JanaSoftR
  • সপ্তাহে কতবার যৌনমিলনে আগ্রহী সুন্দরীরা: একটি সমীক্ষা

  • এই নতুন নেশাতেই মজছে স্কুল পড়ুয়ারা, চিন্তায় অভিভাবকরা

  • ট্রেনে একঘন্টায় কলকাতা থেকে দিল্লি!

  • মরুভূমি হয়ে যাবে পাকিস্তান, সিন্ধু অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণ শুরু, প্রবল চাপে পাকিস্তান

Friday, 31 March 2017

মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষণ করে বাবা ও মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুন, প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি



গাইঘাটার সুটিয়া অঞ্চলে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষণ করে বাবা ও মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুনের প্রতিবাদে ধিক্কার সমাবেশ ও মিছিল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির |

দেখুন ভিডিও......


Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

বড় খবর, আরও তিন মাস বাড়ল Jio এর ফ্রি পরিষেবা !



জিও গ্রাহকদের জন্য সুখবর। এবার প্রাইম মেম্বার হলেই মিলবে আরও তিন মাসের ফ্রি পরিষেবা। শুক্রবার এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।

জিও ফ্রি পরিষেবা শেষ হচ্ছিল এই মার্চেই। এরপর থেকে জিওর সুবিধা পেতে গেলে প্রাইম মেম্বারশিপ নিতে হত। তারও মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তবে এই মেম্বারশিপ নিলেও কিন্তু ফ্রি ছিল না জিও পরিষেবা। কেননা ৯৯ টাকা দিয়ে মেম্বারশিপ নিলেও দিতে হত প্রতি মাসে ৩০৩ টাকা বা তার কমেরও প্যাকেজ নিতে হত। কিন্তু গ্রাহকদের জন্য এল জিও সামার সারপ্রাইজ। ঠিক এপ্রিল ফুলের আগের দিনই রীতিমতো চমক দিল আম্বানির সংস্থাটি। এবার জিও প্রাইম যাঁরা নিয়েছেন তাদের জন্য চালু হল কমপ্লিমেন্টারি সার্ভিস। অর্থাৎ তাঁরা আরও তিন মাস পাবেন ফ্রি জিও পরিষেবা। সেই সঙ্গে বাড়ানো হল জিও প্রাইম মেম্বারশিপ নেওয়ার মেয়াদও।

সংস্থার কর্ণধার মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, ৩১ মার্চ নয়, আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাইম মেম্বার হতে পারবেন গ্রাহকরা। ৯৯ টাকা দিয়ে জিও মেম্বার যাঁরা হচ্ছেন, তাঁরা যদি ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ৩০৩ অথবা তার থেকে বেশি টাকার একবার রিচার্জ করেন তাহলে আগামী তিন মাসের জন্য তাঁরা পাবেন ফ্রি পরিষেবা। ওই ৩০৩ টাকা বা তার বেশি অর্থ জুলাই মাসের চার্জ হিসেবে ধার্য হবে।

স্বাভাবিকভাবেই এ খবরে খুশির হাওয়া জিও গ্রাহকদের মধ্যে। অনেকেই এ খবরকে এপ্রিল শুরুর চমক বলে ভেবেছিলেন। তবে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এ সারপ্রাইজ সংস্থার পক্ষ থেকেই। সামার সারপ্রাইজ হলেও তা কিন্তু বোকা বানানোর জন্য নয়। বরং গ্রাহককে খুশি করার জন্যই। অর্থাৎ আরও বাড়ছে ফ্রি পরিষেবা। একবার টাকা দিয়েই অন্তত মাস তিনেক নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন জিও গ্রাহকরা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Thursday, 30 March 2017

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করুন, তাহলেই বেকসুর খালাস, ৪২ জন ক্রিশ্চানকে এমনটাই বললেন পাকিস্তানের আইনজীবী



 ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করুন, তাহলেই বেকসুর খালাস। খুনে অভিযুক্ত ৪২ জন ক্রিশ্চানকে এমনটাই বললেন পাকিস্তানের সরকারি আইনজীবী। পাক সংবাদপত্র ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-এ এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।

লাহোরে দুই ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছে এই ৪২ জন ক্রিশ্চানের নাম। ২০১৫ সালের মার্চ মাসের ঘটনা। লাহোরের ইউহানাবাদে দুটি গির্জায় হামলার আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। এরপরেই সংঘর্ষে ওই দুই মুসলিম যুবকের মৃত্যু হয়। এরাই ওই গির্জায় বোমা রাখার ছক কষেছিল বলে স্থানীয় মানুষের দাবি। পাকিস্তানের অ্যান্টি-টেররিজম কোর্টে সেই মামলার শুনানি চলছে।

অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী জোসেফ ফ্র্যান্সি জানিয়েছেন, এই মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ আনিস শাহ এমন মন্তব্য করেছেন। ইসলামে ধর্মান্তরিত হলে সব মামলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলেই উল্লেখ করেছিলেন ওই আইনজীবী। অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন বলেন, ধর্মান্তরিত হওয়ার থেকে ফাঁসি হওয়া ভালো। পাক সংবাদপত্রে তরফে ওই আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমটায় অস্বীকার করেন। পরে বলেন, একটি ভিডিওতে এমন অফার দিয়ে থাকলেও থাকতে পারেন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

সুনীলহীন শোয়ে কপিলের সঙ্গে কে মাতাবে মঞ্চ ?



নাহ, সত্যিই আর দর্শকদের থেকে সুনীল সুনীল রব শোনা যাবে না। ডক্টর গুলাটি জানিয়ে দিয়েছেন, কপিলের শো’তে তাঁর ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাহলে কপিলের সঙ্গে কে মাতাবে মঞ্চ? এই লাখ টাকার প্রশ্নের উত্তর বোধহয় পাওয়া গেল। তিনি কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব। টুইট করে তিনি নিজেই শোতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। যদিও চ্যানেলের তরফে রাজু শ্রীবাস্তবের নাম করা হয়নি।




এর আগেও কপিলের শো’তে রাজু শ্রীবাস্তবকে অতিথি হিসেবে দেখা গেছে। তবে এবার পাকাপাকি ভাবে দেখা যাবে তাঁকে। গতকাল নিজে টুইট করে রাজু জানিয়েছেন, “কপিলের শোয়ের জন্য শুটিং করছি। খুব মজা হচ্ছে।” সংবাদসংস্থার কাছেও বিষয়টি খোলসা করা দিয়েছেন বোম্বে টু গোয়া খ্যাত এই কমেডিয়ান। জানিয়েছেন, আর অতিথি হিসেবে নয়। পাকাপাকিভাবে শোতে অভিনয় করছেন। শুটিংও ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ তাঁর কাজে খুশি। তাঁকে আরও শো করার জন্য বলা হয়েছে।

বিমানে মত্ত অবস্থায় সুনীল গ্রোভারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল কপিল শর্মার বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে সুনীলের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন কপিল। কিন্তু, তারপরও গলেনি বরফ। সুনীল সাফ জানিয়ে দেন, তিনি কপিলের সঙ্গে শো করছেন না। আরও অনেকে নাকি শো ছেড়ে দিতে চাইছেন। তাহলে সুনীলের জায়গায় কাকে আনা হবে? সেই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে কপিলের শোয়ের দর্শকদের মনে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

'কেউ কেউ শুধু বাছাই করে বাকস্বাধীনতা নিয়ে কথা বলে' , তসলিমা নাসরিন



নির্বাসিত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন শ্রীজাত ও মন্দাক্রান্তাকে প্রশ্ন করলেন, যখন তাঁকে বাংলা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তখন কেন তাঁরা চুপ করেছিলেন।

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলেন, তিনি বরাবরই বাকস্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করে এসেছেন। কিন্তু কেউ কেউ শুধু বাছাই করে বাকস্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে পারেন না।

বুধবারই কবি মন্দাক্রান্তা সেনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁর অপরাধ, তিনি শ্রীজাতর একটি কবিতার সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। ওই কবিতাটি হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে বলে ইতিমধ্যেই অনেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।

তসলিমা বলেন, ‘আমি বাকস্বাধীনতাকে সমর্থন করি। কিন্তু ওঁরা কোথায় ছিলেন ২০০৭ সালে যখন আমাকে জোর করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বের করে দেওয়া হয়?’

তসলিমার দাবি, এখন মন্দাক্রান্তা ও শ্রীজাত প্রতিবাদ করছে কারণ, ওঁরা হিন্দু মৌলবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। তসলিমার অভিযোগ, ‘মুসলিম বা খ্রিস্টান মৌলবাদীরা যখন আক্রমণ করেন তখন ওঁরা কিছু লেখেন না। মন্দাক্রান্তা ও শ্রীজাত যে পক্ষপাতিত্ব করে তা ওঁদের মনোভাব থেকেই স্পষ্ট।’

তিনি প্রশ্ন করেন, খাগড়াগড় কাণ্ডের পরে শ্রীজাতর কলম কেন চলেনি। ধূলাগড়ের ঘটনার পরে কেন তিনি চুপ ছিলেন?

মন্দাক্রান্তার বিষয়ে তসলিমা বলেন, ‘এই ধরণের হুমকির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। আমি হাজার হাজার মেয়েদের জানি যাঁরা প্রতিদিন এই ধরণের হুমকি পান। আমিও পেয়েছি অনেকবার। তখন কেউ কিছু বলেনি। কিন্তু মন্দাক্রান্তার ক্ষেত্রে লোকে এখন এটা নিয়ে কথা বলছে।’
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

আজই সেরা সুযোগ ! বাইক কিনলে পাবেন ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়!



আপনি কি নতুন টু-হুইলার কেনার কথা ভাবছেন? তাহলে আজই সেরা সুযোগ আপনার কাছে৷ চৈত্রের সেলে কম দামে জামাকাপড় কেনার পাশাপাশি এবার মিলছে বাইকও। ৪-৫ শতাংশ নয়, মিলবে ১০-১৫ শতাংশ ছাড়। আদালতের নির্দেশে পয়লা এপ্রিল থেকে বিএস-থ্রি দূষণ বিধির গাড়ি বিক্রি নিষিদ্ধ৷ তাই মজুত থাকা বিএস-থ্রি গাড়িগুলি বাজারে দ্রুত বিক্রি করতে চাইছে টু-হুইলার উৎপাদনকারী সংস্থা ও ডিলাররা। আর সেকারণেই দেওয়া হচ্ছে এতটা ছাড়। আজই আদালতের বেধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ায় ২০-২৫ শতাংশ ছাড়েও মিলছে বেশ কিছু টু-হুইলার, দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের৷

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এক লক্ষ টাকারও বেশি দামী হন্ডা সিবিআর ২৫০আর মডেলে মিলছে ১৫-২০ হাজার টাকা ছাড়৷ এদিকে, সিবিআর ১৫০আর মডেলে গ্রাহকরা পাবেন ১৫ হাজার টাকার ক্যাশ ডিসকাউন্ট৷ স্কুটার কিনলেও পেতে পারেন সাড়ে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট৷ একটি সংস্থা আবার ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়ের কথাও ঘোষণা করেছে। এর আগে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে এত বেশি ছাড়ের ঘোষণা হয়নি। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী, উৎপাদনকারী সংস্থা ও ডিলাররা ৩১ মার্চ পর্যন্তই বিএস-থ্রি বা ভারত স্টেজ-থ্রি গাড়ি বিক্রি করতে পারবে৷ এরপর বিক্রি হওয়া কোনও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হবে না৷ ২৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ হাতে থাকা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাম কমিয়ে যতটা সম্ভব স্টক খালি করতে চাইছে বেশ কিছু সংস্থা৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ফলে বিএস-থ্রি দূষণ বিধি মেনে তৈরি প্রায় ৮.২৪ লক্ষ গাড়ি নিয়ে সংকটে পড়েছে সংস্থাগুলি৷ এরমধ্যে টু-হুইলার মজুতের সংখ্যাই ৬.৭ লক্ষ৷ এই অবস্থায় গাড়ির ডিলাররা জানিয়েছেন, নজিরবিহীন ডিসকাউন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মজুত গাড়িগুলির যতটা বেশি সম্ভব বিক্রি করাই এখন সংস্থাগুলির লক্ষ্য৷ বাড়তি ছাড় দিয়ে মজুত পণ্য যতটা সম্ভব বিক্রি করে ক্ষতির পরিমাণ কমাতে চাইছে হিরো মোটোকর্প, হন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার, বাজাজ অটো, সুজুকি মোটরসাইকেল-এর মতো বিখ্যাত সংস্থাগুলি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পশ্চিমবঙ্গের নাম ‘বাংলা’ করার প্রস্তাবে কি বলল কেন্দ্র?



পশ্চিমবঙ্গের নাম পালটে ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যের সে প্রস্তাব খারিজ করে দিল কেন্দ্র।

প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাংলা নামের মিল আছে। তাই কূটনৈতিক সমস্যা হতে পারে। এই যুক্তি দেখিয়ে মমতার প্রস্তাবে জল ঢালল কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনিক কাজে সুবিধার জন্য পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে এমন কোনও নাম রাখা হোক যা ইংরাজি, বাংলা এবং হিন্দি ভাষার নিরিখে একই থাকবে। উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো নাম।

গত বছর বিধানসভায় একটি অধ্যাদেশ পাস হয় যেখানে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে বাংলায় ‘বাংলা’, ইংরাজিতে ‘বেঙ্গল’ এবং হিন্দিতে ‘বাঙ্গাল’ করা হবে। কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্য তা পাঠানো হয়েছিল। রাজ্য সরকার এই নাম পরিবর্তনের সমর্থনে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কারণের ব্যাখ্যা দিয়েছিল।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

রাজ্যে মিড ডে মিলের খিচুড়িতে কাঁকড়াবিছে, অসুস্থ দুই শিশু



মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলল কাঁকড়াবিছে। আর সেই খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল দুই শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে জামুড়িয়ার ২ নম্বর ব্লকের তালতোড় ১০৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র। ওই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের নাম শিশু মন্দির। সেখানেই প্রত্যেকদিন পড়ুয়াদের প্রতিদিন মিড ডে মিলও দেওয়া হয়।

গ্রামের শিশুরা অনেকেই সেখানে খাবার খাওয়ার পাশপাশি বাড়িতে খাবার নিয়েও আসে। সেই মতো গ্রামের বাসিন্দা তিন বছরের দুই শিশু অনীক রুইদাস ও টুম্পা বাউরি বাড়িতে মিড ডে মিলের খিচুড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে সেই খাবার খেয়েই নিস্তেজ হয়ে পড়ে ওই দুই শিশু।

এরপর শিশু কন্যা টুম্পা বাউরির মা দেখেন খিচুড়ির মধ্যে পড়ে আছে একটি মরা কাঁকড়া বিছে। এই দৃশ্য দেখার পরেই পরিবারের লোকেরা আতঙ্কিত হয়ে শিশুদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পরে শিশু দু’টি বিপন্মুক্ত হয়।

এই ঘটনার পর অভিভাবকরা তালা লাগিয়ে দেন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। তাঁদের অভিযোগ প্রায়ই খাবারের মধ্যে নানা রকম পোকা মাকড় পাওয়া যায়। ছেঁড়া বস্তার টুকরো, পেরেক, সুতলি এইসব খিচুড়ির মধ্যে আগেও পাওয়া গিয়েছে। এবার খাবারের মধ্যে কাঁকড়া বিছে পাওয়া গেল। মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্বে থাকা সুতপা দাস দোষ স্বীকার করে নিয়ে জানান, খোলা আকাশের নীচে রান্না করতে হয়, আলাদা স্টোর রুমও নেই। তাই খাদ্য সামগ্রীর সঙ্গে ঘুঁটে কয়লা এক সঙ্গে রাখতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকি থেকেই যায়। এমনিতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চারপাশে জঙ্গল রয়েছে। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি রান্নাঘর না করে দিলে তারা অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে ছেলেমেয়েদের আর পাঠাবেন না।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পাইথনের পেট থেকে বেরলো যুবকের দেহ, দেখুন হাড়হিম করা ভিডিও



সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ২৫ বছরের আকবর। খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেল ইন্দোনেশিয়ার যুবক। তন্ন তন্ন করে গোটা গ্রামে খুঁজেছিলেন আত্মীয়, পরিজন, বন্ধু-বান্ধবরা। বুধবার মিলল হদিশ। তবে তা ছিল শুধুমাত্র একটা নিথর দেহ।  তাও আবার আস্ত তেইশ ফুটের এক পাইথনের পেটের ভিতর।  দেখুন সেই হাড়হিম করা দৃশ্য।



ইন্দোনেশিয়ার এই সুলাওয়েসি দ্বীপে পাইথনের হামলা আগেও ঘটেছে। এতদিন কেবলমাত্র পশুদের এভাবে পাইথনের পেটে যেতে দেখছেন গ্রামবাসীরা। এই প্রথম সেখানে কোনও মানুষের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল। পাইথনের পেটটি অস্বাভাবিকভাবে মোটা হয়েছিল। পাশে ছড়িয়ে পড়েছিল আকবরের কিছু কৃষিকাজের সামগ্রী। তা দেখেই সন্দেহ হয় আকবরের আত্মীয় জুনেইদির। তাঁর কথাতেই পাইথনের পেট চিরে আকবরের দেহ খুঁজে পান গ্রামবাসীরা। ঘটনার পর থেকেই থমথমে এলাকার পরিবেশ। একা মাঠে কাজ করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষক, মজদুররা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Jio প্রাইম এর মেয়াদ কি বাড়ছে? বিভ্রান্ত না হয়ে পড়ুন রিলায়েন্স কর্তার বক্তব্য



লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারলেও রিলায়েন্স জিও, দেশের সবচেয়ে নতুন টেলিকম অপারেটর তাদের হ্যাপি নিউ অফারের মেয়াদ বাড়াচ্ছে না৷ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আগামিকাল, ৩১ মার্চ শেষ হয়ে যাচ্ছে জিও-র সমস্ত ফ্রি অফার৷ এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি গ্রাহক এককালীন ৯৯ টাকা দিয়ে জিও প্রাইম মেম্বার হয়েছেন৷ অনুমান করা হচ্ছিল, লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারায় প্রাইম মেম্বার হওয়ার জন্য গ্রাহকদের আরও এক মাস সময় দিতে পারে মুকেশ আম্বানির সংস্থা৷ কিন্তু সব জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে সংস্থার এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়ে দিয়েছেন, লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ গ্রাহককে ছুঁতে পেরেই সংস্থা সন্তুষ্ট৷ ফ্রি পরিষেবার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না৷

জিও-র হ্যাপি নিউ ইয়ার অফারে গ্রাহকরা আগামিকাল পর্যন্ত ফ্রি ফোর-জি ডেটা, এসএমএস ও ভয়েস কল পরিষেবা পাবেন৷ জিও প্রাইম সদস্য হওয়ার পর ৩০৩ টাকার রিচার্জে প্রতিদিন এক জিবি করে হাই স্পিড ফোর-জি ডেটা পাওয়া যাবে৷ সঙ্গে ফ্রি ভয়েস কল৷ কিন্তু একটি সূত্রের খবর, স্রেফ ৯৯ টাকা দিয়ে প্রাইম সদস্য হলেই আজীবন ফ্রি-তে ফোন করা যাবে এমনটা ভাবা ভুল৷ প্রতি মাসে ন্যূনতম রিচার্জ না করলে কয়েকদিন পর কানেকশন বন্ধ হয়ে যাবে৷ ট্রাই-এর নিয়ম এমনটাই৷ সেক্ষত্রে প্রতি মাসে ন্যূনতম ১৪৯ টাকার রিচার্জ করতেই হবে৷ প্রতি মাসে রিচার্জ করা যাবে ৪৯৯ টাকা পর্যন্ত৷ এক বছর ধরে সমস্ত পরিষেবা ফ্রি-তে পেতে রিচার্জ করা যাবে ৯,৯৯৯ টাকার বিনিময়ে৷

সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় ১০ কোটি মানুষ জিও-র ফ্রি ডেটা ও ভয়েস কল পরিষেবা নিয়েছেন৷ সংস্থার টার্গেট ছিল, তার মধ্যে অন্তত ৭ কোটি মানুষকে প্রাইম সদস্য করা৷ কিন্তু এয়ারটেল, ভোডাফোন ও আইডিয়া পাল্লা দিয়ে ডেটা রেট কমাতে থাকায় প্রতিযোগিতা ক্রমশ কঠিন হচ্ছে জিও-র পক্ষে৷ তাই ‘টার্গেট’ পূরণ হয়নি৷ তার উপর জিও-র বিরুদ্ধে এখনও কল ড্রপের হাজার হাজার অভিযোগ রয়েছে৷ এয়ারটেল, ভোডাফোন নম্বরে ফোন না ঢোকার অভিযোগ রয়েছে৷ তাই আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে যে ক’জন সদস্য প্রাইম মেম্বার হয়েছেন, তাঁদেরই অর্থের বিনিময়ে পরিষেবা দিতে তৈরি হচ্ছে জিও৷ তবে ৫ কোটি গ্রাহক নিয়ে এখনও দেশের বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর জিও৷ ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ গ্রাহক নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতী এয়ারটেল৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

‘সম্প্রীতি’র বার্তা দিতে চাইলেন যোগী, কি বললেন তিনি ?




সূর্য নমস্কারের মুদ্রা, প্রাণায়ামের কৌশলের সঙ্গে ‘মুসলিম ভাইদে‌র’ নমাজ পড়ার ভঙ্গির মিল আছে বলে ‘সম্প্রীতি’র বার্তা দিতে চাইলেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু লখনউয়ে যোগ মহোৎসবের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে।

তিন বছর আগে মোদী সরকারের যোগ দিবস পালনের সময়ে সূর্য নমস্কারে আপত্তি তুলেছিলেন সংখ্যালঘুদের একাংশ। তাঁদের মতে, মুসলিম ধর্মবিশ্বাসে সূর্য নমস্কারের স্থান নেই। সেই সময়ই আদিত্যনাথই দাবি করেছিলেন, যাঁরা সূর্য নমস্কারের বিরোধিতা করছেন তাঁদের গোটা জীবন গভীর সমুদ্রে কিংবা অন্ধকার ঘরে বাস করা উচিত।

কিন্তু আজ তিনি যোগ থেকে ধর্মকে আলাদা করে যোগসূত্র খুঁজতে চেয়েছেন। বলেছেন, ‘‘সূর্য নমস্কারের আসনের ভঙ্গি, মুদ্রা, প্রাণায়ামের কৌশলের সঙ্গে নমাজ পড়ার ভঙ্গির মিল আছে। কিন্তু কিছু লোক সূর্য নমস্কারে ধর্মের রং লাগায়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সূর্য নমস্কার আর নমাজে মিল থাকলেও এত দিন কেউ তাদের মেলানোর চেষ্টা করেনি। কারণ, ক্ষমতাসীনরা কেউ যোগে আগ্রহী ছিলেন না। আগ্রহী ছিলেন ভোগে। যাঁরা বিভাজন করেন, তাঁরা মানুষকে একজোট করতে পারবেন না। যোগেও তাঁদের বিশ্বাস থাকা সম্ভব নয়।’’



কিন্তু আদিত্যনাথের এই বক্তব্য মানতে রাজি নন মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের একাংশ। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য কমাল ফারুকির বক্তব্য, ‘‘সূর্য নমস্কার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অর্থহীন। মুসলিমরা সর্বশক্তিমান ছাড়া অন্য কারও প্রতি প্রার্থনা জানান না।’’ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির মতে, ‘‘বিতর্ক তৈরি করতেই যোগীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। তিনি সমাজের পক্ষে ভয়ঙ্কর বার্তা দিচ্ছেন।’’ এআইএমআইএম নেতা আসিম ওয়াকার বলেন, ‘‘সূর্য নমস্কার ও নমাজে মিল থাকলে, কাল থেকে যোগীই নমাজ পড়ুন। কেন সকলকে যোগ করতে বলছেন?’’  কংগ্রেসের এক নেতার প্রশ্ন, ‘‘এখনও পর্যন্ত সকলের জন্য উন্নয়ন করে উঠতে পারেননি যোগী। এ ভাবে অন্যের আস্থায় আঘাত দিয়েই কি তিনি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ রূপায়ণ করতে চান?’’

জুন মাসে লখনউয়ে যোগ দিবস পালন করতে চায় নরেন্দ্র মোদী সরকার। যোগগুরু রামদেবের সংগঠনের যোগ মহোৎসবকে তারই প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে বিজেপি। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান রামদেব। যোগ মহোৎসবে যোগী আদিত্যনাথের পাশেও ছিলেন তিনি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 29 March 2017

দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হতে পারে ভারত ও পাকিস্তান?


দুই দেশের সীমান্তের তিক্ততা কি ফের ধরা দেবে ক্রিকেটের বাইশ গজে? ফের কি একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার ‘মওকা’ খুঁজবে দুই দল? ফের কি হাইভোল্টেজ ম্যাচের সাক্ষী থাকতে চলেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দলের সমর্থকরা? হ্যাঁ, ফের মুখোমুখি হতে পারে ভারত ও পাকিস্তান। বিসিসিআই কিন্তু তেমন ইঙ্গিতই দিল। তবে সরকার সবুজ সংকেত দিলে তবেই এ সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে।

দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলতে রাজি হয়নি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ক্রিকেট বোর্ডকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সীমান্তে গুলির লড়াই বন্ধ না হলে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে না টিম ইন্ডিয়া। এমনকী বিশ্বকাপের মতো মঞ্চেও পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে না চাওয়ার কথা আইসিসি-কে জানিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। পাক বোর্ড চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান এ বিষয়ে একাধিকবার আর্জি জানিয়েছিলেন। প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা অনেক দূর এগোলেও উরিতে জঙ্গি হামলার পর ছবিটা ফের পাল্টে গিয়েছিল। বহিষ্কৃত অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেও অনুরাগ চিড়ে ভেজেনি। তবে এবার শোনা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে ক্রীড়াসূচি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে মৌ চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল, তার শর্তপূরণ করতেই খেলতে রাজি হয়েছে বিসিসিআই। তবে অবশ্যই দুবাইয়ের মতো কোনও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। এমনকী দ্বিপাক্ষিক সিরিজের অনুমতি পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে লিখিত আবেদনও জানিয়েছে বোর্ড।

সূত্রের খবর, পাকিস্তানের সঙ্গে তিনটি টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে এবং দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছে বিসিসিআই। সব ঠিকঠাক চললে ২০১২-এর পর ফের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই চির-প্রতিদ্বন্দ্বী। মোদি সরকার এখন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে ৪৫০ বছর আগে ফরাসি দার্শনিক নস্ত্রাদামুস ভবিষ্যৎ গণনা কি সত্যি হলো​?



ফরাসি দার্শনিক নস্ত্রাদামুস। ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তিনি। হিসাবে কখনও ভুল করেছেন। আবার হুবহু মিলিয়ে দিয়েছেন বহু বিষয়। ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়েও গণনা করেছিলেন তিনি। প্রায় ৪৫০ বছর আগের সে কথা। বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদিকে নিয়েও। নস্ত্রাদামুসের ভারত সম্পর্কে সেই ভবিষ্যৎবাণীর ইংরেজি তর্জমা করেছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক-ঐতিহাসিক ফ্রাঁসোয়া গতিয়ের। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সেই ব্লগ।

গতিয়ের-এর ব্লগ অনুযায়ী, নস্ত্রাদামুস বলেছিলেন গুজরাতে জন্ম হবে ভারতের ‘সুপ্রিম লিডার’-এর। তাঁর বাবা হবেন একজন চা বিক্রেতা। তাঁর নাম হবে ‘নরেনদাস’ (নরেন্দ্র)। গুজরাতের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী হবেন তিনি। তাঁর সময়ে ব্যবসা-বানিজ্যে বিরাট উন্নতি করবে এই রাজ্য। এই ব্যক্তির হাত ধরে এশিয়া মহাদেশে শিরোনামে উঠে আসবে ভারত। নস্ত্রাদামুসের লেখায় ছিল বিজেপির কথাও। এমনটাই বলছে গতিয়ের-এর ব্লগ। ‘দ্য পলিটিক্যাল গ্রুপ অব হিন্দুস’ নামে একটি দল ২১ শতকে ভারতে রাজত্ব করবে, বলেছিলেন নস্ত্রাদামুস। বিজেপিকে সেই দলই বলছেন গতিয়ের।

হিন্দু ধর্ম ভারতের জন্য কেন ভাল, তা নিয়েও লিখেছিলেন তিনি। ৩৭০ আর্টিক্যাল, রামমন্দির, কাশ্মীর রক্ষা সবই ছিল নস্ট্রাদামুসের লেখায়। প্রায় ১০ বছর ধরে এক সাদা চামড়ার মহিলার শাসনকালে দেশে দারুণ অব্যবস্থা তৈরি হবে। তাঁর সঙ্গে লড়াই করেই দেশের মসনদে বসবেন নরেনদাস।তবে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত করলে ক্ষমতা হারাতে হতে পারে মোদিকে সে বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিমন্ত্রণ ট্রাম্পের , কোন দিকে এগবে দুই দেশের সম্পর্ক ?



হোয়াইট হাউসে নিমন্ত্রিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বছরশেষেই রওনা দেবেন মার্কিন মুলুকে৷ দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে৷ এমনটাই জানা গিয়েছে ট্রাম্পের মিডিয়া কর্ণার থেকে৷

মোদিম্যাজিকে গেরুয়া ঝড় বয়েছে উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের সাম্প্রতিক নির্বাচনে৷ এমনকী, গোয়া ও মণিপুরের মতো রাজ্যে পিছিয়ে থেকেও সরকার গড়েছে বিজেপি সরকার৷ বিপুল এই জয়ের পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ দু’জনের মধ্যে সৌজন্যমূলক কথার পাশাপাশি রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও নাকি আলোচনা হয়৷ তারই কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে সম্প্রতি  প্রকাশ করা হয়৷ সেই প্রকাশিত বিবৃতিতেই বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকে আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাবেন ট্রাম্প৷

মার্কিনিদের ভোটে অপ্রত্যাশিতভাবেই জয় লাভ করেন ট্রাম্প৷ প্রেসিডেন্ট হয়েও অব্যাহত তাঁর বিতর্কের পালা৷ তবে শোনা গিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভালই সম্পর্ক রয়েছে ডনের৷ মোদিও সৌজন্য বজায় রেখেছেন বারবার৷ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই ট্রাম্পকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি৷ এরপরও একাধিকবার হট লাইনে কথা হয়েছে দুই শীর্ষ ব্যক্তিত্বের৷ প্রতিবারই সেই আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে৷ জুলাই মাসে জার্মানিতে G-20 সামিটেও দুই নেতার দেখা হওয়ার কথা রয়েছে৷ সেক্ষেত্রেও দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে আশা রাজনীতিবিদদের৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মোদির দ্বারস্থ, তালাক প্রাপ্ত​ গর্ভবতী মুসলিম মহিলা



দুই কন্যাসন্তানের জননী তিনি। তৃতীয়বার গর্ভবতী হওয়ামাত্রই পেলেন তিন তালাক। কেননা তাঁর স্বামী আর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা চান না যে, তিনি আবার কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। গত্যন্তর না দেখে শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন এক মুসলিম মহিলা।

জানা যাচ্ছে, শওগোফ্তা শাহ নামে ওই মহিলার উপর রীতিমতো অত্যাচার চালিয়েছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তাদের দাবি ছিল, গর্ভপাত করান ওই মহিলা। কিন্তু কোনওভাবেই সন্তান নষ্ট করতে চাননি তিনি। গত ২৪ মার্চ তাঁকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও প্রতিরোধ করেন তিনি। তখন বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতেও গর্ভপাত না করানোর সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন মহিলা। তখনই তাঁকে তিন তালাক দেওয়া হয়।

তিন তালাকের বিরুদ্ধে সরব হতেই চেয়েছিলেন ওই মহিলা। ঘটনার অভিযোগ জানাতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর অভিযোগ নেওয়াও হয়। কিন্তু কোনও এফআইআর করা হয় না। শেষমেশ খোদ প্রধানমন্ত্রীকেই চিঠি লিখে পুরো বিষয়টি জানান তিনি। তিনি ও তাঁর মতো অত্যাচারিতদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানান।

পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়ার মতো মুসলিমপ্রধান দেশে তিন তালাক বাতিল হয়েছে। কিন্তু ভারতে এখনও তা বলব। সম্প্রতি এই প্রথা রদের আবেদন জানায় মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ। যদিও সুপ্রিম কোর্টে মুসলিম ল বোর্ড তিন তালাক রাখার পক্ষেই সওয়াল করেছে। পবিত্র কোরানের নির্দেশ বলেই তা বাতিল না করার আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই প্রথা তুলে দেওয়ারই আবেদন জানিয়েছেন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Monday, 27 March 2017

রাজ্যে আরও শক্তিবৃদ্ধি বিজেপির ! বিজেপিতে যোগ দিলেন ১০০ জনেরও বেশি শিক্ষাজগতের মানুষ



রাজ্যে আরও শক্তিবৃদ্ধি বিজেপির।  বঙ্গবিজেপিতে যোগ দিলেন ১০০ জনেরও বেশি শিক্ষাজগতের মানুষ।  এরা সবাই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে।  আজ রবিবার মহাজাতি সদনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ সবার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।

পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, আগামিদিনে বিজেপির আরও শক্তি বাড়বে এই রাজ্যে।  কারণ, সাধারণ মানুষ বুঝে গেছে যাদের হাতে রাজ্যের ক্ষমতা রয়েছে তাঁরা রাজ্যের উন্নতি করতে পারবে না।  শুধু তাই নয়,  নারদকাণ্ডের ফলে শাসকদলের নেতা, মন্ত্রী ও সাংসদদের প্রকৃত চরিত্র রাজ্যের সাধারণ মানুষের সামনে এসে গেছে।  কিন্তু এরপরেও রাজ্য সরকার এই সমস্ত মন্ত্রীদের সরকারি পদে বহাল রেখে দিয়েছে।  কার্যত সত্যিটা বুঝতে পেরে আগামিদিনে আরও মানুষ বিজেপিতে যোগ দেবে বলে দাবি দিলীপ ঘোষের।  এমনকি, শাসকদল ছেড়েও বহু মানুষ বিজেপিতে আসবে বলেই দাবি তাঁর।

এদিন বিজেপিতে যারা যোগ দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ভবেন্দ্রনাথ শ্রীবাস্তব, বাণীকেশ সিনহা, শ্যাম ঘোষ, রমা শেঠ, করণ বোঠরা, প্রশান্ত মিত্র, বিনোদ কুমার সহ অনেকে।  বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়ের ঘনিষ্ট ছিলেন। কিন্তু, যে ভাবে সৌগত রায়কে নারদাকাণ্ডে টাকা নিতে দেখা গেছে তার ফলেই এই সমস্ত মানুষেরা বিজেপিতে এসেছেন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

৪৫ ফুট উঁচু তালগাছে উপর কি করছে কিশোরী ?



‘তালগাছই আমার বাড়ি, তালগাছই আমার ঘর’—এ কথা বলে প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু একটি তালগাছে উঠে বসে হাবিবা খাতুন (১৫) নামের এক কিশোরী। এলাকাবাসী তাকে নামাতে ব্যর্থ হওয়ায় ছয় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এলাকাবাসীর সহায়তায় তালগাছ থেকে নামায় ওই কিশোরীকে।

গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতি ইউনিয়নের কুমারকান্দা গ্রামে। হাবিবা ওই গ্রামের সাহেদ আলীর মেয়ে। সে স্থানীয় কৃষ্ণদিয়া বাকু মৃধা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

এলাকাবাসী জানায়, শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই কিশোরীকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। অবশেষে তাকে স্থানীয় একটি তালগাছের মাথায় খুঁজে পান। স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে নেমে আসার জন্য অনুরোধ করলে সে নামতে রাজি হয়নি। সে বলতে থাকে, ‘আমি এই তালগাছেই থাকব, তালগাছই আমার বাড়ি, তালগাছই আমার ঘর।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই কিশোরীকে ডেকে নামাতে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় চার ব্যক্তি তালগাছে উঠে তাকে নামাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বিষয়টি ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এলাকাবাসীর সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওই কিশোরীকে নামিয়ে আনেন। তিনি বলেন, গাছে থাকা অবস্থায় কিশোরী কয়েকবার সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। কিশোরীকে নামিয়ে আনার পর স্থানীয় লোকজন ‘অপশক্তির প্রভাবে এ ঘটনা ঘটেছে’ মনে করে ঝাড়ফুঁক দেয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এলাকাবাসী ওই কিশোরীকে তালগাছ থেকে নামাতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। উদ্ধারের পর কিশোরী সুস্থ আছে, বাড়িতেই আছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল এবার কলকাতায়!



কলকাতার ফুটবল ইতিহাস ১০০ বছর ছাড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু তবুও বিশ্ব ফুটবলে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি কলকাতা। এবার সামনে সেই সুযোগ এতদিন শুধু রিও ডি জেনেইরো বা সিওলের মতো শহরগুলোকে দেখত কলকাতাবাসী, আর মনে মনে আক্ষেপ চলত এই শহরেও যদি এমন একটা বিশ্বকাপের ফাইনাল হতো। কলকাতাবাসীর এই আক্ষেপ মিটতে চলেছে। এবার কলকাতায় বসেই কলকাতার স্টেডিয়ামেই দেখা যাবে বিশ্বকাপ ফাইনাল।

অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালের দায়িত্ব পেয়ে গেল কলকাতা। এর মধ্যে সূচির কোনও পরিবর্তন না হলে চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই বসতে চলেছে অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল।

সোমবার অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের অফিসিয়াল ম্যাচ বলেরও উদ্বোধন করা হয়
সোমবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন পরিদর্শনে আসেন ফিফার অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের কর্তারা।

৯ জনের এই ফিফা প্রতিনিধি দলে ছিলেন পরিচালন কমিটির প্রধান কর্তা হেইনিয়াদ। তিনি পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, যুবভারতীর পরিকাঠামো এবং সংস্কার তাঁদের মুগ্ধ করেছে। এখনও কিছু কাজ বাকি আছে। কিন্তু, স্থির হয়ে গিয়েছে কলকাতাতেই অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে।

জানা গিয়েছে, ফাইনাল সহ মোট ১০টি ম্যাচ পাচ্ছে কলকাতা। এর মধ্যে ৬টি ম্যাচ গ্রুপ লিগের। একটি ম্যাচ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল। একটি ম্যাচ কোয়ার্টার ফাইনালের এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণের জন্য একটি ম্যাচ পাচ্ছে কলকাতা।

দু'টি সেমিফাইনাল হবে মুম্বই এবং গুয়াহাটিতে। ৬ অক্টোবর শুরু হচ্ছে অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। দিল্লিতে হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

রোগীর দেহ ছিঁড়ে খেল কুকুর !



মধ্যপ্রদেশের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে কতটা ভয়াবহ তার জ্বলন্ত প্রমাণ রেখে গেল রায়গড়ের সরকারি হাসপাতালের ঘটনা। এক ৭০ বছরের মহিলার দেহ সেখানে ছিঁড়ে খেল কুকুর। ১০ মাসেরও কম সময়ে এমন পঞ্চম ঘটনা ঘটল এ রাজ্যে।

ওই রোগিণীর নাম বিসমিল্লাহ বাঈ। কদিন ধরেই দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসকরা। গন্ধের উৎস সন্ধানে গিয়ে হাসপাতালের সাফাই কর্মীরা দেখেন, হাসপাতালের পিছনে ওই রোগিণীর দেহ। শুধু তাঁর মাথা ও শরীরের ওপরের কিছু অংশই অবশিষ্ট ছিল, বাকিটা ছিঁড়ে খেয়েছিল কুকুরের পাল। কুকুরের হামলার সময় তিনি বেঁচে ছিলেন কিনা, জানা যায়নি।

দেখা যাচ্ছে, ঝোপঝাড়ের ভেতর দিয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট টেনে নিয়ে যাওয়া হয় দেহটিকে।

আরও অদ্ভূত ব্যাপার, বিসমিল্লাহ যে নিখোঁজ ছিলেন, তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতই না। শেষে রবিবার এভাবে উদ্ধার হল তাঁর দেহ।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Sunday, 26 March 2017

স্টুডিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি অর্ণব গোস্বামী কে !



গত বছরই ‘টাইমস নাও’ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অর্ণব গোস্বামী। সম্প্রতি একটি ইন্টারভিউতে তিনি জানান যে কেন হঠাৎ ছেড়ে দিয়েছিলেন ‘টাইমস্‌ নাও’।

তিনি জানিয়েছেন তিনি চেয়েছিলেন নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম। কোন পরিস্থিতির সঙ্গে আপোশ না করে সত্যিটাকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। এখানেই বাধ সাধে তার সংস্থা। “আমি আমার স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেছি এই নকল সংবাদমাধ্যম থেকে। আমি এবং আমার নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকরা প্রশ্ন তুলব”, জানান অর্ণব গোস্বামী।

৮ নভেম্বর নোট বাতিল হওয়ার পর তিনি কেজরিয়ালের উদ্দেশে একটি মন্তব্য করেছিলেন সেই মন্তব্যটি নিয়ে এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “১৪ নভেম্বর আমি বলেছিলাম, নোট বাতিলের পর যন্তর মন্তরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই নাটকটা বন্ধ করা উচিত”।

তারপরই ১৬ নভেম্বর তাকে ‘টাইমস নাও’র স্টুডিওতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানান অর্ণব গোস্বামী। এইসব কারণেই ‘টাইমস নাও’ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান তিনি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

দিল্লিকে কেন সতর্ক করল ঢাকা ?



 জঙ্গিদের ভারতে যাওয়ার প্রবণতা ‘তিন গুণ বেড়েছে’ বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দিল্লিকে সতর্ক করেছে ঢাকা। মঙ্গলবার পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন খবর প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম (হুজি) ও জামাআতুল মুজাহিদিনি বাংলাদেশের (জেএমবি) মত জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় প্রবেশের প্রবণতা তিনগুণ বেড়েছে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

২০১৪ সালের অক্টোবরে বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় জেএমবির সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা- এনআইএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করছেন। বর্ধমান বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি নিহত হয়। এ মামলার অভিযোগপত্রেও জেএমবি সদস্যদের জড়িত থাকার কথা বলেছেন তদন্তকারীরা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই সময়ে ভারতের তিনটি রাজ্যে হুজি ও জেএমবির আনুমানিক ২০১০ জন সদস্য প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে ৭২০ জন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ঢুকেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ৮০০ এবং পরের বছর ৬৫৯ জন জঙ্গি ভারতে প্রেবেশ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, আমরা তথ্য সংগ্রহ করে বিষয়টি যাচাই করে দেখার চেষ্টা করছি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা ইফতাদুর রহমান’ গত ১২ জানুয়ারি ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশের পর আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে তার সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে গোয়েন্দাদের বিশ্বাস।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ভালো নেই বাংলাদেশ এর হিন্দুরা !!! ফের হিন্দু মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর


বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় প্রশাসনের সমালোচনার মধ‌্যেই ঠাকুরগাঁও সদরে একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে নারগুন ইউনিয়নের পোকাতি পশ্চিমপাড়া গ্রামে সার্বজনীন বিষ্ণু মন্দিরে এই হামলা হয় বলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মশিউর রহমান জানান।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিএনপি নেতা নারগুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে বলে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ জানান।

দেওয়ান লালন বলেন, দুপুরে অভিযান চালিয়ে শহর থেকে চেয়ারম্যান পয়গাম আলীকে আটক করা হয়। মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনি জড়িত রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

পয়গম আলী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে জানিয়েছেন ওই কমিটির আহ্বায়ক তৈমুর রহমান।

সার্বজনীন বিষ্ণু মন্দিরের সভাপতি চক্র মোহন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভক্তরা রাত ১২টার দিকে বাড়ি ফেরার পর দুর্বৃত্তরা দুর্গা মন্দিরের ভেতরে ঢুকে গীতায় আগুন দেয় এবং কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে।

পশ্চিমপাড়ার সুরেন রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা মন্দিরে ভাঙা প্রতিমা ও পোড়া জিনিসপত্র দেখতে পাই।”

শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ বলেন, জড়িতদের ধরতে ইতোমধ‌্যে ‘অভিযান শুরু করেছে’ পুলিশ।
স্থানীয়রা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের যেসব হামলার ঘটনা ঘটছে, তারই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁওয়ের এ ঘটনা।

স্থানীয় জোছনা রানী বলেন, “এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।”

ঠাকুরগাঁও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারাও দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

গত ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দুদের শতাধিক বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পর স্থানীয় প্রশানের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার ভোরে একই এলাকায় হিন্দুদের কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

গত কয়েক দিনে যশোর, বরিশাল, ফরিদপুর, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল RSS



মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে। বাংলায় গেরুয়াকরণের রাজনীতি করছে। যার প্রেক্ষিতে শুক্রবার আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গের প্রান্ত কার্যবাহক জিষ্ণু বসু মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। তাঁর বক্তব্য, সংঘের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনও অসাংবিধানিক বার্তা ছড়ানো হয় না।

আরএসএস একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। সেখানে জাতপাত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রের হিতে কাজ করা হয়। আমি ওনাকে (মুখ্যমন্ত্রী) চ্যালেঞ্জ করে বলছি, উনি উদাহরণ দিয়ে দেখান, কোনও আরএসএস নেতা-কর্মী ওই ধরনের উসকানি দিয়েছেন। অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, রাজ্যে আরএসএস পরিচালিত স্কুলগুলির মধ্যে ৯৬টির অনুমোদন নেই। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। যার জবাবে জিষ্ণুবাবুর পালটা প্রশ্ন, উনি কি জানেন শিমুলিয়ার মাদ্রাসায় কী কাণ্ড হচ্ছে? ওখানে ছেলেমেয়েদের জেহাদি বানানো হচ্ছে।

মেয়েরা পড়তে এসে দেশ বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, আমি জানি ওই সব মাদ্রাসা বন্ধ করার ক্ষমতা বা হিম্মত শিক্ষামন্ত্রীর নেই। তার আগে উনি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের ৩১টি প্রাথমিক স্কুলে হতশ্রী শৌচাগারের দশা দেখে আসুন। সেখানে মিড-ডে মিলের গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখুন। অন্যদিকে, শ্রীজাত বিতর্কে অভিযোগকারী হুমকি দিয়ে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি কবির সেই লেখনী যদি কারও ব্যক্তিগত শালীনতায় আঘাত করে, সেক্ষেত্রেও কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানান জিষ্ণু বসু।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মন কি বাত-এ কি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী !



আমরা একুশ শতকে পা রেখেছি। সবাই চায় ভালর জন্য পরিবর্তন আসুক, সবাই চায় নতুন ভারত। এ মাসের মন কি বাত-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন এ কথা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১২৫ কোটি ভারতীয় নতুন ভারত তৈরি করতে চান, শ্রেষ্ঠ ভারত তৈরি করতে চান। সবাই চান, এতে নিজেরও কিছু অবদান রাখতে। এ দেশের মানুষ চরিত্রগতভাবে অন্যের প্রতি যত্নশীল। নানা কারণে পার্থক্য থাকলেও তারা পরস্পরকে সাহায্য করে, বিশেষ করে গরীব ও অসুস্থকে। সেটাই আমাদের সবথেকে বড় শক্তি- একে অন্যের পাশে থাকার শক্তি।

প্রধানমন্ত্রীর আশা, নতুন ভারত এই ১২৫ কোটি শক্তি ও দক্ষতায় গড়ে উঠবে। তৈরি হবে ভব্য ও দিব্য ভারত।

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, শেষ কয়েক মাসে ১২৫ কোটি ভারতীয় ২৫০০ কোটি টাকার ডিজিটাল লেনদেন করেছেন। এভাবে ক্যাশলেস ব্যবস্থার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

স্বচ্ছ ভারতের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বচ্ছতা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে খাবার নষ্ট করা দুর্ভাগ্যজনক। এমন অনেক তরুণ তরুণী আছেন, যাঁরা খাবার নষ্ট করা রুখতে প্রযুক্তির ব্যবহার করছেন। খাবারের অপচয় গরীবের প্রতি অন্যায় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

পাশাপাশি যে ছাত্রছাত্রীরা বোর্ডের পরীক্ষা দিচ্ছে, তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হওয়ায় সে দেশের জনতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। একইসঙ্গে স্মরণ করেছেন জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের কথা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

“আমরা জানি কী করে মূর্তি সরাতে হয়। ১৫ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে”



কলকাতার বেকার হোস্টেল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’।

আজ শনিবার দুপুরে কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সম্পাদক মুহম্মদ কামরুজ্জামান সময়সীমা বেধে দিয়ে বলেন, “আমরা জানি কী করে মূর্তি সরাতে হয়। ১৫ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে। এর পর আমরা এই মূর্তি সরানোর জন্য যত বড় আন্দোলন করার প্রয়োজন হয় করবো।”

মুহম্মদ কামরুজ্জামান কলকাতা থেকে তসলিমা নাসরিনকে তাড়ানোর উদাহরণও টানেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “রবিবার তালতলা থানায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য মামলার অভিযোগ করা হবে।”

তবে কামরুজ্জামন বলেন, বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি স্তম্ভ থাকলে তারা আপত্তি তুলবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে ৮ নম্বর স্মিথ রোডের বেকার হোস্টেলের মসজিদের ইমাম নিয়ামত হোসেন হাবিবি ছাড়াও সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ইমাম নিয়ামত হুমকি দিয়ে বলেন, “ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। কোনও ভাবেই বেকার হোস্টেলের বঙ্গবন্ধুর মূর্তি রাখা চলবে না।”

তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, “যদি এতোই প্রয়োজন হয় তবে এই মূর্তি কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের মাথায় নিয়ে লাগানো হোক। কলকাতার বহু জায়গা ফাঁকা আছে সেখানে বসানো হোক। সংখ্যালঘু ছাত্রাবাসে কেন বসবে মূর্তি? যদিও ১৫ দিনের মধ্যে মূর্তি সরানো না হয় তবে প্রয়োজনে আমরাই বঙ্গবন্ধুর মূর্তি সরিয়ে ফেলবো।”

গত বধুবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরানোর দাবির কথা শুনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, এই আন্দোলন কোনওভাবেই বরদাস্ত করবেন না তিনি এবং প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নিবে তার সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এই কঠোর হওয়ার বিষয়ে কী ভাবছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে কামরুজ্জামান বলেন, আসলে মুসলিমদের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক খেলা করা হচ্ছে। এটা কোনও দিনই আমরা মেনে নেবো না। কলকাতা থেকে এর আগে ইসলাম ধর্ম অবমাননাকারী তসলিমা নাসরিনকেও তাড়ানো হয়েছিল। ইতিহাস ঘাটলে আমাদের আন্দোলন সম্পর্কে আপনারা সবাই জানবেন। আমরা ১৫ দিনের সময় দিয়েছি এবার বাকিটা আমরা ১৫ দিন পরেই বলবো।

এর আগে তিনি বলেন, কলকাতার তালতলা থানায় কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য মামলা করবে সারা বাংলা যুব সংখ্যালঘু ফেডারেশন।

প্রসঙ্গত, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষে (বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ) বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এর পরদিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরানোর দাবি করে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন।

সেই দাবির পর এবার আলটিমেটাম দিয়ে নিজেরাই ভাস্কর্য সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলো সংগঠনটি।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Thursday, 23 March 2017

পড়াশুনার জন্য সাহায্য চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুসলিম মেয়ের, তারপর কী হল ?



টাকার অভাবে পড়াশুনা শিকেয় উঠেছিল তাঁর৷ কোনও ব্যাংক থেকে পড়াশুনার জন্য কোনও ঋণও পাচ্ছিল না সে৷ অবশেষে আর কোনও উপায় না দেখে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেই আর্জি জানায় বি বি সারা৷ এই মেধাবি ছাত্রী জানায়, সে আরও পড়াশুনা করতে চায়৷ আরজি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকেও আশ্বাস মেলে৷ বিজয়া ব্যাংক থেকে তার জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা হয়৷

কর্ণাটকের মানডিয়া জেলার বাসিন্দা বি বি সারা৷ এমবিএ-র ছাত্রী সারা৷ পারিবারিক আয়ও সামান্য৷ তার বাবা একটি চিনির কারখানায় কাজ করে৷ এরফলে তার পরিবারে আর্থিক সমস্যা লেগেই থাকত৷ টাকার অভাবে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া দিনকে দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছিল তার জন্য৷ সারা জানিয়েছে, সে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন জানান৷ পরীক্ষার ভালো রেজাল্ট থাকা স্বত্ত্বেও তার আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয় ব্যাংকের তরফে৷ কারণ সে আগেও ওই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিল৷ কিন্তু সেই ঋণের টাকা সে শোধ দিতে পারেনি৷ তাই ব্যাংকের তরফে আর কোনও ঋণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়৷

কিন্তু এরপরও কিন্তু হাল ছাড়েনি এই মুসলিম মেয়েটি৷ সরাসরি সে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সে চিঠি লেখে৷ আর তার চিঠি লেখার ১০দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তার পড়াশুনার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়৷ সারা জানিয়েছে, তার বিশ্বাস ছিল প্রধানমন্ত্রীর উপর৷ কিন্তু এত তাড়াতাড়ি যে সাড়া মিলবে সে সেটা ভাবতে পারেনি৷ তাই সারা এই ঘটনায় হতবাক এবং পাশাপাশি খুব খুশিও সে৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সে ধন্যবাদ জানাতেও চেয়েছে মোদীকে৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

অফিস চত্বর নিজেই ঝাড় দিলেন যোগীর মন্ত্রী




মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই সংবাদের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ একের পর এক কড়া দাওয়াইয়ে তটস্থ রেখেছেন গোটা রাজ্যকে৷ নিজের দপ্তরেও কড়া নজর নয়া মুখ্যমন্ত্রীর৷ এই ক্ষেত্রের তাঁর সর্বপ্রথম নির্দেশ, স্বচ্ছ রাখতে হবে গোটা অফিস চত্বরকে৷ যেখানে-সেখানে নোংরা ফেলে রাখা যাবে না৷

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে তাঁর মন্ত্রিসভা৷ বিশেষ করে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য উপেন্দ্র তিওয়ারি৷ সাতসকালে দপ্তরে এসে নিজেই ঝাড়ু হাতে নেমে পড়েন ময়দানে৷ নিজের অফিস চত্বর নিজেই ঝাড়ু দিয়ে সাফ করার পরই শুরু করলেন দিনের কাজ৷ মন্ত্রীর এই বিরল সাফাই অভিযান দেখতে ভিড় জমে গিয়েছিল সরকারি ভবনে৷ অনেকে এভাবেই মোবাইলে তুলে রেখেছেন সেই দৃশ্য৷



শুধু অফিস সাফাই রাখাই নয়, অফিস চলাকালীন কর্মীদের পান, মশলা ও তামাকজাত দ্রব্য খাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই এই স্বচ্ছ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি৷ প্রধান পুরোহিত হিসেবে প্রতিদিন ভোরে উঠে গোটা গোরক্ষনাথ মন্দির চত্বরের স্বচ্ছতা পরিস্থিতি নিজে ঘুরে পরীক্ষা করে দেখেন তিনি৷ সেই স্বচ্ছতাই এবার গোটা উত্তরপ্রদেশের জন্য চান আদিত্যনাথ৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

লন্ডন হামলাকারী খালিদ মাসুদকে তাদের একজন 'সৈনিক' বলে দাবি করল ISIS



লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ গতকাল পার্লামেন্ট ভবনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে। পুলিশ বলছে, হামলাকারীর নাম খালিদ মাসুদ।

গতকাল পার্লামেন্ট ভবনে ঐ ঘটনার সময় এক পর্যায়ে হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পুলিশ বলছে, ৫২ বছর বয়সী খালিদ মাসুদের জন্ম কেন্টে। কিন্তু তিনি বসবাস করতেন ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে।

পুলিশের খাতায় অপরাধী হিসেবে খালিদ মাসুদের নাম আগে থেকেই ছিল। অস্ত্র রাখা এবং আক্রমণ চালানোর অভিযোগে এর আগে তার সাজাও হয়েছিল।

গতকালের সন্ত্রাসী হামলায় হামলাকারী ছাড়াও এক পুলিশ অফিসার সহ আরও তিনজন নিহত হন।
বুধবার বিকেল পৌনে তিনটার সামান্য আগে হামলকারী খালিদ মাসুদ ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ দিয়ে ড্রাইভ করে যাওয়ার সময় তার গাড়ি তুলে দেয় পথচারীদের ওপর।

এসময় দুজন নিহত হয়, আহত হয় আরও বহু মানুষ। এরপর গাড়িটি এসে ধাক্কা দেয় পার্লামেন্ট ভবনের রেলিং এ।

ছুরি হাতে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এরপর হামলাকারী পার্লামেন্ট ভবনের দিকে দৌড়ে যায়। সেখানে পুলিশ তাকে বাধা দেয়।

তখন একজন নিরস্ত্র পুলিশ অফিসার কীথ পামারকে ছুরিকাঘাত করে হামলকারী। কীথ পামার নিহত হন।

হামলাকারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। নিহত হয় হামলাকারী খালিদ মাসুদও।
২০০৫ সালে লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডে সন্ত্রাসী হামলার পর এটি ছিল লন্ডনে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা।

আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট ইতোমধ্যে খালিদ মাসুদকে তাদের একজন 'সৈনিক' বলে দাবি করেছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

রাজ্যে বড়সড় ধাক্কা তৃণমূলের ! বিজেপিতে যোগ দিলেন ৪০০ জন তৃণমূল কর্মী



রাজ্যে বড়সড় ধাক্কা তৃণমূলের।  বিজেপিতে যোগ দিলেন ৪০০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থক।  বিজেপিতে যোগ দিলেন ত্রিপুরা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী রতন চক্রবর্তীও।  কংগ্রেসের আমলে মন্ত্রী হন রতন চক্রবর্তী।  যদিও পরে তৃণমূলে যোগদান করেন।  দলের রাজ্য কমিটির চেয়ারম্যানও হন।

কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি।  তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন সত্যনারায়ণ দে, মানিককুমার সাহা সহ আরও অনেকে।  যোগ দেন কংগ্রেস নেতা রাজীব সমাদ্দারও।  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি বিপ্লব দেব, নেতা সুনীল দেওধর সহ অন্যরা।  ফলে, ত্রিপুরাতে প্রায় তৃণমূল আর থাকল না বলেই মত রাজনৈতিকমহলের।

প্রাক্তন তৃণমূল নেতা রতন চক্রবর্তী বলেন, “শক্তিশালী ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যেই বিজেপিতে যোগদান করেছি।  আমাদের লড়াই বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে।  দুই যুগ ধরে মানুষকে লুট করেছে ওরা।  চাকরির ক্ষেত্রে হয়েছে অনিয়ম, দলবাজি। শ্রমিকদের বঞ্চনার মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।  আর উত্তর-পূর্বের মানুষের বঞ্চনা দূর করতে এগিয়ে এসেছে বিজেপিতে।  দেশজুড়ে উন্নয়নযজ্ঞ শুরু হয়েছে।” তিনি আশাবাদী, “২০১৮-তে ত্রিপুরায় সরকার গড়বে বিজেপি।” তাঁর অভিযোগ, “কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করে। বিজেপিকে হিন্দুত্ববাদীর তকমা দেওয়া হয়েছিল।  কিন্তু, উত্তরপ্রদেশের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করে।

সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিদিনে আরও কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।  এমনকি সেই তালিকায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়কও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

একেই বলে যোগী রাজ? মহিলাদের উত্যক্ত করার অভিযোগে ৮০০ জনকে গ্রেপ্তার


মুখ্যমন্ত্রী যোগী  আদিত্যানাথের নেতৃত্বে নতুন সরকার আসার পর ভোল পাল্টে এবার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির শোচনীয় অবস্থা ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গত ২ দিনে ইভ-টিজার ও মহিলাদের উত্যক্ত করার অভিযোগে ৮০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি, দলজিত চৌধুরি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ মতো ইভ-টিজিং রুখতে একটি বিশেষ স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। ইভ-টিজারদের সতর্ক করা ও কাউন্সেলিং করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ডিজি আরও জানিয়েছেন, চব্বিশ ঘন্টায় সক্রিয় থাকবে মহিলাদের হেল্পলাইন ১০৯০। সদ্য গঠিত অ্যান্টি ইভ-টিজিং স্কোয়াডে বেশ কয়েকজন মহিলা পুলিশ অফিসারও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

উত্তরপ্রদেশের ২১তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের ইভ-টিজিং ও ধর্ষণের মাত্রা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাই সে বিষয়টিও কড়া হাতে দমন করতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী।  মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য তিনি ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর ফলে এক দল পুলিশ কলেজ, শপিং মলের মতো এলাকায় যে কোনও সময় অতর্কিতে নজরদারি চালাবে। মহিলাদের সঙ্গে কোনওরকম অপ্রীতিকর ব্যবহার নজরে পড়লেই পুলিশের কোপে পড়তে হবে ইভ-টিজারকে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Wednesday, 22 March 2017

সোনিয়া গান্ধীর ‘কাছের লোক’ এসএম কৃষ্ণকে টেনে নিল পদ্ম শিবির



 দক্ষিণ ভারতে শক্তিহীন বিজেপি নিজেদের ঘর গোছাতে তৎপর৷ সেই লক্ষ্যে একদা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ‘কাছের লোক’ এসএম কৃষ্ণকে টেনে নিল পদ্ম শিবির৷ অশীতিপর এই কংগ্রেস নেতা বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷

এসএম কৃষ্ণ দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসের অন্যতম নেতা৷ বিদেশমন্ত্রী হয়েছেন৷ ছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী৷ ৮৪ বছরের কৃষ্ণকে দলে সামিল করে দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিতে কংগ্রেসকে বড় ধাক্কা দিল বিজেপি৷ এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ কর্ণাটক কংগ্রেস শাসিত৷ গত বিধানসভা নির্বাচনেও এস এম কৃষ্ণ দলকে জিতিয়ে আনতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন৷ রাজ্য বিধানসভায় ২২৫টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে ১২১টি৷ বিজেপি ৪৪টি আসন পেয়েছে৷

উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, গোয়াতে ক্ষমতা দখলের পর বিজেপির লক্ষ্য দক্ষিণে তাদের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা৷ কেরলে ক্ষমতাসীন সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ৷ তামিলনাড়ুর ক্ষমতায় এআইএডিএমকে৷ অন্ধ্রপ্রদেশ টিডিপি দখলে৷ তেলেঙ্গানায় আছে টিআরএস৷আর পুডুচেরিতে কংগ্রেস৷ সবমিলে দক্ষিণ ভারতে বিজেপি শক্তিহীন৷ তাই লক্ষ্য কর্ণাটক দখল৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেই কারণে এস এম কৃষ্ণের মত অভিজ্ঞ কংগ্রেস নেতাকে দলে টেনে এনেছেন মোদী-অমিত শাহ জুটি৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

গিনেস বুকে নাম উঠুক রাহুল গান্ধীর, সবচেয়ে বেশি নির্বাচন হেরেছেন যে



এখনও পর্যন্ত কতবার ভোটে হেরেছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী? সংখ্যাটা কম করেও ২৭ বার। আর সেই নিয়েই রাহুলের নাম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকডর্সে যোগ করার আবেদন জানাল মধ্যপ্রদেশের হোসাঙ্গাবাদের এক ছাত্র বিশাল দিওয়ান। সবচেয়ে বেশি ২৭ বার ভোটে হেরেছেন রাহুল গান্ধী। তাই তাঁর নাম যোগ করা হোক গিনেস বুক অব রেকর্ডসে। আবেদন করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই ছাত্র।

কংগ্রেস সহ-সভাপতি পদে থাকলেও দলের অন্দরে রাহুলের কার্যকারিতা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেক নেতাই। বিশেষ করে চলতি বছরে উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং উত্তরপ্রদেশে হারার পর থেকেই তা যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে হার। কারণ অখিলেশ-রাহুল জোট হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি ঝড়ে উড়ে গেছে বিরোধীরা। এরপরেই রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্নও উঠতে থাকে।

এর আগে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়েও কংগ্রেসের মুখ ছিলেন রাহুল। কিন্তু ওই নির্বাচনে গো-হারা হারতে হয় তাঁদের। ১০ বছর সরকারে থাকার পর ক্ষমতাচ্যুত হয় ইউপিএ সরকার। ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৮২টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। সেখানে কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৪৪টি আসন।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

হুমকি চিঠি, যোগী আদিত্যনাথকে



সবে মাত্র গত রবিবার শপথ নিয়েছেন ভারতের সর্বাধিক জনবহুল রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের পদে, আর আজই আইএসআইএস-এর থেকে বেনামি হুমকি চিঠি পেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বড় হরফে "পাকিস্তান জিন্দাবাদ" লেখা ওই চিঠিতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। কিন্তু কী চ্যালেঞ্জ দেওয়া হল যোগী আদিত্যনাথকে?

বারাণসীর মির্জামুরাদ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, "ক্ষমতা থাকলে আগামী ২৪শে মার্চ পূর্বাঞ্চলে যে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হবে তা সামলান"। ইঙ্গিত থেকেই স্পষ্ট যে, আইসিসের তরফ থেকে ওই দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা হবে। তবে সেই অশান্তির ধরন ও মাত্রা ঠিক কী হবে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।

যেহেতু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র থেকে চিঠিটি পাওয়া গিয়েছে তাই রাজ্য পুলিসের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও এই হুমকিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে। জানা গেছে, এস.পি., গ্রামীণ, আশিষ তিওয়ারি ইতিমধ্যেই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভূক্ত করেছেন এবং স্থানীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাটির সম্পূর্ণ বিবরণ ছাপা হয়েছে 'অমর উজালা' সংবাদ মাধ্যমে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে , পুলিশের সাহায্য পেল আক্রান্ত পরিবার



হোলির দিন হুল্লোড়ে যোগ না দেওয়ায় প্রতিবেশীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিল কানপুরের একটি পরিবার। রড, লাঠি দিয়ে তিন তরুণী সহ পরিবারের প্রত্যেককে মারধর করে পাশের বাড়ির যুবকরা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবশেষে উত্তরপ্রদেশের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ট্যুইট করে গোটা ঘটনা জানানোর পরেই সুরাহা পেল ওই পরিবার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

আক্রান্ত পরিবার কানপুরের কল্যাণপুর অঞ্চলে বাস করে। পরিবারের কর্তা বুদ্ধ গৌতম জানিয়েছেন, তাঁর তিন মেয়ে সহ পরিবারের লোকজনকে মারধর করেছে পাশের বাড়ির যুবকরা। স্থানীয় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাঁরা বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যুইট করেন। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে অপরাধীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আক্রান্ত আস্থা গৌতম বলেছেন, ‘আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে একটা ট্যুইট করতেই আমাদের বাড়িতে পুলিশ এসেছে।’

পুলিশ সুপার সচিন্দ্র পটেল বলেছেন, কেন স্থানীয় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

নিষিদ্ধ হল গুটখা-পানমশলা



রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসে পান মশলা ও গুটখা নিষিদ্ধ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বুধবার লখনউ এ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে কোনরকম পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ যান। সেই অফিসের দেওয়ালেই পানের পিকের দাগ দেখে তৎক্ষণাৎ পান মশলা নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেন যোগী।

লখনউ এর এই অফিসেই বসতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যিনি এখন লোক ভবনে বসেন। এদিন অফিসে সিঁড়ির দেওয়ালে পানের পিক দেখে অত্যন্ত রেগে যান যোগী। উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ ময়ূর্য জানান যে, মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত সরকারি বিল্ডিং ও অফিসে পান মশলা ও গুটখা নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি জানান যে যোগী সরকারি অফিসগুলিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বলেছেন।


এছাড়াও নাইট ক্লাব ও মাদকেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর বুধবার থেকেই কাজ শুরু করেছে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

BJP তে রজনীকান্ত, জল্পনা !



তবে এবার বিজেপির গঙ্গাই আমরনের সঙ্গে দেখা করার পর সেই জল্পনা যেন আরও একবার প্রাণ পেল৷ সংগীত পরিচালক গঙ্গাই আমরন ২০১৪সালে যোগ দেন বিজেপিতে৷ তাঁর সাফল্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে রজনীকান্ত হাজির হলে, তাঁদের ছবি হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ সঙ্গে এও শোনা যায় এবার রাজনীতির ময়দানে হয়তো দেখা যেতে পারে থালাইভাকে৷ হয়তো তিনি যোগ দেবেন এবার গেরুয়া শিবিরে৷

তামিল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের রাজনীতির ময়দানে যোগ দেওয়ার ঘটনা বহুবারই ঘটেছে৷ প্রয়াত এম জি রামচন্দ্রণ থেকে প্রয়াত তামিলনাড়ুর আম্মা, নাম রয়েছে অনেক৷ আর এবার বিজেপিতে রজনীকান্তের প্রবেশ নিয়েও কানা ঘুষো নানা কথা শোনা যাচ্ছে৷ উল্লেখ্য, এই তামিল সুপারস্টারের শুভাকাঙ্খীদের মধ্যে অন্যতম বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন তাঁকে রাজনীতিতে যোগ না দেওয়ারই কথা বলেছিলেন একসময়৷ তবে শেষ পর্যন্ত তার বিপরীত পথেই থালাইভা হাঁটতে চলেছেন কি না তা জনাতে সময়ের অপেক্ষা৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Monday, 20 March 2017

সব মন্ত্রীদের ১৫দিনের মধ্যে যাবতীয় সম্পত্তির তথ্য চাইলেন যোগী আদিত্যনাথ



মুখ্যমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পাওয়া মাত্রই কাজ শুরু করে দিলেন যোগী আদিত্যনাথ৷ উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার তার সব মন্ত্রীদের ১৫দিনের মধ্যে যাবতীয় সম্পত্তির তথ্য পেশ করবেন৷ এর পাশাপাশি যোগী সরকার ,স্পষ্ট করে দেন দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও বিষয়কে কখনোই মেনে নেওয়া হবে না৷

 গতকাল মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরই তিনি দু্র্নীতি মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন বলে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। গতকালই ক্যাবিনেট মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা বলেছিলেন, দুর্নীতির মূলোত্পাটন করাই দলের মূল এজেন্ডা। নতুন মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রারম্ভিক বৈঠকেই তিনি ১৫ দিনের ভিতরে তাঁদের আয় ও সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে বলেছেন।
এদিন প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসেন আদিত্যনাথ। সেখানে ৬৫ জন অফিসার ছিলেন। তাঁদের বিজেপির সংকল্প পত্রের একটি করে কপি দিয়ে তার রূপায়ণ সুনিশ্চিত করতে বলা হয়। উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য জানান, ওই পদস্থ অফিসারদের নিজ নিজ দপ্তরের ব্যাপারে রোডম্যাপ তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এছাড়া গতকাল রাতে মৌআইমা থানার অধীন এলাকায় নিজের বাসভবনের কাছেই বিএসপি মহম্মদ শামির খুন হওয়ার ঘটনায়ও গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তিনি রাজ্যের ডিজিপি জাভেদ আহমেদকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনওরকম শৈথিল্য বরদাস্ত করা হবে না। তাঁকে বলা হয়েছে, রাজ্য়ের ৭৫টি জেলার সবকটিতে আইনশৃঙ্খলার কী হাল, তা জানতে তিনি যেন প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন।
একটি সূত্রের খবর, আদিত্যনাথের শপথ গ্রহণের পরদিনই এলাহাবাদ নগর নিগম কর্তৃপক্ষ শহরের দুটি কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছে। বছরখানেক আগে কসাইখানা দুটি বন্ধ করে দিতে বলেছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল।

বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে রাজ্যে সব বেআইনি কসাইখানা বন্ধ করার ঘোষণা রয়েছে। একটি মহল থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যে বৈধ কসাইখানার সংখ্যা প্রায় ১৩০টি। তবে তার বাইরে প্রচুর কসাইখানা তৈরি হয়েছে নিয়ম ভেঙে, যেগুলির অধিকাংশই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

সুখবর, এবার এল ক্যাশব্যাক অফার, প্রাইম গ্রাহক হয়ে গেলেই ৫০ টাকা ক্যাশব্যাক দেবে Jio



চলতি মাসের ৩১ তারিখের পর ফ্রি পরিষেবার উপর লাগাম টানতে চলেছে জিও৷ মার্চের পর আপনার ফ্রি জিও সিমটি চালু রাখতে হলে ৯৯ টাকা দিয়ে জিও প্রাইমের মেম্বার হতে হবে৷ তারপরই আনলিমিডেট ডেটা ও ফ্রি কল পরিষেবার অপশন খুলে যাবে গ্রাহকের সামনে৷ এবার নিজের প্রয়োজন মতো অফারটি বেছে রিচার্জ করে নিলেই ইচ্ছে মতো অনলাইন ভিডিও দেখতে আর বাধা থাকবে না৷ যত বেশি টাকার রিচার্জ করবেন, অফার হবে ততই আকর্ষণীয়৷ এতটা তথ্য তো টিভির পর্দায় অথবা অনলাইনে চোখ রাখলেই দেখতে পাচ্ছেন৷ কিন্তু আরেকটা অফারের কথা কানে এসেছে কি?



জিওর তরফে চালু করা হয়েছে আরও একটি অফার৷ জিও প্রাইম গ্রাহক হয়ে গেলেই ৫০ টাকা ক্যাশব্যাক দেবে সংস্থা৷ কীভাবে পাবেন এই অফার? খুব সহজ৷ আপনার স্মার্টফোনে জিও মানি অ্যাপটি তো রয়েইছে৷ সেই ওয়ালেট থেকে ৯৯ টাকা দিয়ে জিও প্রাইমের সাবস্ক্রিপশন করুন৷ তাহলে আপনার জিও মানি ওয়ালেটে ঢুকে যাবে ৫০ টাকার ডিসকাউন্ট ভাউচার৷ যা দু’দিনের মধ্যে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে৷ এরপর জিও মানি ওয়ালেট থেকে ৩০৩ টাকা অথবা তার বেশি অর্থের রিচার্জ করার সময় ৫০ টাকা কম দিলেই চলবে৷ চলতি বছর ২৫ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ডিসকাউন্ট ভাউচারটির মেয়াদ থাকছে৷ এই সময়ের মধ্যে একজন প্রাইম মেম্বার মোট পাঁচবার এই অফারটি গ্রহণ করতে পারবেন৷

১৫ মার্চ থেকেই অফারটি দিতে শুরু করে দিয়েছে জিও৷ অফার কিন্তু লিমিটেড৷ তাই দেরি করলেই ফসকে যাবে৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

আর লালবাতি নয় মন্ত্রীদের গাড়িতে, আদেশ আদিত্যনাথের



রবিবার শপথ নেওয়ার পর আজই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেন আদিত্যনাথ। সেখানেই লালবাতি সংস্কৃতিতে ইতি টানার কথা ঘোষণা করেন। অর্থাৎ এর পরে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীরা আর গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন না। একই সঙ্গে আধিকারিকদের ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব ও আয়করের অঙ্ক জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মসনদে বসে যে রাজ্যের কর্ম সংস্কৃতি ফেরাবেন তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এবার সেইমতো কাজও শুরু করে দিলেন উত্তরপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। জানিয়ে দিলেন, উত্তরপ্রদেশে মন্ত্রীদের গাড়িতে লালবাতির সংস্কৃতিতে ইতি পড়তে চলেছে তাঁর জমানায়।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন হওয়ার আগেই অবশ্য এই সংস্কারের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। সমস্ত আধিকারিকদের জানানো হয়েছিল যে, এবার থেকে ঠিক সময়ে অফিসে আসতে হবে। অন্যথায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দীর্ঘদিন পর রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। জাতপাতের রাজনীতি ভুলে সাধারণ মানুষ এই উন্নয়নকেই ভরসা করেছেন। তাই নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর উপর যে বিপুল প্রত্যাশা তা বিলকুল জানেন যোগী আদিত্যনাথ। আর তাই প্রথম বৈঠক থেকেই কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর কাজ শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

যোগী আদিত্যনাথ আতঙ্কবাদের বিরোধী, কখনই মুসলিমবিরোধী নন, বলছেন মুসলিম নেতা



উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করার পর অনেকেই BJP বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। গেল গেল রব তুলেছেন অনেকে। কেউ কেউ বলে ফেলছেন, এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট যে BJP সাম্যের পথে নয়, হিন্দুত্ববাদের রাস্তায় হাঁটবে। এর ফলে রাজ্যে হিংসার পরিবেশ তৈরি হতে পারে। যদিও, এর উলটো পথে হেঁটে মসনদে বসেই প্রথম দিন যোগী ঘোষণা করেন, “আলাদা কোনও সম্প্রদায়কে খাটো করে দেখা নয়, আমাদের আমলে সবকা সাথ সবকা বিকাশ হবে।” নয়া মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নকে বাস্তব করতে এগিয়ে আসছেন সেরাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনও। যোগী আদিত্যনাথের অযথা বিরোধিতা না করে, তাঁরা পাশে দাঁড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকী, যোগীর বিরুদ্ধে ওঠা মুসলিম বিরোধিতার অভিযোগকেও এককথায় উড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা।




গতকাল BJP-এর একটি সভায় যোগ দেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। তাঁদের মধ্যে একজন মৌলানা শোয়েব কাসমি। তিনি ইন্দোরের বাসিন্দা। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। কাসমি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গত তিন বছর ধরে জাতপাত, ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করছেন। এজন্য দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ BJP-তে যোগদান করছেন। এখন দেশের অবস্থা বদলাচ্ছে। এরপর থেকে ধর্মের রাজনীতি হবে না, জাতপাতের রাজনীতি হবে না। শুধু উন্নয়নের রাজনীতি হবে। প্রধানমন্ত্রী সব মানুষের উন্নয়ন করছেন। তাই, উত্তরপ্রদেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ BJP-কে ভোট দিয়েছে। ধীরে ধীরে, মুলায়ম, মায়াবতী, কংগ্রেসের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। ওরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে।”

যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মুসলিম বিরোধিতার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মোদিজির নামে যেরকম মিথ্যা কথা রটানো হত, যোগীজির নামেও হয়। উনি মুসলিমবিরোধী নন। উনি আতঙ্কবাদের বিরোধী। জঙ্গিদের বিরোধী। আমরাও বিরোধী। মুসলিমদের দেশে থাকতে হলে দেশের কথা ভাবতে হবে। যারা দেশ ভাঙার চেষ্টা করে তাদের বিরোধিতা করেন যোগীজি। একজন সত্যিকারের মুসলমান আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে থাকতে পারে না। উনি ঠিক করেন। দেশে থাকতে হলে দেশের কথা ভাবতে হবে।” 
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

Saturday, 18 March 2017

যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কে ১০টি অজানা তথ্য




উত্তরপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে ১০টি অজানা তথ্য পড়ুন এই প্রতিবেদনে-

১. ১৯৯৮ সালে ২৬ বছর বয়সে গোরখপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে জেতেন যোগী আদিত্যনাথ৷ তিনিই ১২তম লোকসভার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন৷ গোরখপুর থেকে ৫ বার সাংসদ হয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ৷

২. ২০১৪ লোকসভা ভোটে প্রায় ১,৪২,৩০৯ ভোটে যেতেন তিনি৷ নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে তাঁর চেয়ে জনপ্রিয় অন্য কোনও নেতা নেই৷

৩. নানা সময় নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি শিরোনামে এসেছেন৷ হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেন্ট মহন্ত অবৈদ্যনাথের স্থলাভিষিক্ত হন যোগী আদিত্যনাথ৷

৪. তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন, অন্য ধর্মের হাত থেকে হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করাই তাঁর মূল লক্ষ্য৷

৫. ২০০৫-এ একটি জনসভায় তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত না করা পর্যন্ত আমি শান্ত হব না৷” এরকম বিতর্কিত মন্তব্যের পরেও তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি, বরং বেড়েছে৷

৬. যোগী আদিত্যনাথের আসল নাম অজয় সিং৷ সন্ন্যাসী হওয়ার পর তিনি নাম পাল্টান৷ তাঁর বিএসসি ডিগ্রি রয়েছে৷ সংসদে হিন্দুদের উপর আক্রমণ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন৷

৭. ২০০৭-এ গোরখপুর দাঙ্গার সময় তাঁকে জেলে যেতে হয়৷

৮. এই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা ঝুলে রয়েছে৷ দাঙ্গায় ইন্ধন জোগানো, নিজের কাছে বেআইনি অস্ত্র রাখার মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷

৯. উত্তরপ্রদেশের যুবকদের নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ তৈরি করেছেন ‘হিন্দু যুব বাহিনী’৷ তবে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধেও আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে৷

১০. তবে বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সবসময় মধুর থাকেনি৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন যোগী আদিত্যনাথ



সত্যি হল জল্পনা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন যোগী আদিত্যনাথ। দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উপ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কেশব মৌর্য ও দীনেশ শর্মা।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেই বলে আগেই সরে গিয়েছিলেন মনোজ সিনহা। এরই মধ্যে জল্পনা বাড়িয়ে আজ সকাল সকাল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি উড়ে যান যোগী আদিত্যনাথ। এরপর ফের পৌঁছন লখনউ। বৈঠক করেন ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে।

এর আগে ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল।  উঠে এসেছিল রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের নামও। তবে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী মনোজ সিনহাই মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু, আজকের বৈঠকের আগেই ফের পালটে যায় সমীকরণ। তিনি এই দৌড়ে নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন মনোজ সিনহা। আর এর মাঝেই সবাইকে পিছনে ফেলে সামনে উঠে আসে যোগী আদিত্যনাথের নাম। আর পরে দলের বিধায়কদের বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর  নামই উঠে আসে।

Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

ভারতে সেনসরের কাঁচি, বিদেশে একের পর এক পুরস্কার পাচ্ছে ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’



ভারতে যখন সার্টিফিকেশন নিয়ে ঝামেলা, ঠিক তখনই আমস্টারডামে পুরস্কার জিতে সেনসর বোর্ডের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাল, ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’। অলঙ্কৃতা শ্রীবাস্তব পরিচালিত এই ছবি ‘দশম সিনেমেশিয়া আমস্টারডাম চলচ্চিত্র উৎসবে’ দর্শক মনোনিত সেরা ফিচার ফিল্মের পুরস্কারটি জিতে নিল।

বোরখার নীচে যে রোজি ঠোঁটে রোজ লিপস্টিক লাগায়, তা কারও নজরেই আসত না। রোজির ধর্ম এতটাই কড়া। সেই ধর্মের বাঁধ ভেঙে ভোপালের ঝুপড়ি গলির চার সাধারণ নারীর কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবি।



প্রযোজক প্রকাশ ঝা এই পুরস্কার হাতে পেয়ে বেশ খুশি। তাঁর মতে, “চারটে সাদামাটা মহিলার গল্প গোটা বিশ্বের মানুষের মন জিতে ফেলেছে। আর এটা আমাদের চতুর্থ আন্তর্জাতিক পুরস্কার। আমি বিশ্বাস করি দেশের মানুষের জন্য এই ছবি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের মানুষকেও লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা দেখার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।” পরিচালক অলঙ্কৃতা বলছেন, “এই ছবি নিয়ে আমরা যখন দেশে লড়াই করছি, সিনেমেশিয়া আমস্টারডাম চলচ্চিত্র উৎসবের এই পুরস্কার আমাদের মনোবল আরও বাড়িয়ে দিল। দর্শক এই ছবিকে শ্রেষ্ঠ হিসাবে বেছে নিয়েছেন, সেটা আমার কাছে যেরকম মস্ত বিষয়, একই সঙ্গে খুশিরও।”




গ্লাসগো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং মুম্বই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জেন্ডার ইকোয়ালিটি বিভাগে ‘অক্সফাম’ পুরস্কার রয়েছে লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখার ঝুলিতে। এছাড়াও কঙ্কনা সেনশর্মা ও রত্না পাঠক শাহ অভিনীত এই ছবি প্যারিস, স্টকহোম, ক্যারিও, মিয়ামি, লস অ্যাঞ্জেলস, ক্লিভল্যান্ড এবং লন্ডন এশিয়ান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে। তবে দেশের মানুষ কবে এই ছবি দেখতে পাবেন সেই দিকে তাকিয়ে বসে আছেন ছবির পরিচালক, প্রযোজক থেকে কলাকুশলীরা সকলে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

যৌবন ধরে রাখতে মেনে চলুন কিছু টিপস



যৌবন ধরে রাখতে আমরা সবাই চাই৷ কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চেহারায় আসা পরিবর্তনগুলোকে আটকানো তো মুখের কথা নয়৷ তার জন্য প্রয়োজন নিয়ম মেনে কিছু রুটিন ফলো করা৷ তাহলে ৪০-এ আপনাকে হয়তো কুড়ির মতো লাগবে না, তবে অকালে বুড়িয়ে যাওয়াও আপনাকে গ্রাস করতে পারবে না৷

১)যৌবন ধরে রাখার মূল মন্ত্রই হল সুস্থ, নির্মেদ শরীর৷ আর এর জন্য হাঁটার কোনও বিকল্প নেই৷ প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা করে হাঁটুন৷ মোবাইলে গান শুনতে শুনতে হাঁটা নয়, ঘড়ি ধরে একেবারে ব্রিস্ক ওয়াকিং৷ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে, হার্ট ভালো থাকবে৷ নিয়ন্ত্রণে থাকবে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিজ, কোলেস্টেরল, প্রেশারের মতো সমস্যা৷ ফলে আপনাকেও লাগবে ঝরঝরে৷

২) প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তত একটা করে মরসুমী ফল রাখুন৷ তবে রোজ যদি আম, কলা, আনারস, কাঁঠাল খেতে থাকেন, তাহলে ওজন বেড়ে আপনাকে বয়সের থেকে আরও দশবছর বেশি বয়স্ক লাগবে৷ তাছাড়া ফল পুষ্টিগুণেও ভরপুর৷ ফলে থাকা ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরে পুষ্টি যোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর আপনাকে রাখে তরতাজা৷

৩) দৈনন্দিন ডায়েট থেকে সবুজ শাকসব্জি বাদ দিলে কিন্তু চলবে না৷সবজি খেলে মানসিক উন্নতিসহ শারীরিক উন্নতিও হয়। মানুষ আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।মোটের উপর সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে৷

৪) ওজন কমাতে গিয়ে বা স্রেফ ইচ্ছে করছে না বলে ব্রেকফাস্ট কখনওই বাদ দেবেন না৷তাহলে কিন্তু শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেমের গোলমাল হয়ে বেশি করে খিদে পেতে থাকে৷ আর বারে বারে খেতে খেতে আখেড়ে আমরা নিজের ক্ষতিই ডেকে আনি৷

৫) যৌবন ধরে রাখতে হলে মিষ্টি জাতীয় খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। চকোলেট, পেস্ট্রি, ব্রাউনি, আইসক্রেমর মতো খাবারে প্রচুর  কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট থাকে যা শরীরে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই এগুলি যতটা সম্ভব কম খান৷ তা বলে ডায়েট থেকে চিনি পুরোপুরি ছেঁটে ফেলবেন না৷ অল্প হলেও নিয়মিত খান৷ তাহলে শরীরের এনার্জি লেভেল ঠিক থাকবে৷ শরীর-মন জুড়ে স্বতস্ফূর্ততার অনুভূতি থাকবে৷

৬) বয়স বাড়ার প্রথম লক্ষণটাই দেখা যায় আমাদের ত্বকে৷ রিংকল্স, চামড়া কুঁচকে যাওয়া, নির্জীব হওয়ার মতো ত্বকের সমস্যাগুলো শুরু হয় ৩৫-এর পর থেকেই৷তাই বয়স তিরিশ হলেই নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নিন৷ ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং রোজ করুন নিয়ম করে৷আর  মধ্য তিরিশের পর থেকে ব্যবহার করুন অ্যান্টি এজিং ক্রিম৷ মাসে অন্তত দুবার ফেস ম্যাসাজ করান৷ তবে খুব প্রয়োজন না হলে ফেসিয়াল করবেন না৷ দিনের বেলা সূর্যের আলো যেন সরাসরি ত্বকে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন৷ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করার জন্য এসপিএফ ৩০ বা এর বেশি উপাদান সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করা জরুরি।

৭) শরীরের অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলুন।  অতিরিক্ত ওজন খুব দ্রুত মানুষকে বুড়িয়ে দেয়৷ এমনকী কমিয়ে দেয় আত্মবিশ্বাসও৷ নিয়মিত ব্যায়াম ও খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেললে যৌবন ধরে রাখা সম্ভব৷ তা বলে একেবারে খাওয়া বন্ধ করেল কিন্তু হিতে বিপরীত হবে৷ শরীরের যাবতীয় গ্ল্যামার শেষ হয়ে, আপনার চেহারায় নেমে আসবে অকাল বার্ধক্য৷

৮) সুস্থ দীর্ঘ জীবন পেতে এবং যৌবন ধরে রাখতে  সকালে খানিকক্ষণ সূর্যালোকে থাকুন। সূর্যের আলোতে আছে ভিটামিন ডি যা হাড়কে মজবুত করে। এবং সঙ্গে মানসিক চাপ ও অবসন্নতাও কমিয়ে দেয়৷

৯) চেষ্টা করুন প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোতে৷ সঙ্গে হাল্কা ব্যায়ামের অভ্যেস রাখতে পারলে উপকৃত হবেন আপনিই৷

১০) অ্যালকোহল, সিগারেট বা কোনও নেশার দ্রব্য বর্জন করুন৷

১১)এড়িয়ে চলুন স্ট্রেস৷ স্ট্রেসও খুব তাড়াতাড়ি চেহারায় বয়সের ছাপ ফেলে৷

১২) প্রয়োজন আনুন মানসিকতায়৷বয়স যে আদতে বাড়ছে, এই সত্যিটা মেনে নিন৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে পাল্টান৷ যা আপনার সাধ্যের মধ্যে রয়েছে, তা নিয়েই খুশি থাকার চেষ্টা করুন৷ অতিরিক্ত উচ্চাক্ঙ্খাকে জীবন থেকে একেবারে ছঁটে ফেলুন৷ আপনি ভালো থাকবেন, চারপাশের সবাইকে ভালো রাখতে পারবেন৷
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে কি টক্কর দেবে BJP ? কি বললেন মমতা



উত্তরপ্রদেশে মোদি সুনামির পর BJP-র পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গ। বলছে রাজনৈতিক মহল। তাদের মত, TMC-কে বেগ দিতে চেষ্টার কসুর করতে বাকি রাখবে না BJP। আর সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই। তবে রাজনৈতিক মহলের যারা যাই বলুক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় BJP-কে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ভেদাভেদের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গে চলবে না।

পরবর্তী জেলা পরিষদ, বিধানসভা নির্বাচনে BJP কি TMC-কে বেগ দেবে ? উড়িয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তিনি বলেন, “ ওরা পারবে না...পারবে না। আপনারা কী মনে করেন ? এখন বাংলায় ওদের ৩ থেকে ৪ জন পার্টি সদস্য। তাহলে সমস্ত আসন ওরা দখল করবে কী করে ? জোর করে ?”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “যদি BJP পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করে, তৃণমূল কংগ্রেস গোটা ভারতকে টার্গেট করবে। যদি ওরা বাংলা, ওড়িশা, বিহারকে টার্গেট করে, আমরা সবদিকে এগোব।”

BJP-র বাংলা দখলের আশায় জল পড়বে, ইঙ্গিত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মত, পশ্চিমবঙ্গ সে জায়গা নয়, যেখানে ভেদাভেদের রাজনীতি কাজ করবে। বলেন, “বাংলার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। বাংলা সে জায়গা নয়, যেখানে আপনি বিভাজন ঘটিয়ে যা খুশি বলবেন আর মানুষ সেগুলো শুনে চলবে।”

কিছুদিন আগে BJP-র তরফে জানানো হয়, রাজ্যে আসছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ১৫ এপ্রিলের পর রাজ্যে বেশ কয়েকটি জনসভা করতে পারেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র সায়ন্তন বসু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কলঙ্কের সরকারকে সরিয়ে BJP-কে ক্ষমতায় আনতে সচেষ্ট তারা।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp

বাতিল হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট ? কি বললেন অর্থমন্ত্রী ?


এখনই বাতিল হচ্ছে না ২০০০ টাকার নোট। সংসদে একথা জানালেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর ২০০০ টাকার নতুন নোট বাজারে নিয়ে এসেছিল RBI।

২০০০ টাকার নোটের সঙ্গেই আনা হয়েছিল ৫০০ টাকার নয়া নোট। এর আগে ৮ নভেম্বর বাতিল করা হয় পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। জালনোট ও কালোটাকার রমরমা রুখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তবে শোনা যাচ্ছিল, নতুন বের হওয়া ২০০০ টাকার নোটও নাকি বাতিল করা হতে পারে। যদিও এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। গতকাল লোকসভায় তিনি একথা জানান।




অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে ১২.৪৪ লাখ কোটি টাকা RBI-র ঘরে ঢুকেছে (২০১৬-র ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত)। আর মার্চের ৩ তারিখ পর্যন্ত (চলতি বছর) বাজারে নোট ছাড়া হয়েছে ১২ লাখ কোটি টাকা। ২৭ জানুয়ারি তারিখ পর্যন্ত যা ছিল ৯.৯২১ লাখ কোটি টাকা।”

সংসদে তিনি ফের একবার বলেন, “দুর্নীতি রোধ, কালোটাকা, জালনোট রুখতে ও সন্ত্রাসবাদ আটকাতে সরকারের তরফে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরফলে ব্যাঙ্কের ঘরে দ্রুত টাকাও জমা পড়ে। ক্রেডিট বেস থেকে খরচ করার সুবিধা পায় ব্যাঙ্ক। কমানো হয় ইন্টারেস্ট রেট।”

নোট বাতিলের পর ব্যাঙ্ক ও ATM থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা ধার্য করা হয়েছিল। যা বর্তমানে পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে।
Share This:   Facebook   Twitter   Google+   Stumble   Digg    Whatsapp