নয়াদিল্লি : শিশুদের পর্নোগ্রাফি দেখা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যখন অতিমাত্রায় চিন্তিত এবং কীভাবে তা রোধ করা যায় তার রাস্তা খুঁজে বের করতে ব্যস্ত, তার মধ্যেই এক প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হলেন। জানালেন স্বামীর পর্নোগ্রাফি দেখার তাড়নায় তাঁদের বিবাহিত জীবন নষ্ট হতে চলেছে।
এই মর্মে সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশনও জমা দিয়েছেন মহিলা। মুম্বইয়ে বাসিন্দা মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর বিবাহিত জীবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে স্বামীর অনলাইন পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তির কারণে। ফলে আদালতের কাছে তাঁর আর্জি, অবিলম্বে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিতে যাতে এই ধরনের সমস্ত অশ্লীল সাইটগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়।
আদালকে আবেদনে জানানো হয়েছে, যদি তাঁর স্বামীর মতো শিক্ষিত কেউ এই ধরনের অনলাইন পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হতে পারে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে যুব সমাজের উপরে তার প্রভাব আরও ভয়ঙ্কর হবে।
আবেদনকারী মহিলা পিটিশনে বলেছেন, পেশায় তিনি সমাজকর্মী। গত ৩০ বছর ধরে তাঁরা সুখে সংসার করছিলেন। তবে ২০১৫ সাল থেকে পর্নোগ্রাফির নেশা চড়ে যায় স্বামীর মধ্যে। ফলে স্বামী ও পিতা হিসাবে সমস্ত দায়িত্ব পালনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
এছাড়া সমাজসেবা করতে গিয়ে তিনি দেখেছেন, বহু মানুষ ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতার ফলে চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পারিবারিক মূল্যবোধকে একেবারে তলানিতে এনে ঠেকিয়েছে ইন্টারনেটে দেখানো পর্নের সহজলভ্যতা। মানসিক বিকৃতি তো অবশ্যই এর পাশাপাশি সামাজিক বোধও এর ফলে হুহু করে নেমে যাচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment