JanaSoftR
  • সপ্তাহে কতবার যৌনমিলনে আগ্রহী সুন্দরীরা: একটি সমীক্ষা

  • এই নতুন নেশাতেই মজছে স্কুল পড়ুয়ারা, চিন্তায় অভিভাবকরা

  • ট্রেনে একঘন্টায় কলকাতা থেকে দিল্লি!

  • মরুভূমি হয়ে যাবে পাকিস্তান, সিন্ধু অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণ শুরু, প্রবল চাপে পাকিস্তান

Sunday, 23 April 2017

২৮ রানে অলআউট হারল ৩৯০ রানে, হারের নতুন নজির



 খেলার অভিধানে অসম্ভব শব্দটা বরাবরই অস্তিত্ব সংকটে ভোগে৷এবারও সেরকমটাই হল চিন বনাম সৌদি আরবের ম্যাচে৷শনিবার আইসিসি-র ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের এশিয়া রিজিয়ন ডিভিশনের ওয়ান ডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দেশ৷সৌদি আরবের ৪১৮ রানের জবাবে মাত্র ২৮ রানে গুটিয়ে গেল চিন৷তাও আবার মাত্র ১২.৪ ওভারে৷থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহরের জিমখানা ক্লাব এমনটাই প্রত্যক্ষ করল এদিন৷

সৌদি আরবের কাছে এত বড় ব্যবধানে হেরে রীতিমতো রেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছে চিন৷এর আগে ২০০৮-এর অগস্টে ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২৯০ রানে হেরেছিল আয়ারল্যান্ড৷ এমনকী কানাডা আর জিম্বাবোয়ের ৩৬ ও ৩৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার নজির আগে৷ চিন সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে৷ এদিন মহম্মদ আফজল (১২০) ও শোয়েব আলির(৯১) ব্যাটে ভর করে ৪১৮ রান তোলে সৌদি৷চিনা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান জুয়াং জেলিন এবং ঝেং পেংয়ের৷সাত ব্যাটসম্যানই শূন্য রানে ফিরে গিয়েছেন৷ ৩৮ রানের মধ্যে আবার ১৩ রান অতিরিক্ত৷

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ভবিষ্যতে ক্রিকেটেও নিজের প্রভাব প্রমাণ করতে মরিয়া৷কিন্তু এরকম চললে চিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ বড় প্রশ্নই উঠবে৷ধুমধারাক্কা আইপিএল-এর ভরা বাজারেও চিন-সৌদি আরবের ম্যাচ আলাদা করে খবরে চলে এসেছে৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ভোরের আজানের বিরক্তিকর শব্দ এ তাঁর ঘুম ভাঙে, প্রমাণ করতে ভিডিও করলেন সোনু



সোনু নিগমের ‘আজান’ নিয়ে মন্তব্য দেশ জুড়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে জেরবার হচ্ছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গায়ক। কিন্তু তাতেও নিজের অবস্থানে অনড় তিনি। রবিবার নিজেই সেই আগুনে আরও এক প্রস্থ ঘি ঢাললেন সোনু। দেশকে এক্কেবারে অন্য কায়দায় সুপ্রভাত জানালেন।

কীভাবে? কাক ভোরে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের ছাদ থেকে আজানের ভেসে আসা শব্দ ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি। হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও লাউডস্পিকারে আজানের শব্দেই যে তাঁর ঘুম ভাঙে, সে কথাই এবার ভিডিওর মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাইলেন। কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না করে মসজিদ বা গুরুদ্বারে লাউডস্পিকার বন্ধ করার দাবি তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর মন্তব্যে আজানের কথা উঠে আসায় তা ভালভাবে নেয়নি মুসলিম সম্প্রদায়। এমনকী, মুসলিমদের আবেগে আঘাত করার অভিযোগে গায়ক সোনু নিগমের উপর ফতোয়াও জারি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু ইউনাইটেড কাউন্সিলের সহ-সভাপতি তথা মৌলবী সৈয়দ শাহ আতেফ আলি আল কাদরি৷ হুমকি দিয়েছিলেন, সোনুর মাথা কামিয়ে গলায় একজোড়া ফাটা জুতোর মালা পরিয়ে গোটা দেশে ঘোরাতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা ইনাম দেবেন। ইমামের ফতোয়ার যোগ্য জবাব দেন সোনু। নিজেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে গত বুধবার মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন। তারপর দাবি করেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ আলিম ভাইকে যেন ওই ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। সোনুর এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছিলেন বলিউড অভিনেতা অনুপম খের থেকে রিচা চাড্ডা। উল্টো দিকে ওয়াজিদ খান, মিকা সিংরা এ প্রসঙ্গে সোনুর সমালোচনাই করেছিলেন।

এদিন সোনু নিগমের পোস্টটির পর উঠতি অভিনেত্রী শ্রদ্ধা দাস গায়কের সমালোচনা করে ফেসবুকে তাঁর মন্তব্য তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, “আমি সোনুর অ্যাপার্টমেন্টের পাশেই থাকি। গত কয়েকদিন ধরে জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখছি, সোনুর বাড়ির সামনে অনেক পুলিশ ভ্যান এবং মিডিয়ার লোকেরা ভিড় জমিয়েছেন। তাঁর মাথা কামিয়ে ফেলার কথাও শুনেছি। তারপর থেকেই এই ভিড়। বাড়ির বাইরে তাই বেশ যানজটও হচ্ছে। কিন্তু আজানের শব্দ একেবারেই কানে লাগে না। সত্যি বলতে আমি এর আগে কখনও আজানের আওয়াজ ঘর থেকে শুনতেও পাইনি।” যদিও বিতর্ক এড়াতে পোস্টটি সঙ্গে সঙ্গে নিজের ওয়াল থেকে মুছে ফেলেন তিনি।

তবে এই ভিডিও পোস্ট করে সোনু ফের ইঙ্গিত দিলেন, তিনি কোনও ফতোয়াকে ভয় পান না। ধর্মস্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের বিরুদ্ধে তিনি যে রব তুলেছেন, তা অব্যাহত থাকবে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

কন্যা সন্তানের জন্ম, তিন তালাকের হুমকি স্বামীর



কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। তাই তিন তালাকের হুমকি দিচ্ছে স্বামী। এই অভিযোগ আনলেন এক গৃহবধূ। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, মেয়ে হওয়ায় তাঁকে তালাক দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করতে চায় স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল এলাকায়।

ওই মহিলা বলেন, “চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের আট মাস পর একবার আমি বাড়ি চলে এসেছিলাম। পণের জন্য আমাকে পেটানো হত। একাধিকবার আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। মেয়ে হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ বয়। এখন সন্তান ও আমাকে আর গ্রহণ করতে চাইছে না স্বামী। অন্য কাউকে বিয়ে করতে চায় বলেও জানিয়ে দিয়েছে।” আরও বলেন, “আমি চাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উদ্যোগে বিলোপ হোক তিন তালাক।”


মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন তালাককে সমাজের কুঅভ্যাস আখ্যা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমেই তা দূর করতে হবে। এরকম একটি বিষয়কে নিয়ে সমাজে দ্বন্দ্ব তৈরি হোক তা BJP চায় না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। 
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

রাইসিনা হিলের নতুন সম্রাট কি তবে রজনীকান্ত



রাইসিনা হিলের নতুন সম্রাট হতে পারেন তামিল অভিনেতা রজনীকান্ত৷

২০০২ সালে রাজনীতির বাইরের কোনও ব্যক্তিত্বের নাম রাষ্ট্রপতির পদের জন্য প্রস্তাব করে প্রথম চমকটা দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী৷ এরপর ২০০৭ পর্যন্ত এপিজে আব্দুল কালামের নেতৃত্বের সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ৷ এতবছর পর ফের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা নিতে চলেছে বিজেপি৷

তাই বাজপেয়ীর ছাত্র তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রপতি পদের জন্য তামিল অভিনেতা রজনীকান্তের নাম প্রস্তাব করতে চলেছেন বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজধানীর রাজনীতিতে৷

বেশ কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রপতি পদের বিজেপির কেউ কেউ অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের নামও প্রস্তাব করেছিলেন৷ কিন্তু পানামা পেপার কেলেঙ্কারিতে বিগ বি’র নাম এসে যাওয়ায় মোদীর পছন্দ থেকে তাঁর নাম কাটা যায়৷এদিকে দ্বিতীয়বারের জন্য রাষ্ট্রপতির পদে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে রেখে দেওয়াটা বিজেপির না পসন্দ৷ বিজেপির অন্দরের এমনটাই খবর৷

এদিকে লোকসভা, রাজ্যসভা ও বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় বিজেপির যে শক্তি রয়েছে তাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে AIADMK-র সমর্থন প্রয়োজন৷এক্ষেত্রে রজনীকান্তই অন্যতম যোগ্যপ্রার্থী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

দিল্লি পৌরনিগম নির্বাচনে ফুটবে পদ্ম !



উত্তরপ্রদেশে বিরাট সাফল্য পেয়েছে BJP। মণিপুর, গোয়াতেও সরকার গড়েছে তারা। এবার দিল্লি পৌরনিগমে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া অমিত শাহরা। গত নির্বাচনে দিল্লির তিনটি পৌরনিগমেই (উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব) জয়লাভ করেছিল BJP। মিডিয়া সার্ভে বলছে, এবারের নির্বাচনে জয় আসবে সহজেই। সেইসঙ্গে ধরাশায়ী হবে আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস।

দুটি সংবাদমাধ্যমের সার্ভে অনুযায়ী, ২৭২ আসনের পৌরনিগমে কমপক্ষে ১৮০-র কাছাকাছি আসন দখল করতে পারে BJP। আম আদমি পার্টির দখলে আসতে পারে ৪৫ থেকে ৫৫টি আসন। কংগ্রেস ধরে রাখতে পারে ২০টি আসন।


টাইমস নাও-এর সার্ভে অনুযায়ী, ৩টি পৌরনিগম মিলিয়ে ১৯৫টি আসন দখল করবে BJP। তিনটি পৌরনিগমেই ধরাশায়ী হবে বিপক্ষ দলগুলি। এদিকে, ABP নিউজ়ের সমীক্ষা বলছে, ১৮০-র কাছাকাছি আসন দখল করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। এরমধ্যে উত্তর দিল্লিতে আসতে পারে ৭৬-১০৪টি আসন। দক্ষিণ দিল্লিতে আসতে পারে ৬০-১০৪টি আসন ও পূর্ব দিল্লিতে ৪৩-৬৪টি আসনে জয়লাভ করতে পারে BJP।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 16 April 2017

দেখুন কাশ্মীরে আমাদের সেনাবাহিনীর সাথে কেমন ব্যবহার করা হয়



দেখুন কাশ্মীরে আমাদের সেনাবাহিনীর সাথে কেমন ব্যবহার করা হয়  কিন্তু যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলে এই সেনা জওয়ানরা নিজেদের জিবন বাজী রেখে ওদের মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনে।

আর এত কিছুর পরেও আমাদের দেশের বীর সেনারা মুখবুজে এসব সহ্য করে।

দেখুন Video


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Saturday, 15 April 2017

এখনও বিজেপির স্বর্ণযুগ আসেনি, এখন তাঁর লক্ষ্য ওড়িশা, বাংলা ও কেরল: অমিত শাহ


উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের পরও ‘সন্তুষ্ট’ নন অমিত শাহ। এখন তাঁর লক্ষ্য ওড়িশা, বাংলা ও কেরল। শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ভুবনেশ্বরে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এমনটাই বললেন দলীয় কর্মীদের৷ সূত্রের খবর, বিজেপির কর্মীদের মনোবল বাড়াতে তিনি বলেছেন, “বিজেপির স্বর্ণযুগ এখনও আসেনি। ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল জয়ের পর আসবে বিজেপির স্বর্ণযুগ।”

সামনের মাসেই কেন্দ্রের মোদি সরকারের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে৷ এই সরকারের মেয়াদ আর দু’বছর৷ এই সন্ধিক্ষণে আগামী লোকসভা নির্বাচন সর্বাধিক গুরুত্ব পেলেও, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে সংগঠনের প্রভাব বাড়ানোয় বিশেষ নজর থাকবে বলেই খবর৷ সেক্ষেত্রে সর্বাধিক নজরে রয়েছে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ৷ এদিন ভুবনেশ্বরে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে রাস্তার দু’ধারে লাখো মানুষের ভিড় দেখে বিজেপি নেতাদের মুখের হাসি আরও চওড়া হয়েছে। দু’দিনের এই বৈঠকে যোগ দিতে ওড়িশায় উপস্থিত হয়েছেন প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানিও।

কিছুদিন আগে পর্যন্ত ওড়িশায় তেমন কোনও প্রভাব ছিল না বিজেপির৷ ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে মোদি হাওয়ায় ভর করে সারা দেশে যখন বিজেপি হইহই করে জিতেছে, তখনও ওড়িশা বিধানসভার ভোটে ১৪৭টি আসনের মধ্যে মাত্র ১০টি আসনে জিততে পেরেছে তারা৷ অথচ, মাত্র বছর তিনেকের মধ্যে বিজেপি সেখানে বিপুলভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে৷ ফেব্রুয়ারির পঞ্চায়েত নির্বাচন তার প্রমাণ৷ ২০১২-র ভোটে পাওয়া ৩৬ আসন এবার হয়েছে ৩০৬৷ অর্থাত্‍ ৮৫০ শতাংশ বৃদ্ধি৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওড়িশায় পট্টনায়েক সরকারের দিন ফুরিয়েছে৷ তাই ২০১৯-এর লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে এই ফল ধরে রাখাই বিজেপির লক্ষ্য৷ একারণেই সাংগঠনিক শক্তি প্রমাণে ওড়িশাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের জন্য৷ অন্যদিকে, ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গকেও এই সুযোগে বার্তা দেওয়া যাবে বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতারা৷


