“আপকি বেটি, হামারি বেটি” স্কিমের আওতায় এবার তৃতীয় কন্যাসন্তানের জন্যও অনুদান দেবে হরিয়ানা সরকার। মূলত শিশুদের ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ের অনুপাত ঠিক রাখার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০১৫-র ২৪ অগাস্টের পর যে পরিবারে তৃতীয় কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে সেই পরিবারকে এককালীন ২১ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষেই দেওয়া হবে এই অনুদান। রাজ্যের শিশুকল্যাণ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, শহর গ্রাম দু’জায়গাতেই এই অনুদান দেওয়া হবে।
রাজ্যের স্বর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে ২০১৫-তে এই “আপকি বেটি, হামারি বেটি” স্কিমটি চালু করে হরিয়ানা সরকার। প্রথমে আর্থিক অনুদানের তালিকায় রাখা হয়েছিল BPLও SC-দের। তখন প্রথম কন্যা সন্তান জন্মালেই এই অনুদান পাওয়া যাবে বলে ঠিক হয়। এরপর জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এই একই অনুদান প্রযোজ্য করা হয় দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের জন্য। ২০১৪-১৫ সালে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, রোহতক জেলার একটি বড় অংশের মানুষ পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান হিসেবেও কন্যাসন্তানকে মান্যতা দিতে রাজি নয়। যেসব গ্রামে পুত্র সন্তানের আধিক্য বেশি সেখানেও অন্তঃসত্ত্বা মহিলার গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয়। দেখা হয় গর্ভস্থ শিশুটি মেয়ে না ছেলে। কোনও পরিবারে যদি প্রথমেই কন্যাসন্তান হয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তী সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের ঘটনা বেশি হয় বলে সমীক্ষায় দেখা গেছে।
২০১১-র জনগণনা অনুসারে হরিয়ানায় প্রতি হাজার ছেলের অনুপাতে ৮৩৪ জন মেয়ে জন্মেছে। এবছর সেই অনুপাত বেড়ে ৯০০ হয়েছে। সরকারের মতে কন্যাসন্তানের সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ২০১৫-য় কেন্দ্রীয় সরকারের “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও” স্কিম। এখন ৯০০ থেকে বাড়িয়ে সংখ্যাটি ৯৫০ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য।
0 comments:
Post a Comment