আমেদাবাদ: হালকা, সুস্বাদু এবং মুখরোচক খাবার হিসেবে ফুচকার জুরি মেলা ভার। ফুচকার দোসর টকজলের উপরে অনেকটাই নির্ভর করে ফুচকার স্বাদ। ফুচকাওয়ালা বা ফুচকা তৈরির সরঞ্জাম কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উঠেছে প্রশ্ন। এবার সেই টকজলের কারণেই হাজতে যেতে হচ্ছে গুজরাতের এক ফুচকা বিক্রেতাকে। কারণ, সুস্বাদু করতে টকজলের মধ্যে টয়লেট ক্লিনার মেশাচ্ছিল ওই বিক্রেতা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে গুজরাতের লাল দরজা এলাকার ফুচকা বিক্রেতা চেতন নানজি মারভান্ডি। ২০০৯ সালে তার ফুচকার প্রধান উপকরণ টকজল নিয়ে অভিযোগ ওঠে। অতি সুস্বাদু করতে গিয়ে বিশেষ কিছু রাসায়নিক মেশাচ্ছিল ফুচকাওয়ালা চেতন। এমনই অভিযোগ জমা পড়ে আমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে। সেই মোতাবেক শুরু হয় তদন্ত। সেই ফুচকার টকজলের নমুনা পাঠানো হয় ল্যাবরেটরিতে। পরীক্ষাগারে ওই টকজলের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে পরীক্ষকদের। ওই টকজলের মধ্যে মেশানো হয়েছিল অক্সালিক অ্যাসিড। যা সাধারণত টয়লেট ক্লিনার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ফুচকা বিক্রেতা চেতনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে আমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন। গত শনিবার সেই মামলার রায় দিয়েছে আদালত। অভিযুক্ত ফুচকা বিক্রেতাকে ছয় মাসের জেলা হেফাজতের নির্দেশ আদালত।
0 comments:
Post a Comment