পূর্বের রাজ্যগুলিকে দখলে আনতে বিজেপি ওড়িশাকেই ‘গেটওয়ে’ করতে চায়৷ পূর্ব দখলে এলে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিও আর বেশিদিন হাতের বাইরে রাখবেন না নরেন্দ্র মোদি৷ ইতিমধ্যেই অসম এবং মণিপুর দখলে নিয়েছে বিজেপি৷ এই পরিস্থিতিতে লক্ষ্য রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও৷ শনিবার বিকেল থেকে জাতীয় কর্মসমিতির রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী ভুবনেশ্বরে পৌঁছনোর আগে শুক্রবারই পৌঁছেছেন অমিত শাহ৷ ওড়িশা পৌঁছে সভাস্থলে যাওয়ার আগে মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী। রাস্তার দু’ধারে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন, খানিকটা পথ পায়েও হাঁটেন। ১৪৭ আসনের ওড়িশা বিধানসভার ‘ম্যাজিক ফিগার’ ৭৩৷ জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের মূল দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যের নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান৷

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর দিতে চলেছে মোদী সরকার


কেন্দ্রের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় ইপিএফও। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এ বার সুখবর দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইপিএফও। যাঁদের পিএফ অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁরা ২০ বছর হয়ে গেলেই জমা টাকা ছাড়াও সর্বাধিক ৫০ হাজার টাকা পাবেন। যদি কোনও পিএফ সদস্য স্থায়ী ভাবে পঙ্গু হয়ে চাকরি থেকে অবসর নেন তবে তাঁদের পিএফ অ্যাকাউন্ট ২০ বছর না হলেও নতুন এই অতিরক্ত টাকার সুবিধা দেবে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইপিএফও-র বোর্ড।

ইপিএফও-র সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিস (সিবিটি) এমন সিদ্ধান্তও জানিয়েছে যে, কোনও পিএফ সদস্যের মৃত্যু হলে কম পক্ষে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত বুধবার সিবিটি-র একটি বৈঠকে ঠিক হয়েছে পিএফ অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য যে বিমা রয়েছে তাতে সর্বনিম্ম বেনিফিট আড়াই লাখ টাকা করার পাশাপাশি লাইফটাইম বেনিফিট দেওয়া হবে এককালীন সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা।

এই প্রস্তাব কার্যকর হবে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র পেলেই। এখন শুধু তারই অপেক্ষা। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে দু’বছরের জন্য এই প্রকল্প চলবে। এর পরে রিভিউ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৫৮ বছর বা ৬০ বছরে অবসর নেওয়ার সময়ে সব পিএফ অ্যাকাউন্টধারীকেই এই সুবিধা দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে দেশে এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯২৯। এই অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে যাঁরা টানা ২০ বছর পিএফ সদস্য থাকবেন তাঁদের সকলকেই নতুন এই সুবিধা দেওয়া হবে।

প্রস্তাব অনুসারে, যাঁদের গড় বেসিক আয় ৫ হাজার টাকা তাঁরা লাইফটাইম বেনিফিট পাবেন ৩০ হাজার টাকা। এর উপরে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেসিক হলে মিলবে ৪০ হাজার টাকা। যাঁদের বেসিক ১০ হাজারের বেশি তাঁরা অবসরের সময়ে পাবেন ৫০ হাজার টাকা। এই প্রস্তাব কার্যকর করতে কেন্দ্রের খরচ হবে ১৮ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত পিএফ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে বিমায় সর্বনিম্ন কত টাকা দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করা নেই। একই সঙ্গে লাইফটাইম বেনিফিট দেওয়ারও কোনও ব্যবস্থা নেই।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

নদী শুকিয়ে গিয়ে ভেসে উঠল ১০০০ শিবলিঙ্গ !



নদী শুকিয়ে গিয়ে ভেসে উঠল হাজারটি শিবলিঙ্গ। এই নদীটি হল কর্ণাটকের শালমালা নদী। এখন এই নদী সহস্রলিঙ্গ নামেও পরিচিত। হাজারটি লিঙ্গ ভেসে ওঠার ফলেই এর এমন নাম।

উত্তর কর্ণাটকের সিরসি থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে, এই এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় এই এই শিবলিঙ্গগুলি। প্রত্নতত্ত্ববিদ্‌রা মনে করেন ১৬৭৮-১৭১৮ সালে সিরসির রাজা সদাশিবরাই এই শিবলিঙ্গ গুলি তৈরি করেছিলেন। তিনি ছিলেন বড় শিবভক্ত। তাই শিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি।



এই শিবলিঙ্গ গুলি ঘিরে ছিল পাথরের ষাঁড়ের মূর্তি। মহাদেবের বাহন ষাড় বলেই এই মূর্তি গুলিও বানিয়েছিলেন এই রাজা। তিনি মনে করতেন এই ষাড়ের মূর্তিগুলি অমূল্য শিবমূর্তি গুলিকে রক্ষা করবে। রাজা সদাশিবরাই এর মৃত্যুর পর এই শিবলিঙ্গগুলি শালমালা নদীর গ্রাস করে নেয়। ফোলে এতবছর এই মূর্তি গুলি মানুষের সামনে আসেনি। ঢাকা পড়েছিল। এখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জল শুকিয়ে গেছে নদীটির। তাই আবার উদ্ধার হয়েছে এই প্রাচীন মূর্তিগুলি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

দিল্লির মেট্রো স্টেশনের LED TV তে চলল পর্ন ভিডিও, অবাক নিত্যযাত্রীরা


 দিল্লির রাজীব চক মেট্রো স্টেশন। ব্যস্ত সময়। অফিস-কাছারিতে যাওয়ার তাড়া। মাথায় হাজারো চিন্তা-ভাবনা নিয়ে ছুটছেন নিত্যযাত্রীরা। সেই সময় আচমকা চোখ আটকে গেল LED স্ক্রিনে। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন বেশিরভাগ মেট্রো স্টেশনে ডিজিটাল বিলবোর্ড। আর সেই বিলবোর্ডেই দিনের ব্যস্ত সময়ে যা হল তা লজ্জাজনক বললেও কম বলা হবে। মেট্রো স্টেশনের LED স্ক্রিনে ফুটে উঠল পর্ন ভিডিও। চলল বেশ কিছুক্ষণ ধরে। আর সেই ভিডিও তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন নিত্যযাত্রীরা। এমন ঘটনায় রীতিমতো হতবাক দিল্লির মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ এপ্রিল। শুধু তাই নয়, বিশাল ডিজিটাল হোর্ডিংয়ে যখন এই ভিডিও চলছিল তখন বেশ কিছু যাত্রী তা নিজেদের মোবাইল ফোনে রেকর্ডিংও করে রাখেন। তারপরই সেই মোবাইলবন্দি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

জানা গিয়েছে, ওই বিজ্ঞাপন বোর্ডটি চুক্তিভিত্তিক এবং তা পুরোপুরি বেসরকারি। দিল্লি মেট্রোরেল কর্পোরেশনের সঙ্গে এই সংস্থার কোনও সম্পর্ক নেই। দিল্লির কনট প্লেসে রাজীব চক মেট্রো স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ এবং দিল্লি পুলিশ এই ঘটনার বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেনি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। সম্প্রতি তুরস্কের এক মসজিদে এমনটাই ঘটেছিল। সেখানে ভোররাতে আজানের বদলে বেজে উঠেছিল পর্ন ভিডিও। সেই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই মুসলিম রাষ্ট্রে। তারপর রাজধানীর রাজীব চকের মতো অন্যতম ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে এমন অদ্ভূত ঘটনায় রীতিমতো প্রশ্নের মুখে দিল্লি মেট্রোরেল কর্পোরেশন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

বাংলাদেশে ঢাকার চারুকলার হিন্দু ছাত্রদের গরুর মাংস খাওয়ানো হল , তদন্তের নির্দেশ



ঢাকার চারুকলা ইন্সটিটিউটের ক্যান্টিনে 'না জানিয়ে হিন্দু ছাত্রদের গরুর মাংস খাওয়ানোর' এক অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের ঘটনার পর এর তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।

বাংলাদেশে নববর্ষের প্রথম দিনটিতে চারুকলা ইন্সটিটিউটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হতে তখনো ১০/১৫ মিনিট সময় বাকি। চারুকলার বৈশাখ উদযাপন কমিটির সদস্যরা এবং অন্যান্য কর্মীরা 'চারুকলার পুকুরপাড়' নামে পরিচিত জায়গাটিতে অবস্থিত ক্যান্টিন থেকে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে শোরগোল শুরু হয়।

অভিযোগ তোলা হয় "তেহারিতে গরুর মাংস দেয়া হয়েছে এবং না জেনে হিন্দু শিক্ষার্থীরা তা খেয়েছে"। এরপর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেখানে ভাংচুরও করেন, এমনটাই জানান শুক্রবারের ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ওই ক্যান্টিনটিতে বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষার্থীরা খাবার খেয়ে থাকে বলে ঐতিহ্যগতভাবে গরুর মাংস রান্না করা হয় না বলে জানাচ্ছেন ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

চারুকলায় প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপনে কমিটি গঠন করা হয়। এবছরের কমিটির সমন্বয়ক সাগর হোসেন সোহাগ বলেন, "২৫/২৬ দিন ধরে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতির কাজ চলছিল। শোভাযাত্রার জন্য কখনও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়না। তাই এমনি নাশতা করি আমরা। ডিন স্যারও ছিলেন।"

"যেহেতু অর্ডার ছিলনা তাই যা রান্না করা ছিল সেটাই খাওয়া হল। এরপর একদল বলে উঠলো: আমাদের গরুর মাংস খাওয়ানো হল" - বলেন সাগর হোসেন সোহাগ।

সাগর হোসেন সোহাগ বলেন, "ইচ্ছে করে হিন্দু ছাত্রদের গো-মাংস খাওয়ানোর অভিযোগ ভুল।"
"এটা একান্তই ক্যান্টিন মালিকের ব্যাপার। আমাদের এ ধরনের কোনও অর্ডার-ই ছিলনা। শোভাযাত্রার ঢাকী এবং শ্রমিকদের জন্য খিচুড়ির অর্ডার দিয়েছিলাম আমরা" - বলেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডিন নিসার হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এম আমজাদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন ডিন। তবে আমি তাদের সাথে (শিক্ষার্থী ও শিক্ষক) বসেছিলাম সমাধানের জন্য। আলোচনা করে মনে হয়েছে, সেখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।"
"চারুকলার ক্যান্টিনে সাধারণত গরুর মাংস পাক করা হয়না। আর তেহারি গরু দিয়ে করা হয়না, করা হয় মুরগি দিয়ে" - বলেন তিনি।

প্রক্টর মি. আলী বলেন "এটা কেন করা হল এবং কারা দায়ী সে বিষয়ে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দরকার বলে আমি ডিনকেও বলেছি"।

এর কারণ কি হতে পারে - জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এটা বিভিন্নভাবে চিন্তা করা যায়। এটা ক্যান্টিন মালিকের ইচ্ছাকৃত নাকি মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে যাদের আপত্তি রয়েছে তারাই করেছে" সেগুলো খতিয়ে দেখতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আর এ ঘটনার পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয় লেখা-লেখি ও বিষোদগার। অনেকের বক্তব্য, জোর করে হিন্দু ছাত্রদের গরুর মাংস খাওয়ানো হয়েছে।

বাকি বিল্লাহ তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, "বৈশাখের বিশেষ উপলক্ষে চারুকলার ক্যান্টিনে তেহারী রান্না হলে সেটা মোটেও অন্যায় নয়, অন্যায় করেছে তারা যারা নিজেদের হীন স্বার্থে তেহারী হিন্দু কাউকে খাইয়েছে। আবার সারা বছর চারুকলার ক্যান্টিনে গরুর মাংস রান্না না হওয়াও মোটেও অন্যায় কিছু না। সাধারণত এগুলো পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ীই করা হয়। কিন্তু সাম্প্রদায়িক কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত প্রাণীগুলোকে আপনি এর কোনোটিই বোঝাতে পারবেন না। ওরা শুধু চান্স খুঁজবে। কোনো একটা ছুতো পেলেই ওরা তাদের পচা গলা শরীর মন উগরে দেবে"।

দীপক সুমন রিখেছেন, "ঢাবি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) চারুকলার ক্যান্টিনের ঘটনা পরিকল্পিত?"
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন কর্মীদের ক্যান্টিনে টাকা বাকি আছে আর সেজন্যই এ কান্ড কী? এমন কমেন্টও রয়েছে ফেসবুকে।

সামাজিক মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিভিন্ন গ্রুপ থেকেও নানা মন্তব্য আসছে।
এ ঘটনায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা ইন্ধন দিচ্ছে কি- সেটাও একটি বড় প্রশ্ন বলে মন্তব্য করেন অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী। ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকরা দোষ দিচ্ছেন বাম দলের এবং ছাত্রদলের কর্মীদের। আবার ছাত্রলীগের কর্মীদের দোষারোপ করছেন কেউ কেউ।

চারুকলার সাবেক ছাত্র চঞ্চল কর্মকার ১৪১৮ সালের বৈশাখ উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক ছিলেন। তিনিও জানান, "যেহেতু হিন্দু ধর্মের অনুসারী অনেকেই থাকেন, ট্রাডিশনালি ওই ক্যান্টিনে গরুর-মাংস রান্না করা হয়না"।

তিনি বলেন, তারা যখন উৎসবে কাজ করতেন তখন শিক্ষকদের একধরনের তত্ত্বাবধান ছিল। এবারের উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে সেটা দেখা যায়নি। সেটা থাকা দরকার ছিল"।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, কেউ কেউ ক্যান্টিনে বাকিতে খাওয়া-দাওয়া করেন। পাওনা নিয়ে ক্যান্টিন মালিকের সাথে তাদের বিরোধেও এটা ঘটানো হতে পারে।

আবার মঙ্গল শোভাযাত্রা আন্তর্জাতিক র্স্বীকৃতি পাওয়ায় তা নিয়ে বাণিজ্য করার চেষ্টায় আছে অনেকে। তা নিয়েও বিরোধের জের হতে পারে এটি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

তৃণমূল ও BJP-র সংঘর্ষ, বোমাবাজি



 তৃণমূল ও BJP কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষের জেরে চলল রাতভর বোমাবাজি। আর এর ফলে উত্তেজনা ছড়াল পাঁড়ুইয়ের হাঁসড়া ও মাখড়া গ্রামে। BJP-র অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে বোমা ছোঁড়ে। উলটোদিকে একই অভিযোগ জানানো হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের পক্ষ থেকে। এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার পাঁড়ুইয়ের হাঁসড়া গ্রামে যান বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎসমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। অভিযোগ, ওখানে গিয়ে তিনি BJP-র বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য রাখেন। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাঁড়ুইয়ের হাঁসড়া গ্রাম। এর জেরেই গতকাল বোমাবাজির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় BJP নেতা সামাদ শেখের অভিযোগ, “ পঞ্চায়েত নির্বাচন যতও এগিয়ে আসছে ততই মরিয়া হচ্ছে তৃণমূল। তাই ওরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। এর ফলে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।”

অন্যদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মোস্তাফা হোসেনের অভিযোগ, “পায়ের নিচে মাটি হারিয়ে গেছে BJP-র। সেই কারণেই বোমাবাজি করে তারা সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে।”
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

বিনা খরচে গরিব মুসলিম মেয়েদের বিয়ের উদ্যোগ নিয়েছেন যোগী


উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার ওই রাজ্যের গরিব মুসলিম মেয়েদের বিনা খরচে বিয়ের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে। বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।

গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মহসিন রাজা। বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রয়োজনে এই লক্ষ্যে গণবিয়েরও আয়োজন করা হতে পারে। বিয়ের পর নববধূর হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হবে। এই উদ্যোগ পরবর্তী সময় গরিব শিখ ও খ্রিষ্টানদেরও দেওয়া হবে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মার্কিন Mother of All Bombs-এর শিকার অন্তত ৯৪ জন জঙ্গি


প্রায় ১০ হাজার কিলোগ্রামের বোমা। পরমাণু বোমার পর এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। এমনিতে নাম GBU-43। কিন্তু বৃহস্পতিবারের পর থেকে সারা দুনিয়া একে চেনে ‘মাদার অফ অল বম্বস’ নামে। ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে যা আছড়ে পড়েছিল আফগানিস্তানের নানগারহর প্রদেশের অচিন জেলায়। কেন? কারণ পাকিস্তানের ভূখণ্ডের খুব কাছাকাছি অবস্থিত এই এলাকাতেই আইএস জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। হোয়াইট হাউসে এমন রিপোর্টই পেশ করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। সেই কারণেই এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

প্রথমে জানা গিয়েছিল মাত্র ৩৬ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে আমেরিকার এই বিশাল পদক্ষেপে। কিন্তু এখন আফগান প্রশাসনের দাবি, অন্তত ৯৪ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে মার্কিন সেনার এই হামলায়। নিহতদের মধ্যে চার শীর্ষস্তরের নেতাও রয়েছে। আরও তিন নেতা গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই বোমা দাগার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গর্বের সঙ্গে জানিয়েছেন, ওই মিশন খুবই সফল হয়েছে৷ তবে এই বোমা হামলার দায় নিজের কাঁধে নিতে চাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ তিনি বলেন, “সবাই জানে আফগানিস্তানে কী ঘটছে৷ আমি আমার সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছি এবং সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছে৷” হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে ‘অল আউট অ্যাটাক’-এর অঙ্গ হিসাবেই এই হামলা চালানো হয়েছে৷ কিন্তু ট্রাম্পের এই দুঃসাহসিক পদক্ষেপের নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক দেশ৷ অবশ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মার্কিন অভিযানকে সমর্থন করেছে ভারত৷ ট্রাম্পের প্রশংসা শোনা গিয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস দুই দলের নেতাদের মুখেই৷

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ফের দিল্লি, ক্ষতবিক্ষত হল এক নাবালিকার জীবন


অপহরণ, বন্দি, পাচার, ধর্ষণ। মাত্র ১৫ বছরের জীবনেই যে এত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে, তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি ছত্তিশগড়ের নাবালিকা। কিন্তু এই সমস্ত দুর্বিসহ অবস্থাতেই পড়তে হয়েছে তাকে। ফের রাজধানীর বুকে ক্ষতবিক্ষত হল এক মহিলার জীবন। ২০১৬ সালে অক্টোবরে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ছিল সে। ট্রেনে চেপে চলে যায় দিল্লি। কিন্তু রাজধানীতে নামতেই ঘটে অঘটন। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আর্মান নামের এক ব্যক্তি দিল্লি স্টেশন থেকে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে বান্ধবী হাসিনার সঙ্গে থাকত ওই ব্যক্তি। দক্ষিণ দিল্লির একটি বাড়িতে বন্দি করে আর্মান তাকে বেশ কয়েকদিন ধর্ষণ করে।

সেখান থেকে কোনওরকমে পালিয়ে যায় নাবালিকা। কিন্তু তাতেও মুক্তি মেলেনি। দুঃস্বপ্নের আরও অনেক কিছু বাকি ছিল। নাবালিকার অভিযোগ, তাকে দু’বার বিক্রিও করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর তিন শিশুপাচারকারীর কবলে পড়ে সে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে টানা তিন মাস ধরে তিন ব্যক্তি তাকে গণধর্ষণ করে বলেও জানায় সে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ দিল্লি পুলিশের সহায়তায় অবশেষে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেন দুই বিএসএফ জওয়ান।

যে তিন ব্যক্তি নাবালিকার উপর দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালিয়ে তাকে বিক্রি করে দিয়েছিল, তাদের ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু তারা পালাতে সফল হয়। দু’মাস ধরে লুকিয়ে থাকার পর শেষমেশ ১১ এপ্রিল তিনজনকে দিল্লির সারাই কালে খান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিসিপি রোমিল বানিয়া বলেন, অভিযুক্ত আফরোজ, জাকির এবং যাদবকে ফরিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর্মান এবং হাসিনাও পলাতক ছিল। কিন্তু তাদেরও আটক করা হয়েছে। নাবালিকাকে আপাতত একটি হোমে রাখা হয়েছে। সে পুলিশকে জানায়, নাবালিকা হওয়ার সত্ত্বেও তার বাড়ির লোকজন তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চান। সেই কারণে সে ছত্তিশগড় ফিরতে চায় না।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

‘বন্দে মাতরম গাইব না’: কংগ্রেস


বিজেপি-কংগ্রেসের বিরোধিতার আঁচ এবার লাগল জাতীয় গানেও। যা পারে তাই হোক, বন্দে-মা-তরম গান গাইবে না বলে হুমকি দিল উত্তরাখণ্ড কংগ্রেস। জানিয়ে দেওয়া হল আগামী এক মাস দলীয় কোনও অনুষ্ঠানে বন্দে মাতরম গাওয়া হবে না। তার ফল যাই হোক না কেন, সে পরোয়া করে না দল।

এর আগে উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী ধন সিং রাওয়াত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, রাজ্যে বাস করতে হলে সকলকেই বন্দে মাতরম গাইতে হবে। কিন্তু এহেন শর্তেরও ঘোর বিরোধিতা করে কংগ্রেস। দলের তরফে জানানো হয়, এভাবে কোনও দল শর্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। এরপরই দলের পক্ষে থেকে জানানো হয়, কংগ্রেস তার অনুষ্ঠানে বন্দে মা তরম গাইবে না। তার ফল যাই হোক না কেন, তা সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকবে দল। উত্তরাখণ্ড রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি কিশোর উপাধ্যায় এ ঘোষণা করেন। এর আগে রাজ্যে বিভিন্ন স্কুলেও বন্দে মাতরম গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে রাজ্যে থাকতে গেলেও এ গান গাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কেন শর্ত রেখে বন্দে মাতরম গাওযাতে হবে, সে প্রশ্নই তুলেছে কংগ্রেস। দলীয় সমর্থকদের অনেকেই বলছেন, দেশকে সকলেই ভালবাসেন। সেইমতো এই গান গাইতে পারেন। কিন্তু তা জোর করে কেন আরোপ করা হবে। এই বিরোধিতার জায়গা থেকেই জাতীয় গান না গাওয়ার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Thursday, 13 April 2017

সিংহভাগ কেন্দ্র দখল করল বিজেপি, জামানত জব্দ দিল্লির আম আদমি পার্টির



নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে উপনির্বাচনে গণনায় স্পষ্ট হয়েছে শাসক দলের প্রতি সমর্থন৷ বিজেপি যে সব রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে সেই রাজ্যে তাদেরই সরকার চলছে৷ আবার কর্ণাটকের ক্ষমতায় কংগ্রেস, সেখানকার একটি কেন্দ্রে এগিয়ে ক্ষমতাসীন দল৷ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও একই চিত্র৷

আবার  দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল আম আদমি পার্টি। দিল্লি পুরসভা (এমসিডি) নির্বাচনের আগে রাজৌরি গার্ডেন উপনির্বাচনে সাম্প্রতিক সাফল্যে ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি। প্রায় ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজেপি- শিরোমণি অকালি দলের জোট প্রার্থী মনজিন্দার সিংহ সিরসা বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে তিন নম্বরে রয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি। দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস প্রার্থী মীনাক্ষী চান্দেলা। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ টির মধ্যে ৬৭ আসনে আম আদমি পার্টির বিপুল জয়ের পর উপনির্বাচনে তাদের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেল।

বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৪০, ৬০২ ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ২৫,৯৫০ ভোট।আম আদমি পার্টির প্রাপ্ত ভোট মাত্র ১০,২৪৩।

বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার প্রায় ৫২ শতাংশ। ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে অবস্থা অনেকটা উন্নতি করেছে কংগ্রেস। এবার তারা পেয়েছে ৩৩ শতাংশ ভোট। ২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ছিল ২১ শতাংশ।

গত ৯ এপ্রিল এই আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ৪৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল।

আম আদমি পার্টি জার্নেল সিংহ এই আসনে ইস্তফা দিয়ে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। সেজন্যই এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
দিল্লি বিধানসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ৪।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ভোট বাড়ল আর চিন্তাও বাড়ল তৃণমূলের , দক্ষিণ কাঁথিতে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বিজেপি



জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে তৃণমূল। ‘অধিকারী গড়’ দক্ষিণ কাঁথিতে ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ছিল ৩৪ হাজারের আশেপাশে। এক বছরের মাথায় সেই ব্যবধান বেড়ে পৌঁছল সাড়ে ৪২ হাজারে। কিন্তু চমকে দেওয়ার উপকরণ তৃণমূলের এই সাফল্যে নয়। আরও অনেক বেশি চমকে দিল বিজেপি। ৫২ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে দক্ষিণ কাঁথিতে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বিজেপি। বামেরা প্রায় ধূলিসাৎ। কংগ্রেসের অস্তিত্ব পৌঁছে গেল আনুবীক্ষণিক স্তরে।

শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন, দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ের ব্যবধানের রেকর্ড গড়ে দেবেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অন্তত ১ লক্ষ ভোটে জিতবেন দাবি ছিল শুভেন্দুর। একটি বিধানসভা কেন্দ্রে কি এত বড় ব্যবধানে জয় স্বাভাবিক? রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন ছিল, আড়াই লাখে জেতা তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে যদি দু’বছরের মধ্যে পাঁচ লাখে পৌঁছে যায় ব্যবধান, তা হলে দক্ষিণ কাঁথির মতো কেন্দ্রে ১ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জেতা যাবে না কেন? শুভেন্দু অধিকারী যে খুব গোলমেলে প্রশ্ন তুলছিলেন, তা কিন্তু নয়। কিন্তু হিসেবটা কিছুটা গুলিয়েই গেল। তৃণমূল এ বারের উপনির্বাচনে আগের চেয়ে বেশি ভোট পেল, আগের চেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ী হল। কিন্তু বিজেপি ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল এবং বুঝিয়ে দিল, রাজ্য রাজনীতিতে এখন তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর তাদেরই। বুঝিয়ে দিল, বাম-কংগ্রেস ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার পথে।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই ছিল ত্রিমুখী। এক দিকে ছিল তৃণমূল, অন্য দিকে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বাম-কংগ্রেস জোট। বিজেপি ছিল তৃতীয় শক্তি। এক বছর আগের সেই নির্বাচনে দক্ষিণ কাঁথিতে মোট ভোট পড়েছিল ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮০৩টি। জয়ী তৃণমূল পেয়েছিল ৯৩ হাজার ৩৫৯টি ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ৫৯ হাজার ৪৬৯টি ভোট। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি পেয়েছিল ১৫ হাজার ২২৩টি ভোট।

২০১৭-র উপনির্বাচনে লড়াই হল চতুর্মুখী— তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস, বিজেপি। মোট ভোট পড়ল ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৬২২টি। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৯৫ হাজার ৩৬৯টি। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫২ হাজার ৮৪৩টি। সিপিআই প্রার্থী পেলেন ১৭ হাজার ৪২৩টি ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী পেলেন মাত্র ২ হাজার ২৭০টি ভোট।

অর্থাৎ, ২০১৬-র নির্বাচনে বিজেপি যে ভোট পেয়েছিল, এ বারের নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেসের সম্মিলিত ভোট তার কাছাকাছি। আর সে বার বাম-কংগ্রেস মিলে যে ভোট পেয়েছিল, এ বার বিজেপির ভোট প্রায় তার কাছাকাছি। বিরোধী শিবিরে ঠিক উল্টে গিয়েছে হিসেবটা। ২০১৬ সালে ৯ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছিল বিজেপি। এ বার পেল ৩১ শতাংশ। তৃণমূলও এক বছর আগে পেয়েছিল ৫৩ শতাংশের কিছু বেশি ভোট। এ বার পেল ৫৫ শতাংশের কিছু বেশি।

জয়ের খবর নিঃসন্দেহে সুখবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তা নিয়ে সকাল সকালই সন্তোষ প্রকাশ করেন। আগের বারের চেয়ে এ বারে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান বাড়ায় তিনি খুশি। কিন্তু দক্ষিণ কাঁথির উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রধান সেনাপতি ছিলেন যিনি, সেই শুভেন্দু অধিকারীকে সকাল থেকে খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখাননি। বেলার দিকে তিনি মুখ খুললেন এবং বললেন, ‘‘আগের বারের চেয়ে এ বার ৪ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। তাতেও আমাদের প্রাপ্ত ভোট আগের বারের চেয়ে বেশি।’’ বিজেপির ভোট এতটা বাড়ল কী করে? শুভেন্দু অধিকারীর জবাব, ‘‘এ রাজ্যে এখন বিরোধী সব এক জায়গায়। বিজেপির ভোট কেন এত বাড়ল, আর বামেদের ভোট কমে কেন এত নীচে নেমে গেল, সেটা বিমান বসুকে জিজ্ঞাসা করুন।’’

উচ্ছ্বাস স্পষ্ট রাজ্যের গেরুয়া শিবিরে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘‘এই রাজ্যে আমাদের সংগঠন সবচেয়ে দুর্বল যে জেলায়, সেই পূর্ব মেদিনীপুরে এই রকম ফলাফল প্রমাণ করে দিল, বিজেপিকে আর রোখা যাবে না। দক্ষিণ কাঁথিতে সে ভাবে সংগঠনই নেই আমাদের, সে ভাবে প্রচারও করা যায়নি। তা সত্ত্বেও ৩১ শতাংশ ভোট পেয়েছি আমরা।’’ দিলীপ ঘোষের কথায়: ‘‘অনেক দিন ধরেই আমরা বলছিলাম, বাংলায় আমরাই এখন প্রধান বিরোধী শক্তি। দক্ষিণ কাঁথির মতো কেন্দ্রে আমাদের দ্বিতীয় স্থানে তুলে এনে রাজ্যের মানুষও প্রমাণ করে দিলেন, তৃণমূলের প্রতিপক্ষ আমরাই।’’

কংগ্রেস শিবিরে হতাশা প্রবল। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কাঁথিতে কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি। জোট ছিল, তাই বামেদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল আসনটি। কিন্তু এ বার জোট হয়নি, কংগ্রেস ও বাম আলাদা আলাদা প্রার্থী দিয়েছিল। কংগ্রেস প্রার্থী মাত্র ২ হাজার ২৭০টি ভোট পেয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই কংগ্রেসের ফল এই রকম। আমরা অনেক দিন ধরেই বলছি, রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। দক্ষিণ কাঁথির ফলাফলেই প্রমাণ হয়ে গেল, আমরা ঠিকই বলছিলাম। এ বার আমরা দিল্লির পরবর্তী নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।’’ নাম না করলেও, প্রদীপবাবুর তির যে প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর দিকেই, তা স্পষ্ট। অধীরের নেতৃত্বে কংগ্রেস এ রাজ্যে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে বলেই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন। দিল্লির পরবর্তী নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বলে যে মন্তব্য প্রদীপবাবু করেছেন, তাতে স্পষ্ট, অধীর চৌধুরীর অপসারণের দাবি উঠতে শুরু করেছে কংগ্রেসের অন্দরে।

কংগ্রেস না হয়, সাংগঠনিক দুর্বলতায় পিছিয়ে পড়ল। কিন্তু বিজেপি এগিয়ে এল কী ভাবে? বিজেপির রাজ্য সভাপতিও তো দাবি করছেন, দক্ষিণ কাঁথিতে তাঁদের সংগঠন দুর্বল। প্রদীপ ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘এ রাজ্যে ধর্মান্ধ রাজনীতি শুরু হয়েছে। আগে এটা ছিল না। কিন্তু এখন একটা ধর্মান্থতার স্রোত বইছে।’’ এই ধর্মান্ধতার স্রোত তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির ‘তোষণ নীতি’র জন্যই— মন্তব্য কংগ্রেস সাংসদের। তিনি বললেন, ‘‘হিন্দু হোক বা মুসলিম, কোনও সম্প্রদায়কেই তোষণ করা উচিত নয়। তোষণ ছিল বলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হল। ছোট ছোট শিশুরা অস্ত্র হাতে রামনবমীর দিন পথে নামল। এর অর্থ কী? এর অর্থ হল, ওই শিশুদের পরিবারগুলিও মেরুকরণের ফাঁদে পা দিয়ে দিয়েছেন। পরিবার যদি না চাইত, বিজেপি ওদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে পারত না।’’

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 12 April 2017

রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে যাওয়ায় বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল



রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় সামিল হওয়ায় বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ উঠল। চারটি বাড়িতে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মারধর করা হয় এক বৃদ্ধাকে। তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের কোমা পঞ্চায়েত এলাকায়।

জানা গেছে, রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তীতে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলেন কোমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মালডিহির গ্রামের সোমনাথ পাল, কৃষ্ণ বাগদি, গাঙটে গ্রামের গোবিন্দ বাগদি, তাপস বাগদিরা। মিছিলে না যাওয়ার জন্য আগেই তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই হুমকিকে উপেক্ষা করে মিছিলে যাওয়ায় গতকাল রাতে চারটি বাড়িতে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।

অভিযোগ, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের কাঞ্চন বৈদ্য দলবল নিয়ে বোমাবাজি করে। সোমনাথবাবু বলেন, “আমরা যাতে ওই মিছিলে না যাই সেজন্য ওই উপপ্রধান হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা তাঁর হুমকিকে উপেক্ষা করে মিছিলে গিয়েছিলাম। তাই গতকাল রাতে আমার বাড়িতে বোমা মারে। আমাকে না পেয়ে খুন করা হবে বলে শাসিয়ে যায়।” কৃষ্ণ বাগদিকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁর মা সাধনা বাগদিকে ঘর থেকে বের করে মারধর করা হয়। ওই বৃদ্ধার বাঁ হাত ভেঙে দেওয়া হয়। সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। এভাবে এলাকার চারটি গ্রামে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উড়িয়ে কাঞ্চন বাগদি বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধেয় গ্রামে মনসা পুজো চলছিল। আমি সেখানেই ব্যস্ত ছিলাম। ফলে কোথায় কী হয়েছে বলতে পারব না।” এই ঘটনায় সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

চিন-পাকিস্তানকে জবাব, INSTC গ্রিন করিডরে জুড়বে ভারত-রাশিয়া



চিন-পাকিস্তানকে জবাব দিয়ে, এবার রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে একইরকম গ্রিন করিডর তৈরি করতে চলেছে ভারত৷ চলতি মাসেই এই প্রকল্পে সবুজ সঙ্কেত মিলতে পারে বলে জানা গিয়েছে৷ ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই প্রকল্প গ্রহণ করতে চলেছে দুই দেশের সরকার৷

চিনের আর্থিক সাহায্যে পাকিস্তানে তৈরি হচ্ছে ইকনমিক করিডর। আর ভারত প্রথম দেখেই সেই অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধী। গিলগিট-বাল্টিস্তানের মধ্যে দিয়ে ওই করিডর তৈরি হওয়ায় ভারতের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত নেমে আসবে বলে সরব হয় কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক। পাক-চিন সড়ক যোগাযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি, চিনের কাশগড় থেকে সড়ক মারফত বিপুল চিনা পণ্য, সামরিক সরঞ্জাম, সেনাবাহিনী, সাঁজোয়া গাড়ি অতি দ্রুত নিয়ে আসার কাজ সহজ ও দ্রুততর হবে চিনের পক্ষে৷

ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্টেশন করিডর’ বা INSTC-র মাধ্যমে ভারত ও রাশিয়া পরস্পরের সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত হবে৷ যুক্ত থাকবে ইউরোপ ও ইরানও৷ এর ফলে ভারত থেকে ইউরেশিয়া ও বিদেশ থেকে ভারতে পণ্য পরিবহণে বিশেষ সুবিধা হবে৷ কেন্দ্রের কোষাগারে আসবে বাড়তি অর্থ৷ অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সাজ-সরঞ্জাম আমদানিতেও বিশেষ সুবিধা হবে৷ কমবে খরচ৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

বিজেপি নেতার মু্ণ্ডচ্ছেদে ২২ লক্ষ টাকা দেবে ইমাম বরকতি!



মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা কাটার নিদান দিয়ে বিতর্কে কেন্দ্রে বিজেপির তরুণ নেতা যোগেশ ভারসন৷ ঠিক এর মাঝেই নরেন্দ্র মোদীর দলের ওই তরুণ নেতা প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্ক আরও উস্কে দিলেন টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নূর রহমান বরকতি৷ তাঁর পাল্টা ফতোয়া, ওই নেতার মাথা যে কেটে আনতে পারবে তাকে ২২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে৷

প্রসঙ্গত, গতকাল এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিজেপির তরুণ নেতা যোগেশ ভারসন৷সে বলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা যে কেটে আনতে পারবে তাকে ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে এহেন মন্তব্যের পরেই হই চই পড়ে যায়৷ তীব্র নিন্দায় সরব হন সমাজের বিদ্বজ্জনেরাও৷ এই বিষয়ে রাজ্যপুলিশের ডিজি খুব শিগগিরিই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এরই মাঝে ফের বেফাঁস কথা বলে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিলেন টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নূর রহমান বরকতি৷ এক ইংরেজি খবরের কাগজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বরকতি বলেন, ‘‘যে যোগেশ ভারসনের মাথা কেটে আনতে পারবে তাকে ২২ লক্ষ টাকা দেওয়া পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে৷’’ এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের বোন বলেও সম্বোধন করেন বরকতি৷

তবে এই প্রথম নয়৷ এর আগেও বহুবার বিভিন্ন সময় বহু নেতা প্রসঙ্গে এই ধরনের আলটপকা মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন বরকতি৷ কয়েকদিন আগেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রসঙ্গে বেফাঁস কথা বলেন তিনি৷ তখন বরকতি বলেছিলেন, ‘‘যে মোদীর মাথা কামিয়ে ন্যাড়া করে দিতে পারবে তাকে তিনি পুরস্কার দেবেন৷’’৷ এখানেই থামেননি ৷ এরপর বিজেপির রাজ্যে সভাপতি প্রসঙ্গে তাঁর ফতোয়া, ছিল পাথর ছোড়ার৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মমতাকে খুনের নিদান: সংসদে নিন্দায় কেন্দ্র ও BJP



মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথার দাম ঘোষণা করে বিজেপির যুব মোর্চা নেতার হুমকি-মন্তব্যের রেশ আছড়ে পড়ল সংসদে। এদিন শাসক ও বিরোধী সাংসদরা একসুরে এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। জবাবে, নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এধরনের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, চাইলে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

এদিন উভয় কক্ষেই বিষয়টি উত্থাপন করেন তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের সমর্থন করে সব রাজনৈতিক দল। রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে যোগেশ ভার্শনের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, বিজপির এক যুব নেতা প্রকাশ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ‘শয়তান’ বলে কটাক্ষ করে তাঁর মাথার ওপর ১১ লক্ষ টাকা ঘোষণা করে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন।

এপ্রসঙ্গে, সংসদ ও সরকারের তরফে ওই নেতার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হোক বলে দাবি করেন তিনি। কী করে একজন সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত নেত্রীর সম্পর্কে এহেন মন্তব্য করা হয়, সেই প্রশ্নও তোলেন শুখেন্দু। তাঁর আরও অভিযোগ, ধর্ম ও অন্যান্য বিষয়ের মাধ্যমে রাজ্যে ‘কায়েমি সন্ত্রাস রাজ’ তৈরি করছে কেন্দ্র।

জবাবে, সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বলেন, কেন্দ্র ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছে। রাজ্য সরকার এই ইস্যুতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। একই কথা বলেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন। তিনিও জানান, এক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের হওয়া উচিত। আইন আইনের পথেই চলবে।

যদিও, বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি। উচ্চকক্ষে ফের এই একই ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে দাবি করেন, শুধু নিন্দা না করে বিজেপির উচিত ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কংগ্রেস, বাম ও সমাজবাদী পার্টিও তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়ে রাজ্যসভায় সোচ্চার হয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে।

যদিও, বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেন, তিনিও একজন মহিলা। পুলিশের সামনে তৃণমূলের ১৭ জন গুণ্ডার হাতে তাঁকে মার খেতে হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব দাবি করেন।

রাজ্যসভার মতো এদিন মমতাকে হুমকি-ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভাও। এদিন নিম্নকক্ষে ইস্যুটি নিয়ে সোচ্চার হন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবলমাত্র নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী নন, এই কক্ষের প্রাক্তন সদস্যও বটে। তাঁর মতে, এধরনের ব্যবহার অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। সংসদের তরফে নিন্দা প্রকাশ করারও দাবি তোলেন তিনি।

তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়ে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে জানান, এধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। কোথাও ঘটা উচিত নয়। তিনি যোগ করেন, সরকারের তরফে এক কঠোর বার্তা পাঠানো উচিত যাতে ভবিষ্যতে এধরেনর ব্যবহার আর কেউ না করে।

জবাবে সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনি (মমতা) একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর যোগ্য সম্মান প্রাপ্য। আমরা (যোগেশ ভার্শনের) মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। স্পিকার সুমিত্রা মহাজনও বলেন, সাম্প্রতিক অতীতে রাজনৈতিক মহলে এধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এই পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

শুধু রাজধানী নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ফতোয়া নিয়ে নিন্দায় মুখর এরাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলিও। রাজনৈতিক বিরোধিতা সরিয়ে এদিন মমতার সমর্থনে এগিয়ে আসে বাম ও কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা এধরেনর নিচ মন্তব্যের বিরুদ্ধে। এধরনের মন্তব্য, শুধু হিংসা নয়, মেরুকরণও ছড়িয়ে দেয়। অবিলম্বে, ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও যোগেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি তোলেন। বলেন, সম্পূর্ণ বর্বর ও অসভ্য।

রাজ্য বিজেপির তরফেও যোগেশের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। এদিন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এক বিবৃতি পেশ করে জানান, তিনি এধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছেন। বলেন, আমরা এধরনের মন্তব্য সমর্থন করি না। তোষণের রাজনীতি করার জন্য মমতাজির বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু আমরা হিংসা সমর্থন করি না। আমরা এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ব্লকড হতে পাড়ে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট !



২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৫-র ৩১ অগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যাঁরা দেশের কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তাঁরা যদি ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের আয় বা আয়কর সংক্রান্ত তথ্যাদি না জানান (সেল্ফ-সার্টিফিকেশন), তা হলে তাঁদের সেই সব অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করে দেওয়া হবে।

আয়কর দফতরের তরফে বুধবার এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, ফরেন অ্যাকাউন্ট ট্যাক্স কমপ্ল্যায়ান্স অ্যাক্ট (‘ফ্যাটকা’) অনুযায়ী এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। প্রতিটি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে তা আলাদা আলাদা ভাবে জানিয়েও দেওয়া হবে।

১) এই নিয়ম আপনাআপনিই ভারত ও আমেরিকার মধ্যে অর্থনৈতিক আদানপ্রদান সংক্রান্ত তথ্যাদি দেওয়া-নেওয়া করবে।

২) এই নিয়ম চালু করার জন্য আমেরিকার সঙ্গে ভারত চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

৩)  আমানতকারীদের জানাতে হবে তাঁরা কোন দেশে আয়কর দেন, তাঁদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার কত, কোন দেশে তাঁদের জন্ম, তাঁদের নাগরিকত্ব কোন দেশের।

৪) ‘ব্লক’ করে দেওয়া হলে একমাত্র সেল্ফ-সার্টিফিকেশন দাখিল করার মাধ্যমেই তাঁদের ওই অ্যাকাউন্টে আবার লেনদেন করার অনুমতি দেওয়া হবে।

৫) এই একই নিয়ম চালু হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডেও। 
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Tuesday, 11 April 2017

কুলভূষণ যাদব সম্ভবত মৃত তাঁকে খুন করা হয়েছে : প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব



গুপ্তচর অভিযোগে ধৃত প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদব সম্ভবত মৃত৷ তাঁকে নৃশংস উপায়ে খুন করা হয়েছে৷ এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব আর কে সিং৷ বর্তমানে আর কে সিং বিজেপি সাংসদ৷ তাঁর এমন দাবিতে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছে৷

যদিও পাকিস্তান সরকারের দাবি, আইনি প্রক্রিয়ায় কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে৷ এখনও দণ্ড প্রক্রিয়া কার্যকর করা হয়নি৷ প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিবের অভিযোগ, কুলভূষণ যাদবকে আইনি সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান৷ এর থেকেই প্রমাণ হয় কোনও কিছু আড়াল করতে চায় ইসলামাবাদ৷

পাক সংবাদ মাধ্যমের খবর, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত কুলভূষণ যাদব ৬০ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করার সময় পাবেন৷ বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে যাচ্ছে ভারত সরকার৷ ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷

ভারতের দাবি, নৌ সেনার প্রাক্তন আধিকারিক কুলভূষণ যাদব অবসর নিয়ে ইরানে ব্যবসা করতেন৷ ব্যবসার কাজেই ইরান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের সীমান্ত পার করে বালোচিস্তানে গিয়েছিলেন৷ পাকিস্তান সরকারের দাবি, বালোচিস্তানে সরকার বিরোধী আন্দোলনকে উস্কে দিতে চরবৃত্তির কাজে নামানো হয়েছিল কুলভূষণ যাদবকে৷ সেই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

JIO এর নতুন অফার, 'ধন ধনা ধন অফার'



ট্রাইয়ের নির্দেশে সামার সারপ্রাইজ অফার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স। এবার সেই অফারের 'পরিবর্ত' হিসেবে জিও ঘোষণা করল নতুন অফার, যার নাম  'ধন ধনা ধন অফার'। নিজেদের ওয়েবসাইটে এই 'ধন ধনা ধন অফার'-এর কথা জানায় রিলায়েন্স।



কী আছে এই 'ধন ধনা ধন অফার'-এ? 
  • তিন মাস ফ্রি সার্ভিস।
  • টানা তিন মাস ফ্রি সার্ভিস পাওয়ার জন্য উপভোক্তাকে ৩০৯ অথবা ৫০৯ টাকার ট্যারিফ রিচার্জ করতে হবে।
  • যারা এখনও পর্যন্ত জিও গ্রাহক হননি, তারাও এই জিও 'ধন ধনা ধন অফার'-এর সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।  


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ফাঁসি দেওয়ার ফল কী হবে, ভেবে নিক পাকিস্তান: চরম হুঁশিয়ারি সুষমা স্বরাজের



কুলভূষণ যাদবকে ফাঁসি দেওয়া হলে ফল কী হতে পারে, সে কথা ভেবে নিয়েই যেন এগোয় পাকিস্তান। এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ তুলে সে দেশের সেনা আদালত যে ভাবে ওই ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সরগরম সংসদ। বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সংসদের দুই কক্ষেই বিবৃতি দিয়েছেন। কুলভূষণ যাদবের প্রাণদণ্ডের রায় কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।



শুধু সরকার নয়, পাকিস্তানের নিন্দায় এ দিন সকাল থেকেই সরব কংগ্রেস-সহ সবক’টি বিরোধী দল। যে কোনও মূল্যে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর ফাঁসি আটকানোর দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছেন, ফাঁসি রুখতে যত দূর যাওয়ার সম্ভব, তত দূরই যাবে ভারত সরকার। রাজনাথ বলেছেন, ‘‘ভারত এই প্রাণদণ্ডের রায়ের কঠোর নিন্দা করছে। আইন ও বিচারের বুনিয়াদি রীতিনীতিগুলিও মানা হয়নি। আমি সংসদকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কুলভূষণ যাদব যাতে বিচার পান, তা নিশ্চিত করতে যা কিছু করা দরকার, সরকার তাই করবে।’’

রাজনাথের বিবৃতির আগেই কংগ্রেস লোকসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছিল। কংগ্রেসের লোকসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘যদি পাকিস্তান কুলভূষণ যাদবকে ফাঁসি দিয়ে দেয়, তা হলে সেটা একটা খুন হবে। সরকার যদি তাঁকে মুক্ত করতে না পারে, তা হলে প্রমাণিত হবে সরকার দুর্বল।’’ হায়দরাবাদের সাংসদ তথা এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসিও কুলভূষণ যাদবের ফাঁসির আদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘সরকারের প্রভাব রয়েছে, প্রভাব খাটানো হোক। ...কুলভূষণ যাদবকে রক্ষা করা আমাদের যৌথ দায়বদ্ধতা।’’

২০১৬-র মার্চে কুলভূষণ যাদবকে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করেছিল পাকিস্তান। ভারতীয় নৌসেনার এই প্রাক্তন কর্মী চরবৃত্তি করতে পাকিস্তানে ঢুকেছিলেন এবং তিনি বালুচিস্তানে নাশকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে পাক সেনার দাবি। ভারত বার বার জানিয়েছে, কুলভূষণ যাদব গুপ্তচর নন। পাকিস্তানের সেনা আদালতে যখন তাঁর বিচার চলছিল, তখন ভারতীয় হাইকমিশন বার বার তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু সেই কূটনৈতিক অনুমতিও দেওয়া হয়নি। কুলভূষণ যাদব গুপ্তচরবৃত্তির কথা স্বীকার করেছেন বলে যে দাবি পাকিস্তান করেছে, তাও ভুয়ো বলে ভারতের দাবি। কিন্তু গতকাল পাকিস্তানের সেনা আদালত কুলভূষণ যাদবের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

‘বীরভূমের জবাব হবে বীরের ভাষায়।’ রাজ্যেকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিলীপের



‘বীরভূমের জবাব হবে বীরের ভাষায়।’ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ফের রাজ্য সরকারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন দিলীপ ঘোষ। রামের পরে হনুমান। ঘাসফুল বনাম পদ্মফুলের লড়াইতে নতুন মাত্রা যোগ করল মঙ্গলবার বীরভূমে গেরুয়া বাহিনীর মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ।

রাম নবমীর মিছিল ঘিরে বিতর্ক এখনও চলছে। বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বহু কর্মী, সমর্থকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। সেই বিতর্কের মধ্যেই এ বার হনুমান জয়ন্তীর মিছিল ঘিরে মঙ্গলবার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বীরভূমের সিউড়ি। বিনা অনুমিততে মিছিল করা এবং পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির অভিযোগে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ এবং র‌্যাফ। বিজেপি জেলা নেতৃত্বের দাবি, এই মিছিলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও থাকার কথা ছিল।

এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এবেলা.ইনকে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উদ্যোক্তারা শেষ মহূর্তে ডাকায় মিছিলে যোগ দিতে পারিনি। এ দিন বিধানসভায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে হয়। কিন্তু এ দিন যে ভাবে পুলিশকে দিয়ে শাসকদল শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপরে আক্রমণ চালালো তার জবাব পেতে হবে। আর সেই জবাব হবে বীরের মতো।’

এ দিন পুলিশের লাঠিচার্জে অনেকেই জখম হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আজকের মিছিলে কোনও অস্ত্র ছিল না। একটি ধর্মীয় মিছিলের অনুমতি কেন আটকে দেওয়া হল সেটাও স্পষ্ট নয়। মানুষই এর জবাব দেবে। শাসকদল জমি হারাচ্ছে, তাই মাথার ঠিক নেই। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের জবাব পেতেই হবে সরকারকে।’

কিন্তু বীরের মতো জবাব কেমন হবে? বিজেপি সভাপতি এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ২০ এপ্রিল বীরভূমে সিউড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ। সেই সমাবেশকে ‘হিন্দু বিক্ষোভ’ হিসেবে দেখাতে চান দিলীপ। হিন্দু ভাবাবেগের উপরে আক্রমণের প্রচার করে সমাবেশকে বড় চেহারা দিতে সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা বলা হয়েছে বলেও খবর। প্রাথমিক ভাবে ২০ তারিখ সিউড়িতে ওই সমাবেশ হবে বলে ঠিক হলেও পরে দিন ও স্থান বদল হতে পারে বলেও বিজেপির ওই সূত্র জানিয়েছে।

এ দিন নিজের ফেসবুক পেজেও বীরভূমে লাঠিচার্জের বিরোধিতা করেন দিলীপ ঘোষ। সেই পোস্ট-এ তিনি রাজ্য তালিবানি শাসন চলছে বলেও উল্লেখ করেন। দিলীপ লিখেছেন—

‘আজকে সিউড়ি তে শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় শোভাযাত্রার ওপরে পুলিশ নির্মম ভাবে লাঠিচার্জ করেছে। এতে বহু অংশগ্রহণকারী আহত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ ধীরে ধীরে তালিবান রাজত্বের দিকে যাচ্ছে, এখানে হিন্দু ধর্মের আচরণ করাটা অপরাধের সমান। এখানে দুর্গাপূজার বিসর্জন এবং রাম নবমী উৎসব পালন করতে উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) অনুমতি নিতে হয়। প্রশাসনের তরফ থেকে স্কুলে স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করানো হয়। এই প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্বের প্রতি ধিক্কার জানাই।’
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পাকিস্তান সব আইন-কানুন লঙ্ঘন করেছে, বৈধ ভারতীয় পাসপোর্ট ছিল কূলভূষণের কাছে: রাজনাথ



কুলভূষণ যাদবের ন্যায়বিচারের জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেব। মঙ্গলবার লোকসভায় এমনটাই আশ্বাস দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভারতের প্রাক্তন নেভি অফিসারকে ‘গুপ্তচর’ সন্দেহে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনায়, পাকিস্তানের নিন্দা করেছেন তিনি।



এদিন কূলভূষণ ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা। জেনেভা কনভেনশনের বিধি লঙ্ঘন করার কথা উল্লেখ করে রাজনাথ সিং বলেন, ‘পাকিস্তান সব আইন-কানুন লঙ্ঘন করেছে। ভারত অন্ততপক্ষে ১৩ বার বলা সত্ত্বেও দূতাবাসের মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। তিনি জানান, ‘কূলভূষণের একটি ব্যবসা ছিল ইরানের চবাহারে। পাকিস্তানি নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে অপহরণ করে দেশে নিয়ে গিয়ে ‘গুপ্তচর তকমা দেয়। যাদবের কাছে ভারতীয় পাসপোর্টও রয়েছে। কিভাবে একজন গুপ্তচরের কাছে ভারতের পাসপোর্ট থাকতে পারে?’ এদিন লোকসভায় সব বিরোধী দল কূলভূষণের ফাঁসির নির্দেশের প্রতিবাদ জানান।

এদিকে, আমেরিকাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, যেসব দেশ পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করছে তাদের ভুলে গেলে চলবে না যে তাদের সঙ্গেও একই ঘটনা হতে পারে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

রেস্তরাঁ থেকে বিপুল পরিমাণে খাবার নষ্ট হয়, রেস্তরাঁ থেকে খাবার নষ্ট হওয়া রুখতে নতুন পরিকল্পনা করছে মোদী সরকার



রোজ রোজ দেশের বহু রেস্তরাঁ থেকে বিপুল পরিমাণে খাবার নষ্ট হয়। আবার এই দেশেই অনেকে আছেন যারা দু’বেলা পেট ভরে খেতে পায় না। তাই এবার মোদী সরকার রেস্তরাঁ থেকে খাবার নষ্ট হওয়া রুখতে নতুন পরিকল্পনা করছে। এবার থেকে রেস্তরাঁতে সীমিত পরিমাণে খাবার পরিবেশন করা হবে। জানালেন খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান।

রাম বিলাস পাসওয়ান জানিয়েছেন, কতটা খাবার রেস্তরাঁয় দেওয়া হবে সেই ব্যাপারে খাদ্য শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। “আমি রেস্তরাঁতে গিয়ে দেখেছি যে কীভাবে খাবার নষ্ট হয়। আমাদের দেশে দরিদ্রের সংখ্যে অনেক, তাই এটা চলতে পারে না। কোনও আইনি ব্যাপার আছে কি না তাঁর জন্য আমি খাদ্যশিল্পর সঙ্গে যুক্ত যারা এবং রেস্তরাঁগুলিকে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।” জানান খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী।



সরকার কোনভাবেই রেস্তরাঁগুলির আভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে না। বরং ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখেই এবং খাবার নষ্ট রুখতেই খাবারে পরিমান বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। দাবি করেন রাম বিলাস পাসওয়ান।

মন্ত্রি জানান যে রেস্তরাঁগুলিকে লিখিত জমা দিতে হবে যে কতটা পরিমাণ খাদ্য পরিবেশন করা হবে। এক প্লেটে এক পিস মাংস থাকবে নাকি দু পিস মাংস থাকবে ইত্যাদি রেস্তরাঁগুলিকে জানাতে হবে। রেস্তরাঁগুলিই জানাবে যে এক জন ক্রেতা কতটা পরিমাণ খাবার খেতে পারেন বলে তারা মনে করেন। নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ধাবাতে যেহেতু থালি পরিবেশন করা হয়, তাই শুধুমাত্র হোটেল ও রেস্তরাঁগুলির উপরেই এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন কি বাত অনুষ্ঠানেও খাবার নষ্ট হওয়ার প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন খাবার নষ্ট করা মানে দরিদ্রদের প্রতি অবিচার করা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে ভারতের অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম



সন্ত্রাসদমনে ভারতের সঙ্গে হাত মেলাল অস্ট্রেলিয়া।  অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের ভারত সফরে ৬টি চু্ক্তি স্বাক্ষর করল দুই দেশ।  যার মধ্যে অন্যতম হল সন্ত্রাসদমনে সহযোগিতা।  শুধু সন্ত্রাসদমনই নয়, বৈঠকে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও প্রসারিত করার ওপর জোর দেন দুই রাষ্ট্রনেতা। ভারতকে ইউরেনিয়াম সরবরাহ করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সংসদে যে আইন পাশ করেছে, তার জন্য টার্নবুলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মোদী।  অন্যদিকে, অজি প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি যত শীঘ্র সম্ভব তা ভারতে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করবেন।

উভয়পক্ষই সহমত যে, ভারতে যত তাড়াতাড়ি বাণিজ্যিকস্তরে ইউরেনিয়াম রফতানি করবে অস্ট্রেলিয়া, তত দ্রুত ভারতের জ্বালানির চাহিদা পূরণ হবে।  এছাড়া, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা, অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় ছাত্রদের যাত্রা নিয়েও আলোচনা হয় মোদী-টার্নবুলের মধ্যে।  বৈঠকে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে এনএসজি ইস্যু।  টার্নবুল জানান, পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে ভারতের অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি এ-ও জানান, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ ও ওয়াসেনার অ্যারেঞ্জমেন্ট গোষ্ঠীতেও ভারতকে স্বাগত জানাবে অস্ট্রেলিয়া।

বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি পাঠ করা হয়, সেখানে বলা হয়েছে, সন্ত্রাস ও মৌলবাদের প্রসার হওয়া কঠোর হাতে দমন করতে হবে। এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। দুদেশের আইনরক্ষক, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে সুসংহত সহযোগিতা এবং সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

সুপার শপের হিমায়িত খাবারের ফ্রিজে ১২ ফুট অজগর!



সুপার শপে গেছেন বাজার করতে। ঘুরতে ঘুরতে হিমায়িত খাবারের দিকে গেলেন, ফ্রিজ খুলে হাত দিতেই দেখলেন মস্ত বড় এক অজগর কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে আছে। কী মনে হবে, আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম তো! এমনই মনে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের একটি সুপার শপে বাজার করতে যাওয়া এক নারীর। ভাগ্যগুণে বেঁচেও গেছেন তিনি।

এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, কেপটাউনের স্পার স্টোর নামে একটি সুপার শপের ফ্রিজ থেকে ১২ ফুট লম্বা ‘আফ্রিকান রক পাইথন’ প্রজাতির ওই অজগরটি উদ্ধার করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক নারী ওই সুপার শপে হিমায়িত খাবার কিনতে গিয়েছিলেন। দই নেওয়ার জন্য ফ্রিজ খুলে হাত দিতেই দেখেন দই রাখার জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে ১২ ফুট লম্বা অজগর। দেখেই ‘সাপ সাপ’ বলে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। কিন্তু ফ্রিজের ভেতর অজগরটি ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন ওই নারী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার পর স্থানীয় সাপুড়েদের খবর দেওয়া হয়। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্রিজ থেকে অজগরটি উদ্ধার করেন। পরে সেটিকে ন্যাশনাল পার্কে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্পার স্টোরের ব্যবস্থাপক মার্টি এসনোফ বলেন, ‘অজগরটি ভবনের ছাদ বা পানিনিষ্কাশনের নালা দিয়ে স্টোরে ঢুকেছে বলে মনে হচ্ছে। পরে ফ্রিজের ভেতর আরাম পেয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে। স্টোরের পেছনে ঝোপঝাড়ে অসংখ্য সাপ রয়েছে। আমরা ক্রেতাদের বলছি, ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এখন স্টোর নিরাপদ, সে ব্যাপারেও আশ্বস্ত করছি।’

আফ্রিকান রক পাইথন প্রজাতির অজগর বিষধর নয়। তবে শিকার মনে করলে এ অজগর কাউকে পিষে মারার পর গিলে ফেলতে পারে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

নিজের আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে বলি দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে, গ্রেফতার বাবা



দিন কয়েক আগেই পুরুলিয়ায় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক অশান্তির জেরে মাকে বলি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ছেলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার ছায়া এবার পূর্ব বর্ধমানে। রাতারাতি বড়লোক হওয়ার তাগিদে ভাতারে নিজের আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে বলি দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে।প্রতিবেশীদের তত্পরতায় রক্ষা শিশুর।

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ওড়গ্রামের এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ ইব্রাহিম। তাকে গ্রেফতার করেছে ভাতার থানার পুলিশ।

পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরে পেশায় শ্রমিক ইব্রাহিম। অভিযোগ, সোমবার দুপুর থেকে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করে সে।  সেই সময়ই ইব্রাহিম নিজের মেয়েকে বলি দেওয়ার কথা প্রথমবার বলে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী সেলিমা বিবি।

স্ত্রীর দাবি, স্বামী মত্ত রয়েছে বলে প্রথমে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু সোমবার সন্ধেয় ফের শিশুকে বলি দেওয়ার পরিকল্পনার প্রথমবার কথা বলে ইব্রাহিম। মঙ্গলবার রাতে বলি দেওয়ার ছক কষে স্ত্রী ও মেয়েকে উপোস থাকার কথাও বলে সে।

সেলিমা বিবি বলেছেন, তাঁর স্বামী বলে,সব প্রস্তুতি হয়ে গেছে, শুধু গামছা কেনা বাকি আছে। শ্মশানে বলির জায়গাও পরিষ্কার করে দিয়ে এসেছে।

অভিযুক্তের আত্মীয় চন্দনা বিবি বলেছেন, বড়লোক হওয়ার জন্য এসব করেছে। বলছিল অনেক টাকা পাবে।

অভিযোগ পেয়ে সোমবার রাতেই অভিযুক্ত শেখ ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেছেন, সেলিমা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।কার কথায় নিজের মেয়েকে বলি দেওয়ার চেষ্টা করছিল এই ব্যক্তি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শুক্রবার পুরুলিয়ার বড়াবাজারে ৫৫ বছরের মা-কে বলি দেওয়ার অভিযোগে ছেলের গ্রেফতারির ঘটনা, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। পুলশ জানতে পেরেছে, বিয়ে নিয়ে অশান্তি ও তন্ত্রসাধনায় বাধা দেওয়ায় কালী মূর্তির সামনে মা-কে বলি দেয় ছেলে।

ভাতারে নিজের আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে বলি দিতে যাচ্ছিল বাবা।

একুশ শতকের মাটিতে দাঁড়িয়েও কেন এই কুসংস্কারের অন্ধকার?
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 9 April 2017

দুই সন্তানের বেশি হলে সরকারি চাকরি কেউ পাবে না



বাড়তে থাকা জনসংখ্যার হার গোটা দেশেরই মাথাব্যথার কারণ। তবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে এবার অভিনব পদক্ষেপ করল অসম সরকার। প্রশাসনের তরফে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। যেখানে দুটির বেশি সন্তান থাকলে আর মিলবে না সরকারি চাকরি।

এখনও খসড়া পর্যায়ে আছে এই প্রস্তাব। তবে রাজ্যে স্বাস্থ্য তথা শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানাচ্ছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতেই এই জরুরি পদক্ষেপ। প্রস্তাব অনুযায়ী, সরকারি চাকরি নেওয়ার সময় যাঁরা এই প্রস্তাবে সম্মত হবেন, আজীবন তাঁদের তা মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ সরকারি চাকরি করতে চাইলে দু’টির বেশি সন্তান থাকা যাবে না। এতে যে জন্মনিয়ন্ত্রণের হার বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

পাশাপাশি প্রস্তাবিত এই নীতিতে আরও একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে অসম প্রশাসন। নারীশিক্ষার প্রসার ঘটাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত সমস্ত মেয়েদের পড়াশোনা নিখরচায় করানোর ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। এতে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার হার যেমন বাড়বে, তেমনই নারী নির্যাতনের ঘটনাও কমবে। বই-খাতা থেকে স্কুলের খরচ এমনকী হস্টেলও বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে টাকার অভাবে স্কুলছুটের সংখ্যা যে কমবে এমনটাই আশা ওই মন্ত্রীর।

এছাড়া বাল্যবিবাহ রোখার ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ন্যূনতম ১৮ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে ২১ করা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার পরিসর আছে। পাশাপাশি যদি কেউ বাল্যবিবাহ করেন, তিনিও সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হবেন বলে জানা যাচ্ছে।

