন করেন। আক্রম বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটাররা তো নিয়মিত সুনীল গাভাসকরের কাছ থেকে ব্যাটিং নিয়ে পরামর্শ নিয়ে থাকেন৷
আক্রমের আক্ষেপ, ঠিক এর উল্টো ছবি পাক ক্রিকেটে। তরুণ পাক ক্রিকেটাররা কখনওই এটা করেন না। সিনিয়রদের কাছে যেতে তাঁরা সঙ্কোচ বোধ করেন।
0 comments:
Post a Comment