JanaSoftR
  • সপ্তাহে কতবার যৌনমিলনে আগ্রহী সুন্দরীরা: একটি সমীক্ষা

  • এই নতুন নেশাতেই মজছে স্কুল পড়ুয়ারা, চিন্তায় অভিভাবকরা

  • ট্রেনে একঘন্টায় কলকাতা থেকে দিল্লি!

  • মরুভূমি হয়ে যাবে পাকিস্তান, সিন্ধু অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণ শুরু, প্রবল চাপে পাকিস্তান

Monday, 27 February 2017

এবিভিপি-র বিরুদ্ধে সোচ্চার শহিদ জওয়ানের মেয়েকে পালটা জবাব সহবাগের



রামজশ কলেজে আইসা ও এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষের ঘটনার পর ফেসবুকে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন শ্রীরাম কলেজের ছাত্রী গুরমহর কৌর। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে নিজের প্রোফাইল দিয়েছেন তিনি। প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘আমি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবিভিপি-কে ভয় পাই না।  অন্য ছাত্রছাত্রীরাও তাদের ভয় পায় না’। #StudenstAgainstAbvp নামে ক্যাম্পেনও শুরু করেছেন। তিনি কার্গিল শহিদ ক্যাপ্টেন মনদীপ সিংয়ের মেয়ে।



এর মধ্যে আবার গতবছরের মে মাসে তোলা তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ‌যে ভিডিওতে ওই ছাত্রী দাবি করেছেন, পাকিস্তান তাঁর বাবাকে মারেনি। ‌যুদ্ধ মেরেছে।




এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। ট্যুইটারে খানিকটা ব্যঙ্গের সুরেই ওই ছাত্রীকে জবাব দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সহবাগ। প্যাকার্ড নিয়ে ছবি পোস্ট করছেন। তাতে লেখা, ‘জোড়া ত্রিপল সেঞ্চুরি আমি করিনি। করেছে আমার ব্যাট’। সহবাগ কাকে নিশানা করেছেন, তা স্পষ্ট।



শুধু সহবাগই নন, আরও অনেকেই ওই ছাত্রীর সমালোচনা করেছেন।


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

গোপনাঙ্গে স্ত্রীর লাথি, মৃত্যু এডস আক্রান্ত স্বামীর



বেঙ্গালুরু: স্ত্রী গোপনাঙ্গে লাথি মারায় মৃত্যু হল ৪৭ বছরের এক এডস আক্রান্তের। গত রবিবার রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে যৌনসম্পর্ক করার জন্য স্ত্রীকে বাধ্য করার চেষ্টা করেন উদয় নামে ওই ব্যক্তি। এ নিয়েই ঝামেলার জেরে স্ত্রীর লাথিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। বেঙ্গালুরুর ব্যাটারায়নপুরা থানা এলাকার কভিকা লেআউটে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশে মৃত উদয়ের স্ত্রী নির্মলা (৩৫)-কে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মাদিকেরি থেকে বেঙ্গালুরুতে এসেছিল ওই দম্পতি। তাঁদের ১৭ বছর আগে বিয়ে হয় এবং ১৪ বছরের কন্যাসন্তানও রয়েছে। একটি বেসরকার সংস্থার গাড়ির চালক উদয় রবিবার মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করতে জোর করেন। যেহেতু তিনি এডস আক্রান্ত তাই স্ত্রী তাঁকে বাধা দেন। এরপর দুজনের তুমুল ঝগড়া বেঁধে যায়। রাত তিনটে পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর বচসা চলে।

পুলিশ জানিয়েছে, এরপরও উদয় শান্ত হননি। তিনি ফের সহবাস করার জন্য জোর করেন। নির্মলা রাজি না হলে উদয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। এরপরই স্বামীর গোপনাঙ্গে লাথি মারেন নির্মলা। উদয় বেহুঁশ হয়ে পড়েন। নির্মলা প্রতিবেশীদের সাহায্যে স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।


পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্মলা তাঁর বয়ানে বলেছেন, উদয় তাঁর সঙ্গে সহবাস করতে জোর করেন। তিনি তখন স্বামীকে কনডোম ব্যবহার করতে বললেও তা শোনেননি উদয়। এরপর উদয় নির্মলার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাধ্য হয়েই স্বামীকে সরাতে লাথি মারেন তিনি। স্বামীকে খুনের উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না।

পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

ইতিমধ্যে উদয়ের বোন পরিমালা পুলিশের কাছে নির্মলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, চান্দু নামে একজনের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল নির্মলা। ওই দুজনই উদয়কে খুন করেছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিস চান্দুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

হরিয়ানার এই মোষের দাম উঠেছে ৯.২৫ কোটি, বছরে আয় ৫০ লক্ষ, কিন্তু কেন জানেন?




ইলাহাবাদ:  হরিয়ানার সুপার বাফেলো বা এই বিশাল আকারের মহিষ এখন বিশ্ববিখ্যাত। যুবরাজ নাম তার। কিন্তু বিখ্যাত কেন জানেন হরিয়ানার এই মোষ?  জানা গিয়েছে তার থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৪ মিলি লিটার বীর্য উত্পাদিত হয়। তারপর সেটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তরল করে তার থেকে ৭০০ থেকে ৯০০ ডোজ বীর্য তৈরি হয়। আর সেই দিয়েই উত্পাদন করা হয় দুধেল মহিষের। জানা গিয়েছে এই বীর্য থেকে এখনও পর্যন্ত দেড় লক্ষ দুধেল মহিষের জন্ম হয়েছে। এই সুপার বাফেলো তার মালিককে প্রতিবছর ৫০ লক্ষ টাকা ঘরে এনে দিচ্ছে।

এই বিশ্ববিখ্যাত মহিষের পিছনে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হয় তার মালিকের। সে রোজ কুড়ি লিটার করে দুধ, ১০ কেজি ফল খায়। তারমধ্যে মূলত আপেল ও শালগম থাকে। এছাড়া পাঁচ কিলো সবুজ জাব এবং পাঁচ কেজির খড় রোজ তাকে খেতে দিতে হয়। এছাড়া তাকে রোজ পাঁচ কিমি পথও হাঁটাতে হয়।

এই মহিষের মালিক যুবরাজ করমবীর সিংহ জানিয়েছেন, গত ন বছর ধরে অতি যত্নের সঙ্গে তাকে লালন পালন করেছেন তিনি। এখন তাকে উত্তরপ্রদেশ-মধ্যপ্রদেশের সীমান্তে চিত্রকূটে গ্রামোদয়া মেলাতে বিক্রির জন্যে আনা হয়েছে। ওই মেলার মূল আকর্ষণও সে। তার ওজন ১৫ কুইন্টাল, দৈর্ঘ্য ১১.৫ ফুট, লম্বা ৫.৮ ফুট।

করমবীর জানিয়েছেন, তাঁর এই মহিষ তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে স্বচ্ছলভাবে থাকতে সাহায্য করেছে। তার অন্যান্য গাই-বলদকেও ভালভাবে পালন করার পয়সা যুগিয়েছে এই মহিষ। তবে করমবীর জানিয়েছেন তিনি চাইলে প্রতি ডোজ বীর্য ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে পারতেন, কিন্তু সামাজিক কারণেই তিনি এর দাম কমিয়ে রেখেছেন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

আমার ‘ওখানে’ হাত দেবে না একদম



বুঝুন কাণ্ড৷ লাস্যময়ীর সর্বাঙ্গ দর্শনে আপত্তি নেই কিছু৷ শুধু তার আকর্ষণীয় নিতম্বে হাত রাখাতেই যত আপত্তি৷ আদর করে বিকিনি মডেলের সুন্দর নিতম্বে হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন এক যুবক৷ ক্ষণিকের স্বর্গীয় আনন্দ৷ হয়তো ভেবেও নিয়েছিলেন স্বর্গের নন্দন কাননে বসে ….!

সুখের স্বপ্নে আচমকা কিল চড়ের ঝড়৷ ততক্ষণে ক্ষেপে গিয়েছেন বিকিনি মডেল৷ কেন তুমি আমার নিতম্বে হাত দিয়েছ? এই প্রশ্ন করে ওই যুবককে চড়.কিল মারতে শুরু করেন৷ সুঠাম দেহের বিকিনি সুন্দরীর হাতে মার খেয়ে কিছুই করার ছিল না যুবকের৷

ঘটনা ব্রাজিলের৷ যেখানে বিকিনি খুবই সাধারণ বিষয়৷ একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বিকিনি পরে শো করছিলেন ওই মডেল৷ তখনই তাঁর নিতম্বে হাত বুলিয়ে দেন সঞ্চালনের সঙ্গে যুক্ত এক যুবক৷ বাকিটা ধরা পড়েছে চিত্রগ্রাহকদের ক্যামেরায়৷

দেখুন সেই ভিডিও ফুটেজ


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

এসে গেল ZTE-র হাত ধরে বিশ্বের প্রথম ৫জি ফোন


 বাজারে ভবিষ্যত প্রজন্মের স্মার্টফোন আনল চিনা টেলিকম সংস্থা ZTE। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই ফোনটি ৫জি মোবাইল পরিষেবা ব্যবহারের উপযুক্ত।

 রবিবার স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব মোবাইল সম্মেলনে ZTE-এর এই নতুন গিগাবিট স্মার্টফোনের সাহায্যে ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরামিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভিডিয়ো এবং হাইফাই মিউজিক ও ভিডিয়োর দ্রুত ডাউনলোড প্রদর্শন করা হবে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গিগাবিট ফোনের ডাউনলোড স্পিড প্রতি সেকেন্ডে ১ গিগাবাইট, অর্থাত্‍ চলতি ৪জি স্মার্টফোনের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত এই ফোন।

 ZTE-র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'নতুন ফোনটি স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রচলিত ধারণা আমূল পাল্টে দেবে। ZTE-র আগামী কর্মসূচি জুড়ে থাকবে ৫জি প্রযুক্তি।'



 ২০২০ সাল নাগাদ বাণিজ্যিক ভাবে ৫জি পরিষেবা চালু হতে চলেছে। তার আগে ২০১৮ সালের শীতে ৫জি পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা কে টি কর্প। ইতোমধ্যে বিশ্বের তাবড় প্রযুক্তি সংস্থা ৫জি কম্প্যাটিবল স্মার্টফোন ও ডিভাইস তৈরির দৌড়ে সামিল হয়েছে।

 উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে স্থাপিত ZTE টেলিকম সামগ্রী ও পরিষেবা বিপণন করে এবং বিশ্বের ১৬০টি দেশজুড়ে তাদের গ্রাহক রয়েছে। এমনকি খোদ আমেরিকাতেও সংস্থা নির্মাত স্মার্টফোনের চাহিদা রয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 26 February 2017

এগুলি মেনে চললেই বাঁচবেন বসন্তরোগ থেকে



দিনের বেলা সূর্যের তেজ বাড়ছে। আর রাতের দিকে নামছে পারদ। যা বুঝিয়ে দেয় শীতকাল আর নেই, বসন্তকাল এসে গিয়েছে। আর বসন্তকাল মানেই চিকেন পক্স বা বসন্তরোগ আগমন। কীভাবে ছড়ায় এই রোগ? এর প্রতিষেধকই বা কী? কীভাবে বুঝবেন আপনি চিকেন পক্সে আক্রান্ত? জেনে নিন এই প্রতিবেদনে-

মূলত ভ্যারিসেলা-জস্টার ভাইরাসের দ্বারাই একজনের শরীর থেকে অন্যের শরীরে ছড়ায় চিকেন পক্স। শীতের শেষে এবং বসন্তের শুরুতে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় ভাইরাসটি বাতাসে ভাসে৷ অন্য সময়ও হতে পারে৷ ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত পক্স হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি৷ তবে ছোটবেলায় একবারও পক্স না হলে পরে যেকোনও বয়সেই কিন্তু হতে পারে৷ জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, কোমরে-পিঠে ব্যথা, দুর্বলভাব ও ফ্লুয়ের মতো লক্ষণ থাকে৷ দু-একদিন জ্বর ১০০ থেকে ১০৩ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। তারপর পিঠ, বুক, কপাল, হাত, মুখে ব়্যাশ বের হয়। ব়্যাশ বেরনোর দু’দিন আগে থেকে সেটির ছাল ওঠার শুরু পর্যন্ত একজন রোগীর দেহ থেকে অন্যজনের দেহে ভাইরাস ছড়িয়ে যায়৷

রোগের হাত থেকে মুক্তি
পক্সে আক্রান্ত বাচ্চার আনুষাঙ্গিক কোনও সমস্যা না থাকলে লক্ষণ অনুযায়ী সাধারণ জ্বর, অ্যালার্জির চিকিৎসাই করা হয়৷ কিন্তু শিশু অথবা বয়স্কদের পক্সের সঙ্গে লিউকোমিয়া, ক্যানসার অথবা অনান্য অসুখের চিকিৎসা চললে অ্যান্টি ভাইরালথেরাপি করতে হবে৷ ওষুধ দিয়ে তিন ধরনের অ্যান্টি ভাইরাল থেরাপি করা হয়৷

ভ্যাকসিন
চিকেন পক্সের প্রধান ভ্যাকসিন ‘ওকা ভ্যাকসিন’৷ ১২-১৫ মাস বয়সে এর প্রথম ডোজ নিতে হবে৷ দ্বিতীয়টি নিতে হবে ৪ থেকে ৬ বছর বয়সের মধ্যে৷ যদি ১২-১৫ মাস বয়সে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর পক্স হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আর দ্বিতীয় ডোজ নিতে লাগে না৷ কিন্তু পক্স না হলে দু’বারই ডোজ নিতে হবে৷ যাদের ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত পক্স হয়নি এবং ভ্যাকসিনও নেওয়া নেই, তাদের ক্ষেত্রে এই দুটি ডোজই ১৩ বছরের পর যে কোনও বয়সে একমাসের ব্যবধানে নিয়ে নিতে হবে৷

যাঁদের কখনই পক্স হয়নি তাঁরা রোগীর থেকে দূরে থাকুন৷ কারণ ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীর সংস্পর্শে আসার জন্যই অনেকে পক্সে আক্রান্ত হয়৷ রোগীর সংস্পর্শে থাকতে হলে পরিবারের বাকিদের অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি প্রয়োজন৷ রোগীর ব়্যাশ বেরনোর ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে পরিজনদের এই থেরাপি নিতে হবে৷ বাড়িতে প্রিম্যাচিওর বেবি, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা থাকলে ‘ভ্যারিসেলা জস্টার ইমিউনো গ্লোবিউলিন’ নামে প্রতিষেধক যত শীঘ্র সম্ভব নিতে হবে৷

হোমিওপ্যাথি মতে, প্রতিরোধক হিসাবে Veriolinum, Malandrinum ওষুধ এক অথবা দু’ডোজ খেলে উপকার মিলবে৷ আবার পক্স রোগীরাও হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা করতে পারেন৷ তবে সে ক্ষেত্রে রোগীর বয়স ও লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা ওষুধ দেন৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Thursday, 23 February 2017

'ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি'! পৃথিবীর মতো আরও ৭ গ্রহের সন্ধান, প্রাণ আছে?



 সত্যজিতের 'ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি', 'বঙ্কুবাবুর বন্ধু' থেকে স্পিলবার্গের 'E.T'। ভিনগ্রহীরা আছে, এই বিশ্বাসেই তৈরি হয়ে গিয়েছে একাধিক ছবি ও গল্প। এ বার হয়তো তাদের খোঁজ মিলল! এই প্রথম পৃথিবীর মাপের
আরও ৭টি গ্রহের আবিষ্কার করলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই গ্রহগুলিতে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা প্রবল।

 বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং অনেক দিন ধরেই দাবি করছেন ভিনগ্রহীরা রয়েছে। হকিংয়ের গবেষণালব্ধ দাবিই বাস্তব হওয়ার মুখে। NASA জানিয়েছে, এই গ্রহগুলি ৪০ আলোকবর্ষেরও কম দূরত্বে রয়েছে। বুধবার রাতে এই আবিষ্কারের কথা ঘোষণা হতেই তামাম দুনিয়ায় আলোড়ন পড়ে যায়। Trappist-1 নামে একটি বামন নক্ষত্রকে ঘিরে রয়েছে এই সাতটি গ্রহ ।
Trappist-1-এর আয়তন বৃহস্পতির মাপের। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ৭টি গ্রহের মধ্যে তিনটিতে জল থাকতে পারে। আর জল থাকলে প্রাণও থাকবে।

 বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাণ কিনা তা বোঝা যাবে গ্রহগুলির আবহাওয়া ও পরিবেশ নিয়ে গবেষণার পর। তবে প্রাণ থাকার সম্ভাবনাই বেশি। ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজের গবেষক আমওরি ট্রিয়উডের কথায়, 'পৃথিবীর বাইরে প্রাণের খোঁজে আমাদের এটা বড়সড় পদক্ষেপ।' ম্যাসাচুসেটস ইন্সস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-র বিজ্ঞানী সারা সিগারের কথায়, 'গ্রহ-সন্ধানের ইতিহাস বলছে, যদি একটি গ্রহ আবিষ্কার হয়, তাহলে সেখানে আরও বহু গ্রহ থাকবে।'

 NASA-র গবেষক থমাস জুরবুচেনের মতে, এই আবিষ্কার থেকে একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট, দ্বিতীয় পৃথিবী রয়েছে। কিন্তু সেই বহু চর্চিত প্রশ্নটাই আবার উস্কে দিচ্ছে, 'আমরা কি সেখানে একা? নাকি আরও কেউ রয়েছে? প্রশ্নটির উত্তর পেতেই আমরা এগোচ্ছি। মনে হয়, উত্তরে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি।'

 বিজ্ঞানীর দেখেছেন, সাতটি গ্রহের 'সূর্য' হল Trappist-1। গবেষকদের মতে, যদি গ্রহগুলির মধ্যে একটিতেও পৃথিবীর মতো আবহাওয়া থাকে, তাহলে প্রাণও থাকবে, নিশ্চিত।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

১ লক্ষ টাকা ঋণে ঋণগ্রহীতাকে শোধ করতে হবে মাত্র ৫০ হাজার টাকা


কলকাতা:  রাজ্যের বেকার ‌যুবক ‌যুবতীদের স্বনির্ভর করতে নতুন প্রকল্প ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। স্বনির্ভর ও স্বনি‌যুক্তি দফতরের এই প্রকল্প চালু হলে বেকার ‌যুবক ‌যুবতীরা বিশেষ সুবিধা পাবেন। জেলায় জেলায় নতুন ব্যবসা শুরুতে উৎসাহ দিতেই এই প্রকল্প জানিয়েছেন দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।

সাধনবাবু জানিয়েছেন, স্বনির্ভর দফতর এবারের বাজেটে ৫০ কোটি টাকা পেয়েছে। এই টাকায় ‘মুক্তিধারা’ নামে একটি স্কিম চালু করতে চলেছে সরকার। তাতে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে কেউ ঋণ নিলে তাতে ৩০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে সরকার। অর্থাৎ ১ লক্ষ টাকা ঋণে ঋণগ্রহীতাকে শোধ করতে হবে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন এক ব্যক্তি। সেক্ষেত্রে তাঁকে ফেরত দিতে হবে মাত্র সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।

বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য দেওয়া হবে এই ঋণ। সাধনবাবুর কথায়, রাজ্য সরকারের পক্ষে সবাইকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এই প্রকল্প। এর আগে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প বেশ সাড়া ফেলেছে। এর মধ্যে সবার আগে রয়েছে ‘কন্যাশ্রী’। এই প্রকল্পের ফলে রাজ্যে বাল্যবিবাহ অনেক কমেছে বলে দাবি সরকারের।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Tuesday, 21 February 2017

মেয়েরা শুনছেন? সামান্য একটা সায়ার দড়ি আপনার মৃত্যুর কারণ হতে পারে!



দীর্ঘ দিন ধরে আঁটোসাঁটো করে সায়া পরার অভ্যাস থাকলে সাবধান। চিকিত্‍সকরা জানাচ্ছেন, বহু বছর ধরে খুব শক্ত করে সায়ার দড়ি বাঁধলে হতে পারে প্রাণঘাতী ক্যানসার।

 সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের মধ্যে তলপেট ও পেটের উপরিভাগে ত্বকের ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ছে। চিকিত্‍সকদের মতে, দীর্ঘ দিন ধরে সায়ার দড়ি অত্যন্ত শক্ত করে বাঁধার ফলে ত্বকে চুলকানি ও ক্ষত তৈরি হয়। বহু দিন ধরে তা উপেক্ষা করার ফলে শেষ পর্যন্ত মারাত্মক ত্বকের ক্যানসার দেখা দেয়। উপসর্গটিকে 'শাড়ি ক্যানসার'  নামে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

 সমীক্ষায় এমন দৃষ্টান্ত পাওয়া গিয়েছে মাত্র তিনটি। কিন্তু ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ শুধু হিমশৈলের চূড়া মাত্র। ভারতের অধিকাংশ গ্রামে এই রোগের শিকার হচ্ছেন অসংখ্য নারী।

মুম্বইয়ের গ্র্যান্ট মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর জি ডি বকশির মতে, 'শাড়ির নীচে পরা পেটিকোটের দড়ি দীর্ঘ দিন ধরে শরীরের একই জায়গায় পরার ফলে দড়ির ঘষা লেগে ত্বকে চুলকানি তৈরি হয়। শরীরের এই অস্বস্তি উপেক্ষা করলে এর পর ওই জায়গায় ত্বকের চরিত্রে পরিবর্তন ঘটে। খসখসে হয়ে শুকনো চামড়া উঠতে শুরু করে এবং ত্বকের রংও পাল্টে যায়। মহিলাদের কোমরের আশেপাশে ত্বকে এমন প্রদাহ সৃষ্টি হলে অনেক সময় তা মারাত্মক ক্যানসারে পরিবর্তিত হয়।'

 তাঁর সংযোজন, 'বেশির ভাগ ভারতীয় মহিলাদের কোমরের উপর শাড়ির দড়ি থেকে কালচে দাগ ও ত্বক ফেটে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। বিষয়টি স্বাভাবিক বলে দরে নেওয়ার চল আছে।' ডক্টর বকশির মতে, সময় মতো গুরুত্ব না দেওয়ার ফলেই ক্রমে ক্যানসারের শিকার হন মহিলারা।

 কী ভাবে এই বিপদ এড়ানো যায়?

 ডক্টর বকশি জানিয়েছেন, 'নিয়মিত সায়ার দড়ি পাল্টে এবং তাকে চওড়া করে পরলে সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এ ছাড়া দড়ি বাঁধলে তা একটু ঢিলেঢালা রাখা উচিত।'

 তবে তাঁর মতে, 'রাতারাতি এমন বিপদ ঘটে না। সমীক্ষায় আমরা দেখেছি, যে সমস্ত মহিলা নাগাড়ে ৩০ হবছরের উপর সায়া পরছেন, এবং গত ৫ বছর ধরে ত্বকের ওই অংশে চুলকানি অনুভব করছেন, তাঁদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অবিলম্বে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।'
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ট্রেনে বসে তাস ! জেলে যেতে হতে পারে


দূর কোথায় যাচ্ছেন। যেতে যেতে দেখলেন ট্রেনটা যেদিকে ঘুরছে সেই অ্যাঙ্গেল থেকে একটা সেলফি তো বানতা হ্যায় ! যেই মনে হল ওমনি তুলে নিলেন নিজের মুঠোফোনে। কিংবা ২৪ ঘণ্টার ট্রেন জার্নি। বই পড়ে বা গল্প করে কতটা সময় কাটে। তাই পার্টনার জুটিয়ে বসে পড়লেন ব্রিজ খেলতে। এইভাবে এতদিন কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু, না এবার থেকে ট্রেনে বসে এইগুলি ইচ্ছেমতো করা আর হয়তো যাবে না। নিষেধ অমান্য করলে কপালে ফাইন বা জেলযাত্রাও জুটতে পারে।

ট্রেনজার্নির ফাঁকে কেউ কেউ একটু-আধটু সেলফি তোলা বা তাস খেললেও, কেউ কেউ এটাকে নিজেদের অভ্যাসে পরিণত করেছেন, বলাই চলে। কেউ কেউ তো আবার নিজের জন্মগত অধিকারে ! শুনতে খারাপ লাগলেও এটা সত্যি যে দূরপাল্লার ট্রেনে এই বিষয়গুলি কম হলেও লোকাল ট্রেনগুলিতে কিছু সংখ্যক নিত্যযাত্রীর অতিরিক্ত সেলফিপ্রিয়তা ও তাসখেলার নেশায় নাভিশ্বাস উঠত অন্য যাত্রীদের। ট্রেনে বসার সিটের মাঝে থাকা দাঁড়ানোর জায়গায় কোমরে রুমাল বেঁধে চার জন মিলে তাস খেলার নেশা অন্য কারোর সমস্যা তৈরি করলেও ভ্রুক্ষেপ করত না কেউ। কিন্তু সেই দিন বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রেল। সূত্রের খবর, দুটি বিষয়কে এবার থেকে গুরুতর অপরাধ বলে গণ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেলদপ্তর। এরজন্য রেলওয়ে আইনে একটি সংশোধনী আনারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।

রেলদপ্তর সূত্রে খবর, অনেকদিন ধরেই এই বিষয়ে প্রচুর অভিযোগ আসছিল। পাশাপাশি চলন্ত ট্রেনে সেলফি বা চলন্ত ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার প্রবণতার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। তাই বিষয়টি কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে এবার উদ্যোগী হচ্ছে রেল। আর সেলফি তোলার বিরুদ্ধে প্রথম আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে গুজরাত ডিভিশন থেকে। এরপরে দেশের বাকি ডিভিশনগুলিতেও একই জিনিস শুরু করা হবে। এই বিষয়ে আইন আগেও ছিল। কিন্ত, সেই আইন আরও কড়া করতে রেলের তরফে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রদপ্তরের অনুমোদনের জন্য।

রেলদপ্তরের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, GRP ও RPF-কে এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। তাদের বলা হবে কেউ যদি ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময়ে কিংবা ট্রেনের কামরা ও গেটে বা রেলওয়ের ট্র্যাকে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলে- তাহলে আটক করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। পাশাপাশি যারা ট্রেনের মধ্যে তাস খেলতে গিয়ে ধরা পড়বেন তাঁদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইনের ১৪৫ ধারা অনুযায়ী মাতলামি, গন্ডগোল সৃষ্টি করা ও অন্য যাত্রীদের অসুবিধা সৃষ্টির জন্য আটক করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

এবার ট্রেনে সেলফি তুললেই জেল!


যে হাতে সেলফি তুলছেন খোশ মেজাজে, সেই হাতেই পরতে হতে পারে হাতকড়া!

চলন্ত ট্রেন হোক বা রেললাইন, রেলের যে কোনও জায়গায় দাঁড়িয়ে সেলফি তুললে এবার থেকে শুধু জরিমানা নয়, টানতে হতে পারে জেলের ঘানিও৷ দেশজুড়ে একের পর এক সেলফি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু রুখতে এবার এমনই কড়া নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে রেলমন্ত্রক৷ যেখানে অন্যান্য আইনের সঙ্গে সেলফি আটকাতে এই নতুন আইনে আরও বেশি ক্ষমতা পাবে রেলপুলিশ৷

রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশজুড়ে সমীক্ষা চালিয়ে রেলের কর্তা ব্যক্তিরা দেখেছেন চলন্ত ট্রেনের সামনে, চলন্ত ট্রেনের দরজায়, রেলওয়ে ওভারব্রিজের উপর, দূরপাল্লার ট্রেনের ইঞ্জিনকে পিছনে রেখে, প্ল্যাটফর্মের ধারে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে৷ অনেক ক্ষেত্রেই সেলফি তোলার সময় খেয়াল থাকে না সামনে বা পিছন দিক থেকে ট্রেন আসছে কি-না৷ ফলে চালকের কোনও দোষ না থাকলেও দুর্ঘটনা ঘটে যায়৷ কারও মৃত্যু হয়৷ কখনও আবার ভয়ঙ্কর পরিণতি আটকাতে আপৎকালীন ব্রেক কষেন ট্রেনের চালক৷ যার ফলে আরও ভয়াবহ কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে৷ কিন্তু বর্তমানে ট্রেনের যাত্রীদের ক্ষেত্রে যে সমস্ত আইন প্রয়োগ করা যায়, তাতে কোথাও সেলফি তোলার ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না রেলপুলিশের৷ বিষয়টি নিয়ে নাকি উদ্বিগ্ন ছিলেন স্বয়ং রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুও৷ সূত্রের খবর, পরিস্থিতির সমাধানে রেলমন্ত্রী একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকও করেন আরপিএফের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে৷ তাঁদের এবিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন৷ গতবছরের নভেম্বর মাসে আরপিএফের তরফে রেলমন্ত্রকে প্রস্তাব দিয়ে নয়া সার্কুলার জারি করার সুপারিশ করা হয়৷

কী রয়েছে এই সার্কুলারে? সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চলন্ত ট্রেনের কামরায়, রেললাইনে এবং রেলওয়ে ওভার ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে ধরা পড়লে তা অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে৷ সেক্ষেত্রে ধৃত ব্যক্তির ন্যূনতম ছ’মাস জেল, অথবা দু’হাজার টাকা জরিমানা করা হবে৷ রেল সূত্রে খবর, রেলের এলাকায় কেউ সেলফি তুললে সেকশন ১৪৫ অশালীন কাজকর্ম, সেকশন ১৪৭ রেলের সংরক্ষিত এলাকায় বিনা অনুমতিতে ইচ্ছা অনুযায়ী কাজকর্ম এবং ১৫৩ রেল যাত্রীদের সুরক্ষায় বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে৷ কারণ কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুললে তাঁকে বাঁচানোর কথা ভেবে ট্রেনের চালক আপৎকালীন ব্রেক কষেন৷ যার ফলে ঘটতে পারে বড় কোনও দুর্ঘটনা৷ তাই চলন্ত ট্রেনের সামনে কেউ সেলফি তুললে তাঁর বিরুদ্ধে ১৫৩ নম্বর ধারা প্রয়োগ করতে চায় আরপিএফ৷ আরপিএফের তরফে রেলমন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল, রেলের এলাকায় সেলফি তোলা বন্ধ করতে কঠোর আইন আনা দরকার৷ কারণ শাস্তির ভয় না থাকলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে না৷ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “রেলের এলাকায় সেলফি তোলা বেআইনি৷ আরপিএফ কড়া নজর রাখছে৷ সেলফি তুলতে গিয়ে রেলের এলাকায় ধরা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷”
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

বিশাল ধামাকা, ২০১৮ পর্যন্ত ‘ফ্রি’ জিও! ঘোষণা খোদ মুকেশ অম্বানির



শর্ত সাপেক্ষে ফের ফ্রি-অফার বাজারে নিয়ে এল রিলায়েন্স জিও। মাসে ৩০৩ টাকায় মিলবে জিও-র এই পরিষেবা। জিও যে ধামাকা দিল তাতে ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ভারতীয় টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে। এমনিতেই বলা হচ্ছে জিও-র জন্য এখন বিশাল ক্ষতির সামনে ভারতীয় টেলিকম ক্ষেত্র।


আপনি কি জিও গ্রাহক? বা এরমধ্যে কি জিও সিম নিতে চাইছেন? তাহলে জলদি করুন। নাহলে আপনার হাত থেকে ছুটে যেতে পারে এক বিশাল সুযোগ। যাতে নাম লেখাতে পারলে আপনি ২০১৮ পর্যন্ত নাম মাত্র অর্থে পেয়ে যেতে পারেন জিও-র ফ্রি-অফার।

১০ কোটি গ্রাহকের মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে জিও। মাত্র ১৭০ দিনে এই লক্ষ্যে জিও পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি করছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ অম্বানি। মঙ্গলবার জিও-র ১০ কোটি গ্রাহকে মাত্রা ছোঁয়া নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুকেশ অম্বানি। আর সেখানেই তাঁর ঘোষণা ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত পাওয়া যাবে জিও-র ফ্রি-অফার

এই ফ্রি-অফার অবশ্য শুধুমাত্র সেই সব জিও গ্রাহকদের জন্য যাঁরা ইতিমধ্যে এই মোবাইল পরিষেবা সংস্থার গ্রাহক হিসাবে নাম লিখিয়েছেন অথবা চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে নাম লেখাবেন।
‘জিও-প্রাইম’ নামে এই ফ্রি-অফার চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মুকেশ অম্বানি। ১লা মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে জিও-প্রাইম-এর সদস্যপদ নিতে হবে গ্রাহকদের। এর জন্য ৯৯ টাকা দিতে হবে।

‘জিও-প্রাইম’-এর সদস্যপদ একবার পাওয়া হয়ে গেলে মাসে মাসে ৩০৩ টাকা জমা করতে হবে। দিন প্রতি ১০ টাকা। এর ফলে ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত জিও-র ভয়েস কল থেকে শুরু করে ইন্টারনেট, মিডিয়া সার্ভিস সব আনলিমিটেডভাবে ব্যবহার করা যাবে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Monday, 20 February 2017

আইপিএল ২০১৭ নিলামে ভারতীয় ও বিদেশি যে খেলোয়াড়রা 'বিক্রি' হলেন


বেঙ্গালুরু, ২০ ফেব্রুয়ারি : আইপিএল ১০ এর নিলাম হয়ে গেল এদিন বেঙ্গালুরুতে। সবচেয়ে বেশি ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দাম পেলেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ২৫ বছর বয়সী বেন স্টোকস বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান ও ডান হাতি মিডিয়াম পেসার। এদিন তাঁকে কিনে নিল রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস।


এদিনের নিলামের ফলে বেন স্টোকস আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দাম পাওয়া দ্বিতীয় খেলোয়াড় হলেন। এর আগে যুবরাজ সিং আইপিএল ইতিহাসে সর্বাধিক ১৬ কোটি টাকা দাম পেয়েছেন। তবে বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে বেন স্টোকসই সব আইপিএল মিলিয়ে সর্বাধিক দামে দল পেলেন। এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় ও বিদেশি কোন কোন ক্রিকেটার এদিন আইপিএল নিলামে দল পেলেন।



নিলামে দল পাওয়া ভারতীয় খেলোয়াড়দের তালিকা

 পবন নেগি, অঙ্কিত বাউয়ানে, তন্ময় আগরওয়াল, কে গৌতম, রাহুল তেওয়াটি, আদিত্য তারে, একলব্য দ্বিবেদী, অনিকেত চৌধুরী, টি নটরাজন, নাথু সিং, বেসিল থাম্পি, এম অশ্বিন, টিএস বারোকা, সরবজিত লাড্ডা, প্রবীণ তাম্বে, ঋষি ধাওয়ান, কর্ণ শর্মা, জয়দেব উনাদকাট, মনপ্রীত গনি, বরুণ অ্যারন, সৌরভ তিওয়ারি, প্রবীণ দুবে, নবদীপ সাইনি, রাহুল চাহার, সৌরভ কুমার, মুনাফ প্যাটেল, চিরাগ সুরি, শেলি শৌর্য, শুভম আগরওয়াল, সঞ্জয় যাদব, ইশাঙ্ক জগ্গি, প্রথম সিং, রাহুল ত্রিপাঠী, সায়ন ঘোষ, মনোজ তিওয়ারি


নিলামে দল পাওয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের তালিকা

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, বেন স্টোকস, কোরি অ্যান্ডারসন, নিকোলাস পুরান, কাগিসো রাবাদা, ট্রেন্ট বোল্ট, তাইমল মিলস, প্যাট কামিন্স, মিচেল জনসন, মহম্মদ নবি, রশিদ খান, ক্রিস ওকস, ম্যাট হেনরি, মার্টিন গাপটিল, জেসন রয়, ক্রিস জর্ডন, নাথন কুল্টার-নাইল, বেন লাফলিন, বিলি স্ট্যানলেক, মহম্মদ সিরাজ, ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান, আসেলা গুনরত্নে, রভম্যান পাওয়েল, ড্যারেন স্যামি, ড্যারেন ব্র্যাভো, লকি ফার্গুসন
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

'গুজরাতের গাধা'দের জন্য নাম না করে বিগ-বিকে প্রচারে বারণ করলেন অখিলেশ


রবিবার উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে প্রচারে এসে কবরস্থানের প্রসঙ্গ তুলে অখিলেশকে বিঁধেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর আজ 'গুজরাতের গাধা' বলে পাল্টা মোদীকে বিঁধলেন অখিলেশ। যা করতে গিয়ে নাম না করে টেনে আনলেন অমিতাভ বচ্চনকেও!


সোমবার ভোট প্রচারে রায়বরেলীতে যান অখিলেশ সিংহ যাদব। সেখানে এক জনসভায় দাঁড়িয়ে অখিলেশ বিগ-বি-কে 'গুজরাতের গাধাদের' হয়ে প্রচার না করার অনুরোধ করেন। তৃতীয় দফার ভোট শান্তিতে মিটলেও মন্তব্য এবং পাল্টা মন্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন পর্ব।
এ দিন অখিলেশ বলেন, ''আমি দেশের এই শতকের শ্রেষ্ঠ তারকাকে অনুরোধ করব গাধাদের জন্য প্রচার না করতে।

গাধাদের জন্য কেউ কখনও প্রচার করতে দেখেছেন? গুজরাতের মানুষ তাই করছেন। আর কবরস্থানে আলো লাগানোর জন্য আমাকে দুষছেন!'' সরাসরি নাম না করলেও অখিলেশ যে অমিতাভ বচ্চনকেই এখানে টেনে আনেন তা বেশ স্পষ্ট। কারণ, অমিতাভ বচ্চন গুজরাতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। গুজরাতের কচ্ছ ওয়াইল্ড অ্যাস ওয়াইল্ডলাইফ অভয়ারণ্যের প্রচারে তিনি একটি বিজ্ঞাপন করেছেন। সেখানেই প্রায় ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এলাকায় গাড়ি নিয়ে 'ওয়াইল্ড অ্যাস' খুঁজতে দেখা যায় তাঁকে। 'ওয়াইল্ড অ্যাস'-কে সামনে রেখে পর্যটকদের গুজরাতে আসার অনুরোধ জানান তিনি।

গতকালই ফতেপুরে কবরস্থানের প্রসঙ্গ তুলে মোদী  বলেন, ''এখানে একটা গ্রামে কি শুধু কবরস্থান আছে? শ্মশানঘাটও তো আছে। রমজানে যদি আলো দেওয়া হয়, হোলিতে অন্ধকার থাকবে কেন?''

যার পর বিজেপির তরফ থেকে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। অখিলেশ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন বলে বিজেপির নরসিমা রাও মন্তব্য করেন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ব্রাহ্মণদের জন্য ভাতা চালুর দাবি পুরুলিয়ায়


ব্রাহ্মণদের জন্য ভাতা চালুর দাবি তুলল ব্রাহ্মণ সমাজ। ইমামদের ভাতা দেওয়া হলে তাদেরও ভাতা দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে তারা। আজ পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর মহকুমায় মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এলাকার বাসিন্দা ছাড়াও ঝাড়খণ্ড থেকেও অনেকে ওই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।


ওই সংগঠনের পক্ষে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, সারা দেশে আজ অস্তিত্বের সঙ্কটে মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণরা। তাঁদের সবরকমভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সরকারি সুবিধা না পাওয়ায়  দিনে দিনে পুরোহিতদের পেশাও অবলুপ্ত হচ্ছে। এর মধ্যেই ইমামদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ভাতা চালু করা হয়েছে। তাই ব্রাহ্মণদের জন্যও ভাতা চালু করতে হবে।



প্রথম মহাসম্মেলনে মানব জাতীর শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ যজ্ঞ করল পুরুলিয়ার ব্রাহ্মণ সমাজ। সেখানেই যজ্ঞ করেন উপস্থিত ব্রাহ্মণরা। 
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ভারতের সাফল্যে মাথা হেঁট চিনের


কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তির প্রচারে চিনের থেকে অনেক ভাল কাজ করেছে ভারত।  এমনটাই মনে করছেন লালচিনের বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি সাংহাই ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার ফর মাইক্রোস্যাটেলাইট-এর নব্য প্রযুক্তি দফতরের অধিকর্তা জ্যাং ইয়ংহে জানিয়েছেন, ভারত দেখিয়ে দিয়েছে, স্বল্প খরচে কী করে বাণিজ্যিক উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে হয়। শুধু তাই নয়, জ্যাংয়ের মতে, এই ক্ষেত্রে ভারত চিনের থেকে দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছে। এখন বেজিংকে নিজেদের বাণিজ্যিক মহাকাশযান ও উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।


চিনের সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রথমে ভারত প্রথম মঙ্গলে সফল অভিযান করল। এখন রেকর্ড সংখ্যক উপগ্রহ একসঙ্গে মহাকাশে পাঠাল। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ২০১৪ সালে ভারত প্রথমবারেই সফল মঙ্গল অভিযান করেছে। সেখানে ২০১২ সালে চিনের অভিযান ব্যর্থ হয়। এরপর একসঙ্গে ১০৪টি উপগ্রহ মহাকাশে সাফল্যের সঙ্গে পাঠিয়ে দিল ইসরো। সেটাও অবশ্যই বড়সড় সাফল্য ভারতের। তবে এভাবে প্রশংসা করলেও, গত কয়েকদিন আগেই এই সংবাদপত্রেই ভারতের সাফল্যকে খাটো করে দেখানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, ভারত ছোট উপগ্রহ পাঠালও, বড় উপগ্রহ পাঠানোর ক্ষমতা নেই—যা আছে চিন, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

এই নতুন নেশাতেই মজছে স্কুল পড়ুয়ারা, চিন্তায় অভিভাবকরা



দেখতে অবিকল পেনের মতো। সঙ্গে রয়েছে একটি ছোট্ট বোতল। যেখানে রয়েছে মাদকটি। বাজারি নাম পেন হুকা। পানের দোকান, মোবাইলের দোকান বা ছোটখাটো স্টেশনারি দোকানে চলছে দেদার বিক্রি। আপাতত স্কুল পড়ুয়ারা মজেছে পেন হুকার নেশাতেই। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি স্কুল থেকে তা বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। হাতেনাতে ধরা পড়েছে নবম শ্রেণির এক স্কুলপড়ুয়াও।

স্কুল পড়ুয়াদের লাগামছাড়া রোজনামচা ক্রমেই চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে বাবা-মায়ের কপালে। যেমন মুম্বইয়ের এই স্কুলের ঘটনাটি। স্কুল শিক্ষক ওই ছাত্রের বাবা-মাকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এর বেশি বলতে চাননি তিনি।

৫০০ টাকা দিলেই মিলছে এই পেন হুকা। রয়েছে বিভিন্ন ফ্লেভারও। তার জন্য অবশ্য দিতে হবে অতিরিক্ত টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পেন হুকায় যে নিকোটিনটি রয়েছে তা সিগারেটের চেয়েও ভয়ঙ্কর। আন্ধেরি পুলিশের আধিকারিক প্রবীণকুমার পাতিল জানান, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি। কেউ ধরা পড়লে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে।”
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

দেশেই এবার বুলেট ট্রেন ছুটবে সমুদ্রের তলা দিয়ে


নয়াদিল্লি: কলকাতায় নদির তলা দিয়ে চলবে মেট্রো। একথা আমরা জানি। তাই বলে সমুদ্রের তলা দিয়ে ট্রেনযাত্রা! এমন রোমহর্ষক ঘটনা ঘটতে চলেছে এদেশেই। এবার সমুদ্রের তলা দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন। মুম্বই থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার পথেই এই অভিজ্ঞতা হবে যাত্রীদের।

মুম্বই-আহমেদাবাদ রুটে চলবে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন। এই রুটেরই বেশ খানিকটা (৭ কিলোমিটার জুড়ে) রয়েছে সমুদ্রের তলা দিয়ে। এর জন্য তৈরি করা হবে ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য শুরু হল মাটি পরীক্ষার কাজ। এর জন্য খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করা হল বলেও জানা গিয়েছে।

মহারাষ্ট্রের থানে ও ভিরারের মধ্যে সুমুদ্রের তলা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ওই সুড়ঙ্গ। বাকি পথ হবে এলিভেটেড। রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই পথে সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য মাটির ৭০ মিটার নীচের মাটি-পাথর তুলে পরীক্ষা করা হচ্ছে। একমাত্র জম্মু-কাশ্মীর ছাড়া ভারতের আর কোনও রুটে এত দীর্ঘ টানেল নেই। জম্মু-কাশ্মীরে উধমপুর থেকে বানিহাল প‌র্যন্ত ২৮ কিলোমিটার টানেলের মধ্যে দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

মুম্বই-আহমেদাবাদ রুটের ৫০৮ কিলোমিটার পথের অধিকাংশ অংশেই লাইন পাতা হবে মাটির ওপরে। এতে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা থাকবে না। আপাতত ওই লাইন পাতার জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৯৭,৬৩৬ কোটি টাকা। ওই টাকার ৮১ শতাংশ দেবে জাপান। আগামী ৫০ বছরে ওই ঋণ শোধ করতে হবে। সুদ মাত্র .১ শতাংশ। বুলেট ট্রেন চালু হয়ে গেল মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ ‌যেতে লাগবে ২ ঘণ্টারও কম সময়।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পথে উঠে বসল ‘মৃত’ ছেলে



‘মৃত’ ছেলেকে নিয়ে শ্মশানের পথে বেরিয়ে পড়েছিলেন পরিবারের লোকজন। মাঝপথে হঠাৎই চোখ খুলে উঠে বসল সেই ছেলে। শুরু হল হাত-পা নাড়া। জোরে জোরে শ্বাস নেওয়া। এমন কাণ্ডে হতবাক পরিবারের লোকেরা। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। কর্নাটকের ধরওয়াড় জেলার মানাগুন্ডির ঘটনা।