নয়া এই প্রস্তাবিত নীতিতে সামাজিক নানা অসাম্যের অবসান ঘটাতেই উদ্যোগ নিয়েছে প্রশান। যেমন গরীব মানুষরা, যারা তাঁদের বৃদ্ধ মা বাবার দেখাশোনা করছে, তাঁদের অর্থ সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে। আবার নারী নির্যাতন ও হেনস্তা রুখতে বিশেষ প্রচার করা হবে। এনজিও-র সাহায্য নিয়ে ব্যাপকভাবে এই নীতির প্রচার করা হবে।

মন্ত্রী জানাচ্ছেন, জুলাই পর্যন্ত এ ব্যাপারে ধারাবাদিকভাবে সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হবে। পরে সকলের পরামর্শ নিয়েই তা আইনে পরিণত করা হবে জানান তিনি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Saturday, 8 April 2017

রাম ও সীতা নিয়ে কমেন্ট এর ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এলাকায় কার্ফু জারি



ফেসবুকে রাম ও সীতা নিয়ে কমেন্ট করায় ওড়িষার উপকূলীয় অঞ্চল ভদ্রকে শুক্রবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাধে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এত বড় আকার নেয় যে এলাকায় কার্ফু জারি করতে হয়।

গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে এলাকার কয়েকটি দোকান পাট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের গাড়িতেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে একটি হনুমান মন্দিরেও ভাংচুর চালায় হামলাকারীরা।

পুলিশ সুপার দিলীপ দাস জানান যে নুয়া বাজার স্কোয়ারে এই গোষ্ঠীসংঘর্ষ শুরু হয়। বজরং দলের এক কর্মী অজিত কুমার পাঢিহারির ফেসবুক ওয়ালে রাম ও সীতা নিয়ে একজন মন্তব্য করে। সেই মন্তব্য নিয়েই বচসা বাধে। এবং তা গোষ্ঠী সংঘর্ষে গিয়ে পৌঁছয়। এরপরেই এলাকায় কড়া সতর্কতা জারি হয়।



কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৃষান পাল গুজরারের শনিবার ভদ্রকে যাওয়ার কথা ছিল। এই সংঘর্ষের জেরে তাঁর ভদ্রকে যাওয়া বাতিল হয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

স্বামীর মৃত্যুর খবর নিজেই ব্রেকিং নিউজ দিলেন লাইভ বুলেটিনে এই অ্যাঙ্কার



এমন ঘটনা সত্যিই বিরল এবং অত্যন্ত দুঃখজনক, যা ভাষায় ব্যক্ত করাও বেশ কঠিন৷ আর এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেলেন ছত্তিশগঢ়ের এক টিভি অ্যাঙ্কার৷ অ্যাঙ্কার সুপ্রীত কাউর সড়ক দুর্ঘটনায় নিজেরই স্বামীর মৃত্যুর ব্রেকিং নিউজ দিলেন লাইভ নিউজ বুলেটিনে৷

ছত্তিশগঢ়ের একটি জনপ্রিয় বেসরকারি চ্যানেলের অ্যাঙ্কার এই সুপ্রীত কউর৷ শনিবার সকালে লাইভ নিউজ বুলেটিন চলাকালীন রিপোর্টার ফোনে যাবতীয় তথ্য দেন এই রোড অ্যাকসিডেন্টের বিষয়ে৷ রিপোর্টার না বুঝলেও, ঘটনার বিবরণ শুনে সুপ্রীতের মনে হয়, এই দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর স্বামীই হয়তো রয়েছেন৷ কিন্তু লাইভ নিউজ চলাকালীন তিনি একজন পেশাদার অ্যাঙ্কারের মতোই ঘটনার বিবরণ দর্শকদের দেন৷ স্টুডিও থেকে বেরনোর পর তিনি আত্মীয়দের ফোন করতে থাকেন৷ পরে তাঁর আশঙ্কা যখন সত্যি হয় তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি৷ অফিস থেকে রওনা দেন দুর্ঘটনাস্থলে৷

২৮বছর বয়সী সুপ্রীতের মাত্র এক বছর আগেই বিয়ে হয়েছিল হর্ষদ কাওয়াড়ের সঙ্গে৷ তাঁরা রায়পুরে থাকতেন৷

চ্যানেল এডিটর জানান, সুপ্রীতের স্বামীর মৃত্যুর খবর তাঁদের কাছে আসে যখন সুপ্রীত লাইভ নিউজ বুলেটিনে ছিলেন, কিন্তু তাঁকে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর খবর দেওয়ার মতো সাহস বা মনের জোর কারোরই ছিল না৷ কিন্তু সুপ্রীত তা লাইভ চলাকালীনই হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন বলে মত অনেকেরই৷ কিন্তু পেশাদার অ্যাঙ্কারের মতো তাঁর আচরণ যেন এমন পরিস্থিতিতে এক নজির সৃষ্টি করেছে৷


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

'দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হলে, রাজ্য সরকার ফেলে দেব' !



‘দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হলে, রাজ্য সরকার ফেলে দেব। চ্যালেঞ্জ করছি, সাহস থাকলে গ্রহণ করুক।’ ঠিক এই ভাষাতেই শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

তাঁকে নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কড়া নজর রাখছে দিল্লিও। গ্রেফতার হতে পারেন যে কোনও মুহূর্তে। কিন্তু তাঁর কোনও হেলদোল নেই। শুক্রবার বেলায় তাঁকে দেখা গেলো গেরুয়া গেঞ্জি গায়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন দিঘার সমুদ্রতটে। সঙ্গী, রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি মানে, রাজ্য বিজেপি’র সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একফোঁটাও টেনশন নেই। পাশে দাঁড়িয়ে কৈলাস কিন্তু সমানে তোপ দেগে গেলেন রাজ্যের দিকে। কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সাফ জানালেন, “বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হলে, বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় করে দেওয়া হবে। সরকার থাকবে না।  তৃণমূলের অভিযুক্ত নেতাদের ধরে ধরে জেলে ঢোকানো হবে।” দিলীপ-ইস্যুতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যে খুবই সিরিয়াস, তা স্পষ্ট করে দিলেন বিজয়বর্গীয়।

রামনবমীর দিন খড়গপুরে অস্ত্র হাতে মিছিল করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।এরপর বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে পুলিশের তরফে। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় খড়গপুর নিউটাউন থানায় বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। আর তারপর থেকেই শুরু হয় দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতারের গুঞ্জন। আর এরপরই সমুদ্রের পাড়ে ঘুরতে ঘুরতেই সুর চড়ান কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হলে, রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলে দেওয়া হবে বলেই এবার স্পষ্ট করে দিলেন বিজয়বর্গীয়। এদিকে আইনজীবীরা বলেছেন, অস্ত্র আইনে দোষ প্রমান হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা রয়েছে দন্ডবিধিতে। অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বনিম্ন সাজা 3 বছর ও সর্বোচ্চ 10 বছরের কারাদণ্ড।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

প্রযুক্তির দুনিয়ার ঝড় তোলার অপেক্ষায় জিও, আসছে JIO ৪জি ল্যাপটপ



জলের দরে ডেটা। এই মন্ত্রকে হাতিয়ার করে দেশের টেলিকম বাজারকে কার্যত মুঠোবন্দি করে ফেলেছে রিলায়েন্স জিও। এবার প্রযুক্তির দুনিয়ার অন্য দিকগুলিতেও ঝড় তোলার অপেক্ষায় জিও। ইতিমধ্যেই DTH সেট টপ বক্স নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছে জিও। সেখানেও থাকছে চমকপ্রদ 'ওয়েলকাম অফার'। DTH সেট টপ বক্সের পর এবার জিওর পরবর্তী লক্ষ্য, ৪জি ল্যাপটপ। যা দেখতে অনেকটা অ্যাপেলের ম্যাকবুক প্রো-এর মত হবে।

সূত্র বলছে, খুব শিগগিরই ৪জি ল্যাপটপ বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে জিও। ল্যাপটপের সঙ্গে থাকবে একটি ৪জি জিও সিমও। এই মুহূর্তে ল্যাপটপের শেষ মুহূর্তের ডিজাইনিংয়ের উপর কাজ চলছে। অ্যাপেলের ম্যাকবুকের মত ১৩.৩ ইঞ্চি HD স্ক্রিন হবে জিও ল্যাপটপের। ভিডিও কলিংয়ের জন্য থাকবে একটি HD ক্যামেরাও।

ল্যাপটপের সঙ্গে থাকবে একটি চিকলেট কি-বোর্ড। ল্যাপটপের বডি হবে ম্যাগনেশিয়াম অ্যালয়ের। তবে, থাকবে না কোনও কুলিং ফ্যান। আরও মনে করা হচ্ছে, জিও ল্যাপটপের প্রসেসর হবে কোয়াডকোর ইনটেল প্রিমিয়াম। থাকবে ৪জিবি RAM, ১২৮জিবি SSD স্টোরেজ। পাওয়া যাবে LTE, ব্লুটুথ, HDMI পোর্ট, মাইক্রোSD কার্ড স্লটের সুবিধাও।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মেয়েটি কোন কথা বলে না, শুধু বানরের মতো কিচির-মিচির করে



উত্তর প্রদেশের এক অরণ্যে মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যায়।
তার বয়স আট থেকে ১০ বছরে মধ্যে হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

পুলিশ এখন ঐ এলাকার আশেপাশে নিখোঁজ শিশুদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর করছে।
ডাক্তাররা তাকে পরীক্ষা করে বলেছেন, মেয়েটি কোন কথা বলে না, শুধু বানরের মতো কিচির-মিচির করে।

কয়েক সপ্তাহ আগে নেপালের সীমান্ত সংলগ্ন কাতারনিয়াঘাট সংরক্ষিত অরণ্যে একদল বানরের মধ্যে গ্রামবাসীরা যখন মেয়েটিকে প্রথম দেখতে পায়, তখন সে ছিল পুরোপুরি নগ্ন।
সে অপুষ্টিতে ভুগছিল এবং তার দেহে বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষত ছিল।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের একজন কর্মকর্তা সুরেশ যাদব বিবিসিকে বলেন, তারা যখন মেয়েটিকে উদ্ধার করতে যায়, তখনও সে একদল বানরের সাথে খেলা করছিল।

পুলিশ যখন মেয়েটিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিল তখন বানররা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
মেয়েটির নাম রাখা হয়েছে বন দুর্গা।

চিকিৎসার জন্য তাকে লাখনাউয়ের মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
অনেকেই মেয়েটিকে রুডিয়ার্ড কিপলিং-এর অমর উপন্যাস 'জাঙ্গল বুক'-এর প্রধান চরিত্র মোগলির সাথে তুলনা করছেন।

তবে মেয়েটি ঠিক কত দিন ধরে বনে বসবাস করেছে সে সম্পর্কে কোন পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Thursday, 6 April 2017

বিজেপিতে যোগ দিলেন নন্দীগ্রাম তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক



কেষ্টার গ্রামে বড়সড় ধাক্কা খেল তৃণমূল! বিজেপিতে যোগ দিলেন বীরভূমের নন্দীগ্রাম তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি আসানূর রহমান।  তাঁর সঙ্গেই আজ বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দেন শতাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক।  শুধু তাই নয়, তৃণমূলের পাশাপাশি এদিন বিজেপিতে যোগ দেন সিপিএম এবং কংগ্রেসের হেভিওয়েট বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী।  সবার হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব।  ফলে, তৃণমূলের সেনাপতি হিসাবে পরিচিত অনুব্রত মন্ডলের খাস তালুকে এভাবে তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিজেপিতে যোগদান বড়সড় ধাক্কা হিসাবেই মনে করা হচ্ছে।

বীরভুমের র জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “আজ বিভিন্ন দল থেকে ৩০০ জন আমাদের দলে যোগদান করেছে।  দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি ছোটো সভা করা হয়।”  অন্যদিকেম প্রাক্তন তৃণমূলের এই নেতা আসানূর রহমান বলেন, তৃণমূলের দুর্নীতি সহ্য করতে না পেরে বিজেপিতে যোগদান করলাম।  আমি চাই স্বচ্ছ ভারত গঠন হোক।

যদিও দলত্যাগের বিষয়টি অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।  মুরারই ২ তৃণমূল ব্লক যুব সভাপতি সৌমেন মুখোপাধ্যায় এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।  তৃণমূল থেকে যে কোনও নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেনি তা সাফ  জানিয়ে দেন তিনি।  যদিও তাঁদের নাম করা হলে সৌমেনবাবু বলেন, যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তারা আদৌতে তৃণমূলের কেউ নয়।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

জিও’র ১৫দিনের বিনামূল্যে অফার বন্ধ করার নির্দেশ দিল টেলিকম অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই!



অনেক হয়েছে বিনামূল্যের ইন্টারনেট পরিষেবা। এবার বন্ধ করতে হবে। টেলিকম সংস্থা জিও-কে এমনই উপদেশ দিল টেলিকম অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে আগামি ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত ‘ফ্রি’ অফার তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিও।

বৃহস্পতিবার ট্রাইয়ের উপদেশ মেনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আত্মপ্রকাশ করে টেলিকম পরিষেবা জিও। বাজার ধরতে প্রথমে অভিনব ওয়েলকাম অফার দিয়েছিল এই সংস্থা। সেই গ্রাহকদের স্বাগত জানাতে ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে জিও। একইসঙ্গে আউট গোয়িং কলের ক্ষেত্রেও কোনও খরচ করতে হবে না। শেষ লগ্নে বাড়ানো হয় জিও-র ওয়েলকাম অফারের মেয়াদ। ৩১ মার্চ অবধি বিনামূল্যে ইন্টারনেট এবং মোবাইল কল করার কথা ঘোষণা করা হয় টেলিকম সংস্থা জিও-র তরফে।


চমক অব্যাহত ছিল ৩১ মার্চেও। জিও অফারের মেয়াদ আগামী ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে জিও। তবে এক্ষেত্রে ৯৯ টাকার প্রাইম মেম্বারশিপ এবং বেশ কিছু রিচার্জের স্কিম চালু হয়।

জিও-র তরফ থেকে গ্রাহকদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে যে ‘সামার সারপ্রাইজ’ অফারের মেয়াদ এখনই শেষ হচ্ছে না। আর কিছুদিন সময় দেওয়া হবে গ্রাহকদের। এই নিয়ে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

রামনবমীতে অস্ত্র হাতে মিছিল করার জন্য গ্রেফতার হতে পারে দিলীপ ঘোষ !



 রামনবমীতে অস্ত্র হাতে মিছিল করার জের! বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুলিশ।  আজ বৃহস্পতিবার খগড়পুর টাউন থানায় দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন স্থানীয় মানুষজন।  পাশাপাশি, অস্ত্র নিয়ে মামলা করার জন্যে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে খগড়পুর পুলিশ।  প্রত্যেকটি মামলাই জামিন অযোগ্য ধারায় এবং অস্ত্র আইনে করা হয়েছে।  অভিযোগ, রামনবমীর মিছিলে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  এমনকি, তাঁদের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে অস্ত্র।  পাশাপাশি, দিলীপ ঘোষকেও প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে দেখা গিয়েছে।  পুলিশে সমস্ত নির্দেশিকা অমান্য করারও অভিযোগ রয়েছে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।   আর সেজন্যেই এই মামলা বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, শুধু খড়গপুর নয়, কলকাতা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তিনটি মামলা দায়ের করেছে।  ভবানীপুর, এন্টালি এবং পোস্তা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অস্ত্র হাতে এভাবে মিছিল করার কোনও অনুমতি ছিল না।  সেজন্যেই এই মামলা।  সিসিটিভি ফুটেজ ট্র্যাক করে সমস্ত বিজেপি কর্মীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।  প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর।  পাশাপাশি, গতকাল কলকাতার ৩৯টি জায়গায় অস্ত্র মিছিল হয়।  সেই সমস্ত জায়গাতেই মামলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, আজ পুরুলিয়ার জনসভা থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  রামনবমী উপলক্ষে বুধবার রাজ্যজুড়ে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেন বিজেপি নেতারা।  সেই প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার বেলকুড়িতে সরকারি জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, তিনি সব লক্ষ্য রাখছেন।  যদিও দিলীপ ঘোষের নাম না করেই মমতা বলেন, তিনি লক্ষ্য রেখেছেন কোন কোন নেতা অস্ত্র হাতে মিছিল করেছেন।  তিনি সাফ জানিয়ে দেন— ‘তলোয়ার নিয়ে ধমকাতে চমকাতে পথে নামছে।  তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  কোনও রাজনৈতিক দল অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলে আইন আইনের পথে চলবে।’ আর মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।  অনেকের মতে, তাহলে কি এবার দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে মমতা সরকার?

অন্যদিকে, রামনবমীর মিছিল প্রসঙ্গে মমতা প্রশ্ন তোলেন, ‘রাম ফুল দিয়ে পুজো করেছিলেন।  রামের পুজো করতে অস্ত্র কেন লাগবে? তলোয়ার দিয়ে পুজো হয়?’  আর এভাবেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 5 April 2017

তালাক হওয়ার পর আবার বিয়ে বাঁচাতে অচেনা লোকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ?



কোন কারণে বা কেবল রাগের মাথায় শুধুমাত্র তিনবার তালাক শব্দ উচ্চারণ করে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ঘটনা মুসলিমদের মধ্যে প্রায়শই শোনা যায়।  আর তালাক হয়ে যাওয়ার পর আবার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে হলে মহিলাকে অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার যে বিতর্কিত বিধানের কথা উল্লেখ করা হয়, আরবিতে তার নাম ‘হালালা’ বিয়ে।  তবে বাংলাদেশের এই অঞ্চলে যেটি ‘হিল্লা বিয়ে’ নামে পরিচিত।  অধিকাংশ মুসলিম দেশই এই বিতর্কিত হালালা বা হিল্লা বিয়েকে নিষিদ্ধ করেছে।  পূর্ব লন্ডনের ইসলামিক শরিয়া কাউন্সিলও এটি হারাম এবং নিষিদ্ধ উল্লেখ করে এই ধরনের বিয়ের তীব্র বিরোধিতা করছে।  কিন্তু তারপরও ব্রিটেনে এই ধরণের বিয়ের আয়োজনে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু অনলাইন সার্ভিস।  বিবিসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে এই ধরনের সার্ভিসের বিনিময়ে মহিলাকে দিতে হয় কয়েক হাজার পাউন্ড।

হালালার ক্ষেত্রে মহিলাকে অচেনা একজনকে বিয়ে করতে হয়, তার সাথে যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে হয় এবং তারপর তাকে তালাক দিতে হয়।  আর এরপরই সে ফিরে পেতে পারে তার প্রথম স্বামীকে।  বিবিসির কাছে তেমনি একটি ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন ফারাহ।

ফারাহ’র (ছদ্মনাম) স্বামীর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০ বছর বয়সে পারিবারিক এক বন্ধুর মাধ্যমে।  এরপর বিয়ে এবং পরে সন্তান হওয়ার পর থেকেই তার ওপর নির্যাতন শুরু হয় বলে জানান ফারাহ।  বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ককে ফারাহ বলেন, “প্রথমে নির্যাতন করতো টাকার জন্য।  আমার চুল ধরে টেনে দু’রুমের মধ্য দিয়ে ঘরের বাইরে ফেলে দিতে চাইতো”।  এরপরেও ফারাহ আশাবাদী ছিলেন যে অবস্থার পরিবর্তন হবেই এবং তার স্বামীর আচরণ বদলাবে।  কিন্তু তা না হয়ে উল্টো মেসেজ পাঠিয়ে স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দিল।

“আমি বাচ্চাদের সাথে বাসায় ছিলাম, আর সে গিয়েছিলো কাজে।  ফোনে তীব্র তর্কের এক পর্যায়ে সে মেসেজ পাঠালো – তালাক তালাক তালাক”।  আর মুসলিম বিবাহ পদ্ধতি অনুযায়ী এক সঙ্গে তিনবার তালাক উচ্চারণ করলে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।  বেশিরভাগ মুসলিম দেশেরই এটা নিষিদ্ধ কিন্তু তারপরেও এমন ঘটনা হচ্ছে।  আর ব্রিটেনে এটা খুঁজে বের করা মুশকিল যে কত নারী এভাবে তালাক পাচ্ছে।

স্বামীর কাছ থেকে মেসেজ পাওয়ার পর ফারাহ যোগাযোগ করেন পরিবারের সঙ্গে – “আমি বাবাকে পাঠাই ওটা।  তিনি বললেন তোমার বিয়ে শেষ এবং তুমি আর তার (স্বামী) কাছে ফিরে যেতে পারোনা”।  ফারাহ বলেন এই ঘটনায় তিনি খুবই হতাশ হয়ে পড়েন।  কিন্তু তারপরেও তিনি প্রাক্তন স্বামীর কাছে ফেরত যেতে চান, কারণ তিনি তার জীবনের ভালোবাসা।  আর প্রাক্তন স্বামীও দুঃখ প্রকাশ করছিলেন।

আর এটিই ফারাহকে নিয়ে যায় বিতর্কিত হিল্লা বিয়ে পদ্ধতির দিকে।  যা এখন খুব কম সংখ্যক মুসলিমের কাছেই গ্রহণযোগ্য।  যারা এটি বিশ্বাস করেন বা তিন তালাক পদ্ধতি বিশ্বাস করেন, তাদের বিশ্বাস যে আগের স্বামীর কাছে যেতে হলে তাকে অন্য কাউকে বিয়ে করে তালাক দিয়ে এরপর ফিরে যেতে হবে।  কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই হালালা বা হিল্লা বিয়ের সার্ভিস নিতে হয় আর্থিক প্রতারণা কিংবা এমনকি অনেকক্ষেত্রে অনেকে যৌন হয়রানির শিকার হন।  তবে মুসলমানদের বড় অংশই এখন এ ধরনের বিয়ের বিপক্ষে।  এবং বলা হয় যে এটার জন্য দায়ী তালাক সম্পর্কিত ইসলামী আইন নিয়ে ভুল ধারণা।

কিন্তু বিবিসির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে এই ধরনের অনেক অনলাইন সার্ভিস আছে যারা অর্থের বিনিময়ে হালালা বা হিল্লা বিয়েতে সহযোগিতা করে।  এমনকি এই ধরনের অস্থায়ী বিয়ের জন্য অনেক মহিলার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে হাজার হাজার পাউন্ড।  ফেসবুকে হালালা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন করেন এমন একজনের সাথে বিবিসি রিপোর্টার তালাকপ্রাপ্তা মুসলিম মহিলা পরিচয়ে কথা বলার পর সেই ব্যক্তি অস্থায়ী বিয়ের জন্য ২৫০০ পাউন্ড দিতে হবে বলে জানান।  এবং বলেন যে বিয়ের প্রক্রিয়া শেষ করতে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে রাজী হতে হবে। তিনি জানান, তার সঙ্গে ধরনের কাজ করছে আরও কয়েকজন পুরুষ।

পরে যখন বিবিসির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়, তখন তিনি বিষয়টি বেমালুম অস্বীকার করেন এবং বলেন যে তিনি এ ধরনের কাজে সম্পৃক্ত নন।  বরং তার দাবি তিনি ফান করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন।  কিন্তু স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে ফারাহ এমন একজন পুরুষকে খুঁজতে শুরু করেন যিনি স্বেচ্ছায় হালালা বিয়েতে রাজী আছেন।  ফারাহ জানান তিনি কিছু মেয়েকে চেনেন যারা পরিবারের সমর্থন ছাড়াই গেছেন এবং কয়েক মাস ধরে ব্যবহৃত হয়েছেন।

“তারা মসজিদে গেছে এবং সেখানে সুনির্দিষ্ট কক্ষে এটি সম্পন্ন হয়েছে। এরপর ইমাম বা যারা এ সার্ভিস অফার করেছে, তাদের সাথে বিছানায় যেতে হয়েছে।  এবং পরে অন্য পুরুষকেও তার সাথে থাকার অনুমতি দিতে হয়েছে”। কিন্তু পূর্ব লন্ডনের ইসলামিক শরিয়া কাউন্সিল, যারা তালাক নিয়ে নারীদের পরামর্শ দিয়ে থাকে, তাদের একজন কর্মকর্তা খোলা হাসান বলছেন, “হালালা বিয়ে একটি ভুয়া বিয়ে। এটি শুধু অর্থ নেওয়া আর ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের হয়রানির একটি মাধ্যম”।  তিনি বলেন, “এটা নিষিদ্ধ।  আমরা কাউকে হালালা বিয়েতে অনুমোদন দিই না। যা-ই ঘটুক হালালার দরকার নেই”।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

রাজ্যজুড়ে পালিত হয়েছে রামনবমী, এত মানুষ-এর অংশগ্রহন রাজ্যে এই প্রথম



রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে রামনবমী৷ বুধবার সকাল থেকেই জেলায় জেলায় সঙ্ঘ পরিবারের পক্ষ থেকে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। কোথাও অস্ত্র নিয়ে মিছিল হচ্ছে, কোথাও আবার বাইক র‍্যালিতে অংশ নিয়েছেন রামভক্তরা৷ হাওড়ার জগাছার মৌখালি থেকেও দুপুরে বাইক মিছিল শুরু হয়েছে।



সঙ্ঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাওড়া সদরের মোট পাঁচটি পয়েন্ট থেকে বুধবার রামনবমী যাত্রা কর্মসূচি নেওয়া হয়। প্রথম মিছিল বের হয় ডোমজুড় থেকে। বেগড়ী চৌরাস্তা থেকে মিছিল আসে বেগড়ী মন্দির পর্যন্ত। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মৌখালি গীর্জাতলা থেকে বাইক মিছিল ও অস্ত্র নিয়ে মিছিল হয়। মিছিল আসে জগাছা পর্যন্ত।



বাইক র‍্যালিতে হাজারখানেক কর্মী অংশ নেয়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মিছিল হয় এখানে।




এছাড়াও এদিন পদ্মপুকুর থেকে মিছিল বের হয়। দানেশ শেখ লেন হয়ে রামকৃষ্ণপুর ঘাট পর্যন্ত মিছিল যায়। এছাড়া ব্যাতাইতলা থেকেও অনুরূপ মিছিল আসে রামকৃষ্ণপুর ঘাট পর্যন্ত। লিলুয়া দাসপাড়া অটোস্ট্যান্ড থেকেও সন্ধ্যায়  মিছিল হয়। হাওড়া সদরে সঙ্ঘ পরিবারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণীব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রামনবমী উপলক্ষে আমরা এই র‍্যালির আয়োজন করেছি। প্রচুর মানুষ এতে অংশ নিয়েছেন।’’
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp