বাড়তে থাকা জনসংখ্যার হার গোটা দেশেরই মাথাব্যথার কারণ। তবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে এবার অভিনব পদক্ষেপ করল অসম সরকার। প্রশাসনের তরফে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। যেখানে দুটির বেশি সন্তান থাকলে আর মিলবে না সরকারি চাকরি।
এখনও খসড়া পর্যায়ে আছে এই প্রস্তাব। তবে রাজ্যে স্বাস্থ্য তথা শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানাচ্ছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতেই এই জরুরি পদক্ষেপ। প্রস্তাব অনুযায়ী, সরকারি চাকরি নেওয়ার সময় যাঁরা এই প্রস্তাবে সম্মত হবেন, আজীবন তাঁদের তা মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ সরকারি চাকরি করতে চাইলে দু’টির বেশি সন্তান থাকা যাবে না। এতে যে জন্মনিয়ন্ত্রণের হার বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
পাশাপাশি প্রস্তাবিত এই নীতিতে আরও একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে অসম প্রশাসন। নারীশিক্ষার প্রসার ঘটাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত সমস্ত মেয়েদের পড়াশোনা নিখরচায় করানোর ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। এতে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার হার যেমন বাড়বে, তেমনই নারী নির্যাতনের ঘটনাও কমবে। বই-খাতা থেকে স্কুলের খরচ এমনকী হস্টেলও বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে টাকার অভাবে স্কুলছুটের সংখ্যা যে কমবে এমনটাই আশা ওই মন্ত্রীর।
এছাড়া বাল্যবিবাহ রোখার ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ন্যূনতম ১৮ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে ২১ করা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার পরিসর আছে। পাশাপাশি যদি কেউ বাল্যবিবাহ করেন, তিনিও সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হবেন বলে জানা যাচ্ছে।
নয়া এই প্রস্তাবিত নীতিতে সামাজিক নানা অসাম্যের অবসান ঘটাতেই উদ্যোগ নিয়েছে প্রশান। যেমন গরীব মানুষরা, যারা তাঁদের বৃদ্ধ মা বাবার দেখাশোনা করছে, তাঁদের অর্থ সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে। আবার নারী নির্যাতন ও হেনস্তা রুখতে বিশেষ প্রচার করা হবে। এনজিও-র সাহায্য নিয়ে ব্যাপকভাবে এই নীতির প্রচার করা হবে।
মন্ত্রী জানাচ্ছেন, জুলাই পর্যন্ত এ ব্যাপারে ধারাবাদিকভাবে সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হবে। পরে সকলের পরামর্শ নিয়েই তা আইনে পরিণত করা হবে জানান তিনি।
0 comments:
Post a Comment