কুমার মারেওয়াড় নামে বছর সতেরোর ওই কিশোরকে মাসখানেক আগে কুকুর কামড়ায়। গত সপ্তাহে জ্বর নিয়ে ধারওয়াড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। চিকিৎসকরা কুমারের পরিবারকে জানিয়ে দেন, তার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ভেন্টিলেশন থেকে বের করে নিলে তার পক্ষে বেঁচে ফেরা কঠিন হবে। প্রথমে কুমারের পরিবার ছেলেকে হাসপাতালে রাখার কথা ভাবলেও, পরে মত বদল করে বাড়ি নিয়ে যান।

কুমারের এক আত্মীয় জানান, বাড়িতে আনার পর দেখা যায় কুমারের শ্বাস পড়ছে না। কোনও সাড়া-শব্দও নেই। নড়ছে না হাত-পা। এরপরই তাঁরা মনে করেন কুমার মারা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের ডেকে সৎকারের ব্যবস্থাও করে ফেলেন তাঁরা। এদিকে কিছুটা পথ যেতেই হঠাৎ “শ্মশানযাত্রী”রা দেখেন, চোখ খুলে উঠে বসেছে কুমার। তড়িঘড়ি তাঁরা কুমারকে হাসপাতালে নিয়ে যান।চিকিৎসকরা জানান, কুমারকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। কুকুরের কামড়ের ফলেই তার শরীরে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Saturday, 18 February 2017

এবার কমদামে 4G VoLTE ফোন আনছে জিও



জিও'র তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল৷ সেইমত রিলায়েন্স জিও বাজারে আনছে তাদের সবচেয়ে সস্তা  4G VoLTE ফিচার ফোন৷ মাত্র ১৪৯৯ টাকায় ফ্রন্ট ও রিয়ার ক্যামেরাসহ সেই ফোনের ছবি ফাঁস হয়ে গেল অনলাইনে৷ অ্যান্ড্রয়েড পাওয়ার্ড এই ফোনে মাই জিও, জিও টিভি, জিও ভিডিও, জিও মিউজিক-সহ জিও-র অন্যান্য যাবতীয় ফিচার ব্যবহার করা যাবে বলেই দাবি এরিনা-র৷

সূত্রের খবর, আর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে এই ফোর-জি ফোন, যার সঙ্গে জিও সিম কার্ড মিলবে ফ্রি-তে৷ এই ফোনেই মিলবে সারাজীবন ফ্রি ভয়েস কল, ৩১ মার্চ পর্যন্ত ফ্রি ফোর-জি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ৷ ৯৯৯ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যেই যে এই ফোনের দাম থাকতে পারে, সেই খবর আপনাকে আগেই জানিয়েছিলাম আমরা৷ এবার দেখে নিন সেই ফোনের প্রথম ছবি৷


উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের বাজারে সবচেয়ে সস্তার যে ফোর-জি ফোন মেলে তাদের একেকটির দাম ৩৫০০-৪০০০ টাকা।

মনে করা হচ্ছে, কম দামী ফোর-জি ফিচার ফোন বাজারে চলে এলে যাঁরা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না, তাঁরাও জিও-র ফ্রি ভয়েস কল ও ডেটা অফারের সুযোগ পেতে এই ফোন কিনতে পারেন।


4G VoLTE সাপোর্টেড ফিচার ফোন তৈরিতে স্প্রেডট্রাম চিপসেট ব্যবহার করবে জিও। যাতে ভবিষ্যতে আরও সস্তার ফিচার ফোনেও ফোর-জি প্রযুক্তিতে ভয়েস কল করা যায়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্টে দাবি করা হয়, এ বিষয়ে কোয়ালকম ও মিডিয়াটেকের মতো সংস্থা, যারা

স্মার্টফোনের জন্য প্রসেসর তৈরি করে, তাদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেছে জিও। একসঙ্গে প্রচুর ফোনের চিপ তৈরির অর্ডার দিয়ে উৎপাদন খরচ যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে চায় মুকেশ অম্বানির সংস্থা। মনে করা হচ্ছে, রিলায়েন্স জিও-র এই ফিচার ফোন আগামী দিনেও বাজার ধরে রাখতে সংস্থার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে পারে। 
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ফ্রিজে রাখা হাত জুড়ল সাত ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে



প্রাণে বাঁচার কথা ছিল না। আর বাঁচলেও কথা ছিল না বিচ্ছিন্ন অঙ্গ ফেরত পাওয়ার। কিন্তু দু'টোই হয়েছে। অস্ত্রোপচারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চলেছেন চল্লিশ বছরের সরলা জৈন।

দুষ্কৃতীর চপারের এলোপাথাড়ি কোপে ছিন্নভিন্ন হয়েছিলেন জৈন দম্পতি। গত শনিবার কালী টেম্পল রোডের ওই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল শহর। সেই সঙ্গেই শিউরে উঠেছিলেন চিকিত্‍সকেরা। বীভত্‍স অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল গুরুতর জখম সরলাদেবীকে। ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল মুখের প্রতিটি হাড়। মাথার খুলি রক্তাক্ত। ডান হাত চপারের কোপে ক্ষতবিক্ষত। আর বাঁ হাত কব্জির নীচ থেকে নেই!

''শকে চলে গিয়েছিলেন তিনি। রক্তচাপ আশঙ্কাজনক রকমের কম ছিল। তত্‍ক্ষণাত্‍ অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু অস্ত্রোপচারের মতো শারীরিক অবস্থা ছিল না তাঁর।''- বললেন প্লাস্টিক সার্জন অনুপম গোলাশ।


তাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাতের অংশটি ফ্রিজে রেখে দিতে হয়েছিল। পরের দিন রোগিণীর শারীরিক অবস্থা একটু স্থিতিশীল হলে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্‍সকেরা। সিএমআরআই হাসপাতালে ঘণ্টা সাতেকের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগে বিচ্ছিন্ন হাতটি। চিকিত্‍সকদের আশা, সময় লাগলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন ওই প্রৌঢ়া।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সরলাদেবীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্লাস্টিক সার্জন অনুপমবাবু হাতের অবস্থা দেখে জানান, তখনই অস্ত্রোপচার করলে হয়তো জোড়া লাগানো সম্ভব হবে। কিন্তু সেই মুহূর্তে রক্তচাপ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নীচে।

আশঙ্কাজনক রকম কম ছিল হিমোগ্লোবিন। ওই অবস্থায় অস্ত্রোপচারের ধকল নিতে পারতেন না রোগিণী। ফলে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় ছিল না। তখন সিদ্ধান্ত হয়, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাতটি ঠিক উপায়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। তা-ই হয়। ''আমরা নিশ্চিত ছিলাম না, এ ভাবে হাতটা রাখার পরেও সেটাকে আদৌ ফের জোড়া লাগানো সম্ভব হবে কি না।'' - বললেন অনুপমবাবু। কিন্তু সেটাই হয়েছে।

ঘটনার পরদিন সকাল এগারোটা নাগাদ যখন একটু স্থিতিশীল হয় সরলাদেবীর অবস্থা, তখনই ফ্রিজ থেকে কাটা হাতটিকে বার করে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেহেতু বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে কেটে গিয়েছে ১৬ ঘণ্টা, তাই সাফল্যের সম্ভাবনা ৫০-৫০ ধরে নিয়েই অস্ত্রোপচার শুরু হয়। সাত ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। কব্জির শেষ প্রান্তে বিচ্ছিন্ন কোষ-কলা-নিউরোনগুলি কেটে যাওয়া হাতের অংশে সাড় পৌঁছে দেবে কি না, সে নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জে জিতে যান শহরের চিকিত্‍সকেরাই।

চিকিত্‍সক মহলের মতে, বিচ্ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফের জুড়ে দেওয়ার অস্ত্রোপচার এ শহরে আগেও হয়েছে একাধিক বার। কিন্তু বিচ্ছিন্ন অঙ্গকে এতটা সময় ধরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখে, সেটিকেই বিনা জটিলতায় ফের জুড়ে দেওয়ার নজির কম। প্লাস্টিক সার্জন কৌশিক নন্দীর কথায়, ''ওই পরিস্থিতিতেও যে চিকিত্‍সকেরা রোগিণীর প্রাণ বাঁচানোর পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন হাতটির কথা মাথায় রেখেছেন, তা নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের দাবি রাখে।'' তিনি জানান, এই অবস্থায় অঙ্গকে এমন ভাবে সংরক্ষণ করতে হয়, যাতে যথেষ্ট ঠান্ডা থাকে অঙ্গটি, কিন্তু জমে না-যায়। শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে তাপমাত্রা নেমে গেলেই কিন্তু ওই অঙ্গটি আর জোড়া লাগানো সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে সব দিক মাথায় রেখে যে এমন একটা সফল অস্ত্রোপচার দেখল শহর, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মাধ্যমিক পরীক্ষা এড়াতে ছাত্রী উঠে পড়ল বটগাছে!



পরীক্ষায় যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল কাটলিছড়া চালমার্স হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের কিশোরী বাপি দাস। আচমকা শিববাড়ির বটগাছে চড়ে বসে সে।

অসমে আজ মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষার আগে শিবঠাকুরকে পুজো দিতে চায় বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বাপি। কিন্তু বাজিমারায় গিয়ে মন্দিরের দিকে না গিয়ে সোজা উঠে পড়ে মন্দির চত্বরের বটগাছে। এ ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর গাছে উঠে বসে থাকার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। খবর পেয়ে সেখানে যান তার বাবা দীনু দাস এবং কাকা উত্তম দাস। তারা তাকে নেমে আসতে বার বার অনুরোধ জানালেও রাজি হয়নি সে।


দুয়েকজন গাছে ওঠার চেষ্টা করলে ডাল ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। এ দিকে, পরীক্ষার হলে ঢোকার সময়ও পেরিয়ে যাচ্ছে।

আতঙ্ক দেখা দেয় বাবা-কাকার মনে। গাছ থেকে পড়ে গেলে মারাত্মক অঘটন ঘটে যাবে! পরে ঝুঁকি নিয়েই উত্তমবাবু গাছে ওঠেন। বুঝিয়ে-শুনিয়ে নামিয়ে আনেন বাপিকে। এ দিন আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি তার।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার নাম শুনলে বরাবরই ভয় পেয়ে যায় বাপি। পরীক্ষা-ভীতির জন্য ঘন্টা দেড়েকের রুদ্ধশ্বাস নাটকের সাক্ষী থাকল কাটলিছড়ার মানুষ।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পেট ব্যথা, ব্লিডিং? বেশি দিন পুষে রাখবেন না



বেশ কিছু দিন ধরেই পেট ব্যথা, ব্লিডিং নিয়ে কাহিল মণীষা। ক্রমশই দুশ্চিন্তা বাডছিল। সোনোগ্রাফি করে দেখা গেল বেশ বডসড এক টিউমার বসে আছে জরায়ুর মধ্যে। শুরু হল ওষুধপত্র, হরমোন। মাস ছয়েক চিকিত্‍সা চলল। তাতে টিউমার একটু ছোট হলেও কষ্ট কমল না তেমন। তার উপর আরেক বিপদ। হাজার চেষ্টা করেও বাচ্চা আসছে না। আর দেখতে দেখতে বয়স চলে যাচ্ছে ত্রিশের ওপারে। সবাই বলছেন অপারেশন করে টিউমার বাদ দিলে তবে এর সুরাহা হবে। কিন্তু যদি না হয়? শেষমেশ চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিতেই হল।

প্র:টিউমার বাদ দিয়ে দিলে গর্ভসঞ্চার হবে এমন গ্যারান্টি কি আছে?

উ: অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধে হয় না। টিউমার তো আজকাল ঘরে ঘরে। একশো জন মহিলার মধ্যে ২০-৩০ জনই এই সমস্যায় ভোগেন।
তার মধ্যে বহু কমবয়সি মহিলাও আছেন। হরমোন দিয়ে চিকিত্‍সা করে তাঁদের কষ্ট না কমলেও গর্ভসঞ্চার না হলে অপারেশন করতে হয়। আমরা দেখেছি তাতে বেশির ভাগ মহিলার ক্ষেত্রে কাজ হয় ম্যাজিকের মতো।

প্র: ওষুধেও তা হলে কমে টিউমার?

উ: কমে তো অবশ্যই। তিন থেকে ছ' মাস চিকিত্‍সা করলে অনেকের ক্ষেত্রে টিউমারের মাপ প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই কমে যায় সব কষ্ট। তবে এর দু'একটা অসুবিধেও আছে। ওষুধ বন্ধ করার পর বছর খানেকের মধ্যে টিউমার আবার আগের অবস্থায় ফিরেও আসতে পারে। তা ছাডা চিকিত্‍সা চলাকালীন কখনই প্রেগন্যান্সি নেওয়া যায় না। অপেক্ষা করতে হয়। ফলে কিছুটা সময় নষ্ট হয়।


প্র: তা হলে আর এত হরমোন শরীরে ঢুকিয়ে লাভ কী? যদি ফল না পেলাম।

উ: দুটো লাভ। প্রথমত, কোনও কারণে সেই মুহূর্তে অপারেশন করা সম্ভব না হলে সমসাময়িক ভাবে কষ্ট কম রাখার ব্যবস্থা করা। দ্বিতীয়ত, টিউমার ছোট হয়ে গেলে অনেক সময় নিজে থেকেই গর্ভসঞ্চার হয়ে যায়। বাচ্চা-টাচ্চা হওয়ার পর আবার যদি টিউমার বড হতে শুরু করে, তখন অপারেশন করা যেতে পারে। তখন আর দুশ্চিন্তা কীসের।

প্র: আজকাল তো দেখছি আর পেট কেটে টিউমার অপারেশন হয় না। তাই না?

উ: না। তবে টিউমার কোথায় আছে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কখনও পেট ফুটো করে নল ঢুকিয়ে বা কখনও ভ্যাজাইনার মধ্যে দিয়ে টিউমার বার করে আনা হয়।

প্র: টিউমার তো জরায়ুর মধ্যেই থাকে?

উ: জরায়ুর গায়ে বা বাইরেও তা হতে পারে। তখন সেখানে পৌঁছতে গেলে পেট ফুটো করে নল ঢোকাতে হয়। তাকে বলে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি। আর জরায়ুর গহ্বরের মধ্যে টিউমার হলে ভ্যাজাইনার মধ্যে দিয়ে নল ঢুকিয়ে অপারেশন করা হয়। বেশি দিন হাসপাতালে থাকতে হয় না। আর মাস খানের মধ্যে রোগের আর চিহ্ন থাকে না শরীরে।



প্র: টিউমার থাকলে কী অপারেশন করতে হবে?

উ: আগে দেখতে হবে টিউমারটি ছোট কি না। ছোট টিউমার থাকলে, সঙ্গে আর কোনও কষ্ট না থাকলে অপারেশনের দরকার নেই। তবে টিউমার বড হতে শুরু করলে অপারেশন করে নিতে হবে। না হলে কিডনির উপর চাপ পেড কিডনি খারাপ হয়ে যেতে পারে। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে মানে তিন-চারশো জনের মধ্যে এক-আধ জন মহিলার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খারাপ দিকে চলে যেতে পারে। চিন্তার কিছু নেই। সংখ্যায় তা খুবই কম।

প্র: খারাপ দিক বলতে কী বলছেন, ক্যান্সার?

উ: হ্যাঁ, ক্যান্সার!

প্র: টিউমার একবার হলে বার বার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ক্যান্সারেরও একটা সুযোগ থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে অত কাণ্ড না করে পুরো জরায়ুটাই শরীর থেকে বাদ দিয়ে দেওয়াই ভাল নয় কী?

উ: কম বয়সে টিউমার হলে পুরো জরায়ু বাদ দেবেন কী করে? বাচ্চা নেওয়ার ব্যাপারে আছে তো। সেটাও তো ভাবতে হবে।

প্র: কোন পরিস্থিতিতে তা হলে জরায়ু বাদ দেওয়া হয়?

উ: বয়স যদি পঁয়তাল্লিশ পেরোয়, তা হলে জরাযু বাদ দেওয়ার কথা ভাবা হয়। বা দেখতে হবে টিউমার খুব বড হয়েছে কি না অথবা অনেকগুলি টিউমার এক সঙ্গে রয়েছে কি না। ওই বয়সে তো আর বাচ্চা নেওয়ার প্রশ্ন নেই।

প্র: এই অপারেশন নিশ্চয়ই পেট পুরো কেটে করা হয় না?

উ: কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই হয়। তবে পেটে ফুটো করেই বেশি করা হয় আজকাল। যাকে বলে টিএলএইচ বা টোটাল ল্যাপারোস্কোপিক হিসটেবেকটমি।

প্র: ভ্যাজাইনা দিয়ে নল ঢুকিয়ে করা যায় না?

উ: তাও যায়।

প্র: কিন্তু এ ভাবে অপারেশন করলে শুনেছি যৌন জীবনের উপর আঁচ এসে পেড?

উ: টিএলএইচ করলে কোনও সমস্যা নেই। যৌন জীবনেও তার কোনও প্রভাব পেড না।

সাক্ষাত্‍কার: সুজাতা মুখোপাধ্যায়
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Friday, 17 February 2017

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ, চলন্ত ট্রেনে মহিলা পুলিশ কর্মীর গলায় ক্ষুর চালিয়ে পালাল দুষ্কৃতী


কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি : চলন্ত ট্রেনে মহিলা পুলিশ কর্মীর গলায় ক্ষুর চলল এবার। ফের রেলের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। মহিলা যাত্রীদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করে দুষ্কৃতী হামলার শিকার হলেন মহিলা পুলিশ কর্মী পিয়ালি বড়ুয়া। শুক্রবার রাতে শিয়ালদহ-বনগাঁ লোকালে এই ঘটনা ঘটে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ওই মহিলা পুলিশ কর্মী। যাত্রীরা ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি দুষ্কৃতীকে। রেল পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।


ডিউটি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন গড়ফা থানার এসআই পিয়ালি বড়ুয়া। আপ বনগাঁ লোকালে চেপেছিলেন। ট্রেন ছাড়ার পরই এক যুবক মহিলাদের উত্যক্ত করতে শুরু করে। পিয়ালিদেবী প্রতিবাদ করেছিলেন ইভটিজিংয়ের। তারপর যুবকের সঙ্গে বচসা বেধে যায় পিয়ালির।
বচসা চলাকালীন আমচকাই পকেট থেকে ক্ষুর বের করে পিয়ালি দেবীর গলায় চালিয়ে দেয় ওই দুষ্কৃতী।


নিজেকে সরিয়ে নেওয়া গলার পাশ দিয়ে চলে যায় ক্ষুরটি। গলার খানিক অংশ কেটে গেলেও এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ওই দুষ্কৃতী তারপর এক মুহূর্তও অপেক্ষা না করে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। ট্রেন থামলে তাকে ধাওয়া করেও নাগাল পাননি যাত্রীরা। এরপর শিয়ালদহ জিআরপি-তে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পিয়ালি বড়ুয়া। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

৩ বছরের শিশুকে একা রেখে কাজে গেছেন বাবা-মা, দরমার বাড়িতে আগুন লেগে মর্মান্তিক মৃত্যু বেহালায়



কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি : দরমার ঘরে আগুন লেগে পুড়ে মৃত্যু হল তিন বছরের শিশুর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা বেহালার জয়শ্রীর। শনিবার সকালে শিশুটিকে একা রেখে দিয়ে কাজে গিয়েছিলেন বাবা-মা। ঘরের ভিতরে একা খেলছিল শিশুটি। আচমকাই আগুন লেগে যায় বাড়িটিতে। মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে শিশুটির। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত শিশউটির নাম কৌস্তভ রায়।

দরমার বাড়িতে খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আগুনের লেলিহান শিখায় শোচনীয়ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ে শিশুটি। ভয়াবহ আগুনের হাত থেকে প্রতিবেশীরা শিশুটিকে উদ্ধার করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কৌস্তভের দিদি বাইরে খেলছিল, ফলে প্রাণে বেঁচে যায় সে।

দমকল ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দমকলের দু'টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আগুন লাগার কারণ জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে দমকল ও পুলিশের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে।

দরমার বাড়ি হওয়ায় আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তিন বছরের শিশুটি ভয়াবহ সেই আগুনের গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। প্রতিবেশীরা যখন লক্ষ্য করেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ফলে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

সাগর তলে ডুবে যাওয়া জিলান্ডিয়া কি পৃথিবীর অষ্টম মহাদেশ


পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ আছে বলেই আমরা জানি। কিন্তু কল্পনা করুন, আরেকটি মহাদেশ লুকিয়ে আছে নিউজিল্যান্ডের ঠিক নীচে।

দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে জলতে তলিয়ে যাওয়া এই মহাদেশটির নাম দেয়া হয়েছে জিলান্ডিয়া (নিউজিল্যান্ড+ইন্ডিয়া)। আকারে নাকি এটি প্রায় ভারতীয় উপমহাদেশের সমান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিউজিল্যান্ড আসলে এই মহাদেশের জেগে থাকা অংশ। বলা যেতে পারে এই মহাদেশের পবর্তচূড়া।
বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা করছেন তাদের এই নবআবিস্কৃত তলিয়ে যাওয়া ভূখন্ডের জন্য মহাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে।




'জিওলজিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকা'য় প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলছেন, 'জিলান্ডিয়া'র আয়তন পঞ্চাশ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার, যা পার্শ্ববর্তী অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দুই তৃতীয়াংশের সমান।



কিন্তু এই মহাদেশের প্রায় ৯৪ শতাংশই তলিয়ে আছে সাগরের জলতে। মাত্র অল্প কিছু অঞ্চল জলর ওপর মাথা তুলে আছে: নিউজিল্যান্ডের নর্থ এবং সাউথ আইল্যান্ড এবং নিউ ক্যালেডোনিয়া।
একটি মহাদেশের স্বীকৃতি পেতে যা যা দরকার, জিলান্ডিয়া তার সবকটিই পূরণ করেছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। যেমন:


  • আশেপাশের অন্যন্য অঞ্চল থেকে উঁচু হতে হবে
  • সুস্পষ্ট কিছু ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে
  • একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা থাকতে হবে
  • সমূদ্র তলদেশের চেয়েও পুরু ভূস্তর থাকতে হবে




প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক নিউজিল্যান্ডের ভূতত্ত্ববিদ নিক মর্টিমার বলেন, জিলান্ডিয়াকে কেন মহাদেশ বলা যাবে না, প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা প্রায় গত দু্ই দশক ধরে চালানো গবেষণায়।


তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর মহাদেশের তালিকায় আরেকটি নাম যুক্ত করাটাই কেবল তাদের লক্ষ্য নয়, এর একটা বিরাট বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য রয়েছে।


"একটি মহাদেশ যে সাগরে তলিয়ে যাওয়ার পরও তা অখন্ড থাকতে পারে, তা সাহায্য করবে এটা বুঝতে কিভাবে পৃথিবীর উপরিভাগের স্তর ভেঙ্গে মহাদেশগুলো তৈরি হয়েছিল তা বুঝতে।"
তাহলে জিলান্ডিয়ার নাম আরেকটি মহাদেশ হিসেবে কি যুক্ত হবে ভুগোলের পাঠ্য বইতে? সেটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও অনেকদিন। কারণ মহাদেশের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য কোন আন্তর্জাতিক ফোরাম নেই। কেবল বেশিরভাগ বিজ্ঞানী যদি মেনে নেন যে জিলান্ডিয়া আরেকটি মহাদেশ, তাহলে হয়তো কোন একদিন আমরা শিখবো, পৃথিবীতে সাতটি নয়, আটটি মহাদেশ আছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী?


মুম্বই: বিটাউনে যথাযথভাবে প্রবেশ করার আগেই এদের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে খবরের শিরোনামে থাকা। এরা হলেন বলিউডের স্টার কিডস্। শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান এবং সইফ কন্যা সারা খানের পর এবার শ্রীদেবীর মেয়ে জাহ্নবী কাপুর।


সম্প্রতি জাহ্নবীকে দেখা গিয়েছে এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে। তবে পাপারাৎজিরা নয়। সে পুরুষ বন্ধুই শ্রীদেবী কন্যার সঙ্গে তোলা ছবি ইন্সটাগ্রামে আপলোড করেছেন।



সেই ছবিতে দু’জনকে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে দেখার পর থেকেই টিনসেল টাউনে দু’জনকে নিয়ে গসিপ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে চর্চা আরও বেশি হচ্ছে কারণ এই পুরুষ বন্ধুকে এরও আগে দেখা গিয়েছিল বলিউডের আরও এক স্টার-কিডের সঙ্গে, যিনি হলেন সইফ আলি খানের মেয়ে সারা খান। ব্যস! কিন্তু কে এই পুরুষ বন্ধু যাকে ঘিরে এত জল্পনা? তাঁর নাম হল ওরহান অওত্রামানি, যিনি পেশায় একজন মডেল। এই মডেলের ইন্সটাগ্রামে নজর রাখলেই বোঝা যাবে যে, মহিলা মহলে ওরহানের ভালোই খ্যাতি আছে। আর সেই মহিলাদের মধ্যে রয়েছেন বলিউডের স্টার কিডস্ -ও।

তবে অরহান কার সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ সারা নাকি জাহ্নবী তার উপরই নজর রাখছে এখন পাপারাৎজি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Thursday, 16 February 2017

ফ্রিজে ডিম রেখে খাওয়ার ভয়ঙ্কর পরিনতি জেনে নিন


ডিম ছাড়া মেনু অসম্পূর্ন,ব্রেকফাস্ট থেকে লাঞ্ত ডিম খেতে  বেশ মজাই লাগে,বলা যেতে পারে দৈনন্দিন জীবনে  একটি অপরিহার্য খাবার,কম-বেশি সবারই প্রিয়,,কাজের চাপে রোজ দোকানে না গিয়ে একবারে ডিম কিনে ফ্রিজে  ভরে দিলেন আর শরীরের বারোটা বেজে গেল,ভাবছেন তো ব্যাপার টা কি,তাহলে শুনু আপনার কাজ সহজ করতে ফ্রিজে রেখে দেওয়া ডিমের গুনাগুন নষ্ট হয় ফ্রিজের ঠান্ডায়,ডিম খাওয়া অতত্যন্ত ভাল পুষ্টিকর উপাদান যেমন রয়েছে খেলে শরীরের উপকারই হয়,কিন্তু সম্প্রতি গবেষনা বলছে বাজার থেকে  আনা ডিম  ঢুকে যাচ্ছে সটান ফ্রিজে। রয়ে-বসে খাচ্ছেন। দিনের পর দিন কাঁচা ডিম থাকছে ফ্রিজবন্দি। আর এা থেকেই বিপদ,সাধারণত ‍১টি ডিমে ১৩টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে।


এতে ৬ গ্রাম অত্যন্ত উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকে।  ফ্রিজের ঠান্ডা কাঁচা ডিমের মধ্যে থাকা খাদ্যগুণ নষ্ট করে দেয়। শুধু তাই নয় এই ঠান্ডা  ডিমের খনিজকে অকেজো করে দেয় ফলে আপনার শরীরে রোগ সংক্রমন হতে পারে,ঠান্ডা ডিমের জন্য গ্যাসট্রোএনটেরেটিস ও ফুড পয়জেনিংয়ের প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই ঠান্ডা ডিমের বদলে দোকানের টাটকা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ঘাসফুলে আস্থা হারিয়ে পদ্ম শিবিরে যোগ একাধিক নেতার



ফের শাসক দলে বড়সড় ভাঙন৷ বিজিপিতে যোগ দিলেন তৃণমুলের উত্তরবঙ্গের দাপুটে দুই নেতা সহ ১৬ জন৷ এছাড়াও কংগ্রেস থেকে যোগ দিলেন অনেকে৷ সব মিলিয়ে ২২ জন যোগ দিল বিজেপিতে৷ এদিন সকলের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

‘ছেলের নাম রাম বা আলেকজান্ডার তো রাখতে পারব না’



ছেলের নাম কেন তৈমুর? এক ঝাঁক প্রশ্নের তির বিঁধেছে সোশ্যাল দেওয়ালে।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর তৈমুরের জন্মের পর থেকেই সইফ-করিনার সদ্যোজাতের নাম নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। প্রায় সকলেরই মুখে একটাই প্রশ্ন, কোন আক্কেলে তুর্কি-মোঙ্গল শাসক কুখ্যাত তৈমুর লঙ্গের নামে ছেলের নামকরণ করলেন তাঁরা? এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই এর পিছনে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করেছেন। নাম বিতর্কে আগেই মুখ খুলেছেন সইফ। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে ছেলের নামের প্রসঙ্গ উঠতেই আরও বিস্ফোরক ছোটে নবাব।


ওই সাক্ষাত্কারে সইফ বলেছেন, ‘‘গোটা বিশ্বের ইসলাম ফোবিয়া সম্বন্ধে আমি সচেতন। কিন্তু আমি তো ছেলের নাম রাম বা আলেকজান্ডার রাখব না। তা হলে ছেলের একটা ভাল মুসলিম নামও রাখতে পারব না? তাকে ধর্মীয় মূল্যবোধ শিখিয়ে বড় করব। যাতে যে কোনও লোক যখন তাকে দেখবে যেন বলে, বাহ্! ছেলেটাতো খুব সুন্দর।’’


ছেলের জন্য তৈমুর নামটাই পছন্দ হল কেন তাঁদের? সইফের দাবি, “করিনা আর আমি, দু’জনেরই তৈমুর নামের মানেটা বেশ পছন্দের। আমার ছেলের নামটা পার্সিয়ান, যার মানে লোহা।”
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ছিটকে বেরোচ্ছে ১০৪ উপগ্রহ, ভিডিও-সেলফি পাঠাল পিএসএলভি


বিশ্ব রেকর্ড তো গড়েই ফেলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এক সঙ্গে ১০৪টি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠিয়ে। তার সঙ্গে আরও একটি রেকর্ড করে ফেলেছে ইসরোর রকেট পিএসএলভি কার্টোস্যাট মহাকাশে পাড়ি জমানোর সময় সেলফি তুলে। তার ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরো। এখানে সেই ভিডিওটি তুলে ধরা হল।


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 15 February 2017

কোনও অবলম্বন ছাড়া হাজার ফুট থেকে ঝুলছেন ইনি!


দুবাইতে বিশ্বের অন্যতম উঁচু বহুতল। আর সেখান থেকেই ঝুলছেন এক মহিলা। না! সিনেমার শুটিং নয়। কারণ কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। কোনও মতে এক পুরুষ হাতটা ধরে রেখেছেন তাঁর। তবে কি আত্মহত্যা? সোশ্যাল ওয়ার্ল্ডে আপাতত ভাইরাল এই ছবি। কিন্তু আসল বিষয়টি কী? ওই মহিলাই বা কে?


জানা গিয়েছে, শুটিং নয়। বরং ফটোশুট হচ্ছে। দুবাইয়ের ওই বহুতল কায়ান টাওয়ার থেকে ঝুলছেন ২৩ বছরের রাশিয়ান মডেল ভিকি ওডিন্টকোভা। শট পারফেক্ট হওয়ার জন্যই নাকি কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখেননি ভিকি। শুধুমাত্র এক ক্রু মেম্বারের হাত ধরে হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতা থেকে ঝুলছিলেন তিনি। আর এই ফটোশুট নাকি শুধুমাত্র ইনস্টাগ্রামের জন্যই!

আদতে ইনস্টাগ্রাম কুইন হিসেবে পরিচিত ভিকি বলেন, ‘‘এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না, এ কাজটা করতে পেরেছি আমি। যখনই পরে ভিডিওটা দেখেছি ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে আমার। ভিজে গিয়েছে হাতের তালু।’’ তবে তাঁর এই ভিডিও দেখার পর কেউ যেন ঝুঁকি নিয়ে এ কাজ না করেন সে বিষয়েও সতর্ক করেছেন ভিকি।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

নিজের ধর্ষককে ভালোবাসে, জন্ম দিতে চায় তার সন্তানের : আদালতে তরুনীর বিরল বক্তব্য


আমেদাবাদ, ১৬ ফেব্রুয়ারি : ধর্ষিতা এক তরুনীর বিরল বক্তব্যের সাক্ষী থাকল গুজরাত হাইকোর্ট। তরুনী আদালতে জানায়, সে তার ধর্ষককে ভালোবাসে,এবং সে ধর্ষকের সন্তানেত জন্ম দিতে চায়। তরুনীর এই বক্তব্যে রীতিমত অবাক হয়ে যান আদালতে উপস্থিত অনেকেই।[ধর্ষণের ৮ বছর পরে পুরুলিয়ায় জেলে বসে অপরাধীর সঙ্গেই বিয়ে হল ধর্ষিতার।



তরুনীর বক্তব্য শুনে আদালত তাঁকে অভিযুক্ত ধর্ষকের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গুজরাতের মহিসাগর জেলার সরকারি অফিসারদেরও তরুনীকে নিরাপদে ধর্ষকের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। উল্লেখ্য অভিযুক্ত ধর্ষকের বাড়ি মহিসাগর জেলায়।[যৌনতার নানা মারপ্যাঁচ শেখাতে খুলল বিশ্বের প্রথম 'পর্ন অ্যাকাডেমি' ।

অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুনীর ধর্ষককেও আদালতে ডেকে পাঠেনো হয়।


অভিযুক্ত ধর্ষক জানায়, সে ওই তরুনী ও তাঁর সন্তানের সমস্ত রকমের খেয়াল রাখবে। আদালত নিজের রায়ে জানিয়েছে, ওই তরুনী অভিযুক্ত ধর্ষকের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। যে ধর্ষক ব্যক্তি পরে ওই মহিলাকে অপহরণ ও ধর্ষন করে।[ এবার পর্ন সিনেমার শুটিং হবে সুদূর মহাকাশে।

এর আগে গুজরাতের একটি নিম্ন আদালতে ওই তরুনী সন্তানের জন্ম দিতে চায়না বলে প্রথমে আবেদন করে। সেই আবেদন নাকচ করে নিম্ন আদালত জানায় ২০ সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলে গর্ভপাত করা যাবে না। প্রসঙ্গত ওই তরুনী তখন ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এরপরই গুজরাত হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি। এদিকে আদালতের রায়ের পর, গোটা বিষেয়টিকে সমাজ কী চোখে দেখবে তা নিয়ে সন্ত্রস্ত তরুনীর মা ।[পর্ন দেখতে গিয়ে ধরা পড়লেন কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ট্রাম্প-চাপ! ভারতের প্রশংসায় পাক সেনাপ্রধান



ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ ঘোষণা করায়, রাতারাতি পাক মদতপ্রাপ্ত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে যাবে, এমন আশা নেই। তবে ট্রাম্পের চাপে সুর বদলাচ্ছে ইসলামাবাদ। গত আডাই বছর থমকে থাকা আলোচনার পথ খোলার একটা সচেতন চেষ্টা শুরু করেছে নওয়াজ শরিফের সরকার। এরই পাশাপাশি, রাজনীতি ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দূরত্ব রাখতে পারার জন্য প্রকাশ্যেই ভারতের প্রশংসায় মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া!
এই বিষয়ে মার্কিন লেখক স্টিভেন উইলকিনসনের লেখা একটি বইয়ের উল্লেখ করে বাজওয়া তাঁর প্রথম বক্তৃতায় বলেছেন, ''অনেক দেশ তাদের সামরিক ব্যবস্থা থেকে রাজনীতিকে আলাদা রাখার চেষ্টা চালালেও শুধু ভারতই সফল এই ক্ষেত্রে।
তাদের বিদেশনীতি ও প্রতিরক্ষা চিন্তাভাবনা এমন ভাবে তৈরি হয়েছে যাতে সেনাবাহিনী সেখানকার গণতন্ত্রের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।''

সাউথ ব্লকের বক্তব্য, বাজওয়া আসলে সেই সুরেই কথা বলছেন, যেটা নওয়াজ এত দিন চেয়ে এসেছেন। তবে পাক সেনাপ্রধানের মুখে ভারতের এমন প্রশংসা প্রায় বেনজির ঘটনা। ট্রাম্প-জমানায় পাকিস্তান যে আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের ভাবমূর্তি মাজাঘষা ও মেরামতের চেষ্টা শুরু করেছে, এটা তারই ইঙ্গিত। নয়াদিল্লির মতে, পাকিস্তান বুঝতে পারছে যে, নিজেদের ভাবমূর্তি সংস্কার করতে চাইলে অবিলম্বে ভারতের প্রতি রণংদেহি মেজাজ খানিকটা হলেও মোলায়েম করতে হবে। কিছুটা আডাল করতে হবে সীমান্তে উদ্যত অস্ত্র। এবং সেই চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। ফিরিয়ে আনতে চাইছে আলোচনার পরিবেশও।

তিন মাস পরে, আগামী জুনে কাজাখস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীর। ওই সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদী ও নওয়াজকে মুখোমুখি আলোচনায় বসানো যায় কি না, সেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে ইসলামাবাদে। ভারত-পাকিস্তান উভয়েই বেশ কয়েক বছর ধরে ইউরেশীয় দেশগুলির ওই গোষ্ঠীর সদস্যপদ চেয়ে আসছে কৌশলগত ও বাণিজ্যিক কারণে। এ বারের সম্মেলনে দু'টি দেশকেই সদস্য করে নেওয়া হবে। দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি তাই বাধ্যতামূলক। পাকিস্তান চাইছে, ওই সময়ে মোদী-নওয়াজ শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে আপাতত বিদেশসচিব বা অন্য কোনও পর্যায়ে আলোচনা শুরু করা হোক। এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত সংকেতও দেওয়া হচ্ছে সাউথ ব্লককে।

বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, ওবামা জমানায় আফ-পাক এলাকায় আধিপত্য ছিল পাক সেনা এবং আইএসআইয়ের। সেখানকার অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রীয় মদত জুগিয়ে গিয়েছে সন্ত্রাসবাদ, মাদক চক্রে টাকা খাটানো ও অস্ত্র ব্যবসার মতো কাজগুলিতে। জেহাদি-ব্যবসার রমরমা ঘটিয়েছে তালিবানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার নামে। বিদেশ মন্ত্রকের ওই কর্তার কথায়, ''এখন ট্রাম্প-জমানায় পরিস্থিতি যে আর আগের মতো থাকবে না, তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ইসলামাবাদের।''

কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ভাবমূর্তি বদলাতে দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা এবং সন্ত্রাস বন্ধ করতে তারা যে অগ্রণী পদক্ষেপ করছে, সেটা দেখানোরও একটা তাগিদ দেখা যাচ্ছে পাক সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে। দু'সপ্তাহ আগেই লস্কর-ই-তইবা নেতা হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করার পাক-সিদ্ধান্ত একটি তাত্‍পর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। যদিও এর আগে পঠানকোট কাণ্েডর মূল চক্রী মাসুদ আজহারকেও একই ভাবে কিছু দিন গৃহবন্দি রেখে ছেেড দিয়েছিল নওয়াজ সরকার। কিন্তু এ বারে হাফিজকে বন্দি করার সময়টাকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। হাফিজের দাবি, মোদী আর ট্রাম্পের যোগসাজশেই তাকে বন্দি হতে হল।

সাউথ ব্লক সতর্ক। কারণ, সুর বদল মানেই মন বদল নয়। বাজওয়া ভারতের প্রশংসা করলেও সেটা নেহাতই বলার জন্য বলা কোনও মন্তব্য কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে সাউথ ব্লক। ভারতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিতও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হওয়ার প্রশ্নে আশা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু একই সঙ্গে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলতে ভোলেননি। তাঁর কথায়, ''কী নামে আলোচনাটা শুরু হবে, সেটা তত গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু শুরু হওয়াটা খুবই জরুরি।'' পাশাপাশি তিনি এ-ও বলছেন, ''ভারত চাইছে শুধুমাত্র সন্ত্রাস নিয়ে কথা হোক। কিন্তু আলাদা করে সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলাটা সম্ভব নয়। আলোচনা হলে কাশ্মীর-সহ সমস্ত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়েও হবে।''

পাকিস্তানকে আলোচনার টেবিলে বসাতে আগ্রহী মোদীও। তবে পাকিস্তানের প্রতিটি কাজকর্ম ও সুর বদলের দিকে আপাতত নজর রাখলেও ইসলামাবাদের উপরে চাপ এখনই শিথিল করতে রাজি নয় ভুক্তভোগী সাউথ ব্লক। এই অবস্থায় ৫ রাজ্যে ভোট মিটলে কি পাকিস্তানের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক হবে? বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেছেন ''আলোচনায় আমরা সব সময়ই রাজি। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।''
ভারত যা সমানে বলে চলেছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

স্বামী পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত, সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ স্ত্রীর



নয়াদিল্লি : শিশুদের পর্নোগ্রাফি দেখা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যখন অতিমাত্রায় চিন্তিত এবং কীভাবে তা রোধ করা যায় তার রাস্তা খুঁজে বের করতে ব্যস্ত, তার মধ্যেই এক প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হলেন। জানালেন স্বামীর পর্নোগ্রাফি দেখার তাড়নায় তাঁদের বিবাহিত জীবন নষ্ট হতে চলেছে।

এই মর্মে সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশনও জমা দিয়েছেন মহিলা। মুম্বইয়ে বাসিন্দা মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর বিবাহিত জীবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে স্বামীর অনলাইন পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তির কারণে। ফলে আদালতের কাছে তাঁর আর্জি, অবিলম্বে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিতে যাতে এই ধরনের সমস্ত অশ্লীল সাইটগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়।

আদালকে আবেদনে জানানো হয়েছে, যদি তাঁর স্বামীর মতো শিক্ষিত কেউ এই ধরনের অনলাইন পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হতে পারে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে যুব সমাজের উপরে তার প্রভাব আরও ভয়ঙ্কর হবে।

আবেদনকারী মহিলা পিটিশনে বলেছেন, পেশায় তিনি সমাজকর্মী। গত ৩০ বছর ধরে তাঁরা সুখে সংসার করছিলেন। তবে ২০১৫ সাল থেকে পর্নোগ্রাফির নেশা চড়ে যায় স্বামীর মধ্যে। ফলে স্বামী ও পিতা হিসাবে সমস্ত দায়িত্ব পালনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

এছাড়া সমাজসেবা করতে গিয়ে তিনি দেখেছেন, বহু মানুষ ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতার ফলে চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পারিবারিক মূল্যবোধকে একেবারে তলানিতে এনে ঠেকিয়েছে ইন্টারনেটে দেখানো পর্নের সহজলভ্যতা। মানসিক বিকৃতি তো অবশ্যই এর পাশাপাশি সামাজিক বোধও এর ফলে হুহু করে নেমে যাচ্ছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পাহাড়ের পর সমুদ্রেও, দিঘায় সমুদ্র-সৈকত ধরে ছুটবে টয়ট্রেন!


পূর্ব মেদিনীপুর, ১৬ ফেব্রুয়ারি : দিঘার সমুদ্র সৈকত ধরে ছুটবে টয়ট্রেন! কোনওদিনও কল্পনাতেও আনতে পারেনি পর্টনপ্রেমী বাঙালি। এবার রাজ্য সরকারের কল্যাণে যা ভাবনারও অতীত ছিল, তেমনই এক পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। দিঘাকে গোয়া বানানোর এই প্রয়াসে পর্যটকরা সমুদ্র প্রেম উভোগ করতে পারেবন টয়ট্রেনে সওয়ারি হয়ে।[তারামণ্ডল চালু হবে দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রে! আকর্ষণ বাড়াতে পরিকল্পনা রোপওয়েরও।

রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরেই রাজ্যের পর্যটন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো দিঘাকে গোয়া এবং দার্জিলিংকে সুইজারল্যান্ড বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই মতোই দিঘাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সু্ন্দর-চওড়া রাস্তা, ঝকঝকে আলো এবং সুন্দর বসার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনিয়মিত হলেও শুরু হয়েছে কলকাতা-দিঘা হেলিকপ্টার পরিষেবা।[ দিঘা আর গোয়া হল না! বাংলার সৈকত-নগরীর হেলিকপ্টার পরিষেবা বন্ধের মুখে।

এবার একধাপ এগিয়ে দিঘার সমুদ্র সৈকত ধরে টয়ট্রেন ছোটানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। পর্যটকরা যাতে দিঘাতে গিয়ে সমুদ্রের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারেন সেই কথা মাথায় রেখেই টয়ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হতে পারে।

দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিপিপি মডেলে এই টয়ট্রেন চালু করা হবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কথাও হয়েছে। এখন শুধু সবুজ সংকেত মেলার অপেক্ষা। দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী জানান, টয়ট্রেন চালু নিয়ে কথাবার্তা চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই টয়ট্রেন চালু হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নিউ দিঘা থেকে উদয়পুর পর্যন্ত ২ কিমি রাস্তায় টয়ট্রেন চলবে। বেসরকারি সংস্থাকে এই কাজের দায়িত্ব দিতে চাইছে ডিএসডিও। টয়ট্রেন চালু হলে নিউ দিঘা থেকে উদয়পুর যাওয়ার সমস্যা যেমন কমবে, তেমনই পাঁচ কিমি রাস্তা ঘুরে উদয়পুর বিচে যাওয়ার পরিবর্তে সরাসরি ঝাউবনের ভিতর দিয়ে টয়ট্রেন চেপে উদয়পুর পৌঁছতে পারবেন পর্যটকরা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp