JanaSoftR

Tuesday, 21 February 2017

মেয়েরা শুনছেন? সামান্য একটা সায়ার দড়ি আপনার মৃত্যুর কারণ হতে পারে!



দীর্ঘ দিন ধরে আঁটোসাঁটো করে সায়া পরার অভ্যাস থাকলে সাবধান। চিকিত্‍সকরা জানাচ্ছেন, বহু বছর ধরে খুব শক্ত করে সায়ার দড়ি বাঁধলে হতে পারে প্রাণঘাতী ক্যানসার।

 সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের মধ্যে তলপেট ও পেটের উপরিভাগে ত্বকের ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ছে। চিকিত্‍সকদের মতে, দীর্ঘ দিন ধরে সায়ার দড়ি অত্যন্ত শক্ত করে বাঁধার ফলে ত্বকে চুলকানি ও ক্ষত তৈরি হয়। বহু দিন ধরে তা উপেক্ষা করার ফলে শেষ পর্যন্ত মারাত্মক ত্বকের ক্যানসার দেখা দেয়। উপসর্গটিকে 'শাড়ি ক্যানসার'  নামে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

 সমীক্ষায় এমন দৃষ্টান্ত পাওয়া গিয়েছে মাত্র তিনটি। কিন্তু ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ শুধু হিমশৈলের চূড়া মাত্র। ভারতের অধিকাংশ গ্রামে এই রোগের শিকার হচ্ছেন অসংখ্য নারী।

মুম্বইয়ের গ্র্যান্ট মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর জি ডি বকশির মতে, 'শাড়ির নীচে পরা পেটিকোটের দড়ি দীর্ঘ দিন ধরে শরীরের একই জায়গায় পরার ফলে দড়ির ঘষা লেগে ত্বকে চুলকানি তৈরি হয়। শরীরের এই অস্বস্তি উপেক্ষা করলে এর পর ওই জায়গায় ত্বকের চরিত্রে পরিবর্তন ঘটে। খসখসে হয়ে শুকনো চামড়া উঠতে শুরু করে এবং ত্বকের রংও পাল্টে যায়। মহিলাদের কোমরের আশেপাশে ত্বকে এমন প্রদাহ সৃষ্টি হলে অনেক সময় তা মারাত্মক ক্যানসারে পরিবর্তিত হয়।'

 তাঁর সংযোজন, 'বেশির ভাগ ভারতীয় মহিলাদের কোমরের উপর শাড়ির দড়ি থেকে কালচে দাগ ও ত্বক ফেটে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। বিষয়টি স্বাভাবিক বলে দরে নেওয়ার চল আছে।' ডক্টর বকশির মতে, সময় মতো গুরুত্ব না দেওয়ার ফলেই ক্রমে ক্যানসারের শিকার হন মহিলারা।

 কী ভাবে এই বিপদ এড়ানো যায়?

 ডক্টর বকশি জানিয়েছেন, 'নিয়মিত সায়ার দড়ি পাল্টে এবং তাকে চওড়া করে পরলে সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এ ছাড়া দড়ি বাঁধলে তা একটু ঢিলেঢালা রাখা উচিত।'

 তবে তাঁর মতে, 'রাতারাতি এমন বিপদ ঘটে না। সমীক্ষায় আমরা দেখেছি, যে সমস্ত মহিলা নাগাড়ে ৩০ হবছরের উপর সায়া পরছেন, এবং গত ৫ বছর ধরে ত্বকের ওই অংশে চুলকানি অনুভব করছেন, তাঁদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অবিলম্বে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।'
JanaSoftR
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp




0 comments:

Post a Comment