‘মৃত’ ছেলেকে নিয়ে শ্মশানের পথে বেরিয়ে পড়েছিলেন পরিবারের লোকজন। মাঝপথে হঠাৎই চোখ খুলে উঠে বসল সেই ছেলে। শুরু হল হাত-পা নাড়া। জোরে জোরে শ্বাস নেওয়া। এমন কাণ্ডে হতবাক পরিবারের লোকেরা। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। কর্নাটকের ধরওয়াড় জেলার মানাগুন্ডির ঘটনা।
কুমার মারেওয়াড় নামে বছর সতেরোর ওই কিশোরকে মাসখানেক আগে কুকুর কামড়ায়। গত সপ্তাহে জ্বর নিয়ে ধারওয়াড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। চিকিৎসকরা কুমারের পরিবারকে জানিয়ে দেন, তার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ভেন্টিলেশন থেকে বের করে নিলে তার পক্ষে বেঁচে ফেরা কঠিন হবে। প্রথমে কুমারের পরিবার ছেলেকে হাসপাতালে রাখার কথা ভাবলেও, পরে মত বদল করে বাড়ি নিয়ে যান।
কুমারের এক আত্মীয় জানান, বাড়িতে আনার পর দেখা যায় কুমারের শ্বাস পড়ছে না। কোনও সাড়া-শব্দও নেই। নড়ছে না হাত-পা। এরপরই তাঁরা মনে করেন কুমার মারা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের ডেকে সৎকারের ব্যবস্থাও করে ফেলেন তাঁরা। এদিকে কিছুটা পথ যেতেই হঠাৎ “শ্মশানযাত্রী”রা দেখেন, চোখ খুলে উঠে বসেছে কুমার। তড়িঘড়ি তাঁরা কুমারকে হাসপাতালে নিয়ে যান।চিকিৎসকরা জানান, কুমারকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। কুকুরের কামড়ের ফলেই তার শরীরে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment